নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাজী সায়েমুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে কিউং হি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ট্রেড পলিসি বিষয়ে মাস্টার্স। জন্ম ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম শহরের দামপাড়ায়। তার পূর্বপুরুষ ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের বাউফলের ঐতিহ্যবাহী জমিদার কাজী পরিবার। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখিতে হাতে খড়ি। তবে ১৯৯৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত হন। তিনি যুগান্তর স্বজন সমাবেশের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহবায়ক। ২০০৪ সালে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেন। পরে ইংরেজী দৈনিক নিউ এজ এ সিনিয়র প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীতে ২৮ তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের একজন সদস্য হিসেবে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সিনিয়র সহকারী কমিশনার, সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রেক্টর (সচিব) এর একান্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনডিপিতে লিয়েনে চাকরি করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামে ন্যাশনাল কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। শিল্প সচিবের একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷বর্তমানে সরকারের উপসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলা ছাড়াও ইংরেজী, আরবী, উর্দ্দু ও হিন্দী ভাষা জানেন। ছোটবেলা থেকেই কমার্শিয়াল আর্টিস্ট হিসেবে পরিচিত ছিলেন। যেকোনো প্রয়োজনে ইমেইল করতে পারেন। [email protected]
আমি আমার দেশকে নিয়েই ভাবি। দেশের স্বার্থের আয়নায় বাইরে দেখি। বাইরের দেশের ঘটনা দেখি। একটা কারণে আমি দিল্লিতে হামলা, হত্যা আর লুটপাট নিয়ে স্টাটাস দেইনি। কারণটা কী- ক্লিয়ার করি।
ভারতের দিল্লীতে এখন আগুন জ্বলছে। এ পর্যন্ত ২৩ জন মানুষ মারা গেছে সেই আগুনে। বাড়িঘর, দোকানপাট, মসজিদ কিছুই রক্ষা পায়নি। গুজরাটের আগুনের সাথে এই আগুনের একটাই সামঞ্জস্য দেখতে পেয়েছি। তা হলো- গুজরাটে দ্রুত সেনাবাহিনী নামানো হলে সাথে সাথেই নিয়ন্ত্রণ করা যেতো। এবারও একই ঘটনা মনে হচ্ছে। সেনাবাহিনী নামানো হচ্ছেনা। আমার কাছে এ ধরণের ঘটনা মানবতার ইতিহাসের বড় ধরণের লজ্জা ছাড়া কিছুই নয়। সেই ১৯৪৬ সালের পর ৭০ বছর পার হলেও ভারত একই জায়গায় রয়ে গেছে। বিন্দুমাত্র আগাতে পারেনি। অনেকাংশে পিছিয়ে গেছে।
আমার ফেসবুকের ফ্রেন্ডলিস্টে ধর্মমত নির্বিশেষে সবাই আছেন। আমি সাধারণত এসব সাম্প্রদায়িক বিষয়ে ফেসবুকে স্টাটাস বা মন্তব্য দেইনা। তবে সবার লেখা পড়ি। জনমত বুঝার চেষ্টা করি। ভারতের চলমান ঘটনায় কদিন আমি আমার বন্ধুদের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ছিলাম। তবে একটা জিনিস খেয়াল করে দেখলাম- আমার ফ্রেন্ডলিস্টের মুসলমান বন্ধুদের বেশিরভাগই স্টাটাস দিয়েছেন। কেউ যুক্তিসহকারে কথা বলেছেন, কেউ নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন, কারো মধ্যে জেহাদি জোসও দেখা গেছে। তবে লক্ষণীয় বিষয় হলো- হিন্দু ধর্মাবলম্বী বন্ধুদের মধ্যে যারা ধর্মকর্ম মানেন না এবং উচ্চ শিক্ষিত তাদের দু একজনকেই দেখলাম এ বিষয়ে স্টাটাস দিয়েছেন। কেউ নিন্দা করেছেন। কেউ বুদ্ধিবৃত্তিক কথা বলেছেন। তবে অধিকাংশ হিন্দু ধর্মাবলম্বী এ বিষয়ে নিরব। এটা আমার কাছে অনেক তাৎপর্যবহ। এই জায়গাটায় আমরা একটু পিছিয়ে আছি। ভারতে একজন সংখ্যালঘু নির্যাতিত হলে আমাদের গায়ে লাগে। এটা কী নিজের দেশে চিন্তা করি। দূর্বল পেলে তার উপরে চড়াও হই। আমাদের দেশের হিন্দু ধর্মালম্বী সাধারণ মানুষ কেন নিন্দা জানান না- সেটা আমরা কী ভেবে দেখেছি। যে ধর্মের নামই শান্তি। যে ধর্মে কাউকে দেখা হলেই প্রথমে যে কথাটা বলতে হয়- আপনার উপরে শান্তি বর্ষিত হোক, সে ধর্মের লোকজন কেন অন্য ধর্মের লোকজনের মনের কষ্টের কারণ হবে- এটাই আমার প্রশ্ন। দেশে এখন বেশিরভাগ ওয়াজ মাহফিলের নামে চলে বিদ্বেষের প্রসার। অন্য ধর্ম, অন্য মতের বিরুদ্ধে খিস্তি-খেউর৷ আমাদের কোন ব্যর্থতা থাকলে তা এটাই।
