নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অধিকার বঞ্চিত পৃথিবীর উত্তরাধীকারি

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন

অপরিপক্ক কৃষক

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম হচ্ছে মহান ধর্ম এবং মুসলমানরা হচ্ছে নিকৃষ্ট অনুসারী।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৬



ইসলামিক দেশগুলি কতখানি ইসলামিক এই নিয়ে গবেষণা করেন জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হুসেন আসকারী। ইসলাম ধর্মে রাষ্ট্র ও সমাজ চলার যে বিধান দেয়া হয়েছে তা যে দেশগুলি প্রতিদিনের জীবনে মেনে চলে তা খুঁজতে যেয়ে দেখা গেলো, যারা সত্যিকার ভাবে ইসলামিক বিধানে চলে তারা কেউ বিশ্বাসী মুসলিম দেশ নয়। স্টাডিতে দেখা গেছে সবচেয়ে ইসলামিক বিধান মেনে চলা দেশ হচ্ছে নিউজিল্যান্ড এবং দ্বিতীয় অবস্থানে লুক্সেমবার্গ। তারপর এসেছে পর্য্যায়ক্রমে আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ষষ্ঠ ও কানাডা সপ্তম অবস্থানে। মালয়েশিয়া ৩৮তম, কুয়েত ৪৮তম, বাহরাইন ৬৪তম, এবং অবাক করা কান্ড সৌদি আরব ১৩১তম অবস্থানে।

গ্লোবাল ইকোনমি জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় বাংলাদেশের অবস্থান সৌদীদেরও নীচে। গবেষণায় দেখা গেছে, মুসলমানরা নামাজ, রোজা, সুন্নাহ, কোরআন, হাদিস, হিজাব, দাড়ি, লেবাস নিয়ে অতি সতর্ক কিন্তু রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও পেশাগত জীবনে ইসলামের আইন মেনে চলেনা। মুসলমানরা পৃথিবীর সবার চেয়ে বেশি ধর্মীয় বয়ান,ওয়াজ নসিহত শোনে কিন্তু কোন মুসলিম দেশ পৃথিবীর সেরা রাষ্ট্র হতে পারেনি। অথচ গত ষাট বছরে মুসলমানরা অন্ততঃ ৩০০০ বার জুমার খুতবা শুনেছে।

একজন বিধর্মী চাইনিজ ব্যবসায়ী বলেছেন, মুসলমান ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছে এসে দুই নম্বর নকল জিনিষ বানানোর অর্ডার দিয়ে বলে, অমুক বিখ্যাত কোম্পানির লেভেল লাগাবেন। পরে যখন তাদেরকে বলি আমাদের সাথে খানা খান, তখন তাঁরা বলেন, হালাল না, তাই খবোনা। তাহলে নকল মাল বিক্রি করা কি হালাল? একজন জাপানি নব্য মুসলিম বলেছেন, আমি পশ্চিমা দেশগুলিতে অমুসলিমদের ইসলামের বিধান পালন করতে দেখি, আর পূর্বের দেশগুলিতে ইসলাম দেখি কিন্তু কোন মুসলিম দেখিনা। আলহামদুলিল্লাহ, আমি আগেই ইসলাম এবং মুসলমানদের পার্থক্য বুঝেই আল্লাহর ধর্ম গ্রহন করেছি।

ইসলাম ধর্ম শুধু নামাজ রোজা নয়, এটি একটি জীবন বিধান এবং অন্যের সাথে মোয়ামালাত আর মোয়াশারাতের বিষয়। একজন নামাজ রোজা পড়া আর কপালে দাগওয়ালা মানুষও আল্লাহর চোখে একজন মোনাফেক হতে পারে। রাসুল (সঃ) বলেছেন, "আসল সর্বহারা আর রিক্ত মানুষ হচ্ছে তারা, যারা কেয়ামতের দিন রোজা, নামাজ, অনেক হজ্জ্ব, দান খয়রাত নিয়ে হাজির হবে কিন্তু দুর্নীতি করে সম্পদ দখল, অন্যদের হক না দেয়া, মানুষের উপর অত্যাচারের কারণে রিক্ত হস্তে জাহান্নামে যাবে।"

ইসলামের দুটি অংশ, একটি হচ্ছে বিশ্বাসের প্রকাশ্য ঘোষণা যাকে 'ঈমান' বলা হয়, আর একটি হচ্ছে বিশ্বাসের অন্তর্গত বিষয় যাকে 'এহসান' বলা হয়, যা ন্যায়গতভাবে সঠিক সামাজিক নিয়ম কানুন মেনে চলার মাধ্যমে বাস্তবায়ন হয়। দুটোকে একত্রে প্র্যাকটিস না করলে ইসলাম অসম্পূর্ন থেকে যায় যা প্রতিটি নামের মুসলমান দেশে হচ্ছে। ধর্মীয় বিধি নিষেধ মানা যার যার ব্যক্তিগত দায়িত্বের মধ্যে পড়ে এবং এটি আল্লাহ ও বান্দার মধ্যকার বিষয়। কিন্তু সামাজিক বিধি নিষেধ মেনে চলা একজন বান্দার সাথে অন্য বান্দার মধ্যকার বিষয়। অন্য কথায় ইসলামিক নীতিমালা যদি মুসলমানরা নিজেদের জীবনে ব্যবহারিক প্রয়োগ না করে, মুসলিম সমাজ দুর্নীতিতে ছেয়ে যাবে এবং আমাদের ভবিষ্যৎ হবে অসম্মানজনক।

বার্নার্ড' শ একবার বলেছিলেন, "ইসলাম হচ্ছে শ্রেষ্ঠ ধর্ম এবং মুসলমানরা হচ্ছে সর্ব নিকৃষ্ট অনুসারী।"

সংগ্রহীত

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:১২

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: এই ধরণের লেখা ও কথাবার্তা ততসময়ই ভালো লাগে, যত সময় কেউ ইসলাম ও এর মূল সম্পর্কে না বুঝে। যখনই ইসলামের মূল কেউ বুঝবে, তখন তার কাছে লেখাটা হতাশা ব্যাঞ্জক হয়ে যাবে।

মুসলমানরা হচ্ছে সর্ব নিকৃষ্ট অনুসারী - এটার মত চরম বাজে কথা দুনিয়ায় আর কম আছে। অন্য সব ধর্মের লোকেরা একজন সৃষ্টিকর্তা ও তার একত্ববাদ থেকে সরে আসলেও মুসলিমেরা এখনও সেটায় অটুট। আর তাদেরকে "সর্ব নিকৃষ্ট" বলাটা চরম অপরাধের।

আল্লাহর সাথে শির্ক না করলে বাকি বিষয় আল্লাহ মাফও করে দিতে পারেন। পোষ্টে উল্লেখ্যিত বিষয় গুলি শির্কের পরে ধাপে ধাপে আসে। আর সেখানে শির্কে লিপ্ত থাকা একজন বলে দিলো যে মুসলিমেরা "সর্ব নিকৃষ্ট অনুসারী" আর একজন মুসলিম নামধারী মানুষ তাই নিয়ে পোষ্ট করা শুরু করে দিলো, এটা তার মুসলমানিত্বের সাথে যায় না।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪০

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



জার্মান দার্শনিক ফ্রেড্রিক উইলহেল্ম নিৎশে বলেছিলেন god is dead and we killed him অর্থাৎ ঈশ্বর মৃত এবং আমরাই তাকে হত্যা করেছি। আমি বলি, খোদা বন্দী, আমরা তাঁকে ধর্মালয়ে বন্দী করেছি। ফলে ধর্মালয়ে পাক্কা ইমানদার, বাহিরে এসে নির্ভয়ে দুনিয়ার অন্যায় কাজগুলো করে।
মুসলমানরা সত্যি কি এক আল্লাহকে মানে? ধরুন কেউ মুখে বলল আমি মা বাবাকে খুব ভালোবাসি, অথচ বউয়ের কথায় তাঁদের বাড়ি হতে বের করে দিলো। আপনি কি তার মুখের কথা বিশ্বাস করবেন? মুসলমান তো সেভাবেই কেবল মুখেই আল্লাহর একত্ববাদের কথা বলে। তাঁরা তো অর্থ ও স্বার্থের মোহে আল্লাহর আদেশ নিষেধ অমান্য করে।

২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:২১

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আমরা নামে মুসলিম কামে না । বিশ্বের মুসলমানদের মধ্যে বাংলাদেশীদের অবস্থান সবচেয়ে নিম্নস্তরে । এখানকার মুসলমানেরা মুখে হারাম না খেলেও নোটের হারামের জন্য মুখিয়ে থাকে ।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪১

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




একজন বিধর্মী চাইনিজ ব্যবসায়ী বলেছেন, মুসলমান ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছে এসে দুই নম্বর নকল জিনিষ বানানোর অর্ডার দিয়ে বলে, অমুক বিখ্যাত কোম্পানির লেভেল লাগাবেন। পরে যখন তাদেরকে বলি আমাদের সাথে খানা খান, তখন তাঁরা বলেন, হালাল না, তাই খবোনা।

৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: শিরোনামের সাথে সহমত। কথিত ইসলামি দল গুলোও নামে ইসলামি দল কামে ধর্ম ব্যাবসায়ী।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:০৮

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




আপনি কি শুধু শিরনামই পরেছেন?
ইসলামি দল গুলোও নামে ইসলামি দল কামে ধর্ম ব্যাবসায়ী, তা অমত করছি না। কিন্তু আপনার মতে বাংলাদেশের কোন দলটা ভালো?

৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:১১

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ঈশ্বর মৃত এবং আমরাই তাকে হত্যা করেছি - আপনার ঈশ্বর মৃতও হতে পারে, তাকে হত্যাও করা যেতে পারে। আমার সৃষ্টিকর্তা না মৃত্যু বরণ করেন, না তাকে হত্যা করা যায়।

আমি বলি, খোদা বন্দী, আমরা তাঁকে ধর্মালয়ে বন্দী করেছি। ফলে ধর্মালয়ে পাক্কা ইমানদার, বাহিরে এসে নির্ভয়ে দুনিয়ার অন্যায় কাজগুলো করে। - আমার মন্তব্যটি আবার পড়ুন। ইসলামকে আগে বুঝুন।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:০৩

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



হু ইসলাম মানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া, জিকির করা। এইগুলা এত পরিমাণে মারকিটিং করা হইছে যে আপনারা এখন এর বাহিরে আর কিছুই কল্পনা করতে পারেন না। ইসলামকে কয়েকটা আনুষ্ঠিকতার মধ্যে বন্ধি করে ফেলা হয়েছে। আপনারা মনে করেন, কেবল নামাজ রোজা করলেই হয়ে গেল, তারপর যেমন খুশি তেমন চলা যাবে।

৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম আমাদের পথ দেখায় না।
যে পথ দেখায় সেটা ১৪শ' বছর আগের পথ। ১৪ শ' বছর আগের পথ এযুগে অচল।
ধার্মিকদের কর্মকান্ড হাস্যকর। এরা ওজু করতে গিয়ে বেসিনের উপর পা তুলে পা ধোয়। এরা নুনু ঘসে সকলের সামনে। ঘসতেই থাকে। এরা রাস্তা বন্ধ করে জুম্মা পড়ে।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:০৯

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



ধার্মিকদের কর্মকান্ড হাস্যকর। এরা ওজু করতে গিয়ে বেসিনের উপর পা তুলে পা ধোয়। এরা নুনু ঘসে সকলের সামনে। ঘসতেই থাকে। এরা রাস্তা বন্ধ করে জুম্মা পড়ে। ধর্ম তো এটাকে সমর্থন করে না। ধর্ম যা সমর্থন করে না ব্যক্তি সেটা করলে যদি তার দায় ধর্মকে দেন, তবে বিজ্ঞানের অপ ব্যবহার করে যখন মানুষের ক্ষতি করা হর তার দায় কেন বিজ্ঞানকে দেন না? আমি বিজ্ঞান এবং ধর্ম কোনটিরই বিরধি নই, আমি নির্মোহভাবে কোনকিছুকে দেখার চেষ্ঠা করি, এবং ডাবল স্ট্যান্ডার্ডের বিপক্ষে।

ধর্ম আমাদের পথ দেখায় না। যে পথ দেখায় সেটা ১৪শ' বছর আগের পথ। ১৪ শ' বছর আগের পথ এযুগে অচল।
পৃথিবী তথা প্রকৃতির মৌলিক উপাদান হল পরমাণুর, যার ক্যারেক্টারেস্টিক ১৪শ' বছর আগে যা ছিল এখনো তাই আছে। বিজ্ঞান কেবল সেটার সন্ধান পেয়েছে, সৃষ্টি করেনি। আপনি যে আধুনিকতার কথা বলছেন তার উৎপত্তি তো বিজ্ঞান থেকেই। বিজ্ঞান পরমাণুর ক্যারেক্টারেস্টিককে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন উদ্ভাবনের মাধ্যমে মানুষের শারীরিক কষ্ট কমিয়েছে, কিন্তু এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল অর্থনৈতিক। তবে প্রচার করা হয়েছে মানবকল্যানের কথা। মানবকল্যান বলতে মানুষের শারীরিক কষ্টই কমেছে। কিন্তু প্রকৃতি ধ্বংস হয়েছে। আধুনিকতা তো আমরা বিজ্ঞানের মাধ্যমেই পেয়েছি, এই আধুনিকতা মানুষকে উপার্জন করতে সক্ষম এক মেশিনে রূপান্তর করছে। মৌলিকভাবে শুধুমাত্র অর্থনৈতিকে সামনে রেখে বিজ্ঞান তার কর্মকাণ্ড পরিচালনা করায় তা নিরেট মানবকল্যানে ব্যর্থ হয়েছে। এটা বিজ্ঞানের দোষ নয়, এটা মানুষের লোভ। এই বিজ্ঞান নানা বিষয়ে গবেষণা করেছে, কিন্তু বিজ্ঞান প্রকৃতির যে ক্ষতি করেছে তা নিয়ে কোন গবেষণা করে না। আধুনিকতা মানুষের মনোজগতের যে ক্ষতি করেছে তা নিয়ে কোন গবেষণা নাই।

দেখুন, প্রকৃতি এবং মানুষ যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনি প্রকৃতির সাথে মানুষের জীবনকে সমন্বয় করে বিভিন্ন বিধান দিয়েছেন। যার অনেক কিছুই আপনার কাছে অগ্রহণযোগ্য মনে হতে পারে, এর কারণ আপনার অজ্ঞতা। শুধু আপনি না প্রকৃতি সম্পর্কে মানুষের তথা বিজ্ঞানের জ্ঞান একেবারেই সীমিত, বিজ্ঞান নিজেই তা স্বীকার করে। ফলে অনেক কিছুই আমাদের কাছে নেতিবাচক মনে হয়। ধরুন কোন নিদ্রিষ্ট্র কোন বিষয়ে 'ক' ১০টা তথ্য জানে, এবং 'খ' ১০০টা তথ্য জানে, ঐ বিষয়ে কার মন্তুব্য অধিক গ্রহনযোগ্য হবে? নিশ্চয় 'খ'-এর। কম তথ্য জানার কারণে 'ক'-এর মনে হতেই পারে 'খ'-এর বক্তব্য ভুল। আরও সহজ করে বলি, ধরুন আপনি দেখলেন 'ক' 'খ'-কে থাপ্পর দিছে, আপনি বলবেন 'ক' নিরীহ, 'খ' খারাপ, কিন্তু যখনই জানবেন 'ক' আগেই 'খ'-কে মেরেছে, তখন কিন্তু আপনি আর আগের মন্তব্যে স্থির থাকবেন না, আপনার মন্তব্য পরিবর্তন হয়ে যাবে।

বিজ্ঞান যদি ইসলামিক নৈতিক ভিত্তিকে সামনে রেখে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করত, তবে তা নিরেট মানবকল্যান করতে পারত। আধুনিকতা আমাদের সবচেয়ে বড় যে ক্ষতি করেছে তা হল, আধুনিকতা আমাদের মানুষ হতে উপার্জন করতে সক্ষম এক মেশিনে রূপান্তর করছে।

৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ইসলাম হচ্ছে মহান ধর্ম। আল্লাহ বলেছেন কোরআনকে সহজ ভাষায় সবার বোধগম্য ভাবে নাজিল করা হয়েছে।

বাংলাদেশের মোল্লারা বুঝাইছে কুরআন শুধু মোল্লারাই বুঝবে এবং অন্যান্যদের বুঝায় দিবে।
বাংলাদেশের মুসলমানরা বেশিরভাগ রাজনৈতিক ইসলামিষ্ট তথা ওহাবী জামাতি মোল্লা মসজিদ প্রভাবিত।

কোরআন হাদিসে লেবাস নিয়ে কোন বক্তব্য নেই। অমুসলিমরা যে ধরনের পোশাক দাড়ি রাখত, মুসলিমরা সে ধরনেরই পোশাক পরিধান করত।
কোরআন হাদিস এসেছে পাঠ করতে এবং আমল বা পালন করতে।
কিন্তু বাংলাদেশের মুসলমানরা কোরআনকে শুধু আবৃত্তি তেলাওয়াত করে। অর্থ বোঝার চেষ্টা করেনা। ওয়াজে যা বলে সেটাই বিশ্বাস করে।

ইসলামে লোক দেখানো লেবাস দেখানো প্রদর্শনকামিতা বা রিয়া কঠিন ভাবে নিষিদ্ধ হলেও জামাতি ওহাবী প্রভাবিত বাংলাদেশের মুসলিমদের কাছে প্রদর্শনকামিতাই ইসলাম। মোচ চাছা লম্বা দাড়ি চোঙ্গার মত পেঁচানো হিজাব লেবাস ধারণ করাটাই বর্তমানে সবচেয়ে বড় ইসলাম।

চারিদিকে সবকিছু হারাম হারাম উচ্চারণ। তবে কারেন্সি নোট আর হারাম হয় না।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:০১

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




একমত

৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৪৮

নতুন বলেছেন: আপনার মতে মুসলমানেরা কেন ধর্ম থেকে সরে এসেছে কিন্তু ধর্মহীনেরা ভালো মানুষের মতন কাজ করছে?

বির্ধমীদের ভালো মানুষ হবার পেছনে মটিভেসন কোথায়?

তাহলে বির্ধমীরা বর্তমানের মুসলমাদের থেকে ভালো না কি খারাপ?

