নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অধিকার বঞ্চিত পৃথিবীর উত্তরাধীকারি

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন

অপরিপক্ক কৃষক

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন এদেশের মানুষ সেকুলার এবং প্রগতিশীলদের গ্রহণ করতে পারে না?

০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৭



এ কথা তো সত্যি যে বঙ্গবন্ধু একজন সেকুলার এবং প্রগতিশীল চিন্তাধারার মানুষ ছিলেন? এবং এটাতো শাহবাগীরাও স্বীকার এবং প্রচার করে। কিন্তু তিনি বুক ফুলিয়ে আঙুল উঁচু করে জোর গলায় এটাও বলতেন, 'আমি মুসলমান'। বর্তমান সেকুলারিজম এবং প্রগতিশীলতা ফেরি করা শাহবাগীরা কি বঙ্গবন্ধুর মতো আঙুল উঁচিয়ে বুক ফুলিয়ে বলতে পারবে, 'আমি মুসলমান'? কথায় কথায় যে বঙ্গবন্ধু বন্দনা করে, কিন্তু তারা কি সত্যিই বঙ্গবন্ধুকে ওন করে? তারা যদি সত্যিই বঙ্গবন্ধুকে ওন করতো, তবে দেশের আপামর জনতার সাথে তাদের বর্তমান যে দ্বন্দ্ব তা কখনোই সৃষ্টি হতো না। তাদের সাথে দেশের সাধারণ জনগোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের মূল কারণ হচ্ছে, তারা সেকুলারিজম, প্রগতিশীলতা, এবং বাঙালিত্বের নামে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের উপর বঙ্কিমদের সেই হিন্দুত্ববাদী প্রকল্প চাপিয়ে দিতে চায়।

পূর্ব বাংলায় উর্দু চাপিয়ে তৎকালীন পাকিস্তানের দুই অংশের মানুষের মধ্যে অন্তমিল ঘটানোর চেষ্টা যেমন পাক শাসকগোষ্ঠী সাথে সংঘর্ষের জন্ম দিয়েছিল। ঠিক তেমনই সেকুলারিজম, প্রগোতিশীলতা, এবং বাঙালিত্বের মোড়কে হিন্দুত্ববাদী সাংস্কৃতি বাংলার মানুষের উপরে চাপিয়ে দিয়ে হিন্দু মুসলিম মিলন ঘটানোন চেষ্টার ফলে শাহবাগী এবং বাংলার সাধারণ মানুষের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশের সকল ধর্মাবলম্বী মানুষ সহ অবস্থানে থেকে যার যার ধর্ম কর্ম করছে। কেউ কাউকে বাধা দিচ্ছে না। আমি নিজে একই ফ্লাটে হিন্দু রুমমেটদের সাথে থেকেছি, যাদের সাখে আমার এখনো খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে, এবং এ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলোতেও প্রচুর হিন্দু মুসলিম রুমমেট হিসেবে সৌহার্দপূর্ণ ভাবে বসবাস করছে। হ্যাঁ মাঝেমধ্যে কিছু কুমতলবি লোক, আন্তর্জাতিক যড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মন্দিরে হামলা চালিয়েছে, কিন্তু বাংলার সাধারণ জনগণ কখনোই তা সমর্থন করেনি, বরং এর সমালোচনা করেছে। ইদানীং বছরগুলোতে মিডিয়ায় এমন খবরও এসেছে, যেখানে পূজা চলাকালীন মাদ্রাসার ছাত্ররাই মন্দিরে নিরাপত্তার কাজ করেছে।

সাধারণ মানুষ লেখাপড়া না করলেও তারা তাদের সাংস্কৃতির সাথে মোরাল কোডের সামঞ্জস্যতা অনুসন্ধান করবেই। যেটা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষও করবে। বাংলার মানুষ ইসলাম কম বেশি যতটুকুই পালন করুক বা না করুক, এ কথা স্বীকার করতেই হবে, বাংলাদেশের মানুষের মোরাল কোডের অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে ইসলাম। সুতরাং তারা তাদের সাংস্কৃতির সাথে ইসলামেরও একটা অন্তমিল অনুসন্ধান করবে।

সাধারণ জনতার কথা বাদ দিলাম, যেসকল কবি সাহিত্যিকদের হাত ধরে আধুনিক বাংলা সাহিত্য বিকাশ লাভ করেছে, তারাও কি নিজের মোরাল কোডকে ছাপিয়ে যেতে পেরেছে? না, পারেনি। এর প্রামাণ পাওয়া যাবে আহমদ ছফার লেখা "যদ্যপি আমার গুরু" বইয়ে প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাকের বক্তব্যে, বক্তব্যটি হচ্ছে -