তাই বলে কী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ক্ষেত্রে আমাদের সফলতা নেই? একটু ইতিহাস ঘুরে আসি। ১৯৪৬ সালে কলকাতা দাঙ্গার মাধ্যমে হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গার সূত্রপাত হয়। দাঙ্গায় নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন মুসলমান। বেশিরভাগের বাড়ি ছিল নোয়াখালী। এর প্রতিশোধ নিতে গিয়ে নোয়াখালীতে হিন্দুদের মারা হয়। ১৯৫০ সালে ঢাকা, বরিশাল, সিলেট, চট্টগ্রামে পাকিস্তানি শাসকদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় হিন্দুদের মারা হয়। বরিশালে একটি গুজব ছড়ানো হয় যে, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হককে কোলকাতায় খুন করা হয়েছে। এরপরেই বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের হত্যা করা হয়। ১৯৬৪ সালে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে অবস্থিত হজরতবাল নামক মসজিদে হজরত মুহাম্মদ দ. এর সংরক্ষিত মাথার চুল চুরি করা হয়েছে- এই সংবাদ ছড়ানোর মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানে হিন্দুদের মারা হয়েছিল। ১৯৭১ সালেও রাজাকার, আলবদর ও আল শামসের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ও সহযোগিতায় হিন্দুদের মারা হয়। এরপর ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার পর ভারতে দুই হাজারের মতো মুসলমান নিহত হয়। তবে তার রেশ এদেশেও ছড়িয়ে পড়েছিল। ঢাকাসহ সারাদেশে অন্তত ৩০টি শহরে মন্দিরে হামলা চালানো হয়। বিভিন্ন জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, ও লুটপাট চালানো হয়েছিল। ওই সময়কার সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা সেই সহিংস পরিস্থিতির শিকার হয়ে সারা দেশে অন্তত ১০জন মানুষ মারা গিয়েছিলেন এবং ভাঙ্গা হয়েছিল অনেক মন্দির। জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এ দলের ওয়ান ডে ম্যাচ ছিল। তবে খেলা শুরুর আগে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী মাঠে ঢুঁকে পড়ায় সে ম্যাচ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। যতটুকু মনে পড়ে, মন্দিরে হামলাকারী একজনকে পুলিশ আটক করে ওই সময়। তার মাথায় টুপি ছিল। পরনে পাঞ্জাবি আর লুঙ্গি। পরে জানা যায়, সে হিন্দু ধর্মাবলম্বী। এই ঘটনার পরপরই হিন্দুদের উপর দেশব্যাপী হামলা বন্ধ হয়ে যায়। বকধার্মিক মুসলমান নামধারী দুবৃত্তরাও হামলা বন্ধ করে দেয়। হিন্দুদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা এদেশের মাটিতেই চালানো হয়েছে। সব রক্তের রঙ একই। দাঙ্গা নয়, ভারতের মতো একতরফাই মারা হয়েছে, লুটপাট করা হয়েছে, ধর্ষণও করা হয়েছে। বহুমুখি রাজনীতি হয়েছে৷ সবগুলো অাবার সরল সাম্প্রদায়িক হামলাও ছিলনা৷ কোন পক্ষ লাভবান হওয়ার চেষ্টা করেছে৷তবে এসব ঘটনার বেদনা আর কষ্টের ছাপ এখনো এদেশের হিন্দুদের মনে লেগে থাকলে সেটা কী দোষের হবে! এ কারণে পৃথিবীর কোথাও দাঙ্গা হলে অতীতের কথা মনে করে আমাদের তো লজ্জা পাওয়া উচিত৷
যাই হোক ২০০২ সালে এলো গুজরাট দাঙ্গা। এসময় থেকেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে অভাবনীয় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। গুজরাটে যেভাবে মুসলমানদের পুড়িয়ে মারা হয়েছে, তার রোমহর্ষক কাহিনী পত্রিকায় ছাপা হতো। বিভৎস সব ছবি দেখতে পেতাম। কয়েকটা ছবির কথা মনে আছে। এক লোক মৃত্যু ভয়ে কম্পমান দুই হাত জোড় করে জীবন ভিক্ষা চাচ্ছেন। সারা গায়ে আঘোতের দাগ। আর সামনে তরবারি হাতে উন্মত্ত দুবৃত্তরা। একজন মহিলাকে একজটলা মানুষের মধ্যে কাড়াকাড়ি। এসব ছবি দেখে মুসলমানরা ব্যথিত হয়েছেন ঠিকই, তবে বাংলাদেশের মানুষ ততদিনে অসাম্প্রদায়িক হয়ে গেছে। এই ঘটনার রেশ ধরে কোথাও কোন হিন্দু নির্যাতন হয়েছে কী না আমার জানা নেই। এরপর বাবরি মসজিদ রায় ইস্যু এসেছে, কাশ্মির ইস্যু আসলো- এদেশে এসব ঘটনার বিন্দুমাত্র প্রভাবও পড়েনি।