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:১২

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




ধর্মান্ধ মোল্লারা যাদের বির্ধমী বলে আমি তাঁদের বির্ধমী মনে করি না। বরং আমি সেইসব ধর্মান্ধ মোল্লাদেরই বির্ধমী মনে করি।

৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:২৫

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: হু ইসলাম মানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া, জিকির করা। এইগুলা এত পরিমাণে মারকিটিং করা হইছে যে আপনারা এখন এর বাহিরে আর কিছুই কল্পনা করতে পারেন না। ইসলামকে কয়েকটা আনুষ্ঠিকতার মধ্যে বন্ধি করে ফেলা হয়েছে। আপনারা মনে করেন, কেবল নামাজ রোজা করলেই হয়ে গেল, তারপর যেমন খুশি তেমন চলা যাবে। এই ধারণাটা আপনার হতে পারে, আমার না। সুরা ইখলাসকে কেন কুরআনের এক তৃতীয়াংশ বলা হয় জানেন? কারণ এখানে সেই আল্লাহর একত্ববাদকেই সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়েছে, যা পুরা কুরআনের এক তৃতীয়াংশে ব্যাখ্যা হিসাবে আছে। আর সেই আল্লাহকে যারা মেনে নেয়, তারা "নিকৃষ্ট" না।

এর পর যেসব বিষয় আসে, তা গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এত গুরুত্বপূর্ণ না যতটা এক আল্লাহকে সৃষ্টা হিসাবে মেনে নেওয়া।

আগেই বলেছি। ইসলামের মূল বুঝতে হবে, না হলে আপনি সারাদিন তর্ক করে যাবেন, কিন্তু সত্যটা বুঝবেন না।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:২৬

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




সুরা ইখলাসকে কেন কুরআনের এক তৃতীয়াংশ বলা হয় জানেন? কারণ এখানে সেই আল্লাহর একত্ববাদকেই সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়েছে, যা পুরা কুরআনের এক তৃতীয়াংশে ব্যাখ্যা হিসাবে আছে। আর সেই আল্লাহকে যারা মেনে নেয়, তারা "নিকৃষ্ট" না

মুসলমান ঘরে জন্মনিয়ে যারা বলছে তাঁরা আল্লাহর একত্ববাদকে বিশ্বাস করে, তাদের অধিকাংশই হুজুগে বলে, পূর্বপুরুষকে বলতে দেখছে তাই বলে। মনথেকে অনুধাবন করে বলে না। যদি আল্লার একত্ববাদকে অনুধাবন করত তবে মুসলিম দেশগুলো জান্নাত হতো, সেটা হয়নি। বাংলাদেশের মুসলমানরা সেই ইউরোপ আম্রিকার মানুষের কাজ করে দেওয়ার জন্য ইউরোপ আম্রিকা যাওয়ার লাইন দিত না যেই ইউরোপ আম্রিকার মানুষ একত্ববাদকে বিশ্বাস করেনা।

৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

নতুন বলেছেন: স্টাডিতে দেখা গেছে সবচেয়ে ইসলামিক বিধান মেনে চলা দেশ হচ্ছে নিউজিল্যান্ড এবং দ্বিতীয় অবস্থানে লুক্সেমবার্গ। তারপর এসেছে পর্য্যায়ক্রমে আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ষষ্ঠ ও কানাডা সপ্তম অবস্থানে। মালয়েশিয়া ৩৮তম, কুয়েত ৪৮তম, বাহরাইন ৬৪তম, এবং অবাক করা কান্ড সৌদি আরব ১৩১তম অবস্থানে।

গ্লোবাল ইকোনমি জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় বাংলাদেশের অবস্থান সৌদীদেরও নীচে। গবেষণায় দেখা গেছে, মুসলমানরা নামাজ, রোজা, সুন্নাহ, কোরআন, হাদিস, হিজাব, দাড়ি, লেবাস নিয়ে অতি সতর্ক কিন্তু রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও পেশাগত জীবনে ইসলামের আইন মেনে চলেনা।


তাহলে দেখা যাচ্ছে ধর্ম মানুষকে ভালো মানুষ বানাতে পারেনাই। তাহলে নিউজিল্যান্ড এবং দ্বিতীয় অবস্থানে লুক্সেমবার্গ। তারপর এসেছে পর্য্যায়ক্রমে আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ষষ্ঠ ও কানাডা এর মতন নিতি বর্তমানের ধর্ম প্রক্টিসের চেয়ে ভালো.... কি বলেন?

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



তাহলে নিউজিল্যান্ড এবং দ্বিতীয় অবস্থানে লুক্সেমবার্গ। তারপর এসেছে পর্য্যায়ক্রমে আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ষষ্ঠ ও কানাডা এর মতন নিতি বর্তমানের ধর্ম প্রক্টিসের চেয়ে ভালো

তারা যা করেছে, ধর্মতো সেটাই করতে বলছে। আবার এমনও নয়, তারা নিজেরা এসবের আবিস্কারক, এই বিষয়গুলো তারা ধর্ম হতেই নিয়েছে। ইইরোপের শত শত বছর আগের সাহিত্য পড়েন, ইতিহাস পড়েন তাহলেই জানতে পারবেন। রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি কেন নোবেল পেয়েছে জানেন? গীতাঞ্জলি পড়েন তাহলেই বুঝবেন। গীতাঞ্জলিতে লেখা হয়েছে একক ইশ্বরের নিকট প্রার্থনার বাণী হিসেব, ইউরোপীয়রাও তখন সংগীত এবং কাব্যের মাধ্যমে প্রার্থনা করতো, গীতাঞ্জলি নোবেল পাওয়ার ক্ষেত্রে এ বিষয়টিও বিশেষ ভাবে কাজ করেছে। আজকের ইউরোপের অনেক মিউজিকের উৎপত্তি হয়েছে ধর্ম প্রচারে মাধ্যম হিসেবে।

এই ইউরোপ এককালে এত সভ্য ছিল না, ৬ মাস গোসল করতো না, কারণ তারা মনে করতো গোসল না করলে কল্যাণ। হ্যাঁ এটা ঠিক যে, চার্চে ধর্মগুরুরা ধর্মকে কাজে লাগিয়ে ধর্মের উল্টাপাল্টা ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে শোষণ করেছে। কিন্তু এর মধ্যেও ধীরেধীরে ধর্মীয় নৈতিকতা তাদের সভ্য করেছে।

১০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:২৪

নতুন বলেছেন: তারা যা করেছে, ধর্মতো সেটাই করতে বলছে। আবার এমনও নয়, তারা নিজেরা এসবের আবিস্কারক, এই বিষয়গুলো তারা ধর্ম হতেই নিয়েছে। ইইরোপের শত শত বছর আগের সাহিত্য পড়েন, ইতিহাস পড়েন তাহলেই জানতে পারবেন।

তাহলে ঐ দেশের মানুষের মতন ধর্ম কর্ম করাই মানব জাতীর জন্য মঙ্গলকর তাই না?

তাহলে আমাদের দেশের মোল্যাদের অনুসরন করা ঠিক না কি বলেন?

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৫৪

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



মোল্লা কেন কারো কথা মতো বজ কারো অনুসরণ ঠিক হবে না। যদি কারো অনুসরণই করতে হবে তাহলে কুরআন কেন আছে। ঐসব দেশকেও আদর্শ বলার সুযোগ নেই, তাদেরও অনেক আকাম আছে, সেগুলা আমাদের মতো এত তীব্র না, এইতো। নরওয়ে সুইডেনের মতো দেশে ধর্ষনে প্রথম সারিতে আছে। প্রত্যেকের ভালো কাজকে সমর্থন করার আছে।

১১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:১২

তানভির জুমার বলেছেন: স্টাডিতে দেখা গেছে সবচেয়ে ইসলামিক বিধান মেনে চলা দেশ হচ্ছে নিউজিল্যান্ড এবং দ্বিতীয় অবস্থানে লুক্সেমবার্গ। তারপর এসেছে পর্য্যায়ক্রমে আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ষষ্ঠ ও কানাডা সপ্তম অবস্থানে। মালয়েশিয়া ৩৮তম, কুয়েত ৪৮তম, বাহরাইন ৬৪তম, এবং অবাক করা কান্ড সৌদি আরব ১৩১তম অবস্থানে

এইগুলো সম্পূরণ মিথ্যা, বানোয়াট আর গাাখরী গল্প ছাড়া কিছুই না। ইসলামের এক নং পয়েট হচ্ছে আল্লাহ একাত্ববাদে বিশ্বাস। শয়তানও বলবে না যে নিউজিল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ এইসব দেশ আল্লাহ একাত্ববাদে বিশ্বাস করে। বাকি সবকিছু তো অনেক অনেক পরে।

তবে বলতে বাধা নেই। মুসলমানদের মধ্যে প্রকৃত ইসলাম চর্চা অনেক কম। জনগণের মধ্যে ইসলাম চর্চা করতে হলে আগে রাষ্ট্রের সর্বোচ্ছে থেকে এই সব আসতে হবে। উইরোপ-আমেরিকার দেশগুলো কেন আমাদের থেকে সৎ এবং ভালো জানেন? কারণ তাদের দেশে টপ-বটম আইনের শাসন এখনো ৮০% ঠিক আছে।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:১৪

