নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাজী সায়েমুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে কিউং হি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ট্রেড পলিসি বিষয়ে মাস্টার্স। জন্ম ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম শহরের দামপাড়ায়। তার পূর্বপুরুষ ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের বাউফলের ঐতিহ্যবাহী জমিদার কাজী পরিবার। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখিতে হাতে খড়ি। তবে ১৯৯৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত হন। তিনি যুগান্তর স্বজন সমাবেশের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহবায়ক। ২০০৪ সালে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেন। পরে ইংরেজী দৈনিক নিউ এজ এ সিনিয়র প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীতে ২৮ তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের একজন সদস্য হিসেবে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সিনিয়র সহকারী কমিশনার, সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রেক্টর (সচিব) এর একান্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনডিপিতে লিয়েনে চাকরি করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামে ন্যাশনাল কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। শিল্প সচিবের একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷বর্তমানে সরকারের উপসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলা ছাড়াও ইংরেজী, আরবী, উর্দ্দু ও হিন্দী ভাষা জানেন। ছোটবেলা থেকেই কমার্শিয়াল আর্টিস্ট হিসেবে পরিচিত ছিলেন। যেকোনো প্রয়োজনে ইমেইল করতে পারেন। [email protected]
চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷
আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন, জিবরীল (আঃ) না আসা পর্যন্ত আমি নীরব থাকবো। তিনি নীরব থাকলেন। এর মধ্যে জিবরীল (আঃ) আসলেন। তখন রাসুল দ. জিবরীল (আঃ) কে ওই প্রশ্নটি জিজ্ঞেস করলেন। জিবরীল (আঃ) উত্তর দিলেন, এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাকারীর চেয়ে জিজ্ঞাসিত ব্যক্তি বেশি কিছু জানে না। তবে আমি আল্লাহকে জিজ্ঞেস করবো।
কিছুক্ষণ পর জিবরীল (আঃ) বললেন, হে মুহাম্মাদ দ.! আমি আল্লাহর এত কাছাকাছি গিয়েছিলাম যে আর কোন দিন এত কাছে যাইনি। রাসুল দ. জিজ্ঞেস করলেন, কিভাবে? জিবরিল বললেন, তখন আমার ও তাঁর মধ্যে মাত্র সত্তর হাজার নূরের পর্দা ছিল। আল্লাহ বলেছেন, দুনিয়ার সবচেয়ে নিকৃষ্ট স্থান হলো বাজার, আর সবচেয়ে উত্তম স্থান হলো মাসজিদ।
ইবনু হিব্বান; তাঁর সহীহ গ্রন্থে ইবনু ’উমার (রাঃ) থেকে এই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন৷ (মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত), পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান৷)
এবার মুত্তাফাকুন আলাইহি একটা হাদীস শুনি...
সালমান ফারসি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ দ. বলেন, ‘তুমি যদি পারো, তবে সর্বপ্রথম বাজারে প্রবেশকারী হবে না এবং সেখান থেকে সর্বশেষ প্রস্থানকারী হবে না৷ কেননা বাজার শয়তানের আড্ডাস্থল। সেখানে সে নিজের ঝাণ্ডা গেড়ে বসে।’ (বুখারি, হাদিস : ৩৬৩৪, মুসলিম, হাদিস : ২৪৫১)৷
উপরের দুটি হাদীসে স্পষ্ট হলো- দুনিয়ায় মার্কেট বা বাজার সবচেয়ে খারাপ স্থান আর মসজিদ সবচেয়ে উত্তম স্থান৷ এবার যারা দেশের প্রধান মসজিদ বায়তুল মোকাররমে গেছেন, নামাজ পড়েছেন; তারা একবার খেয়াল করুন৷ নিচে মার্কেট উপরে মসজিদ৷ আসলে আমিও কোনদিন বিষয়টা খেয়াল করিনি৷ এক বিদেশী আমাকে বলেছিলেন৷ একই স্থানে বাজার আর মসজিদের এই সম্মিলন বাংলাদেশ ছাড়া কোথাও দেখা যায়না৷ আমি পৃথিবীর অনেক দেশ ঘুরেছি৷ মসজিদের এই হাল কোথাও দেখি নাই৷ দেশের প্রধান মসজিদেরই এই দশা৷ দেশের অন্যান্য মসজিদের কথা তো বলারই অপেক্ষা রাখেনা৷
দুই.