এবার শুরু হলো- দিল্লী দাঙ্গা। দাঙ্গা না বলে মুসলমানদের উপর হামলা বলাটাই শ্রেয় হবে। একটা ছবি চোখের সামনে ভাসছে। সাদা পাঞ্জাবী পাজামা পড়া মুসলিম যুবক। সেজদা দেয়ার মতো করে মাটিতে পড়ে আছেন। সারা গায়ে রক্ত। আর চারপাশে দাড়িয়ে পেটানো হচ্ছে তাকে। ছবিটা চোখের সামনে ভেসে উঠলে এই বিদেশ বিভূঁইয়ে বসেও চোখটা ভারি হয়ে ওঠে। প্রতিবেশিরা ভালো না থাকলে নিজের ভালো থাকা কঠিন। এসব ছবি দেখে এমন কোন মানুষ নেই যে ব্যথা অনুভব করবেন না। আমার ধারণা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ ব্যথিত। তবে এ পর্যন্তই। আমার বিশ্বাস বাংলাদেশের মানুষ এ নিয়ে উগ্র সাম্প্রদায়িক একটা মিছিল পর্যন্ত করবেনা। হামলা, লুটপাট তো দূরের কথা। আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বমানের। এখানে যেটা আছে তা একান্তই আইন শৃঙ্খলার ব্যাপার। একারণেই অমর্ত্য সেন কয়েকদিন আগে সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিলেন, ধর্মীয় ভাবধারায় ভারতের মতো সংকীর্ণতা বাংলাদেশে নেই। এটাই আমাদের বড় অর্জন। মুক্তিযুদ্ধের অর্জন।
শুধু জিডিপির প্রবৃদ্ধি নয়, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মাতৃমৃত্যুর হারের দিক দিয়েও নয়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দিক থেকেও আমরা ভারতের থেকে উন্নতি করেছি। এগিয়ে আছি। এসব বিষয়ে ভারত অন্তত বাংলাদেশকে অনুসরণ করতে পারে। এ বিষয়ে একজন বাংলাদেশি হিসেবে সত্যিই গর্ববোধ করি।
যা বলছিলাম, বাংলাদেশের মানুষ শুধু ভারত নয়, পৃথিবীর যেকোন দেশের সাম্প্রদায়িক হানাহানীর বিরুদ্ধে যেদিন ধর্ম-বর্ণ নিবিশেষে প্রতিবাদ করবে, করতে পারবে, সেদিনই আমি সবার সাথে এর নিন্দা জানাবো। আমি বিশ্বাস করি সময়টা চলে এসেছে।
দক্ষিণ কোরিয়া
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০
২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
আজ আমাদের হৃদয় ক্ষতবিক্ষত। জানি না আর কত রক্ত ঝরলে হিংস্রতা শান্তি পাবে।
মানবতা বিপন্ন।
এ হিংসার অবসান কবে জানিনা....
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৯
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: পৃথিবী কোথায় গেছে। আর এরা এখনো ধর্মের নামে হানাহানি করছে। ১৯৪৬ থেকে ২০২০ এক বিন্দুও আগায়নি মানুষগুলো। সারাবছর হিংসা আর ঘৃণা চাষের সাইড অ্যাফেক্ট এসব।
শান্তি দরকার। শান্তি চাই।
৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৫
গরল বলেছেন: আল্লাহ সর্বশক্তিমান, তার কাছে দোয়া চান। দেখেন কিছু হয় কি না।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩০
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: এ ছাড়া মুসলমানদের আর কী কোন উপায় আছে!
ধন্যবাদ।
৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:০২
রাজীব নুর বলেছেন: আমার ধর্ম আমাকে ভালো মানুষ হতে শিখিয়েছে। এটাই আমার পুজি এই জীবনে।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:২০
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: একটা বিষয় দেখেন, হামলাকারীদের সাথে পুলিশও আছে। সেকারণে আসলে এটা সাম্প্রদায়িকতা কীণা আমার যথেস্ট সন্দেহ আছে। রাজনৈতিক কারণ মনে হচ্ছে। আর যেটা হচ্ছে তা নির্বাচনের মেনিফেস্টোতেই ছিল। ব্যাপারটা গোলেমেলে। ওয়াস্ট টাইপ অব ডেমোক্রেসি ইজ বিইং স্টেজড ইন ইনডিয়া।
আমার ধর্মেতো ভাইয়ের অপরাধে ভাই, সন্তানের অপরাধে বাবাকে অথবা বাবার অপরাধে সন্তানকেও শাস্তি দিতে নিষেধ করেছে। এরপরেও যারা করেছে তারা কতটুকু মুসলমান।
আমি ভাই সবার আগে নিজের চেহারা আয়নায় দেখতে চাই।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:০৩
রাজীব নুর বলেছেন:
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪৯
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: কিছু বলতে পারছিনা ভাই। তাছাড়া উনিতো জোর করে ক্ষমতায় নেই। তিনি ভোটে নির্বাচিত।
পারফিউম ছবিটা দেখেছেন?