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নেতা কে বানায়? আমরাই তো বানাচ্ছি। অথচ আল্লাহ বলেন, সৎ গুণ দেখে শাসক নির্বাচন করো।
(সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৪৭)

১২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:০৮

কামাল১৮ বলেছেন: উন্নত দেশগুলি জাতিসংঘের মানবাধিকার ঘোষনা,জেনেভা কনভেনশন মেনে দেশ পরিচালনা করে।ইসলামে কি আছে সেটা তারা জানে না। যেমন আমরা জানি না জাতিসংঘের মানবাধিকার ও জেনেভা কনভেনশনে কি আছে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:০৩

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




উন্নত দেশগুলি জাতিসংঘের মানবাধিকার ঘোষনা,জেনেভা কনভেনশন মেনে দেশ পরিচালনা করে। কিছু মনে করবেন না। আরও পেছনে যেতে হবে। জাতিসংঘের মানবাধিকার জাতিসংঘের কোন আবিস্কার না, এই ধারনাও ধর্ম থেকেই ধীরে ধীরে এসেছে।
রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি কেন নোবেল পেয়েছে জানেন? গীতাঞ্জলি পড়েন তাহলেই বুঝবেন। গীতাঞ্জলিতে লেখা হয়েছে একক ইশ্বরের নিকট প্রার্থনার বাণী হিসেব, ইউরোপীয়রাও তখন সংগীত এবং কাব্যের মাধ্যমে প্রার্থনা করতো, গীতাঞ্জলি নোবেল পাওয়ার ক্ষেত্রে এ বিষয়টিও বিশেষ ভাবে কাজ করেছে। আজকের ইউরোপের অনেক মিউজিকের উৎপত্তি হয়েছে ধর্ম প্রচারে মাধ্যম হিসেবে।

এই ইউরোপ এককালে এত সভ্য ছিল না, ৬ মাস গোসল করতো না, কারণ তারা মনে করতো গোসল না করলে কল্যাণ। হ্যাঁ এটা ঠিক যে, চার্চে ধর্মগুরুরা ধর্মকে কাজে লাগিয়ে ধর্মের উল্টাপাল্টা ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে শোষণ করেছে। কিন্তু এর মধ্যেও ধীরেধীরে ধর্মীয় নৈতিকতা তাদের সভ্য করেছে।

১৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নিউজিল্যান্ড মুসলমানের সংখ্যা মাত্র ৬০ হাজারের মত আর লুক্সেমবার্গে সম্ভবত আরও কম মুসলমান বাস করে। এরা তো গোনার মধ্যেই আসার কথা না। ঢাকা শহরের যে কোন একটা রাস্তার আশেপাশে ৬০ হাজার মুসলমান বাস করে।

ধর্মীয় আচার যদি বিবেচনা করেন ( নামাজ, রোজা, হজ্জ, জাকাত ইত্যাদি) সেই ক্ষেত্রে পৃথিবীর সব ধর্মের মধ্যে মুসলমানরা এগিয়ে। খৃস্টান ধর্মের অনেক চার্চ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। চার্চে যাওয়ার লোক ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। আর যদি সততা এবং অন্যান্য সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং পারিবারিক কর্মকাণ্ডের মানের নিরিখে বিবেচনা করেন সেই ক্ষেত্রেও মুসলমানদের অবস্থা খৃস্টানদের চেয়ে ভালো হবে। কারণ খৃস্টান ধর্মের বিধান খুব কম খৃস্টান মেনে চলে। খৃস্টান ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী সুদ নিষিদ্ধ। কিন্তু খৃস্টানরা সুদ খায়। নারীদের পর্দা করার কথা বলা আছে বাইবেলে। কিন্তু খৃস্টান নারীরা পর্দা করে না। খৃস্টান ধর্মের নীতি অনুযায়ী জুয়া গ্রহণযোগ্য না। কিন্তু খৃস্টান দেশগুলিতে জুয়া বৈধ। পতিতাবৃত্তি এবং ব্যভিচার খৃস্টান ধর্মে নিষিদ্ধ। কিন্তু খৃস্টান প্রধান দেশগুলিতে ব্যভিচার এবং পতিতাবৃত্তি বেশী হয়। সমকামিতা খৃস্টান ধর্মে নিষিদ্ধ। কিন্তু খৃস্টান দেশগুলিতে সমকামিতা বেশী। ঘুষ দুর্নীতি ৬০% খৃস্টান দেশে খুব কম। কিন্তু বাকি ৪০% খৃস্টান দেশে বেশী। কারণ ৪০% খৃস্টান অধ্যুষিত দেশ আফ্রিকা এবং এশিয়ায় অবস্থিত। পৃথিবীতে যে সব দেশ যুদ্ধ এবং অস্ত্রের ব্যবসা করে তার ৯০% খৃস্টান অধ্যুষিত দেশ।

ইহুদি, বৌদ্ধ এবং হিন্দু ধর্মের ক্ষেত্রে পর্যালোচনা করলেও দেখা যাবে যে ওরাও উপরে বর্ণিত ক্ষেত্র সমুহে একই দোষে দুষ্ট। বেশীর ভাগ আরব দেশে ইসলামি নিয়মের কারণে খুন, ধর্ষণ, চুরি, রাহাজানি, দুর্নীতি, ব্যভিচার, জুয়া, মদ, পতিতাবৃত্তি অন্যান্য খৃস্টান, ইহুদি, বৌদ্ধ বা হিন্দু প্রধান দেশের চেয়ে কম হয়।

তাই সার্বিকভাবে মুসলমানরা ঠিকই আছে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে খৃস্টান, বৌদ্ধ, হিন্দু এবং ইহুদি ধর্মের অনুসারীরা কম ধর্ম পালন করে মুসলমানদের তুলনায়। নৈতিকতার ক্ষেত্রেও সারা বিশ্বের কথা চিন্তা করলে আফ্রিকা, এশিয়া ল্যাটিন অ্যামেরিকার অন্যান্য ধর্মের লোকেদের মধ্যে অনেক বিচ্ছুতি আছে। কোন কোন ক্ষেত্রে তারা তাদের ধর্ম থেকে দূরে আছে সেটা উপরে উল্লেখ করেছি। আপনি শুধু মুসলমানদের অসততার কথা বলেছেন। কিন্তু বিধর্মী দেশগুলিতে আইনের মাধ্যমে অনেক অনৈতিক, ধর্ম বিরোধী এবং অসৎ কাজ বৈধ করা হয়েছে। ফলে এই অনৈতিক কাজগুলি আমাদের কাছে ধর্ম বিরোধী মনে হয় না। যেমন ব্যভিচার, পতিতাবৃত্তি, মদ, জুয়া, সমকামিতা ইত্যাদি। ইউরোপ এবং অ্যামেরিকার বিধর্মীরা আচার আচরণে আমাদের চেয়ে সৎ হলেও এই বিষয়গুলিতে তারা বিপথগামী এবং ধর্ম বিরোধী কাজে লিপ্ত। বেশীর ভাগ মুসলমান দেশে ব্যভিচার, পতিতাবৃত্তি, মদ, জুয়া, সমকামিতা দেশের আইন দ্বারাই নিষিদ্ধ। তাই মুসলমানদের চেয়ে অন্যান্য ধর্মের লোকেরা তাদের ধর্ম থেকে আরও দূরে অবস্থিত। তারা ধর্ম আরও কম মানে। মন্তব্যে আর বেশী কিছু ব্যাখ্যা করতে পারলাম না। এটার পুরো ব্যাখ্যা দিতে গেলে একটা পোস্ট লাগবে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:১০

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




আপনি কেবল এবাদত নিয়ে আছেন। আপনার নামাজ রোজা, জিকিরে অন্যের কি লাভ? আপনার নামাজ রোজা তো সুন্দর সমাজ নির্মাণ করছে না। ইসলামের মৌলিক উদ্দেশ্যই তো সুন্দর এবং ন্যায় ভিত্তিক সমাজ গড়া, শুধু নামাজ রোজা দিয়ে তো আর সুন্দর এবং ন্যায় ভিত্তিক সমাজ গড়া যায় না।

আপনার নামাজ দেখে একজন অমুসলিম ইসলামকে মেজারমেন্ট করবে না, আপনার ব্যবহার দেখে একজন অমুসলিম ইসলামকে মেজারমেন্ট করবে। রাসুল (সঃ)-এর নামাজ দেখে মানুষ ইসলাম গ্রহন করেনি, তাঁর আদর্শ, ব্যবহার এবং কর্ম দেখে মানুষ ইসলাম গ্রহন করছে। কুরআন পড়ে অনেক মানুষ ইসলাম কবুল করেছে, এমনকি বিজ্ঞানিরাও কুরআন পড়ে ইসলাম গ্রহন করেছে এখানে ক্লিক করে বিজ্ঞানিদের ইসলাম কবুলের ঘটনা দেক্তহ পারেন। কিন্তু ভাই, যারা পড়াশুনা করে না তাঁরা দেখবে মুসলমানের ব্যবহার এবং কর্ম, এসব দেখেই তাঁরা ইসলামে আকর্ষিত হবে। আপনার খারাপ আচারন, খারাপ কর্ম, অসততা মানুষকে ইসলাম হতে দূরে সরিয়ে দেয়।

১৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:১৩

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বর্তমান সময়ের বেশীরভাগ মুুসলিমরাই তুলনামূলকভাবে অনেক বেশী ভন্ড। মুসলিম দেশগুলোর শাসন ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক ও বিচার ব্যবস্থার দিকে তাকালে ইসলাম পরিপন্থী অনেক রীতিনীতি চোখে পড়বে। বাংলাদেশের একজন উচ্চ পদস্থ "অশিক্ষিত" সরকারী কর্মচারী প্রায়ই জনৈক অর্থনীতিবিদ-কে সুদখোর হিসেবে আখ্যা দেন অথচ তিনি চোখে দেখেন না যে বাংলাদেশের বেশীরভাগ বাণিজ্যিক, সরকারী ব্যাংকও সুদের সাথে জড়িত। দেশের মানুষ সুদ খাচ্ছে, অন্যান্য দেশকেও সুদ দিচ্ছে। তা সে কি করে অরেকজনকে সুদখোর বলার অধিকার রাখে তা আমার বোধগম্য নয়। ব্যবসা করে লোক ঠকানো, মজুতদার, চোর-বাটপার, অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনকারীর সংখ্যা গুণতে গেলে মোটামুটিভাবে পুরো দেশকেই ধরতে হবে। দুর্নীতির এমন কোন উদাহরণ আজ পর্যন্ত পৃথিবীর বুকে দেখা যায় নি যা বাংলাদেশে নেই।

ব্যক্তিগতভাবে আমার নিজের যে অপরাধ চোখে পড়ে সেটা হলো ক্রেডিট কার্ডের সুদ দেয়া। আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকাকালীন (ছাত্র অবস্থায়, চাকুরিহীন অবস্থায় এবং করোনাকালীন) সময়ে নিজের প্রয়োজনে লোন নিয়ে খরচ করতে বাধ্য হয়েছি যেহেতু প্রবাসে আমাকে সাহায্য করার কেউ নেই। রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমতে ভালো চাকুরি পাওয়ার সাথে সাথে বেশী বেশী পেমেন্ট করে, বেশ কিছু লোন শোধ করে দিয়েছি, অল্প কিছু বাকি আছে যা পরিশোধ করে দিলেই আমার আর কোন লোন থাকবে না ইনশাল্লাহ।

একবার সেভিংস একাউন্ট খুলেছিলাম, দেখি একাউন্টে বেশ কয়েক হাজার ডলার থাকার কারণে তারা আমাকে সুদ দিতে শুরু করেছে। বিষয়টি আমার জানা ছিলো না (একাউন্ট খোলার জন্য টার্মস না পড়েই এগ্রি করেছিলাম :P ), ভেবেছিলাম সুদের কোন বিষয় নেই। বোঝার সাথে সাথে একাউন্ট বন্ধ করে দিয়ে, সুদ থেকে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে একজন গৃহহীনকে খাইয়ে দিয়ে রাব্বুল আালামিনের কাছে ক্ষমা চেয়েছি।

আসলে প্রকৃত মুসলিম হওয়ার চেষ্টা শুরু করতে হবে ব্যক্তিগতভাবে। সমাজের সবাই সেটা মেনে চললে, তবেই সমাজ ইসলামের প্রকৃত সুবাতাস পাবে। রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে তার বিধান মতো চলার তওফিক সবাইকে দিন। বার্নাড শ'এর সাথে একমত হওয়া ছাড়া উপায় নেই। লিখার জন্য ধন্যবাদ।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৯

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




ধন্যবাদ। ইসলাম সুন্দর, ন্যায় এবং প্রকৃতির সাথে সমন্বয় করে একটা ভারসাম্য ভিত্তিক সমাজ গড়ার তাগাদা দেয়।

১৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:৩৩

রানার ব্লগ বলেছেন: ধর্ম নিয়ে ভন্ডামী করাটাই এখন ট্রেন্ড। আপনি যতো মিথ্যা বলবেন, অন্যদের ছোট বানিয়ে নিজের ফাটা ঢোল বাজাবেন, দুনিয়ার সব ভন্ডের সাথে একাত্মা প্রকাশ করবেন, সাধারন মানুষ কে কনফিউজড করবেন, এরে তারে কাফের মুরতাদ অবৈধ ঘোষনা করবেন, সমাজের প্রতি দায়বধ্য প্রপ্তিষ্ঠানের কর্মকান্ডে নিজে লাভোবান না হলে উহাকে কাফেরদের প্রতিষ্ঠান বলে চিৎকার করে গলা ফাটাবেন, ধর্মের নামে আজগুবী গল্প ইতিহাস ঘটনা প্রচার করবেন আপনি ততো সাচ্চা মুসুল্লি।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:২০

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




কিন্তু ইসলামের শিক্ষা এটা না। ইসলাম কাউকে অন্য ধর্ম পালনে বাঁধা দেয় না। আপনি যদি সেকুলারের কথা বলেন তবে বলতে হবে ইসলাম নিজেই সেকুলার ধর্ম। ইসলাম বলে, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি নয়।
‘দ্বিনের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই। (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৫৬)

১৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৫০

কিরকুট বলেছেন: কোন ধর্মই বলে না চুরি ডাকাতি মিথ্যা ভণ্ডামি জোজ্জচুরি করতে । কুশিক্ষিত ধার্মিকরা ইহা সংযোজন করে ।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




ঠিক

১৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৫৩

বিটপি বলেছেন: মুসলিম কখনও নিকৃষ্ট অনুসারী হতে পারেনা। যারা প্রকৃত অনুসারী - তারা কখনোই নিকৃষ্ট না। তারা সর্বোতকৃষ্ট মানুষ।

৯০% মুসলিম হারাম খায়। সুদ হারাম। সবচেয়ে বড় হারাম। সবচেয়ে নিকৃষ্ট হারাম। বাংলাদেশের ৯০% ব্যবসার লাভের বড় অংশ সুদ পরিশোধে ব্যয় হয়। সুদের ব্যবসা যারা করে, বা যারা সুদী লেনদেনে জড়িত, তাদেরকে কোনভাবেই ইসলামের অনুসারী বলা চলেনা। সুদখোর এবং দাতাদের কোন দোয়া আল্লাহ কবুল করেন না।

আমি গর্ব করে বলতে পারি, আমার উপার্জন এবং ব্যয় - কোনটাই হারাম নয়। এজন্য আমার প্রতি আলাদা একটা আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছে। এই আত্মবিশ্বাস আমাকে একজন দক্ষ কর্পোরেট লিডার হতে সাহায্য করেছে। প্রতিটি মুসলিম যদি নিজের উপার্জন নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হতে পারে - তবে দুনিয়ার কোন শক্তি নেই তাকে ডমিনেট করবে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৬

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




আপনার কথায়ও যুক্তি আছে

১৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:০৮

রবিন.হুড বলেছেন: ঠিক কথা বলেছেনে। আল্লাহ আমাদের ইমান ও ইহসানের সাথে সঠিক পথে থাকার তৌফিক দিন। আমিন

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৬

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



আমিন

১৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:২৪

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: @ রাজীব নুর - আপনি আসলে ধর্মই বুঝেন না । জগতের নিময়ই হচ্ছে , যারা যেটা বুঝে না তারাই সেটা নিয়ে বেশি হাউকাউ করে । ইসলাম কারো উপর জোর জবরদস্তি করে না । আরো সময় নিন ধর্ম কি সেটা বুঝুন । তারপর ইচ্ছে না হলে ত্যাগ করুণ । কেউ আপনার হাতে পায়ে ধরছে না ।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



দেখুন আমরা কেউই সবজান্তা না, আমাদের সকলের জ্ঞানই সীমিত। রাজীব নুর ভাইও এর বাহিরে নয়। আমার সাথে তাঁর মতের অমিল আছে, আমি তাঁর সাথে কখনো উঠাবসা করিনি, তবে তার লেখা পড়ে আমার কাছে তাঁকে ভালো মানুষই মনে হয়েছে। তিনি ধর্ম মানে নাকি মানে না সেটা তাঁর বিষয়, এ বিষয়ে সে আল্লার কাছে জবাবদিহি করবে, আমি তার কাছে জবাব চাওার কেউ না। একজন মানুষ হিসেবে আমি তাঁকে কোন কথায় আঘাত বা অসম্মান করার পক্ষে নই।

২০| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই- আমার মন্তব্যে রাগ না করে খুব সুন্দর উত্তর দিয়েছেন।

কোনো ধর্মই মহৎ না।
মহৎ হয় মানুষ। যে 'মানুষ' মানুষের কল্যানে নিজেকে বিলিয়ে দেয়। তারাই মহৎ। আর ধর্ম তো নিজেকে বিলিয়ে দেয় না। ধর্ম সকলের মাঝে বিদ্বেষ সৃষ্টি করে। ধর্ম আবিস্কারের ফলে দাঙ্গা হাঙ্গামা কম হয়নি। বহু লোক ধর্মের কারনে মরতে হয়েছে। দাঙ্গা হাঙ্গামা এবং মানুষের মৃত্যু আজও অব্যহত আছে।

