নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অধিকার বঞ্চিত পৃথিবীর উত্তরাধীকারি

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন

অপরিপক্ক কৃষক

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামাত, শিবির, পাকিস্থানপন্থি স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী ধর্মান্ধরা দেশের যে ক্ষতি করছে।

০৩ রা মে, ২০২৩ রাত ৮:১২


ঈদ আসলে নতুন কাপড় কেনার জন্য বাচ্চাদের মনে যেমন উত্তেজনা কাজ করে। নতুন নতুন রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ করার জন্য এদেশের নীতিনির্ধারকরা সর্বদা তেমনই উত্তেজিত হয়ে থাকে। যত প্রকল্প ততো ধান্ধা, ততো টাকা। তাই নতুন নতুন প্রকল্পের নাম শুনলেই তাদের মাথা নষ্ট হয়ে যায়। এসব প্রকল্প করার জন্য যে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা করতে হয়, সে হুঁশ আর থাকে না, পুরাই বেহুঁশ হয়ে যায়।

প্রথমে টাকা-পয়সা খরচ করে পূর্বাচলে দৃষ্টিনন্দন তিনশো ফুট সড়ক করা হলো। ওমা!!! কিছুদিন না যেতেই মনে হলো, এ সড়কে হবে না, তিনশো ফুট ভেঙেচুরে তৈরি করা হলো এক্সপ্রেস ওয়ে। টাকা তো নষ্ট হয়েছে, সেই সাথে প্রতিবার সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে যে জনদুর্ভোগ হয়েছে সেটাও বা কম কি!!?

যাইহোক, কষ্টে-মষ্টে এক্সপ্রেস ওয়ে বানানো শেষ হইছে, মানুষ একটু শান্তিতে চলাচল করবে, ঠিক তখনই দাঁত ক্যালাচ্ছে মেট্রোরেল প্রকল্প, এই এক্সপ্রেস ওয়ের ইন্টারসেকশন ভাঙতে হবে, হু হা হা!!

না, আমি বলছি না যে অবকাঠামো উন্নয়ন দরকার নাই। কথা হলো, সেটা তো পরিকল্পিত হতে হবে। উত্তরা থেকে গাজিপুর যাওয়ার পথে ফ্লাইওভার বানানোর পর দেখা যাচ্ছে নকশায় ভুল, চার হাজার কোটি টাকা গচ্ছা। কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিমানবন্দর সড়কে বিদেশি বনসাই লাগানোর কথা নিশ্চই ভুলে যাননি, কোথায় সেই বনসাই!? বারবার কেন এমনটা হবে? আজ একটা কথা বলে রাখি, কিছু বছর পর পদ্মা ব্রিজের পাশে আরেকটা রেল ব্রিজ নির্মান করতে হবে, কারণ বর্তমান পদ্মা ব্রিজের রেল লাইনটি সিঙ্গেল লেন, অথচ বর্তমান ব্রিজটাই ডাবল লেন রেখে ডিজাইন করলে তার আর দরকার হতো না।

আমার মতে জামাত, শিবির, পাকিস্থানপন্থি, স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী ধর্মান্ধ মাদ্রাসার ছাত্রদের পরিবর্তে স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের সমন্বয়ে গঠিত আওয়ামীলীগ যদি এসব প্রকল্প গ্রহন করতো তাহলে রাষ্ট্রের এমন ক্ষতি ও জনদুর্ভোগ হতো না।

বিঃদ্রঃ ২০০১ সালে আফগানে হামলা করার সময় বুশ বলেছিল, তার আফগান হামলাকে যারা সমর্থন দেবেনা তারাই সন্ত্রাসী। ঠিক তেমনি আওামীলীগ ও এর প্রশাসন যাই করুক, আপনাকে অবশ্যই তার গুণগান করতে হবে। কানাডায় বেগম পাড়ায় বিবির জন্য প্রাসাদ বানালে তাদেরকে সম্রাট শাহাজাহানের মত মহান বউ ভক্ত হিসেবে সম্বোধন করতে হবে। তা না হলে আপনি জামাত, শিবির, পাকিস্থানপন্থি এবং স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী। সুতারং এসব ট্যাগ না খেতে চাইলে, যা কিছুই বলবেন শেষে সব দায় জামাত, শিবির, পাকিস্থানপন্থি স্বাধীনতার চেতনা বিরোধীদের ঘারে চাপিয়ে দেবেন, ব্যাস।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০২৩ দুপুর ১:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: এক প্রবাসী বাঙ্গালী ১৩ বছর বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন। কারন তিনি শুনেছেন, দেশের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। দেশে কেউ গরীব নেই। ইত্যাদি অনেক কথা। তাই তিনি তার পরিবার নিয়ে দেশে ফিরে এলেন। তিনি দেশে এসে দুই মাস থাকলেন এবং বলবেন, সব মিথ্যা কথা। কোনো পরিবর্তন হয় নাই। বরং আগেও থেকেও এখন গজব অবস্থা আরো বেশি।

০৬ ই মে, ২০২৩ রাত ৯:৪৪

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




পরিবর্তন হয়েছে। বেগমপারার অধিবাসীর সংখ্যা বেড়েছে, তাঁদের উন্নয়ন হয়েছে।

২| ০৪ ঠা মে, ২০২৩ দুপুর ১:২২

রাজীব নুর বলেছেন: আমার অভিজ্ঞতা থেকে দুটা কথা বলি-
আজ থেকে দশ বা বিশ অথবা ৩০ বছর আগেও মানুষ রাস্তায় ঘুমাতো। এখনও ঘুমায়।
এখনও সরকারী হাসপাতা দালাল, সিট পাওয়া যায় না। ফ্লোরে বিছানা পেতে রোগী থাকে।
এখন রাস্তায় বের হলেই ভিক্ষুক। ভিক্ষুকের সংখ্যা দশ গুণ বেড়েছে।

এখনও চুরী, ছিনতাই, ডাকাতি অব্যহত আছে। এই দেশে কারা ভালো আছে? রাজনীতিবিদ ও তাদের ছত্রছায়ায় থাকা মানুষজন ভালো আছে। এছাড়া আর কেউ ভালো নেই।

০৬ ই মে, ২০২৩ রাত ৯:৩৯

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




ক্ষমতাসীনরা তাঁদের ব্যর্থতা ঢাকছে "উন্নয়ন" নামক শব্দের মাধ্যমে।
ক্ষমতাসীনরা তাঁদের সমালচনার মুখ বন্ধ করছে "মুক্তিযুদ্ধের চেতনা" শব্দ যুগলের মাধ্যমে। এখানে বামেরাও সমর্থন দিচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.