দেখেন, মিল খুঁজে পাবেন।
তারপর একটা লেখা লেখেন।
৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:১৮
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: নিন্দা জানানোর ভাষা হারিয়ে ফেলেছি, ধর্মের নামে এসব হানাহানি বন্ধ হোক এমন কামনা করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই আমাদের। সবার আগে আমরা মানুষ তার পর ধর্ম।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:২২
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: একেমত। মানুষ এটা পারে কীভাবে! একটা মানুেষর সাথে শত্রুতা নেই। নিরাপরাধ মানুষকে আক্রমন করে হত্যা করা। তাও আবার ধর্মের নামে। এটা এই সভ্যতার সময়ে কী করে সম্ভব! অবাক লাগে।
৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫৪
কালো যাদুকর বলেছেন: এক পাতা পড়ে আপনার লেখার আগা মাথা পেলাম না। চাঁদ গাজী সাহেবের সাথে সহজে একমত হই না। তবে আজ হতে হল।
এটা তো পরিস্কার, মুসলমানদের মারা হচ্ছে, এ আর নতুন কি। এরপর কি হয় দেখেন। মুখ বন্ধ করে থাকা ভাল কথা নয়। এর পরের দাঙ্গা কোথায় হবে? আমাকে মারবেনা তার কি গ্যারান্টি আছে? প্রতিবাদ তো করতেই হবে।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১৬
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: বুঝতে পারেননি লেখাটা! মাথায় অন্য জিনিস থাকলে বুঝবেন কীভাবে?
অন্যের দেশে দিকে না তাকিয়ে নিজের দেশের দিকে তাকান। দেখেন হিন্দুরা কোন প্রতিবাদ করছে কী না? না করলে কেন করছেনা সেটা খুঁজেন। অপরের দেশের দিকে তাকানোর দরকার কী! নিজের দেশের লোকেরাই তো খুশী নয়। কারণ তারা মনে করছে তারা মুসলমান দ্বারা নির্যাতনের শিকার। প্রতিবাদ করবো সেই নৈতিক অধিকার কী আমাদের আছে!
নিজের পরনে কাপড় নেই। আরেকজনকে উলঙ্গ বলা যায়না। আমরা সেটাই করছি। লেখায় সেটাই বলছি। সময় থাকলে আরেকবার পড়ুন।
৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩৭
কালো যাদুকর বলেছেন: লেখককে প্রশ্ন "মাথায় অন্য জিনিস থাকলে বুঝবেন কীভাবে?" এটি দিয়ে ব্যাক্তি আক্রমন কেন করলেন? এটি কি ব্লগের নিতীমালার সাথে যায়?
অপরিচিত মানুষের সাথে কি এরকম করে কথা বার্তা বলতে হয়?
ভারতে যা হচ্ছে, তাতে বাংলাদেশের হিন্দুরা কি বলে না বলে সেটা কে মাপবে? একজন মানুষ হিসেবেই এটার প্রতিবাদ করতে হবে। সে যে ধর্মেরই হোক না কেন।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫০
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আপনাকে ব্যক্তি আক্রমন করিনি। মাথায় অন্য কিছু মানে- দাঙ্গা দেখে ক্ষোভ বা প্রতিবাদ মাথায় থাকলে আমার লেখা আপনার ভালো লাগবেনা- এটাই বুঝাতে চেয়েছি। আরেকটা কারণ চাঁদগাজীর কমেন্টের সমর্থন করেছেন। তিনি আমার ব্লগে অনাকাঙ্খিত। তারপরেও খারাপ লাগছে বলে দুঃখ প্রকাশ করছি।
যাই হোক- আমি ভাই আগে নিজের দেশ দেখতে চাই। পরে ধর্মের ভিত্তিতে অন্য কিছু দেখা যাবে। এখন বিশ্বে ধর্মীয় ঐক্য কাজ করেনা। জাতীয়তাবাদ কাজ করে। যার প্রমাণ কুর্দীরা। তারা তুরস্ক, ইরান, সিরিয়া, ইরাক সবখানেই নির্যাতনের শিকার।
আমি মনে করি আমাদের নিজের দেশেই যেখানে ধর্মীয় জনসংখ্যায় কম এমন ব্যক্তিরা খুশী নন, সেখানে আরেক দেশে কী করছে সেটা বলার নৈতিক অধিকার আমার নেই। আগে ঘর ঠিক করা দরকার। আমি ভাই ভিন্নমত পোষণ করছি আপনার সাথে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৫
রাশিয়া বলেছেন: কোন ওয়াজে অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে খিস্তি খেউর করা হয়েছে - এমন কোন ইউটিঊব ভিডিও কি আপনি দিতে পারবেন? না জেনে এসব বিপজ্জনক কথা বলেন কেন?
