নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাজী সায়েমুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে কিউং হি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ট্রেড পলিসি বিষয়ে মাস্টার্স। জন্ম ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম শহরের দামপাড়ায়। তার পূর্বপুরুষ ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের বাউফলের ঐতিহ্যবাহী জমিদার কাজী পরিবার। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখিতে হাতে খড়ি। তবে ১৯৯৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত হন। তিনি যুগান্তর স্বজন সমাবেশের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহবায়ক। ২০০৪ সালে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেন। পরে ইংরেজী দৈনিক নিউ এজ এ সিনিয়র প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীতে ২৮ তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের একজন সদস্য হিসেবে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সিনিয়র সহকারী কমিশনার, সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রেক্টর (সচিব) এর একান্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনডিপিতে লিয়েনে চাকরি করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামে ন্যাশনাল কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। শিল্প সচিবের একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷বর্তমানে সরকারের উপসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলা ছাড়াও ইংরেজী, আরবী, উর্দ্দু ও হিন্দী ভাষা জানেন। ছোটবেলা থেকেই কমার্শিয়াল আর্টিস্ট হিসেবে পরিচিত ছিলেন। যেকোনো প্রয়োজনে ইমেইল করতে পারেন। [email protected]
সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি ও বংশের মাধ্যমে৷ ভালো বংশ বা উপাধি সেকালের শাসকরাই দিতেন৷
বৃটিশ আমলেও এই প্রথা বহাল থাকে৷ তবে বৃটিশরা যেহেতু আমলাতান্ত্রিক ছিল তাদের এই অনুমতি প্রদানের বিষয়েও আমলাতান্ত্রিক রূপ দেয়া হয়৷ বৃটিশ সরকারি কর্মকর্তাদের সামনে বা কোন অনুষ্ঠানে বসতে হলে আনুষ্ঠানিক অনুমতি লাগতো৷ আর সেই অনুমতি দেয়া হতো সার্টিফিকেটের মাধ্যমে৷ এই সার্টিফিকেটের নাম ছিল কুরশি নাশিন৷ ফার্সি শব্দ কুরসি নাশিনের অর্থ হলো চেয়ারে সমাসীন৷ এই সনদের বাইরে বৃটিশ কর্মকর্তাদের সামনে বা কোন অনুষ্ঠানে একসাথে বসার সুযোগ কারো হতো না৷
দুইটা কুরসি নাশিনের সার্টিফিকেট শেয়ার করলাম৷ দুটি সার্টিফিকেটই দিল্লী জেলার জেলা প্রশাসক ইস্যু করেছিলেন৷ একটি ১৮৮৭ সালে৷ অন্যটি ১৯০৫ সালে৷ এই প্রথা ১৯৪৭ সালে বৃটিশদের ভারত ছেড়ে যাওয়া পর্যন্ত বহাল ছিল৷
২.০
দুইবার ভারতে গেছি৷ ভারতে সরকারি সেবা প্রদান কাছ থেকে দেখেছি৷ আইএএস কর্মকর্তাদের সাথে সুখ দুঃখের আলাপ হয়েছে। সাধারণ মানুষের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি অনুভব করেছি। অন্যদিকে ভারতের প্রশাসনের প্রতি সাধারণ সেবাপ্রার্থীদের আচরণও লক্ষ্য করে দেখার সুযোগ হয়েছে৷ সেখানে সরকারি কর্মকর্তাদের সামনে সেবাপ্রার্থীদের কাচুমাচু হয়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখেছি৷ এর কারণ ভারতের প্রশাসন থেকে মোগল ও বৃটিশ প্রভাব এখনো হারিয়ে যায়নি৷ বৃটিশদের সবকিছুই ধরে রেখেছে আইএএস৷ শুধু আনুষ্ঠানিক কুরসি নাশিন সার্টিফিকেট ইস্যুটা হারিয়ে গেছে৷ তার বদলে এখন মৌখিক অনুমতির প্রথা চলে এসেছে৷ সরকারি কর্মকর্তা যাকে পছন্দ করবেন বসতে বলেন, পছন্দ না হলে দাড় করিয়ে রাখেন৷ বাংলাদেশেও কমবেশি এটাই প্রচলিত৷ এ অবস্থাটা কেন- সেটা ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে কুরসি নাশিন সার্টিফিকেট পেলাম৷