আমি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় এসি ল্যান্ড ছিলাম৷ তখনকার অভিজ্ঞতা বলছি৷ একটা জিনিস লক্ষ্য করে দেখেছি৷ কারো সরকারি খাস জমি দখল করতে হবে৷ ব্যস একটা মসজিদ তুলে দিল৷ তারপর মসজিদের ব্যয় বহনের জন্য দোকান ঘর তৈরি করা হলো৷ ওই দোকান নিজে ও আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে ভাগাভাগি করা হলো৷ দোকানের ভাড়া বাজার দরের দশ ভাগের একভাগ নামে মাত্র নির্ধারণ করা হলো৷ জমি দখল নিশ্চিত৷ কার সাধ্য এই অবৈধ স্থাপনা ভাঙ্গতে যাবে৷
একবার এসব অবৈধ দোকানপাট ভাঙ্গতে গিয়েছিলাম৷ মুহূর্তের মধ্যে মুসুল্লিরা এসে হাজির৷ বলে এটা আল্লাহর ঘর৷ এতে হাত দেয়া যাবেনা৷ কাউকে বুঝাতেই পারলাম না৷ সরকারি জমি দখল করার কোন সুযোগ নেই৷ মসজিদ করলে জমি কিনে বা ওয়াকফ করে তাতে মসজিদ করতে হয়৷ অবৈধ দখলীয় জমিতে আল্লাহর নামে মসজিদ করার কোন সুযোগ নেই৷ আমাদের প্রিয় নবী দ. মসজিদে নববী যখন নির্মাণ শুরু করেছিলেন৷ ওই স্থানে দুজন এতিমের জমি পড়ে যায়৷ এতিমরা স্বেচ্ছায় জমি দান করতে চাইলে নবী দ. তা নিতে অস্বীকৃতি জানান৷ পরে অর্থ দিয়ে ওই জমি কেনা হয়৷ সেই জমিতেই এখন মসজিদে নববী৷ অথচ বাংলাদেশে তার উম্মতেরা দখল করা জমিতেই মসজিদ নির্মাণে সিদ্ধহস্ত৷ এখানে মার্কেট রক্ষার জন্য মসজিদ৷ এটা এমন ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট যে ওই দোকানে হাত দিতে পারিনি৷ কে মুসুল্লিদের খেপাতে যাবে!
তিন.
ঢাকার দক্ষিণখানের গাওয়াইরে একটা কওমি মাদরাসা আছে৷ মাদরাসায় একটা মসজিদ রয়েছে৷ মসজিদের পাশে একটা পুকুর ছিল৷ এলাকায় একটি মাত্র পুকুর৷ আমি নিজেও ওই পুকুরে গোসল করেছি৷ এক ব্যক্তিকে মসজিদে খুব দান করতে দেখতাম৷ মসজিদে দান করা দেখে ভালো লাগতো৷ কয়েক বছর পর গিয়ে দেখি, ওই খাস জমির পুকুরটা ভরাট করা হয়েছে৷ তার ওপর কাঁচা বাজার দোকানপাট কী নেই৷ যে ব্যক্তিকে দান করতে দেখতাম তারও দোকান৷ মসজিদে দান করার বরকতটা তিনি দুনিয়াতেই হাসিল করেছেন৷ যাই হোক, ওই এলাকার সম্পদ ছিল পুকুরটি৷ এখন আগুন লাগলে পানির কোন উৎস নেই৷ পুকুরটি থাকলে এলাকাবাসীর জন্য আশীর্বাদ হতো৷ আমি মাঝে মাঝে বলি, ওই কওমি মাদরাসায় হাজারের বেশি শিক্ষার্থী৷ তাদের নাকের ডগায় পুকুরের মতো সবার একটা সম্পদ ভরাট করে দখল করা হয়েছে৷ তারা এমন শিক্ষা গ্রহণ করছেন যে তাদের শিক্ষা এই ভরাট রুখে দাড়ানোর মতো এতটুকু সচেতনতা আনতে পারেনি৷ এখানে একটা কলেজ পরের কথা স্কুল থাকলেও শিক্ষার্থীরা তা দখল করতে বাঁধা দিতো৷ কী আর বলবো৷ কিছু বললে বোধ বুদ্ধিহীন কিছু গোড়া ধর্মবিরোধী বলে চিৎকার দিয়ে উঠবে৷
মসজিদ কমিটিও একটা লাভজনক পদ৷এখন তো মসজিদের পদ দখলে খুন খারাবি পর্যন্ত হচ্ছে। আমি তখন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগদান করেছি। প্রথম পোস্টিং৷ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একটা মসজিদ থাকে। চুয়াডাঙ্গাতেও ছিল। নাম কালেক্টরেট মসজিদ। এই মসজিদের সভাপতি হন জেলা প্রশাসক৷ সাধারণ সম্পাদক করা হয় মসজিদের সবচেয়ে বড় মুসুল্লীকে৷ চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ছিলেন ভোলা নাথ দে স্যার৷ তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় এডিসি জেনারেল মজিবর রহমান স্যার সভাপতি হলেন৷ সাধারণ সম্পাদক একজন উকিল৷ পাঁচ ওয়াক্ত জামাতের সাথে নামাজ পড়েন। মসজিদের জন্য জান প্রাণ দিয়ে দেন! তিনি