গাযওয়ায়ে হিন্দ সম্পর্কিত রাসূলের (স) হাদীস
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২২
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ওয়াজ আপনি শুনেনিনি বোধ হয়! একটু ইউটিউবে ঢু মারেন। দেখেন আপনার নও মুসলিম ভাইয়েরা কী বলে হিন্দু ধর্ম নিয়ে। আর বাকীরা তো পাল্টাপাল্টি আছেই। জুতাও খুলে দেখায় কোন কোন ওয়ায়েজিন।
আপনি মনে হয় দেশে ছিলেন না।
ধন্যবাদ।
১০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৯
রাশিয়া বলেছেন: আপনি একটু ভিডিও লিংক দেন। এর আগে রাজীব নুরের কাছেও আবদার করেছিলাম, উনিও আবোল তাবল বকেছেন কিন্তু লিংক দিতে পারেননি। আপনি আশা করি হতাশ করবেন না। ওয়াজ শোনার জন্য দেশে থাকা লাগেনা। ইউটিউব সব জায়গাতেই এ্যাভেইল্যাবল।
১১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩৯
১২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৭
রাশিয়া বলেছেন: লিংক কাজ করছেনা
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০১
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আপনার ইমেইল ঠিকানা দিন। আমি পাঠিয়ে দেবো। আমার এখানে লিংক কাজ করছে। আসলে এসব প্রচার করতেও রুচিতে বাঁধে।
১৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আল্লাহ আপনাকে আরো ভালো রাখুক।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৮
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকবেন।
১৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: আমার দু'টা মন্তব্যের ভালো উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
জ্বী হ্যাঁ পারফিউম মুভি দেখেছি।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ধন্যবদ। পারফিউম মুভিটার প্রদান চরিত্রের কথা ভাবুন। দেখবেন সবাই বিমোহিত হয়ে যায়। এখন সম্মোহনের কাল।
১৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: 'আমি চাই ধর্ম বলতে মানুষ বুঝবে মানুষ শুধু।
মানুষ ধর্মান্ধ হয়ে গেলে আর মানুষ থাকে না
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪৪
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ধর্ম আসলে নৈতিকতা শিক্ষার বড় প্রতিষ্ঠান। মানব সভ্যতার সংকটময় মুহূর্তগুলোতে ধর্ম বড় একটা ভূমিকা পালন করেছিলো। কিন্তু আপনি একজন মানুষ দেখান যে ধর্ম গ্রহণ করে ধর্মান্ধ হয়েছে। এই যে এক ভাই উপরে রাশিয়া নিকের দেখেন উনি নাকি আজহারীর ভক্ত। ওনার মতে আজাহারীর মতো জীবন ঘনিষ্ঠ ওয়াজ আর কেউ করেননা। অথচ এই লোক রাসুল দঃ কে বলেছেন নিরক্ষর। তা মোহতারেমা স্ত্রী বিবি খাদিজা রা কে বলেছেন তালাক খাওয়া পৌড়া মহিলা। হযরত ওমর রা নাকি মহানবীর সাথে মতপার্থক্য করতেন, এজন্য আল্লাহকে নাকি ২২ বার কোরআনের আয়াত নাজিল করতে হয়েছে। আর তাতে হযরত ওমর রা এর মতামত প্রাধান্য পেয়েছে। রেসালতের বেলায়েতের অস্বীকারকারী এমন ওয়ায়েজীনকে যদি কারো আদর্শ মনে হয়, তার থেকে আপনি কী পাবেন?
যাই হোক, আসলে অন্ধগুলো ধর্মের একাংশ গ্রহণ করে উল্টাপাল্টা বিশ্লেষণ করে ধর্মের বারোটা বাজিয়েছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
১৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ভারতের মতো পৃথিবীর আর একটা দেশও পাবেন না যেখানে রাষ্ট্রিয় মদদে সংখ্যালঘুদের উপর বর্বব আক্রমন হয়। বর্তমান ভারতীয় শাসকরা মানুষকে বর্বর বানাচ্ছে গোমূত্র খাওয়ার মাধ্যমে; তাদের মানবতা বিলুপ্ত হয়েছে। প্রশাসন উল্টা নির্যাতিতদেরকেই আইনের ফাঁক গলে জেলে ভরছে।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৯
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আপনি তাদেরকে গোমূত্র পানকারী বলছেন, আপনি কী জানেন, মুসলমানদের অনেকে অনেক দেশে উটের মূত্র পান করে। এটা ক্যানে বিক্রিও হয় কোন কোন দেশে। ইসলামে গরুর মূত্র নাপাক না। অনিচ্ছাকৃত কাপড়ে লাগলে তা পরে নামাজ হয়।
আপনার মতে একমত হলাম। ভারত খারাপ। ভারতের প্রশাসন খারাপ। আমরা কতদূর ভালো? আমরাই ভালোনা, এখনো হিন্দুদের এলাকাসহ আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে, সেখানে অন্যদেশে তাকাতে চাইনা। আগে নিজের দেশ ঠিক করা দরকার।
১৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৪
রাশিয়া বলেছেন: এসব করতে রুচিতে বাধার কিছু নেই। এগুলির প্রচার আরও বেশি বেশি হওয়া দরকার। এই দেশে তারেক মনোয়ারের মত মিথ্যুক চাপাবাজ মাওলানা যেমন আছে, মিজানুর রহমানের মত জীবন ঘনিষ্ঠ আলেমও তেমনি আছে। কে হক্কানি আর কে বাতিল - এটা মানুষের জানা দরকার।
আমার প্রোফাইলে গেলে মেইল এড্রেস পাবেন। তা না হলে সেই ভিডিওর শিরোনামটা দিন। আমি সার্চ করে বের করে নেব।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৪
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: হিন্দু ধর্ম নিয়ে ওয়াজ করে আজকাল নও মুসলিম। তারা যেভাবে ঠাট্টা করে আগের ধর্ম নিয়ে। আমি নিজে হিন্দুদের গরু বলতে শুনেছি। তবে তা স্বাভাবিক ভাষায় নয়। শ্লেষাত্মকভাবে। তবে খুঁজলাম। পাচ্ছিনা। মনেও তো থাকেনা, কোন ওয়াজের ভেতরে।
আপনি মিজানুর রহমানের ভক্ত তো এই ওয়াজটা শুনে জবাব দিয়ে যান। উনি কী বলতে চাইছেন?