৩.০
আমি ব্যক্তিগতভাবে কুরসি নাশিন প্রথাকে একজন নাগরিকের চরম অপমানের বহিপ্রকাশ মনে করি৷ মাঝে মাঝে ভাবি, ইংরেজরা এদেশের মানুষকে তারা কী ভাবতো! মানুষকে তারা ঠিক দাস হিসেবে মনে করতো৷
সারাহ এফডি আনসারি তার বই ‘সুফি সেইন্টস অ্যান্ড স্টেট পাওয়ার: দি পিরস অব সিন্দ ১৮৪৩-১৯৪৭' এ লিখেছেন, ব্রিটিশরা যাদেরকে ঘনিষ্ঠভাবে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করতেন৷ জনসাধারণের মধ্যে তা প্রভাব প্রতিপত্তির প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হতো৷ এজন্য তারা কাউকে দরবারে কুরসি বা আফরিনামার মতো মর্যাদা প্রদান করেছে৷ কাউকে রুপা বা সোনার অক্ষরে লেখা প্রশংসাপত্র; উন্নত কাপড়ের লুঙ্গি, বন্দুকে ধন্যবাদ খোদাই করা সেবা, অস্ত্রের লাইসেন্স, অস্ত্রের লাইসেন্স থেকে অব্যাহতি এবং দেওয়ানি আদালতে উপস্থিতি থেকে অব্যাহতি পাওয়ার মতো সম্মান দিয়েছে৷
১৮৮৪ সালে ব্রিটিশ সেটেলমেন্ট অফিসার জে উইলসন 'ফাইনাল রিপোর্ট অন রিভিশন অব সেটেলমেন্ট অব দ্যা সিরসা ডিস্ট্রিক্ট ইন দ্যা পাঞ্জাব' শীর্ষক একটি প্রতিবেদনে লিখেছিলেন, ভারতীয়রা এই ধরনের সম্মানের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতো এবং এর জন্য আবেদন করতো৷ তিনি লিখেছেন, “একজন শাসকের সামনে একটি ইউরোপীয় চেয়ারে বসার অনুমতিকে বড় সম্মান বলে মনে করা হতো৷ বিশেষাধিকার হিসেবে কুরসি নাশিন তালিকায় নিজের নাম রাখার প্রতিযোগিতা বড় উদ্বেগ হিসেবে দেখা যেতো৷ ''
তবে কুরসি নাশীন প্রথার একটি সুবিধা ছিল৷ বৃটিশরা জানতো, বসার লোক অনেক৷ অথচ চেয়ার সীমিত৷ এ কারণে চেয়ারে বসার জন্য অনুমতির ব্যবস্থা থাকলে এ সমস্যার সমাধান হবে৷ এজন্য পুরা বৃটিশ আমল ঘেটে দেখলেও চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে কেউ নিহত হয়েছে এমন কোন ঘটনা পাওয়া যাবেনা৷
৪.০
চেয়ারে বসা নিয়ে এদেশের মানুষ কতটা ক্রেজি তা সরকারি চাকরিতে আসার আগে আমার জানা ছিলনা৷ আমি সরকারি চাকরিতে প্রথম যোগ দিয়েছিলাম চুয়াডাঙ্গায়৷ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনারও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে৷ সেখানে বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসসহ বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো৷ সেই অনুষ্ঠানে চেয়ার সাজিয়ে রেখে কোন চেয়ারে কে বসবেন তার পদবি লিখে ট্যাগ লাগানো হতো৷ এতেও চেয়ার নিরাপদ ছিলনা৷ আমরা জুনিয়র কর্মকর্তারা সেসব চেয়ার পাহারা দিতাম৷ তারপরেও কেউ কেউ জোর করে বসে পড়তেন৷ একবার বড় অতিথির চেয়ারে একজন বসে পড়েন৷ তাকে চেয়ার থেকে তুলতে গিয়ে কী তুলকালাম ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে৷ তিনি দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। পরিস্থিতি অবনতির কথা বলার আর অবকাশ নেই৷
তবে এ বিষয়টি নিয়ে গুগলে সার্চ দিলাম৷চেয়ারে বসা নিয়ে সংঘর্ষ
দেখলাম চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে এদেশে প্রচুর লোকজন হতাহত হয়েছে৷ কারণ কী! কারণ মানসিকতা৷ বৃটিশরা একসময় মানুষকে চেয়ারে বসতে দিতো না৷ যাদের বসার অনুমতি দেয়া হতো তারা নিজেদের সম্মানিত মনে করতেন৷ এই বোধটা পুরুষানুক্রমিক চলে এসেছে৷ স্বাধীনতা পেলেও এই গন্ধটা এখনো শরীর থেকে যায়নি৷ এজন্যই চেয়ারে বসা নিয়ে কামড়াকামড়ি চলে৷ এখনো যে মন মানসিকতায় এদেশের মানুষ স্বাধীন হয়নি- এটাই তার বড় প্রমাণ৷