ধর্মকে যারা আকড়ে ধরেছে, তাঁরা অন্ধকারে গেছে। পৃথিবীর যেসব দেশ ধর্ম থেকে দূরে থাকতে পেরেছে তাঁরা ভালো আছে। আবার ধরুন যেসব দেশ ধর্মকে আকড়ে ধরেছে তাঁরা অন্ধকারে গেছে। যেমন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলো। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলোর মধ্যে দুবাই ভালো আছে। কারন তারা ধর্মটাকে দূরে সরিয়ে রাখতে পেরেছে।

বহু বছর পর এখন সৌদির হুস ফিরেছে।
তাঁরা তাদের ভুল গুলো বুঝতে শুরু করেছে। এখন তাদের দেশে সিনেমা হল হয়েছে। মেয়েরা গাড়ি চালানোর লাইসেন্স পাচ্ছে। এমনকি নাইট বার পর্যন্ত হয়েছে।

অর্থ্যাত ভালো থাকতে হলে ধর্ম থেকে দূরে থাকতে হবে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৩

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



ভাই আপনার সাথে আমার মতের পার্থক্য হতেই পারে, তাইবলে রাগ করব কেন। বরং একই টেবিলে আমরা একসাথে চা খেতে খেতে বিপরীত মতের কথা বলবো, এটাইতো সুন্দর।

আসলে ধর্ম একটা বিমূর্ত বিষয়, তার মহৎ বা অমহৎ বলাটাই অপ্রসাঙ্গিক। ধর্মের নিওম মেনে মানুষ মহৎ হতে পারে।

এবার আপনার কথাই আসি, আপনি যা বললেন, ধর্ম সকলের মাঝে বিদ্বেষ সৃষ্টি করে। এর জন্য তো ইসলাম দায়ী নয়, বরং ইসলাম বলে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি নয় ‘দ্বিনের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই। (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৫৬)
দাঙ্গা হাঙ্গামার জন্য ধর্ম দায়ী নয়, দায়ী মূর্খতা। দায়ী ধর্ম না জানা। অধিকাংশ মানুষি পড়াশুনা করে না। তারা অন্ধ বিশ্বাসী, এক শ্রেণীর লোক এদের মূর্খতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে সমাজে দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করে। বিজ্ঞানের অপ ব্যাবহার করে মানুষের অনেক অকল্যাণও করা হয়, বিজ্ঞান পারমানবিক অস্ত্র বানাইছে, এ জন্য কি আপনে মানুষকে বিজ্ঞান হতে দূরে থাকতে বলবেন? নিজে বিজ্ঞান হতে দূরে থাকবেন?

দেখুন এটা তো মানেন, পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই মূর্খ, স্বার্থবাজ এবং লোভী। তাঁরা জানে পাপ করলে মৃত্যুর পর সাজা আছে, তবুও নিজেদের স্বার্থবাজ এবং লোভকে দমানোর চেষ্ঠা করার পরও এত অন্যায় করে। যদি এমন হতো যে, কোন আল্লাহ নেই, মৃত্যুর পর কোন জীবন নেই, এই পৃথিবীই প্রথম এবং শেষ, তাহলে এই মানুষগুলো কি করত একবার ভাবুন তো!!!! নিজে একাই সব ভোগ করার জন্য এমন কোন খারাপ কাজ নাই যা তারা করত না। খুনাখুনি, রাহাজানি কোনোটাই বাদ রাখত না। নারীরা শারীরিক ভাবে পুরুষের চেয়ে দুর্বল, নারীর অবস্থাতো আরও খারাপ হতো। বহু আগেই মানুষ নিজেরা নিজেরা মারামারি খুনাখুনি করে নিঃশ্চিহ্ন হয়ে যেত।

ভাই ধর্ম কী? ধর্ম হচ্ছে ক্যারেক্টারেস্টিক বা বৈশিষ্ট্য। একটা অনু পরমাণুরও ধর্ম আছে। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি বা বস্তু কী করবে এবং কিভাবে করবে তাই তার ধর্ম। অক্সিজিনের একটা ধর্ম সে নিজে জ্বলে না, কিন্তু জ্বলতে সহায়তা করে। পৃথিবীর সবকিছুর ধর্ম ফিক্সড। একটা কাক কী করবে কীভাবে করবে তা ফিক্সড, অর্থাৎ কাকের ধর্ম ফিক্সড, এর বাহিরে সে কিছু করে না। তার ঐ ধর্ম কোন না কোন ভাবে প্রকৃতির কল্যাণ করে। আল্লাহর প্রতিটা সৃষ্টিই কোন না কোন ভাবে তার ধর্ম দ্বারা অপর সৃষ্টির কল্যাণ করছে, প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখছে, এবং মানুষ ব্যতিত সকল প্রানির ধর্ম ফিক্সড, আল্লাহ তাদের ধর্ম ফিক্সড করে দিয়েছেন। তারা তাদের ধর্মকে ওভারকাম করে নিজের মতো করে কিছু করতে পারে না। মানুষ একমাত্র প্রানি, যার ধর্ম ফিক্সড না। সে তার খেয়াল খুশি মতো যেকোনো কিছু করতে পারে। তবে আল্লাহ একটা গাইডলাইন দিয়েছেন যে কি করলে (অর্থাৎ কোন ধর্ম পালন করলে) মানুষও তার কর্মের দ্বারা সমাজ এবং প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে চলতে পারবে। যুগেযুগেই গাইডলাইন দিয়েছে, কিন্তু লোভী মানুষ নিজের স্বার্থে যুগেযুগে তা বিকৃত করেছে। কুরআনকে বিকৃত না করতে পারলেও, নিজেদের মত করে ফতয়া দিয়ে নিজেদের কায়েমি স্বার্থ রক্ষা করছে।

এইযে দেখেন কেউ ধর্মকে গালি দিলে, নামধারী কিছু মোল্লা জনগণকে রাস্তায় নামিয়ে দেয়, অথচ কুরআন কি বলে জানেন?
কুরআন বলে তোমাদের পূর্বে যাদেরকে গ্রন্থ প্রদত্ত হয়েছে ও যারা অংশী স্থাপন করেছে তাদের নিকট হতে তোমাদেরকে বহু দুঃখজনক বাক্য শুনতে হবে; এবং যদি তোমরা ধৈর্য ধারণ কর ও সংযমী হও তাহলে অবশ্যই এটা সুদৃঢ় কার্যাবলীর অন্তর্গত। সূরা আল-ইমরান, আয়াত ১৮৬ । অর্থাৎ কুরআন বলেই দিয়েছে,দুঃখজনক বাক্য শুনতে হবে এমন অবস্থায় ধৈর্য ধারণই হবে সুদৃঢ় কার্যাবলীর অন্তর্গত। বলেনাই যে, রাস্তায় নেমে আন্দলন করতে হবে, জবাই করতে হবে।

যাইহোক, ১৪০০ বছর আগের কিছু বাণী দিলাম, দেখুন তো এই আধুনিক সমাজে এখান থেকে একটাও আপনি বাদ দিতে পারেন কিনা।

*অন্যের বিপদে সাহায্য করো
‘প্রয়োজনে সহযোগিতা করো।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৭৩)

*মানুষের নিঃস্বার্থ উপকার করো
‘প্রতিদান কামনা করে দান বিনষ্ট কোরো না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৬৪)

*সত্য ও মিথ্যার মিশ্রণ করা যাবে না
‘তোমরা সত্যকে মিথ্যার সঙ্গে মিশ্রিত কোরো না। এবং জেনেশুনে সত্য গোপন কোরো না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৪২)

*সৎ কাজ নিজে করে অন্যকে করতে বলো
‘তোমরা কি মানুষকে সৎকর্মের নির্দেশ দাও, আর নিজেদের বিস্মৃত হও…?’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৪৪)

*বিবাদে লিপ্ত হয়ো না
‘দুষ্কৃতকারীরূপে পৃথিবীতে নৈরাজ্য সৃষ্টি কোরো না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৬০)

*কারো মসজিদে যাওয়ার পথে বাধা দিয়ো না
‘তার চেয়ে বড় জালিম আর কে, যে আল্লাহর (ঘর) মসজিদে তাঁর নাম স্মরণ করতে বাধা দেয় এবং এর বিনাশসাধনে প্রয়াসী হয়?’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১১৪)

*কারো অন্ধ অনুসরণ করা যাবে না
‘যখন তাদের বলা হয়, আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তা তোমরা অনুসরণ করো; তারা বলে, না, বরং আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদের যাতে পেয়েছি, তার অনুসরণ করব’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৭০)

*প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ কোরো না
‘হে ঈমানদাররা, তোমরা অঙ্গীকার পূর্ণ করো।’ (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ১)

*অন্যায়ভাবে কারো সম্পদ ভোগ করবে না
‘তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কোরো না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৮)

*সীমা লঙ্ঘন করা যাবে না
‘সীমা লঙ্ঘন কোরো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীদের ভালোবাসেন না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৯০)

*এতিমদের সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ করো
‘মানুষ তোমাকে এতিমদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, বলে দাও, তাদের জন্য সুব্যবস্থা করা উত্তম…।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২২০)

*ঋতুস্রাবের সময় সহবাস পরিহার করো
‘তোমরা ঋতুস্রাবের সময় যৌন সঙ্গম কোরো না। (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২২২)