https://www.facebook.com/groups/islamicfrontbd/permalink/10157887317849593/
১৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২১
রাশিয়া বলেছেন: আমি ভিডিওটা খুঁজে পেয়েছি। এখানে অন্য ধর্মের কাউকে আক্রমণ করা হয়নি। একজন ওয়াজি আরেকজন ওয়াজিকে জুতা মারতে চেয়েছে। আমি বলেছেন, "এখন ওয়াজের নামে চলছে বিদ্বেষের প্রসার। অন্য ধর্ম, অন্য মতের বিরুদ্ধে খিস্তি খেউর।
আমি এই ধর্ম শব্দটার উপর জোর দিচ্ছি। আপনি কি কোন ইউটিউব ভিডিওতে দেখেছেন, সেখানে কোন ওয়াজি অন্য ধর্মের অনুসারীদের বিরুদ্ধে জনতাকে খেপিয়ে তুলছে বা অন্য ধর্মকে হেয় করে খিস্তি খেউর করছে?
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৫
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: নও মুসলিম নামের ওয়ায়েজিনদের ওয়াজ খুঁজে দেখেন। পেয়ে যাবেন। আমি শুনে বলেছি।
১৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আপনার মন্তব্য নেই, কিন্তু আমাদের দেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হলে তাদের দেশের অনেক মন্তব্য আছে। তারা তখন অন্য দেশের আভ্যন্তরীন বিষয় বলে চুপ করে থাকে না। ঐতিহাসিক ভাবে আমরা ভারতীয় ছিলাম, তারা আমাদের প্রতিবেশী। তাদের ওখানে এখনও আমাদের অনেকের আত্মীয়তার সম্পর্ক। তাই সেখানে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু হলে আমাদের দেশেও সেটার প্রভাব পড়তে পারে বৈকি!
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: শুনুন আমার দাদীর থিওরি কী ছিল। ছোটবেলায় বাচ্চাদের মারামারি লাগলে তিনি তার নাতিদের ধুমছে মার দিয়ে সেখান থেকে নিয়ে আসতেন। দোষ যারই থাকুক। তিনি বলতেন আগে ঘর ঠিক হোক।
আমাদের আগে ঘর ঠিক হোক। আমাদের দেশের ধর্মীয় সম্প্রদায়সমূহ যারা সংখ্যায় কম তাদের কোন প্রতিক্রিয়া দেখেন? খুব কম। যেখানে তারা খুশী নয়, আমাদের নৈতিক অধিকার কী আরেক দেশের সংখ্যা লঘুদের নিয়ে কথা বলার?
আরেকটা ব্যাপার ভারতের ব্যাপারে কেউ এগিয়ে আসবেনা। এটা নিশ্চিত থাকতে পারেন। যা ক্ষতি করার তা জিন্নাহ করে গেছেন। আজ দিল্লীতে ক্ষমতায় থাকতো মুসলমানরা। আগের লেখাটা পড়েন। জিন্নাহর কারণেই ১৯৪৬ সালে কলকাতার রায়ট হয়েছে। তার ডাকা হরতাল পালন করতে গিয়ে। জিন্নাহর মতো এ উপমহাদেশের মুসলমানদের এতবড় ক্ষতি কেউ করে নাই।
ধন্যবাদ।
২০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: বাংলাদেশে কোন ধর্মের মানুষই এখন সহজে রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বলতে চায় না। ভারত নিয়েতো আরো নয়। ফেসবুকে যারা শেয়ার দেয় বা প্রতিবাদ করে তারা বেশীরভাগ প্রবাসী।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪৬
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আগে নিজের দেশ নিয়ে বা দরকার। এখানে যারা সংখ্যায় কম, তাদের নিরাপত্তা দিতে পারছি কী না? বিশ্বের কোথাও রায়ট হলে তো আমাদের লজ্জা পাওয়া উচিত। কারণ কিছু দিন আগেও ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে আগুন লাগানো হয়েছিল।
প্রবাসিরা যে কী করে- সেটা তো দেখেন নাই। রাষ্ট্র বিরোধী কথাবার্তা বলে। কেউ কেউ পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে ঘুরে।
২১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: যে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা মানবিকতা এবং প্রতিটি মানুষের মাঝেই এই মানবিকতা থাকা উচিৎ। কিন্ত বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অন্যায় এর সাথে সহমত প্রকাশ করলে অনেক কিছু অর্জনের সম্ভাবনা আছে আর চুপ করে নিরাবতা পালন করলে বিপদে পড়ার সভাবনা কম আছে। আপনি কোন দলে সেটা ঠিক বুঝতে পারছি না।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৭