বিভিন্ন জনের কাছ থেকে চাঁদা তোলেন৷ তবে তিনি হিসাব দিতে অনিচ্ছুক৷ একবার তাকে চেপে ধরা হলো৷ আয় ব্যয়ের অডিট করা হলো৷ দেখা গেলো চাঁদা তোলার রশিদে গরমিল৷ যিনি পাঁচশ টাকা দিয়েছেন তার অংশে পাঁচশই লেখা হয়েছে৷ তবে মুড়ির অংশে শূন্য একটি কম৷ অর্থাৎ পঞ্চাশ টাকা৷ এক হাজার টাকা হয়ে যেতো একশ টাকা৷ ধরা পড়ার পর কয়েক লাখ টাকা পাওনা হলো৷ টাকার সঠিক অঙ্কের কথা মনে পড়ছেনা৷ এ ঘটনার পর ওই সাধারণ সম্পাদকের অভিব্যক্তিটা ছিল মনে রাখার মতো৷ তিনি বলেছিলেন, আমি তো মসজিদে সময় দেই!
চার.
ইসলামে শেষ জমানায় দাজ্জালের আগমন হওয়ার কথা রয়েছে৷ কোনদিন এদেশে দাজ্জালের আগমন হলে মসজিদ মার্কেট একাকার দেখলে সে অবাক হবে নিশ্চয়ই৷ মানুষ অবাক হলে তার চোখ কপালে তোলে৷ আর দাজ্জালের চোখ তো কপালে থাকবে। অবাক হলে তার কপালের চোখ মানুষের মতো কপালের নিচে চলে আসতে পারে!
১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আসলে আসলে ভুল করছেন।মসজিদ উচ্ছেদ করতে যাইনি। অবৈধ মার্কেট উচ্ছেদ করতে গেছিলাম। কান ধরে টান দেয়ার মাথা চলে এসেছিলো। ফতোয়া না জানলে কী আর মসজিদের মার্কেট উচ্ছেদ করতে গেছি! তবে সেখান থেকে ঠিরে আসার কারণ ছিল। মুসুল্লিদের যুক্তি ছিল এরকম যত মসজিদ কেন্দ্রিক মার্কেট আছে তা উচ্ছেদ করতে হবে। হিসেব করে দেখলাম সেটা করা সম্ভব নয়। মসজিদ কেন্দ্রিক এত অবৈধ মার্কেট সেখানে। এ কারণেই ফিরে আসতে হয়েছিল।
তাই বলে উচ্ছেদ থেমে থাকেনি। দায়িত্ব পালনকালে কয়েক হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। অবস্থা এ।মন হয়েছিলো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য মাইকিং করে আসতাম। এতেই কাজ হয়ে যেতো। লোকজন স্থাপনা সরিয়ে নিতো। এত উচ্ছেদ করেছি ওই এলাকায় অতীতেও কেউ করেনি। ভবিষ্যতেও করতে পারবে কী না সন্দেহ। গুগলে আমার নাম কাজী সায়েমুজ্জামান গলাচিপা লিখে সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন।
তারপরেও একটা নিউজ লিংক দিলাম।
https://www.dailyjanakantha.com/details/article/171357/গলাচিপায়-অবৈধ-স্থাপনা-উচ্ছেদ/
২| ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৬
এম ডি মুসা বলেছেন: হাদিস পরিবর্তনশীল, তাই এটা নিয়ে জলঘোলা না করা উচিত, একমাত্র কোরআন অপরিবর্তনীয়
১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন:
হাদীস পরিবর্তনশীল- এটা আপনাকে কে বললো! এ
খন হাদীস বানাবে কে! কোরআন তো হযরত ওসমান রাঃ এর আমলেই ফাইনাল সংকলণ হয়ে গেছে। হাদীসও ফাইনাল। যতগুলো হাদীস সংগ্রহ করা হয়েছে তা চূড়ান্ত। এখন আর হাদীস সংগ্রহের সুযোগ নেই। এখন উসুলুল হাদীস দিয়ে হাদীস বাস্তবায়ন করতে হয়।
ভাই আপনার চিন্তা ভাবনায় ভয়াবহ সমস্যা রয়েছে। আপনার জন্য আপনার লেখায় একটি মন্তব্য করেছিলাম। আপনাকে নিয়ে আমার সেই মন্তব্যটাই চূড়ান্ত। যাই হোক ধর্ম বিশ্বাসী হলে যেটা বলছেন সেটা কী বলেছেন তা একজন হক্কানী আলেমের কাছ থেকে যাচাই করে নেবেন।
৩| ১৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:০০
Sumiya Barkatullah বলেছেন: কিন্তু একটা মজার ব্যাপার খেয়াল করলাম, বড় বড় অফিসার হয়েও কোনো লাভ নেই তাহলে! সেই একইভাবে কারো না কারো সেন্টিমেন্টের কাছে মাথানত করে চুপচাপ কাজ অসমাপ্ত রেখে চলে আসতে হয়। তাই তো বলি, সব জায়গায় এত প্রশাসনিক কর্মকর্তা, কিন্তু কাজ হয় না কেন ঠিকঠাকমত!