"আমি কইছিলাম আপনেরা বাংলায় যত উপন্যাস লেখা অইচে সব এক জায়গায় আনেন। হিন্দু লেখক মুসলমান লেখক ফারাক কইরেন না। তারপর সব উপন্যাসে যত চরিত্র স্থান পাইছে রাম, শ্যাম, যদুমধু, করিম-রহিম নামগুলো খুঁইজ্যা বাইর করেন। তখন নিজের চৌকেই দেখতে পাইবেন, উপন্যাসে যেসব মুসলমান নাম স্থান পাইছে তার সংখ্যা পাঁচ পার্সেন্টের বেশি অইব না। অথচ বেঙ্গলে মুসলিম জনসংখ্যার পরিমাণ অর্ধেকের বেশি। আরেকটা জিনিস মনে রাখবেন, উপন্যাস অইল গিয়া আধুনিক সোশিয়াল ডিসকোর্স। বেঙ্গলে হিন্দু মুসলমান শত শত বছর ধইরা পাশাপাশি বাস কইরা আইতাছে। হিন্দু লেখকেরা উপন্যাস লেখার সময় ডেলিবারেটলি মুসলমান সমাজ ইগনাের কইরা গেছে। দুয়েকজন ব্যতিক্রম থাকলেও থাকবার পারে। বড়ো বড়ো সব হিন্দু লেখকের কথা চিন্তা কইরা দেখেন। তারা বাংলার বায়ূ, বাংলার জল এই সব কথা ভালা কইরাই কইয়া গেছে। কিন্তু মুসলমান সমাজের রাইটফুল রিপ্রেজেনটেশনের কথা যখন উঠছে সকলে এক্কেরে চুপ। মুসলমান সমাজরে সংস্কৃতির অধিকার থেইক্যা বঞ্চিত করার এই যে একটা স্টাবর্ন অ্যটিটিউড হেই সময় তার রেমেডির অন্যকোন পন্থা আছিল না।

আচ্ছা অন্যসব লেখকদের কথাও বাদ দিলাম, বাংলাদেশের সেকুলার প্রগতিশীলদের প্রাণ পুরুষ রবীন্দ্রনাথ কি এর বাহিরে ছিলেন? রবীন্দ্রনাথের কাছে লেখা এক চিঠিতে আবুল ফজল রবীন্দ্রনাথকে এভাবে প্রশ্ন করেন-

"আপনি লিখেছেন 'বাঙলাদেশের আধখানায় সাহিত্যের আলাে পড়েনি,' অতি কঠোর সত্য কথা। যদি বেয়াদবি মনে না করেন তবে এ প্রসঙ্গে আমার ও আমার বন্ধুগণের দীর্ঘদিনের একটি প্রশ্ন উথাপন করি। বাঙলা সাহিত্যের অনির্বাণ ভাস্কর পর্যন্ত এ অধখানা বাঙলার দিকে ফিরে তাকাননি- রবির কিরণে বিশ্ব আলোকিত হয়েছে, কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, বাঙলার মাটির আঙিনায় রবির আলাকপাত হলো না। এর যথাযথ কারণ আমরা ধারণা করতে পারছি না। শুনেছি গল্পগুচ্ছের অনবদ্য গল্পগুলাে শিলাইদহে আপনাদের জমিদারিতে বসেই লেখা, শিলাইদহের মুসলমান প্রজামণ্ডলীর মধ্যে আপনার কি আসন তা শ্রীযুক্ত সুধাকান্ত রায় চৌধুরীর প্রবন্ধ না পড়েও আমরা আন্দাজ করতে পারি, অথচ এদের জীবন আপনার কোনো সাহিত্য প্রচেষ্টার উপাদান হতে পারল না?