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আমি ভাই প্রতিবাদী দলের। সাংবাদিকতা যখন করতাম তখন থেকে ব্লগিং করি। পত্রিকার ছাপা হওয়া কিছু রিপোর্ট এখানে ব্লগে পোস্ট করা আছে। দেখতে পারেন। যে দিকে তাকাতে সাংবাদিকরা সাহস পেতোনা, সেদিকেও আমি তাকিয়েছি। মানে হচ্ছে, সাংবািদকতায় বলা হয়, উত্তর আর দক্ষিণ পাড়ায় তাকাবেনা, বাকী সবখানেই তাকাতে পারো। উত্তর পাড়া তো চিনেন? দক্ষিণ পাড়া হলো আদালত। আমার কিছু রিপোর্ট আছে, পড়লে বুঝতে পারবেন।
আর এখন তো সরকারি চাকরি করি। তারপরেও ব্লগিং করছি। বুঝতেই পারছেন। ভয় করে কী হবে! জাতিসংঘে চাকরি করলাম। প্রধানমন্ত্রীর কার্যোলয়েও তো চাকরি করলাম। এই প্রতিবাদি চরিত্র নিয়ে। কোন অসুবিধা হয়নি।
আমার লেখাটা আরেকবার পড়তে পারেন। দেখবেন প্রতিবাদ ঠিকই আছে। তবে অন্য কায়দায়।
ভালো থাকবেন।
২২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের সুন্দর উত্তর দিয়েছেন। এবং সবার মন্তব্য পড়ে ভালো লেগেছে।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৯
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজিব ভাই। কিন্তু কেন যেন মন্তব্যে অনেক ভুল দেখা যায়। এ নিয়ে আমি বিব্রত। ভালো থাকবেন।
২৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কতজন ভারতীয় মুসলিম ভয়ে পালিয়েছে পাকিস্তানে? বাংলাদেশে?
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪২
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ভারতের ওই দিককার যারা হিন্দীভাষী তারা বাংলাদেশে আসতে চান না। তবে বাংলাভাষাভাষি যারা আছেন তাদের এদেশে আসার একটা ঝোঁক আছে। ওনাদের অনেকের সাথে কথাবার্তা বলে বুঝতে পেরেছি। কলকাতার অনেক মুসলামনের আত্মীয় স্বজন বাংলাদেশে আছেন। তবে এই দাঙ্গার পর মনে হয়না কেউ দেশত্যাগ করবে। নাগরিকত্ব দাবি করেই তো এই আন্দোলন। তার ফলশ্রুতিতেইতো এই দাঙ্গা হামলা।
ধন্যবাদ আপনাকে।
২৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১৫
অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: তাদের ব্যাপার তাদেরকেই হ্যান্ডেল করতে দিন. ভারতে মুসলমান-হিন্দু দাঙ্গা নতুন কিছু নয়. কিছু ধর্মান্ধ অথবা আতঙ্কবাদী এই ধরণের কাজ করছে। তবে, আমাদের দেশেও যাতে এই ধরণের কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সেদিকে সরকারের নজর আশা করি থাকবে।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৫
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: একমত। আমাদের দেশেকে আগে ঠিক রাখতে হবে।
২৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২০
অভি চৌধুরী বলেছেন: এটা সত্য যে ভারতে মুসলিমদের চেয়ে বাংলাদেশ পাকিস্টানের হিন্দুদের উপর অত্যাচার বেশি হয়, তার প্রমান স্বরূপ ১৯৭১ এর পরে ১৫ ভাগ হিন্দু আমাদের দেশে নেমে আসে ৩/৪ ভাগে,ঠিক পাকিস্তানেও এমনই হয়েছে, আর ভারতে ১৮ ভাগ মুসলিমের সংখ্যা এখন ২৬ ভাগের উপরে। কিন্ত গত কয়দিনের ভারতের কুৎসিৎ রাজনীতির শিকার দিল্লির মুসলিমরা।আর এটা করিয়েছে বিজেপি। সার্বিক সহযোগীতায় ছিলো কেজরিওয়াল। ট্রাম্প যখনি যেই দেশে যায় বিশ্ব মিডিয়া সেই দিকেই ক্যামেরা তাক করে বসে থাকে। সেটাকে কাজে লাগানোর জন্য বিজেপি হঠাৎ দিল্লিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করে যেন তারা বিশ্বকে বোঝাতে পারে যে এরাই হলো মুসলিম যাদের নিদন করা আমাদের জন্য এবং বিশ্বা শান্তির জন্য খুবি জরুরী। তাই বিজেপির আরএসএস বাহিনী দিয়ে এমন কাজটি করানো হয় প্রশাসনের পুর্ন মদদে, আর সেটা দিল্লির কেজরিওয়ালের জানা থাকার পরও সেটার বিরোধীতা করেনি, কারণ এখানে সে লাভবান হবে ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে, মানুষের আস্থা বিজেপি থেকে উঠে যাবে আর কেজরিওয়াল স্বপ্ন দেখবে কেন্দ্রীয় ক্ষমতার, এখন ভারতে একমাত্র ভালো ইমেজে কেজড়িওয়ালের আছে, কন্গরেসের গাধা রাহুলের প্রতি পুরো ভারতে কারোই আস্থা নেই । এখন কেজরিওয়াল যদি একবার কেন্দ্রীয় ময়দানে পা রাখে অনায়েশে জিতে যাবে, সেটা আগে যেমন ছিলো দিল্লির এই ঘটনার পর থেকে তা আরো কয়েকশ গুন বেশি নিশ্চিৎ হয়ে গেছে, এটাই হলো দিল্লি রাজনীতি, যার বলি হলো কিছু হিন্দু আর মুসলিম, ।