১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫১
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: শুধু মসজিদ না মন্দিরেরও একই অবস্থা। সরকারের জসি যে যেভাবে পারে দখল করে। এজন্য সব ধরণের কৌশল অবলম্বন করে। আমিতো ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগিয়ে দখলের কথা বলেছি। এর বাইরে কত যে কৌশল রয়েছে! সময় পেলে লিখবো।
৪| ১৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬
নতুন বলেছেন: দেশের ধার্মিকরা ভন্ড।
দেশে এতো মসজিদ/মন্দির এতো ধার্মিক তবে দেশে এতো দূনিতি কেন?
সবাই ঘুষ খাবে, দুনিতি করবে আর মুখে ধর্মের মুখোশ পরে থাকবে।
ভন্ডামী সব খানে এখন।
১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ধার্মিকরা ভন্ড নয়। ভন্ডরা ধার্মিকদের বেশ ধরে। আর বেকুবগুলোর সমর্থন পায়।
ইয়াহিয়া আর টিক্কা খান জীবনে যত মদ খেয়েছে পানিও তত খায়নি। তারা ইসলাম রক্ষায় ঝাপিয়ে পড়ার কথা বলেছিলো। তাদের পেছনেও মুরিদের অভাব হয়নি।
জুলফিকার আলী ভুট্টো ছিল ফুল টাইম লুচ্চা। আর পার্টটাইম বিতার্কিক। সে ফিলিস্তিনের পক্ষে এ
ক বক্তব্য দিয়ে আমেরিকায় মুসলমানদের নেতা বনে যায়।
এ
খন পাকিস্তানের প্লেবয় ইমরান খান সাহেবও ই
সলামের অনুভূতিতে সুড়সুড়ি দিয়ে রাজনীতি করছেন। দেশে বিদেশে তার মুরিদেরও অভাব নাই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৫| ১৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৬
আহলান বলেছেন: বাজার সর্ব নিকৃষ্ট জায়গা এবং মসজিদ সর্ব্বোত্তম - এটা হাদিস দ্বারা স্বিকৃত। তবে এ দ্বারা বোঝানো হয়েছে, মসজিদ আল্লাহর এবাদতের স্থান আর বাজার দুনিয়াবি ফায়দা হাসিলের স্থান। মসজিদে সময় বেশী দিলে পরলৌকিক উপকার বেশী আর বাজারে সময় বেশী দিলে তা পরকালে কোন উপকার তেমন দিবে না- সেই অর্থে। এমন নয় যে বাজারে যাওয়া ঠেকাতে বা বাজারকে ঘৃণা করার উদ্দেশ্যে বাজারকে নিকৃষ্ট স্থান বলা হয়েছে। আদতে সব নবী রাসুল সাহাবিগন ব্যবসা করেছেন, বাজার ব্যবসা সব স্থানেই তাঁরা গমন করেছেন। মসজিদের নিচে দোকান ঘর মসজিদের ব্যয় ভার বহনে সহায়তা করে, মানুষের থেকে দান নিয়ে মসজিদ চালানোর চেয়ে এটা অনেক উত্তম বলে মনে হয়। মদিনা শরীফেও বেলাল মসজিদের নিচে বেলাল মার্কেট রয়েছে। মক্কার ক্বাবা ঘরের এলাকাতেই জমজম টাওয়ার! পাশে আবার সাফা মার্কেট। সুতরাং কোন বিদেশী আপনাকে বলেছিলো একই স্থানে বাজার আর মসজিদের এই সম্মিলন বাংলাদেশ ছাড়া আর দেখা যায় না- তার অনেক