না, মোরালিটির প্রশ্নে নিজ ধর্মের গন্ডি ছাড়িয়ে যেতে না পারার কারণে আমি রবীন্দ্রনাথ বা অন্যান্য লেখকদের কোন সমালোচনা করছি না। আমি কেবল এটাই বলতে চাই মানুষের সাংস্কৃতিতে মোরাল কোডের একটা কোর ভূমিকা রয়েছে, এবং মোরল কোডের গঠনে ধর্মের একটা কোর ভূমিকা রয়েছে। মানুষ সহজে এর বাহিরে যেতে পারে না। রবীন্দ্রনাথ কিংবা বাংলা সাহিত্যের বড় বড় লেখকরাও যে সেটা পারেনি, তা তাঁদের লেখা থেকেই প্রতিয়মান হয়।

বর্তমানে সেকুলারিজম, প্রগতিশীলতা, বা বাঙালিত্বের মোড়কে বলপূর্বক এমন কিছু ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে, যা বাংলাদেশর মানুষের মোরাল কোডের সাথে সাংঘর্ষিক, তাই বেধে যাচ্ছে সংঘর্ষ। উদাহরণ দেই, দূর্গা পূজা এলেই একটা কথা শোনা যায়, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এটা নিয়ে আবার সেকুলার এবং মুসলিম সমাজে চলতে থাকে বিতর্ক। দেখুন, সমস্যা তো উৎসব নিয়ে নয়, সমস্যা হচ্ছে মূর্তি নিয়ে। মুর্তি বিষয়টা ইসলাম ধর্মের মোরালিটির সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক! যারা দুর্গা পূজায় স্লোগান দেয় "ধর্ম যার যার উৎসব সবার", তারা কি কোরবানির ঈদে এই একই স্লোগান দেবে? না, দেবে না, কারন কোরবানির ঈদে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সমস্যা নেই, তাদের সমস্যা গরু কোরবানিতে! তথাকথিত যে পরজীবি প্রগতিশীল এবং সেকুলার সমাজ কপালে তিলক পরতে পারে কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মতো আঙুল উঁচু করে উচ্চারণ করতে পারে না 'আমি মুসলমান', তারা কুরবানিরর ঈদে এমন স্লোগান দেবে, সেটা কি সম্ভব?

একজন হিন্দুর ধর্ম বিশ্বাসের উপরেও আমার সম্মান রয়েছে, যেটা সেকুলার ও প্রগতিশীল নামধারী শাহবাগীদের নেই মুসলিম সমাজের উপর। তাই আমি বলবো না হিন্দুদের কোরবানি ঈদে দাওয়াত দিতে। কারণ এটা তার বিশ্বাসের সহিত সাংঘর্ষিক। শুধুমাত্র দুর্গাপূজা এলে যে স্লোগান তারা দেয়, " ধর্ম যার যার উৎসব সবার" বাংলার মানুষ কেন তা গ্রহণ না করে বিরোধিতা করে সেটা বোঝানোর জন্যই বলা। এবং এখান থেকে এটাও প্রতিওমান হয়, ষাট সত্তুর বছর আগের মুসলিম সমাজ সেকুলার এবং প্রগতিশীল বঙ্গবন্ধুকে গ্রহণ করলেও বর্তমান মুসলিম সমাজ কেন আজকের সেকুলার এবং প্রতিশীলদের গ্রহন করতে পারছে না।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঐ যুগে মুসলমানরা সাহিত্য চর্চা কম করেছে। এটা মুসলমানদের দোষ। এই কারণেই ঐ যুগের সাহিত্যে মুসলমানের উপস্থিতি নাই। অর্ধেক জনসংখ্যা যদি মুসলমানের হয় ঐ সময়, তাহলে সাহিত্যে তাদের উপস্থিতি এক কম কেন ছিল। এটা তো হিন্দুদের দোষ না। ঐ যুগে মুসলমানেরা আরবি আর ফার্সি বেশী পড়তো। বাংলা ভাষাকে মনে করতো হিন্দুয়ানি। হিন্দুদের দোষ দিয়ে তো কোন লাভ নাই। অনেক অভিজাত মুসলমান বাসায় উর্দু বলতো জাতে ওঠার জন্য।

তবে বঙ্কিমচন্দ্র সাম্প্রদায়িক মানুষ ছিলেন। উনার মত একজন হিন্দু সাম্প্রদায়িক লেখককে ঐ যুগে এতো মূল্য দেয়া ঠিক হয় নাই।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৯