ধন্যবাদ
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আপনার সাথে কিছু কিছু জায়গায় একমত। আবার কিছু জায়গায় একমত হতে পারিনি। বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর নির্যাতন হিন্দু বলে হয়না। এটা আইন শৃঙ্খলার সমস্যা। অনেক মুসলমান যিনি দুুর্বল তার অবস্থা আরো করুন। হিন্দু হলে তিনি প্রশাসন আর মিডিয়া থেকে কিছু সহযোগিতা পান। মুসলমান দুর্বল তাও পায়না। তবে কিছু যে নেই তা বলবোনা। যেমন কোন হিন্দু ফেসবুকে আপত্তিকর কিছু পোস্ট করলো, তাতে পুরো হিন্দু এলকায় হামলা করা হয়। এটাও আইন শৃঙ্খলার সমস্যা। তবে বাংলাদেশের চেয়ে পাকিস্তানের হিন্দুরা ভালো আছে। তাদের উপরে হামলার কোন খবর আমার চোখে পড়েনি।
এবরা আসি ভারতের হিন্দুরা মুসলমানদের কী করেছে? সেই ১৯৪৬ সালের দাঙ্গা থেকে যদি বিচার করেন দেখবেন, হিন্দুরা পাকিস্তানগামি ট্রেনে বহু মুসলমানকে হত্যা করে। ১৯৪৮ সালে হায়দরাবাদ দখলের সময় মুসলশানরা হত্যার শিকার হয়। পরবর্তীতে লোকসভার হিন্দু সদস্য পণ্ডিত সুন্দরলালের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিশন গঠন করলেও তার রিপোর্ট আজও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ২৭ থেকে ৪০ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়। কাশ্মির, কলকাতা রায়ট, গুজরাট রায়ট, বিহারীদের উপর রায়ট সব মিলিয়ে যে সংখ্যা হবে, তা নোয়াখালির রায়ট থেকে শুরু করে পরবর্তী সেসব ঘটনা এবং সেসব ঘটনায় নিহত হিন্দুদের সংখ্যা সিকি ভাগও হবেনা।
তবে আমরা মনে হয়, অনেক সভ্য হতে যাচ্ছি। ভারত সেই একই জায়গায় আটকে আছে।
আমার মনে হয়না-এএপি কোন সুবিধা পাবে। মুসলমানরা এখন মনে করবে এএপিকে ভোট দিয়ে কোন লাভ নেই। নিরাপত্তা দিতে পারেনা। এএপির ভোট ভাঙ্গার জন্য এ হামলা আমার কাছে মনে হয়। দেখবেন কয়েকদিন আগে শাহীনবাগে যে তরুন প্রকাশ্যে গুলি চালিয়েছিলো, তাকে পুলিশ এএপির সদস্য বলে জানায়। পরে ওই তরুনের বাবা মিডিয়াকে জানান, এটা ডাহা মিথ্যা কথা। ওই তরুন বিজেপির সেবক। এর মধ্যেই সব তাৎপর্য লুকিয়ে আছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
২৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:০৪
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: যে মোদী যেদিকে বৃষ্টি সেদিকে ছাতা মেলে দেয়ার মতো যে দেশে যায় সেই দেশ তার প্রিয় দেশ বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলে সেই মোদির পক্ষে অনেক কিছুই সম্ভব | ট্রাম্প মুসলিম বিদ্বেষী তা কারো অজানা নয় | মোদির মতো ধুরন্দর লোক ট্রাম্পের কাছাকাছি যাওয়ার জন্য এই সহিংসতার কলকাঠি নাড়তেও পারে |
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৫৪
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ট্রাম্পের কাছাকাছি যাওয়ার জন্য এই সহিংসতা কারণ হতে পারে। কারণ নাগরিক্ত বিরোধী আন্দোলন তো অনেকদিন ধরে চলছিল। শাহীনবাগে এর আগেও এক তরুন হামলা করেছে। প্রকাশ্যে গুলি করেছে। ট্রাম্পের আগমনের এই সময়টাকে তারা সমন্বিত হামলা চালানোর মোক্ষম সময় মনে করতে পারে। যাতে বিশ্ব মিডিয়ায় ট্রাম্পের খবরে হামলার ঘটনা চাপা পড়ে যায়। হয়েছেও তাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
ফ্রি খাচ্ছেন দাচ্ছেন, মনে হয়!