কিছুই মনে হয় দেখা বাকি আছে। বোঝার ভুল আছে। মার্কেটে মসজিদ থাকলেই বরং নামাজের সময়ে সবাই নামাজ আদায় করতে পারে- এটা কি কম সুবিধা? তবে সরকারি জমি দখল এর জন্য মসজিদ উত্তম অজুহাত, এটি এই দেশের সর্বত্রই চলছে। ঢাকা শহরের অনেক মসজিদই এই উদ্দেশ্যে গড়ে উঠেছে ... তহবিল তাশরুফ সহ যারা এসব কর্মকান্ড করে, তাদের কৃত তর্মের জন্য তারা পরকালে জবাব দিবে ... মাফ নাই।
১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১০
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: দেশের প্রধান মসজিদের আয়ের তো কোনো বিষয় নেই। দোকান ভাড়া তো ইসলামিক ফাউন্ডেশন তুলে। সেখানে মসজিদের নিচে দোকানের কী দরকার! কোথাও মসজিদ হলে জমিন থেকে আসমান পর্যন্ত সেটা মসজিদ। কোনো কারণে মসজিদ স্থানান্তর করা হলে সে জায়গাটি সংরক্ষণ করতে হয়।
সুরা নূরের ৩৬ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন “যেসব পবিত্র ঘরসমূহে সকাল সন্ধ্যায় আল্লাহ তায়ালার পবিত্র নাম স্মরণ ও তাসবীহ তাহলীল পাঠ করা হয় সে সব পবিত্র ঘর সমূহকে উত্তমরূপে সংরক্ষণ করো।” অর্থাৎ পবিত্র মসজিদ সংরক্ষণ করতে হবে। হযরত ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহ হতে বর্ণনায় পবিত্র মসজিদ সমূহকে সম্মান করার জন্য এবং উত্তমভাবে সংরক্ষণ করার জন্য বলা হয়েছে। (তাফসীরে ত্ববারী শরীফ ১৯/১৮৯)। (তাফসীরে নিশাপুরী ১/৭৬৫)-এ একই কথা বলা হয়েছে।
যাই হোক কোন মসজিদ সরিয়ে সেখানে দোকানপাট করা যাবে কী না ফতোয়াটা কোন বিশিষ্ট আলেমের কাছ থেকে যাচাই করে নেবেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ড়
৬| ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৯
করুণাধারা বলেছেন: যে পরিচ্ছেদে ভাগ করেছেন, সেখানে দুবার তিন লেখা এসেছে।
খুব ভালো লিখেছেন। জমি দখল করার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হল জমির প্রবেশ মুখে একটা মসজিদ করে ফেলা তারপর পেছনের জমিটা আস্তে আস্তে দখল করা। এটা সবসময়ই হচ্ছে আমাদের দেশের মানুষের উদ্ভট ধর্মীয় সেন্টিমেন্টের কারণে।
আপনি যেমন জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় একটা পুকুর বুজিয়ে মসজিদ করার কথা বলেছেন, ঢাকাতে এমন দেখা যায় অতি প্রয়োজনীয় রাস্তার অর্ধেকটা তখন করে মসজিদ তৈরি করা। আমি সোবহানবাগ মসজিদের কথা বলছি, মিরপুর রোডের একপাশের অর্ধেক রাস্তা যখন করে মসজিদ হয়েছে রাস্তার উপরে যে অংশ সেখানে কিন্তু মসজিদ নেই। দোকানপাট ব্যাংক এইসব...
