নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এখন পর্যন্ত মানুষ ! তবে মানুষের হিংস্রতা দেখে মাঝে মাঝে মানুষ পরিচয় দিতে মন সাড়া দেয় না!

সাদিক তাজিন

নির্ভেজাল প্রকৃতি প্রেমী । সার্টিফিকেটের জোরে শিক্ষিত আসলে গবেট। মনে যা আসে লিখি। সাহিত্যের বিচারে না, মনের ইচ্ছায়, পরিবর্তনের মানসে...

সাদিক তাজিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৌলবাদের বিষবৃক্ষ

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৯

আমার আত্মীয়-স্বজন, এলাকাবাসী, ফেসবুক ফ্রেন্ড, সহযাত্রী বা সহকর্মীদের মধ্যে মৌলবাদীদের দেখে তাঁদের কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য উপলব্ধি করেছি। প্রত্যেক মৌলবাদীই-
তিনি নিজের প্রতি একগুঁয়ে, অসহিষ্ণু, ধৈর্যহীন এবং কোন যুক্তিই মানতে চান না;
তিনি এক পেশে ধারণা পোষণ করেন এবং সে বিষয়ে একেবারে অন্ধ;
তিনি সকল মতকেই ভ্রান্ত মনে করেন এবং অন্যকে নিজের মতের মধ্যে আনতে বাধ্য করতে চান:
তিনি নিজের ভ্রান্ত ধারণায় অটল থাকেন এবং অন্য সকল মতকে ভ্রান্ত মনে করেন;
তিনি বর্তমান সময় সম্পর্কে ধারণা রাখেন না, জ্ঞান-বিজ্ঞানকে ঘৃণা করেন এবং অলৌকিকতায় বিশ্বাস করেন;
তিনি অন্যের সাথে আলোচনা করতে পারেন না এবং অন্যের দোষ খুঁজে বেড়ান এবং নিন্দা করেন;
তিনি অন্যকে সামান্য কারণে গালিগালাজ করেন এবং অন্যকে ভুল তথ্য দিয়ে বিচার করেন;
তিনি অন্যকে সন্দেহের চোখে দেখেন এবং অবিশ্বাস করেন;
তিনি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ দিয়ে অন্যের সামান্য ত্রুটি বিচ্যুতি নিয়ে দোষারোপ করেন ও নাজেহাল করেন;
তিনি মিথ্যা বলেন, ব্যক্তি জীবনে অসাধু, ঘুষ গ্রহণে দ্বিধা করেন না;
তিনি তাৎক্ষণিক ভুল তথ্যের উপর বিচার করেন এবং তথ্যের সঠিকতা যাচাই করেন না;
তিনি প্রতিপক্ষকে/প্রগতিশীল মানুষকে নাস্তিক ঘোষণা দিয়ে নাজেহাল করতে চান;
তিনি তীর্থক্ষেত্র খুবই ভালবাসেন এবং তীর্থক্ষেত্রে গিয়ে পাপমুক্ত হয়ে আবারো পাপে নিমজ্জিত হন।
আমার উপলব্ধিতে মৌলবাদীদের তেরোটি সাধারণ সমস্যা চিহ্নিত করেছি। আপনাদের চোখে হয়তো আরো চিহ্নিত করা আছে। মৌলবাদীরা একটিও স্বীকার করবেন না। মুসলিম মৌলবাদীর বাড়তি একটি বৈশিষ্ট আছে। তাহল-
তিনি শিল্প-সংস্কৃতি বিদ্বেষী, ভাষ্কর্যকে মূর্তি মনে করেন এবং শিল্পীদের ঘৃণা করেন;
হিন্দু মুসলিম মৌলবাদীদের একটি বিপরীত বৈশিষ্ট্য আছে-
মুসলিম মৌলবাদী তীব্র ভারত বিদ্বেষী এবং পাকিস্তানের প্রতি অতি মমত্ববোধ করেন। হিন্দু মৌলবাদী এর উল্টোটা করেন। কিছু দলকানা মানুষেরও এ বৈশিষ্ট্যটি আছে।
যদি এসব গুণাবলী নিয়ে মৌলবাদীরা তাঁর ধর্মের ও ধর্মাবলম্বীদের স্বার্থ রক্ষা করতে চান, তবে তা উল্টোই হবে। তাদের হাতে মানুষের ক্ষতিই হচ্ছে এবং জাতিকে তাঁরা পিছিয়ে দিচ্ছেন। তাঁরা সুশিক্ষা ছাড়া এসব ত্রুটি কাটিয়েও উঠতে পারবেন না। এসব যত দ্রুত তাঁরা কাটিয়ে উঠতে পারবেন দেশের জন্য ততই মঙ্গল, এমনকি তাদের ধর্মের জন্যও।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.