*শিশুকে দুই বছর বুকের দুধ খাওয়াও
‘শিশুকে পূর্ণ দুই বছর দুধ পান করাও।’(সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৩০)

*সৎ শাসক নির্বাচন করো
‘সৎ গুণ দেখে শাসক নির্বাচন করো।’(সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৪৭)

*ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি নয়
‘দ্বিনের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই। (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৫৬)

*সুদ পরিহার করো
‘সুদ গ্রহণ কোরো না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৭৫)

*অপারগ ব্যক্তির ওপর সদয় হও
‘যদি ঋণগ্রহীতা অভাবগ্রস্ত হয়, তবে সচ্ছলতা আসা পর্যন্ত সময় দাও।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৮০)

*হিসাব সংরক্ষণ করো
‘ঋণের বিষয় লিখে রাখো। (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৮২)

*আমানত রক্ষা করো
‘আমানত রক্ষা করো।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৮৩)

*পরনিন্দা পরিহার করো
*ইরশাদ হয়েছে, ‘কারো গোপন তথ্য অনুসন্ধান কোরো না এবং পরনিন্দা কোরো না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৮৩)

*আল্লাহ বিচ্ছিন্নতা পছন্দ করেন না
‘তোমরা পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ো না।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১০৩)

*সত্যের প্রতি আহ্বানকারী থাকা চাই
‘তোমাদের ভেতর এমন একটি দল থাকা উচিত, যারা ভালো কাজের প্রতি আহ্বান জানাবে, সৎ কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করবে।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১০৪)

*কোমলভাষী হও
‘রূঢ় ভাষা ব্যবহার কোরো না।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৫৯)

*সৃষ্টিজগত নিয়ে গবেষণা করো
‘এই বিশ্বের বিস্ময় ও সৃষ্টি নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা করো।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯১)

*নারী-পুরুষ সবাই তার কর্মফল পাবে
‘নারী ও পুরুষ উভয়ই তাদের কৃতকর্মের সমান প্রতিদান পাবে।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯৫)

*প্রাপ্তদের উত্তরাধিকারের সম্পদ বুঝিয়ে দাও
‘মৃতের সম্পদ তার পরিবারের সদস্যদের ভেতর বণ্টন করতে হবে।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৭)

*নারীদের উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত কোরো না
‘সম্পদের উত্তরাধিকারে নারীদেরও সুনির্দিষ্ট অংশ রয়েছে।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৭)

*অনাথের সম্পদ আত্মসাত্ কোরো না
‘অনাথদের সম্পদ আত্মসাত্ কোরো না।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১০)

*নিষিদ্ধ নারীকে বিয়ে কোরো না
‘যাদের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক রয়েছে তাদের বিয়ে কোরো না।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ২৩)

*অন্যায়ভাবে সম্পদ হরণ কোরো না
‘অন্যায়ভাবে কারো সম্পদ ভক্ষণ কোরো না।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ২৯)

*পুরুষের পরিবারে দায়িত্ব
‘পরিবারের অর্থ ব্যয় পুরুষের দায়িত্ব।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৩৪)

*সদাচারী হও
‘অন্যের প্রতি সদাচারী হও।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৩৬)

*কৃপণ হয়ো না
‘কার্পণ্য কোরো না এবং অন্যকে কার্পণ্য শিক্ষা দিয়ো না।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৩৭)

*বিদ্বেষ পরিহার করো
‘বিদ্বেষী হয়ো না।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৫৪)

*ন্যায়বিচার করো
‘মানুষের প্রতি ন্যায়বিচার করো।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৫৮)

*মানুষ হত্যা কোরো না
‘পরস্পরকে হত্যা কোরো না।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৯২)

*বিশ্বাস ভঙ্গকারীদের পক্ষপাত কোরো না
‘বিশ্বাসঘাতকদের পক্ষ নিয়ে বিতর্ক কোরো না।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১০২)

*সত্যের ওপর অবিচল থাকো
‘ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকো।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১৩৫)

*অঙ্গীকার পূর্ণ করো
‘হে মুমিনরা! তোমরা অঙ্গীকার পূর্ণ করো।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ১)

*সৎ কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করো
‘সৎকাজ ও খোদাভীতির ব্যাপারে পরস্পরকে সহযোগিতা করো।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ২)

*সীমা লঙ্ঘনের ব্যাপারে সহযোগিতা কোরো না
‘আর তোমরা পাপ ও সীমা লঙ্ঘনের ব্যাপারে পরস্পরকে সহযোগিতা কোরো না।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ২)

*সত্যের অনুগামী হও
‘হে মুমিনরা! তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে সাক্ষ্যদানের ক্ষেত্রে সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৮)

*পাপ ও অবৈধ জিনিসের পেছনে শ্রম ব্যয় কোরো না
‘তাদের অনেককেই তুমি দেখবে পাপে, সীমালঙ্ঘনে ও অবৈধ ভক্ষণে তৎপর। তারা যা করে নিশ্চয় তা নিকৃষ্ট।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৬২)

*মাদকদ্রব্য বর্জন করো
‘হে মুমিনরা! নিশ্চয় মদ, জুয়া, মূর্তিপূজার বেদি ও ভাগ্য নির্ণায়ক তীর ঘৃণ্য বস্তু, শয়তানের কাজ। সুতরাং তোমরা তা বর্জন করো।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৯০)

*জুয়া খেলো না
‘হে মুমিনরা! নিশ্চয় মদ, জুয়া, মূর্তিপূজার বেদি ও ভাগ্য নির্ণায়ক তীর ঘৃণ্য বস্তু, শয়তানের কাজ। সুতরাং তোমরা তা বর্জন করো।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৯০)

*পৃথিবীতে ভ্রমণ করো
‘বলুন! তোমরা পৃথিবীতে পরিভ্রমণ করো, অতঃপর দেখো, যারা সত্যকে অস্বীকার করে তাদের পরিণাম কী হয়েছিল!’ (সুরা আনআম, আয়াত : ১১)

*আধিক্য সত্যের মানদণ্ড নয়
‘যদি তুমি পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের কথামতো চলো, তবে তারা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করবে। তারা তো শুধু অনুমানের অনুসরণ করে এবং তারা শুধু অনুমানভিত্তিক কথা বলে।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ১১৬)

*সঠিক ওজনে লেনদেন করো
‘তোমরা ন্যায্য পরিমাপ ও ওজন পূর্ণ করবে।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ১৫২)৫৩.

*অহংকার পতনের মূল
‘তুমি এই স্থান থেকে নেমে যাও। এখানে থেকে তুমি অহংকার করবে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং তুমি বের হয়ে যাও। নিশ্চয় তুমি অধমদের অন্তর্ভুক্ত।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১৩)

*অপচয়কারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন না
‘তোমরা খাও এবং পান করো। তবে অপচয় কোরো না। নিশ্চয় আল্লাহ অপচয়কারীকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৩১)

*অন্যের ত্রুটিবিচ্যুতি ক্ষমা করো
‘আপনি ক্ষমাপরায়ণ হোন।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১৯৯)

*যুদ্ধের ময়দান থেকে পালাবে না
‘হে মুমিনরা, যখন তোমরা কাফির বাহিনীর মুখোমুখি হবে তখন তোমরা পৃষ্ঠ প্রদর্শন কোরো না।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত :
কাফের কারা বলুন তো? যারা আরব সমাজকে জাহেলিয়াতে পূর্ণ করে দিয়েছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে বলা হচ্ছে।এর পরের টা দেখেন কি বলা হচ্ছে।

*নিরাপত্তাপ্রত্যাশীদের নিরাপত্তা দাও
‘মুশরিকদের কেউ আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করলে আপনি তাকে আশ্রয় দেবেন, যেন সে আল্লাহর বাণী শুনতে পারে।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৬) কেউ যদি আত্মসমর্পণ করে আশ্রয় চায়, তাঁকে আশ্রয়ও দিতে হবে। (এটা বর্তমান ইউএন কনভেনশনেও যুক্ত করা হয়েছে)

*অমুসলিমদের সঙ্গেও উত্তম আচরণ করতে হবে
‘যারা দ্বিনের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে নিজ মাতৃভূমি থেকে বের করে দেয়নি, তাদের প্রতি মহানুভবতা প্রদর্শন ও ন্যায়বিচার করতে আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেননি।’ (সুরা : মুমতাহিনা, আয়াত : ৮)

*আল্লাহ পবিত্র ব্যক্তিকে ভালোবাসেন
‘সেখানে রয়েছে এমন মানুষ, যারা পবিত্রতা অর্জন করতে পছন্দ করে। আর আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীকে ভালোবাসেন।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ১০৮)

*অজ্ঞতাবশত ভুল হলে আল্লাহ ক্ষমা করেন
‘অতঃপর যারা অজ্ঞতাবশত মন্দ কাজ করে তারা পরে তওবা করলে এবং নিজেদের সংশোধন করলে তাদের প্রতি তাদের প্রতিপালক অবশ্যই অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ১১৯)

*ইসলাম প্রচারে প্রজ্ঞাবান হও
‘তুমি আল্লাহর পথে প্রজ্ঞা ও উত্তম উপদেশের মাধ্যমে আহ্বান করো। তাদের সঙ্গে উত্তম পন্থায় বিতর্কে লিপ্ত হও। নিশ্চয় তোমার প্রভু পথভ্রষ্টদের সম্পর্কে সবিশেষ অবগত এবং সত্য পথের অনুসারীদের ব্যাপারেও সর্বোত্তম জানেন।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ১২৫)

*কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না
‘যে সৎপথ অনুসরণ করে সে নিজের কল্যাণের জন্য সৎপথ অনুসরণ করে এবং যে পথভ্রষ্ট হবে সে নিজের ধ্বংসের জন্যই তা করবে। কেউ কারো বোঝা বহন করবে না। আমি রাসুল প্রেরণ করার পূর্ব পর্যন্ত কাউকে শাস্তি প্রদান করি না।’ (সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ১৫)

*পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার কোরো
‘আপনার প্রতিপালক নির্দেশ দিয়েছেন, তিনি ব্যতীত অন্য কারো ইবাদত না করতে এবং মা-বাবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে।’ (সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ২৩)

*মা-বাবার সঙ্গে মন্দ ব্যবহার কোরো না
‘তাদের একজন বা উভয়ই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়, তাদের ‘উফ’ বলো না, তাদের ধমক দিয়ো না; তাদের সঙ্গে বিনম্র ভাষায় কথা বলো।’ (সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ২৩)

*অবাধ যৌনাচারে লিপ্ত হয়ো না
‘ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ।’ (সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ৩২)

*না জেনে কোনো কিছুর অনুসরণ করবে না
‘যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নেই তার অনুসরণ কোরো না। নিশ্চয় কান, চোখ, হৃদয়—এর প্রত্যেকটি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে।’ (সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ৩২)

*নম্র ভাষায় কথা বলো
‘তোমরা তার সঙ্গে নম্র ভাষায় কথা বলবে। হয়তো সে উপদেশ গ্রহণ করবে অথবা ভয় পাবে।’ (সুরা : ত্বহা, আয়াত : ৪৪)

*অনর্থক কাজ থেকে বিরত থাকো
‘(মুমিন তারা) যারা অনর্থক ক্রিয়াকলাপ থেকে বিরত থাকে।’ (সুরা : মুমিনুন, আয়াত : ৩)

*অনুমতি ছাড়া কারো ঘরে প্রবেশ কোরো না
‘হে মুমিনরা! অন্যের ঘরে অনুমতি গ্রহণ বা সালাম প্রদান না করে প্রবেশ কোরো না। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ২৭)

*লজ্জা ও শালীনতার সঙ্গে চলো
‘আপনি মুমিন পুরুষদের বলে দিন যেন তারা তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থান হেফাজত করে। এটাই তাদের জন্য পবিত্রতম। তারা যা করে আল্লাহ নিশ্চয়ই তা জানেন। এবং আপনি মুমিন নারীদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং লজ্জাস্থান হেফাজত করে; তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তবে ওইটুকু ব্যতীত যা স্বাভাবিকভাবে প্রকাশ পায়।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ২৭)

*বিনম্র হয়ে চলাফেরা করো
‘রহমানের বান্দা তারাই, যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে।’ (সুরা : ফোরকান, আয়াত : ৬৩)

*মানুষের প্রতি মায়া করো
‘আল্লাহ তোমার প্রতি যেমন অনুগ্রহ করেছেন, তুমিও তেমন অনুগ্রহ করো। পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি কোরো না।’ (সুরা : কাসাস, আয়াত : ৭৭)

*সৎ কাজের আদেশ করো
‘হে পুত্র! নামাজ আদায় করো, সৎ কাজের আদেশ দাও এবং অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করো। বিপদে ধৈর্য ধারণ করো। এটাই তো দৃঢ় সংকল্পের কাজ।’(সুরা : লোকমান, আয়াত : ১৭)

*মানুষকে অবজ্ঞা কোরো না
‘অহংকারবশত তুমি মানুষকে অবজ্ঞা কোরো না এবং পৃথিবীতে উদ্ধতভাবে বিচরণ কোরো না। নিশ্চয় আল্লাহ কোনো উদ্ধত অহংকারীকে পছন্দ করেন না।’(সুরা : লোকমান, আয়াত : ১৮)

*কণ্ঠস্বর নিচু রাখো
‘তুমি সংযতভাবে পথ চলো এবং তোমার কণ্ঠস্বর নিচু রাখো। নিশ্চয়ই গাধার স্বর সর্বাধিক শ্রুতিকটু।’ (সুরা লোকমান, আয়াত : ১৯)

*নারী অশালীনভাবে নিজেকে প্রদর্শন করবে না
‘তোমরা ঘরে অবস্থান করো এবং পূর্ববর্তী জাহেলি (বর্বর) যুগের মতো নিজেদের প্রদর্শন করে বেড়াবে না।’ (সুরা আহজাব, আয়াত : ৩৩)।

*অপরাধ যত বড় হোক আল্লাহ ক্ষমা করবেন
‘বলুন! হে আমার বান্দাগণ তোমাদের মধ্যে যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহই ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু।’ (সুরা ঝুমার, আয়াত : ৫৩)

*আল্লাহর নিকট আশ্রয় গ্রহণ করো
‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের অভিমুখী হও এবং তাঁর নিকট আত্মসমর্পণ করো; তোমাদের ওপর শাস্তি আসার আগে, যখন তোমাদের সাহায্য করা হবে না।’ (সুরা ঝুমার, আয়াত : ৫৪)

*মন্দের বিপরীতে ভালো করো
‘ভালো-মন্দ কখনো সমান হতে পারে না। মন্দ প্রতিহত করো ভালোর দ্বারা। ফলে তোমার সঙ্গে যার শত্রুতা আছে, সে অন্তরঙ্গ বন্ধু হয়ে যাবে।’ (সুরা হা মিম সাজদা, আয়াত : ৩৪)

*পরামর্শ করে কাজ করো
‘(মুমিনরা) পরস্পরের সঙ্গে পরামর্শ করে কাজ করে।’ (সুরা শুরা, আয়াত : ৩৮)

*আল্লাহ আপস পছন্দ করেন
‘মুমিনরা পরস্পর ভাই ভাই। সুতরাং তোমরা ভাইদের ভেতর শান্তি স্থাপন করো আর আল্লাহকে ভয় করো যাতে তোমরা অনুগ্রহপ্রাপ্ত হও।’ (সুরা হুজরাত, আয়াত : ১০)

*কাউকে উপহাস করো না
‘হে মুমিনরা! কোনো পুরুষ যেন অপর কোনো পুরুষকে উপহাস না করে; কেননা যাকে উপহাস করা হচ্ছে সে তার চেয়ে উত্তম হতে পারে। কোনো নারী যেন অপর কোনো নারীকে উপহাস না করে। কেননা যাকে উপহাস করা হচ্ছে সে উপহাসকারী নারীর চেয়ে উত্তম হতে পারে।’ (সুরা হুজরাত, আয়াত : ১১)

*সন্দেহপ্রবণতা ভালো নয়
‘মুমিনরা অধিক পরিমাণে সন্দেহ করা থেকে বিরত থাকো। নিশ্চয়ই কিছু কিছু সন্দেহ পাপতুল্য।’ (সুরা হুজরাত, আয়াত : ১২)

*পরনিন্দা করো না
‘তোমরা পরস্পরের অনুপস্থিতিতে নিন্দা করো না। তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে? বস্তুত তোমরা তা ঘৃণা করো। আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়ালু।’ (সুরা হুজরাত, আয়াত : ১২)

*অতিথির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করো
‘আপনার নিকট ইবরাহিমের সম্মানিত মেহমানদের ঘটনা বিবৃত হয়েছে? যখন তারা তাঁর কাছে উপস্থিত হয়ে বলল, সালাম। উত্তরে তিনি বললেন, সালাম। এরা তো অপরিচিত লোক। অতঃপর ইবরাহিম তার নিকট গেল এবং একটি মাংসল গরুর বাছুর ভাজা নিয়ে এলো এবং তাদের সামনে রাখল।’ (সুরা : জারিয়াত, আয়াত : ২৪-২৭)

*দাতব্যকাজে অর্থ ব্যয় করো
‘তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করো এবং আল্লাহ তোমাদেরকে যা কিছুর উত্তরাধিকারী করেছেন তা থেকে ব্যয় করো। তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে ও ব্যয় করে, তাদের জন্য রয়েছে মহাপুরস্কার।’ (সুরা : হাদিদ, আয়াত : ৭)

*বৈরাগ্যবাদ মানুষের সৃষ্টি
‘বৈরাগ্যবাদ এটা তারা নিজেরাই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য প্রবর্তন করেছিল। আমি তাদের এই বিধান দিইনি। (সুরা : হাদিদ, আয়াত : ২৭)

*ভিক্ষুকদের ধমক দিয়ো না
‘এবং তুমি ভিক্ষুককে ধমক দিয়ো না।’ (সুরা : দুহা, আয়াত : ১০)


২১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:২১

প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর একটি পোষ্ট

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৪

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



ধন্যবাদ

২২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

জ্যাকেল বলেছেন: সরলভাবে বললে- রিচুয়ালিস্টিক ইসলামে মত্ত বাংলাদেশ সহ অধিকাংশ মুসলিম দেশ। অথচ রিচুয়ালের আদেশের চেয়ে নৈতিকতার আদেশ কোরআনে বেশি আছে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪২

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



ঠিক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.