আমি মধ্যপ্রাচ্যে ছিলাম, সেখানে কোন মসজিদ দেখিনি দোকান পাটওয়ালা। আরো কয়েকটা দেশের মসজিদ দেখেছি, কোথাও দোকানবাজার নেই। আছে প্রশস্ত অঙ্গন।
১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৭
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: যে পরিচ্ছেদে ভাগ করেছেন, সেখানে দুবার তিন লেখা এসেছে। সংশোধন করেছি।
রাস্তার ওপরে মসজিদ নির্মাণ সারাদেশে দেখা যায়। অথচ ইসলামে জমি ওয়াকফ করে তার ওপরে মসজিদ নির্মাণের হুকুম রয়েছে। এখন ভন্ডদের হাতে চলে গেছে ধর্মের নাটাই। তারাই এখন নাটাইতে টান দিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে সুরসুরি দিয়ে থাকে। দেশের প্রধান মসজিদের নিচে দোকানপাট পৃথিবীর কোন মুসলিম প্রধান দেশে নেই।
৭| ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৮
আহলান বলেছেন: দোকান সরিয়ে মসজিদ করার কথা বলা হয় নাই। মসজিদের জায়গায় আজীবন মসজিদ হিসাবেই সংরক্ষিত হতে হবে- এটা অবধারিত বিষয়। কেউ মানুক বা না মানুক। কিন্তু শুরুতেই যদি এমন ভাবে তৈরী করা হয়, যে নিচ তালায় দোকান ঘর আর উপরে মসজিদ এবং উক্ত মসজিদ পরিচালনার ব্যয় ভার উক্ত দোকানের ভাড়া থেকে পরিচালিত হবে, সেটাতে দোষের কি আছে?
১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৪
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: অবশ্যই দোষের। একটি মুসলিম সংখ্যা প্রধান দেশের প্রধানতম মসজিদের নিচ তলায় পুরাটা মার্কেট পৃথিবীর কোথাও দেখাতে পারবেন না। এখানে তো আয় ব্যয়ের ব্যাপার নেই। নিচে গান বাদ্য চলবে। উপরে নামাজ চলবে। ব্যাপারটা এদেশ ছাড়া কোথাও দেখবেন না।
ভালো থাকুন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৮| ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: অন্যায়ভাবে দখল করা জমির উপর মাসজিদ নির্মাণ করলেই সে অন্যায়টা ন্যায় হয়ে যায় না। সম্ভবতঃ অন্যায় ভিতের উপর দণ্ডায়মান মাসজিদে নামায আদায় করলেও তা সিদ্ধ ও শুদ্ধ হবে না। এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত মাত্র, যা কোন কিতাব বা ফতোয়াভিত্তিক নয়।
১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৮
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আল্লাহর ঘরকে যারা অবৈধ জমির উপর নির্মাণ করছে তারা তো অন্যায় করেছে। তাদের সুনির্দিষ্ট শাস্তির ব্যবস্থা থাকা উচিত।
অথচ মসজিদ নির্মাণের জন্য জমি ওয়াকফ করে নেয়াটা স্বতসিদ্ধ ব্যাপার। আগের দিনের সব মসজিদ ওয়্কফকৃত জমিতে নির্মিত হয়েছিল। এটা এদেশে আধুনিককালের ট্রেন্ড। তাদের মার্কেট নির্মাণই উদ্দেশ্য। মসজিদ নির্মাণ তাতে উদ্দেশ্য ছিলনা।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
৯| ১৮ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৯
ঢাকার লোক বলেছেন: খাইরুল আহসান ভাই লিখেছেন , "সম্ভবতঃ অন্যায় ভিতের উপর দণ্ডায়মান মাসজিদে নামায আদায় করলেও তা সিদ্ধ ও শুদ্ধ হবে না।" যারা অন্যায় ভাবে মসজিদ বানিয়েছেন তারা গুনাহগার হবেন, সাধারণ মুসল্লিরা যারা ওই মসজিদে নামাজ পড়বেন তাদের নামাজ হবে, ইনশাল্লাহ।
২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:১৭
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ফতোযা নামাজ হবে এর উপরেই। নাসাজ পবিত্র জায়গায় যেখানে পড়বেন সেখানেই হবে। আর মসজিদ স্থানান্তরের সুযোগ নেই। এই সুযোগটাই দখলবাজরা নিচ্ছে। তুরাগ তীরের প্রকল্পে এই রকম বহু মসজিদ পড়েছে। এ নিযে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।
ধন্যবাদ।
১০| ১৮ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮
ঢাকার লোক বলেছেন: قُلۡ اَغَيۡرَ اللّٰهِ اَبۡغِىۡ رَبًّا وَّهُوَ رَبُّ كُلِّ شَىۡءٍ ؕ وَلَا تَكۡسِبُ كُلُّ نَـفۡسٍ اِلَّا عَلَيۡهَاۚ وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِّزۡرَ اُخۡرٰى ۚ ثُمَّ اِلٰى رَبِّكُمۡ مَّرۡجِعُكُمۡ فَيُنَبِّئُكُمۡ بِمَا كُنۡـتُمۡ فِيۡهِ تَخۡتَلِفُوۡنَ
(6:164) Say: 'Shall I seek someone other than Allah as Lord when He is the Lord of everything?' Everyone will bear the consequence of what he does, and no one shall bear the burden of another. Thereafter, your return will be to your Lord, whereupon He will let you know what you disagreed about.