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




মধ্যযুগের ইতিহাসে বাংলা সাহিত্যে মুসলিম লেখক পাবেন। কিন্তু ব্রিটিশ পিরিয়ডে এসে কেন কমে গেল সে বিষয়ে পড়াশুনা করেছেন? দেখুন পেটে ভাত না থাকলে সাহিত্য হয় না। ব্রিটিশ ক্ষমতায় এসে মুসলমানদের উপর সবচেয়ে বেশি নির্যাতন শুরু করে দেয়। এরপর আবার হিন্দুদের জমিদার দিয়ে দেয়ায় তাদের হাতে ঐ মুসলমানরাই শোষিত হতে থাকে। মুসলমানরা হয়তো সাহিত্য রচনা করতে পারেনি, কিন্তু ব্রিটিশ দখলদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে গেছে। আর ঐ সময় হিন্দু প্রগোতিশীলা বিট্রিশ দখলদারদের বন্দনা করে গেছে।

যখন মুসলমানরা বিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে তখন সে সময়ের প্রগতিশীল কবি ঈশ্বরগুপ্ত ব্রিটিশদের চামচামি করে (১৮৫৭ সালে ২০ জুন)
সংবাদ প্রভাকর পত্রিকায় লেখেন,

জয় জয় জগদীশ, জগতের সার।
লহ লহ লহ নাথ, প্রণাম আমার ।
করি এই নিবেদন, দীন দয়াময়
বাঞ্চা ফল পূর্ণ কর, হয়ে বাঞ্চাময়
চিরকাল হয় যেন, ব্রিটিশের জয়।
ব্রিটিশের রাজলক্ষমী, স্থির যেন রয় ।
বিদ্রোহী সিপাহীগণ, করি নিবেদন।
ছাড় দ্বেষ রণবেশ কর সম্বরণ ॥
কার কথা শুনে সবে, সেজেছ সমরে?
পিপীলিকার পাখা উঠে, মরিবার তরে।
এখনই ছেড়ে দেও, মিছে ছেলে খেলা।
আকাশের উপরেতে, কেন মার ঢেলা ।

বাংলার প্রগতিশীলের হতিহাসই চামচামির ইতিহাস।

যাইহোক, এখানে আমি কারা কতভাগ সাহিত্য রচনা করছে সে সে বিষয়ে বলছি না। পোস্টে আমি বলবার চেষ্টা করেছি যে, ধর্ম মানুষকে যে মোরাল কোড দেয়, তার উপর মানুষের সাহিত্য সাংস্কৃতির অনেককিছুই নির্ভর করে। মানুষ সেটা ছাড়িয়ে যেতে পারে না। বড় বড় কবি সাহিত্যিকেরাও তা পারেনি। সেখানে বাঙলায় প্রগোতিশীলতা, সেকুলারিজম, বা বাঙালিত্বে নামে সাধারন মানুষকে যখন হিন্দুত্ববাদী সাংস্কৃতি গেলানোর চেষ্টা কর হচ্ছে, তখনই দ্বন্দ্বটা বেধে যাচ্ছে।

২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:২০

কাঁউটাল বলেছেন: বাংগু পোগোতিশীলদের বস্তা পঁচা বয়ান এবং ন্যারেটিভের এখনই খুব একটা খাওয়া নাই। পাবলিক ফোরামগুলো থেকে উহারা মোটামুটি গদাম খেয়ে বিতাড়িত। কিছু প্রাইভেট স্পেসে ( যেমন সামু ব্লগে) উহাদের ম্যাঁওপ্যাঁও এখনও শুনতে পাওয়া যায়। ভবিষ্যতে ইহাও সংকুচিত হইয়া যাবে। উহাদের মধ্যে কতক ভিসা ব্যান খাবে, কতক আম্রিকা হইতে গদাম খাবে। আরও অনেক ইন্টারেস্টিং ঘটনা ঘটবে বলে মনে হচ্ছে।

বেশি করে পপ কর্ণের অর্ডার দিতে হবে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৫

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




চাপা পরে থাকা ইতিহাস যতই বেরিয়ে আসবে, বাঙ্গুদের অবস্থা ততোই নড়বড়ে হবে।

৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে আপনি কি বলতে চাচ্ছেন সেটা স্পষ্ট হচ্ছে না।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৯

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




সহজ করে দেই, সেকুলার এবং প্রগতিশীল শাহাবাগ, যে নামেই ডাকেন প্রোডাক্ট তো একই। এখন আমার প্রশ্ন হলো তারা যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দেশ গড়ার মার্কেটিং করে, তারা কি শাহাবাগে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর মত আত্মবিশ্বাস নিয়ে বুক ফুলিয়ে আঙ্গুল উঁচিয়ে বলতে পারবে আমি মুসলমান
চ্যলেঞ্জ দিলাম পারবে না। ঠিক এ জন্যই মানুষ বঙ্গবন্ধুকে গ্রহন করেছে কিন্তু তার আদর্শে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্বাসী সেকুলার এবং প্রগতিশীল শাহাবাগকে গ্রহন করছে না।

৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪২

সোনাগাজী বলেছেন:



মুসলমান লেখক তখন কম ছিলো, যা ছিলো তাদের লেখা আপনার লেখার মতো ছিলো

০৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৮

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:





কম বেশির কথা বলছি না, বলছি তারা তো সেকুলার এবং প্রগতিশীল ছিলেন, কিন্তু তাদের লেখায় কেন জন্মগত ধর্মের আধিক্ষ? কেন তারা সার্বজনীন হতে পারল না? অথচ আজ বাংলাদেশের মানুষকে ফোর্স করা হচ্ছে সার্বজনীন হতে। আর এই সার্বজনীনতার নামে পার্শ্ববর্তী দেশের গোলাম বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:০৮

কামাল১৮ বলেছেন: যে কয়জন মুসলমান ভালো লেখক সেই সময় ছিলো তারা পূর্ব পাকিস্তানে এসে কিছুদিন থেকে আবার চলে গেছেন ভারতে। যাবার সময় বলে গেছেন, জিন্না এটা কবর বানিয়েছে নিঃশ্বাস নেয়ার যায়গা রাখে নাই।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৪

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




তারা তো যাবেই, কারন তাদের প্রোজেক্ট হল ভারতের অধিনস্ত একটা ভূখণ্ড হিসেবে বাংলাদেশকে গরে তোলা, তাদের ভাল লাগে ইন্ডিয়ার গোলামী। সেটা পারছিল না, তাই চলে গেছে। দেখেন তো পাকিস্তানে কয়টা ফেলানি মারছে?

৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:০৪

কামাল১৮ বলেছেন: যারা চলে গেছেন তাদের মধ্যে প্রধান হলেন সৈয়দ মুজতবা আলী, হুমায়ন কবির, কাজী আবদুল ওদুদ তারা ভারতের গোলামি করেছে।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৫২

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




আজেকের মুসলিম বাঙ্গু প্রোগতিশীলরা তো এদেরই সিলসিলা। মুসলিম সাহিত্য সমাজ তো পাশ্চাত্যের অনুকরণ করে হিন্দু উপকরনে এক মুসলিম সমাজ গঠনের জন্যই কাজ করেছে।
না পাশ্চাত্যেের জ্ঞান বিজ্ঞান নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই, বরং আমি মনে করি এটা হওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো পাশ্চাত্যের জ্ঞান বিজ্ঞানের মৌলিক উদ্দেশ্য হচ্ছে বানিজ্যিক। এর বাহিরে আর কিছু নাই। কিন্তু এর সাথে যখন প্রকৃত ধর্মীয় আদর্শ যুক্ত হবে তখন সেটা আর বানিজ্য কেন্দ্রিক না হয়ে, মানব কল্যাণ কেন্দ্রিক হবে। চিন্তা করা যায়, ঔষধের মতো বিষয়টাও বানিজ্যিক করে ফেলেছে? পাশ্চাত্যের জ্ঞান বিজ্ঞানের এই জায়গাটাতেই আমি প্রশ্ন তুলি।

৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৫৬

কাঁউটাল বলেছেন:


বাংগু পোগোতিশীল
পাংগু বোগোতিশীল
চাংগু চোগোতিশীল
জংকু হোগোতিশীল

০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৫

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




নাম নয়, কাজ মানুষকে বড় বা ছোট করে। প্রোগতিশীল শব্দটা বেশ ইতিবাচক, কিন্তু তাদের কর্ম তাদের প্রগতিশীল হতে বিবর্তন করে পোগোতিশীল রূপান্তর করেছে।

৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৩৯

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: শুধু বাংলাদেশের স্যেকুলার আর প্রগতিশীলদের অপছন্দ করে অথচ অন্যসব দেশের প্রগতিশীলদের ঠিকই পছন্দ করে। সুবিধা বুঝতে পারে।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৬

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




কারণ বাঙ্গু পোগোতিশীল আর অন্য দেশের প্রগতিশীল এক নয়।

৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:১২

শ্রাবণধারা বলেছেন: এই সব কি লেখেন? গাধাও তো চেষ্টা করে লেখাপড়া শিখে মানুষ হওয়ার জন্য। আপনি চেষ্টা করছেন না কেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.