২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:১৯
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: প্রত্যেককে তার কর্মফল ভোগ করতে হবে।
ধন্যবাদ বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য।
১১| ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:০৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মসজিদ নির্মাণের জন্য জমি ওয়াকফ করে নেয়াটা স্বতসিদ্ধ ব্যাপার।' এটা জুমা মসজিদের ক্ষেত্রে। সারা দেশের
জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ বা সরকারি অন্যান্য কার্যালয়ে সরকারি ভাবে যে সব জুমা মসজিদ চালু আছে এগুলোও ওয়াকফ সম্পত্তি নয়। সরকারি বা পাব্লিক্লি ওয়াকফ ব্যতিত যে সব জুমা মসজিদ চালু আছে এগুলো কোনটায় জুমার নামাজ পড়লে নামাজ শুদ্ধ হওয়ার কথা নয়।
২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৫
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: সরকারি জমিতে সরকার মসজিদ করলে সেখানে নামাজ না হওয়ার কোরো কারণ নেই। তবে সরকারি জমিতে দখলের নিয়তে অবৈধভাএ মার্কেট তৈরির জন্য মসজিদ করলে তাতে নামাজ পড়াটা সন্দেহজনক থেকে যাবে। ধরুন একজনের ঘরে তার অনুমতিতে নামাজ পড়তে বাধা নেই। তবে জোর করে কারো ঘরে ঢুকে নামাজ পড়লে তা কবুল হওয়ারও এ
কটা বিষয় থাকে।
মতামতের জন্য ধন্যবাদ। সবার শুভ ইচ্ছা জাগ্রত হোক।
১২| ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪০
কামাল১৮ বলেছেন: আপনার আগের লেখাগুলো ভালো ছিলো।যেই ধর্ম নিয়ে আসলেন,দিন দিন লেখা হয়ে গেলো নিম্ন মানের।ধর্ম টানলেই যুক্তি আর থাকে না।
২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৬
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ইসলামের অর্ধেকটা যুক্তির। অর্ধেকটা আবেগের বা ভালোবাসার। তবে আমার লেখাগুলো সচেতনতার জন্য।
ভালো বলেছেন। ধন্যবাদ।
১৩| ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২
ঢাবিয়ান বলেছেন: ধর্ম এখন হয়ে দাড়িয়েছে সকল অপকর্মের ঢাল। মসজিদ কমিটির মেম্বাররা হচ্ছে এলাকার প্রতাপশালী দুর্নীতিবাজ। জুম্মার খুতবায় তাই কখনও হারাম / হালাল ইংকামের বিষয়ে আলোচনা হয় না, সৎ কর্মের বিষয়ে আলোচনা হয় না। আলোচনা হয় রাজ্যের হাবিজাবি বিষয়ে যেগুলোর কোন গুরুত্বই সমাজে নাই।
২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৯
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: একমত। মসজিদগুলো এ কারণে দুর্নীতি ও অপকর্মরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছেনা। দেখবেন অদূরে মসজিদ কমিটিও সরকারকে গঠন তরে দিতে হবে। ক্রাইটেরিয়া সেট করে দিতে হবে। স্কুলগুলোতে যেভাবে করা হয়েছে। মসজিদে সরকারকে হস্তক্ষেপ করতে হলে সেটা হবে চরম দুঃখজনক।
ভালো বলেছেন। একমত। অনেক কৃতজ্ঞতা।
১৪| ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:০৪
ডার্ক ম্যান বলেছেন: আজকাল সুপারশপের অফিসের পাশেও নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করে সেটাকে মসজিদ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। সুপারশপের মালিক ফতোয়া দিয়েছেন দায় দায়িত্ব সব তার। জুমার নামাজ পড়ানো হয়। নামাজ শেষে সবাইকে আপ্যায়নের ব্যবস্থা রয়েছে।
জনশ্রুতি রয়েছে সেই তথাকথিত মসজিদের পাশে হেরেমখানা রয়েছে।
মালিক সুপার শপের সেলস গার্লদের নিয়ে কোয়ালিটি টাইম স্পেন্ড করে।
২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৪
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: কোরআনের একটা আয়াত আছে, ফামা ইয়ামাল মিসকালা জাররাতিন খাইয়াই ইয়ারা। ওয়ামা ইয়ামাল মিসকালা জাররাতিন শাররাই ইয়ারা।
যে ব্যক্তি জাররা (শরিষার দানার সত্তুর ভাগের একভাগ) বা বিন্দু পরিমাণ ভালো কাজ করবে কেয়ামতের দিন সে সেটা দেখতে পাবে। আর জাররা পরিমান খারাপ কাজ করলেও সে সেটা দেখতে পাবে। কেউ অপকর্ম করলে সেটার ফল সে পাবে। আর নামাজ পড়ার জন্য জায়গা দিলে তার সওয়াব পাওয়ার কথা। তবে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ধর্ম ব্যবহার করলে আম ছালা দুটাই যাবে।
ধন্যবাদ।
১৫| ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:৪৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: মসজিদকে কেন্দ্র করে দেশে ব্যাপক পরিমাণে আর্থিক কর্মকান্ড হয়, মসজিদ কমিটির পদ বর্তমানে বেশ লোভনীয় একটি পদ।
পাগলা মসজিদে এবার মাত্র ২৭ বস্তা (৭ কোটি) টাকা পাওয়া গেছে, গত বছর পাওয়া গিয়েছিলে ৪ কোটি টাকা। রেকর্ড পরিমাণ টাকা পাওয়া গেল পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে
মসজিদ উন্নয়নের কাজে যারা মোটা অংকের টাকা দান করে আমি তাদের চিনি, কেউ কেউ তো একাই এক একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করে।
২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫০
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: মসজিদ নির্মাণ করলে জান্নাতে তার জন্য ঘর নির্মাণ করা হবে। হাদীসে এসেছে মান বানা মসজিদান বানা আল্লাহ লাহু বাইতান ফিল জান্নাতি। এজন্য আল্লাহর ঘর তৈরি করা উচিত।
তবে প্রশ্ন হলো টাকাটা হালাল কীনা! হালাল ইনকাম না হলে তা দান করে ফল প্রত্যাশা করে লাভ নেই। মসজাদের বর্তমানে অর্থের ভালো যোগান রয়েছে। মানুষের আয় রোজগার বেড়েছে। দান খয়রাত করার মানসিকতা বেড়েছে। এ কারণে মসজিদকে কেন্দ্র করে কমিটি গঠিত হচ্ছে। এই কমিটি দখল করতে গিয়ে সংঘর্ষে হতাহত হচ্ছে। ব্যাপারটা উদ্বেগজনক।
ভালো থাকবেন। অনেক ভালো লিখেছেন।
১৬| ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:১৯
ধুলো মেঘ বলেছেন: ভাই, আপনার জবাবগুলো দেখে আমি মুগ্ধ। আসলেই আপনি প্রয়োজনীয় ব্যাপারে অনেক জ্ঞান রাখেন। আশা করি জনস্বার্থে আপনি আপনার কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন আল্লাহকে ভয় করে।
২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫১
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: অনেক কৃতজ্ঞতা। আমার লেখা ও মন্তব্য পড়ার জন্য।
ভালো থাকবেন।
১৭| ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৫
অপু তানভীর বলেছেন: দমি দখলের জন্য মসজিদ নির্মান খুবই কমন কিন্তু খুবই কার্যকরি একটা উপায় । যদি একবার কোন জমিতে মসজিদ নির্মান করে ফেলা যায় তাহলে আর কার সাধ্য সেই জমি উদ্ধার করা !
নিজের চোখেই দেখা এই ঘটনা । ঢাকার একটা মার্কেট অবৈধ বলে হাইকোর্ট রায় দিল । যখন জমি উদ্ধার করতে যাবে তখনই দেখা গেল সেখানে একটা মসজিদ উঠে গেছে । এবং এর পেছনে যে রয়েছে তার নাম এখানে নিলে আমার নামে মামলা পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে !
২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৩
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: এ চিত্র সারাদেশে। আলেমদের এ বিষয়ে কথা বলা উচিত। নয়তো এতে ইসলামের মর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে।
১৮| ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪০
১৯| ২৯ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ১:৫১
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
মাফ করবেন। হাদিসের ব্যাখ্যা নিশ্চয় অন্যরকম।
মদিনাতে বেলাল মসজিদের নিচে বেলাল মার্কেট আছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:০২
ধুলো মেঘ বলেছেন: মুসুল্লীদের এত সেন্টিমেন্ট আসে কোত্থেকে? জুম্মা ছাড়া অন্য কোন নামাজে তিন কাতারও ভরে না, এরা আবার মুসজিদের ইজ্জত রক্ষার জন্য নামে কিভাবে? দখল করা জমিতে মসজিদ বানালে যে মসজিদের মর্যাদা পায়না - এই ফতোয়া না জেনেই আপনি মসজিদ উচ্ছেদ করতে গিয়েছিলেন?