বৃটিশদের এই প্রথা মোটেও ভালো কিছু ছিলনা৷ তবে এটা বলা যায় যে, তারা এদেশের মানুষের সাইকোলজিটা ভালোভাবে ধরতে পেরেছিলেন৷
১৯ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: সুলতানদের আমলের প্রামাণ্য ইতিহাস পাওয়া যায় জিয়া উদ্দীন বারানীর লিখিত তারিখ-ই- ফিরোজশাহীতে। বইটা পড়ে দেখেছি, হিন্দুদের সাথে শাসকদের ব্যবহার এমন ছিল যাতে তারা যে মুসলমান নয় সেকথা মনে করে যেন হীনমন্যতায় ভোগে। লেখক জিয়া উদ্দিন বারানীর বই থেকে সরাসরি একটা গল্প বলছি।
"এক মজলিসে সুলতান গিয়াস উদ্দিন বলবন, আদল খান ও তমর খানকে বলেছিলেন, তোমাদের কি মনে পড়ে না, সুলতান শহীদ শামস উদ্দিন আমাদের প্রভু থাকা কালে কনৌজের শাসনভার তদীয় পুত্র নাসির উদ্দিনকে প্রদান করেন এবং শাহজাদার প্রতিনিধিরূপে উজির বাহরুযের পুত্র খাজা আজিজ নিযুক্ত হন। নিজামুল মুলক জুনায়দী কনৌজের খাজা পদে টাঁকশালের কর্মচারী জামাল মারযুককে নিযুক্ত করে শাহী দরবারে উপস্থিত করেন। নায়েব ও খাজাকে শাহী পোশাক দেওয়ার পর তাঁদেরকে কদমবুসি করার সময় খাজা আজিজ সুলতানের পার্শ্বে দাঁড়িয়ে নিম্নের কবিতা উচ্চকণ্ঠে আবৃত্তি করেন,-
"নীচলোকের হাতে কোন দায়িত্বভার দিও না কারণ সে যদি সুযোগ পায় তবে কাবার কাল পাথরটিকে কুলুখ বানিয়ে ছাড়বে।"
এবং জামাল মারযুকের প্রতি বাদশাহের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সুলতানও বুঝতে পারেন যে খাজা আজিজ এই স্তবকটি জামাল মারযুকের নীচতার প্রতি ইঙ্গিত করতেই পাঠ করেছেন। তখনি তিনি উজির নিজামুল মুলক জুনায়দীকে ডেকে পাঠান। জামাল মারযুকের বংশ পরিচয় নিয়ে জানা যায় যে, সে নীচ বংশের লোক। উজির তার মতো নীচ বংশীয়কে নিযুক্ত করার কৈফিয়ত স্বরূপ বলেন যে, সে সুপুরুষ ও লেখাপড়ার কাজে খুবই অভিজ্ঞ। সুলতান এতে উজিরের প্রতি খুবই অসন্তুষ্ট হন এবং বলেন যে, বুদ্ধির দোহাই দিয়ে তুমি নীচ লোকদেরকে শাহী কাজে নিযুক্ত করে দরবারের অসম্মান করেছ। এই দিন সুলতান শামস উদ্দিন এত ক্রোধান্বিত হয়েছিলেন যে, সারা দিন তিনি অন্য কোন কাজে হাত দিতে সক্ষম হন নি।
এই প্রসঙ্গে তিনি তাঁর রাজ্যে বিভিন্ন পদে কতজন নীচ বংশীয় লোক কার্যরত আছে, তার সংখ্যা নিরূপণ করতে আদেশ দিলেন। অনুসন্ধান ও বিচারের পর দেখা গেল, এই শ্রেণীর তেত্রিশ জন লোক বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত রয়েছে। তাদের নাম ধাম ও পারিবারিক ইতিহাস সুলতানের সম্মুখে পেশ করা হলো। তিনি এক ফরমানেই সকলের পদচ্যুতির নির্দেশ দিলেন।"
এ বিষয়ে আমার গবেষণা রয়েছে। হয়ত বিস্তারিত কোনো একদিন লেখবো। প্রশাসনের কাজে বংশ পরিচয় দেখে নিয়োগের বিষয়টি পাকিস্তানের আমল পর্যন্ত ছিল। তার মানে দুটি শ্রেণি তৈরি করা হয়েছিল। উ
চু শ্রেণি বাদে শাসনের কাজে কাউকে নিয়োগ করা হতোনা। সুলতানি আমলের একটা বর্ণনা দিলাম। মোগল আমলের প্রামাণ্য ইতিহাস আবুল ফজলের আইনই আকবরি পড়লেই বুঝতে পারবেন কাদের সমাজের উচু স্তরে বসানো হয়েছিলো। কাদের মাধ্যমে শাসন কাজ পরিচালনা করা হতো।
ইংরেজরা এই প্রথার আমলাতান্ত্রিক রূপ দিয়েছিলো আর কি!
২| ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:০৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বৌভাতের অনুষ্ঠানে চেয়ারে বসা নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।
হায়রে চেয়ার!
এখনো মন মানসিকতায় এদেশের মানুষ সভ্য হয়নি।
১৯ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: এদেশে চেয়ার বিরাট একটা বিষয়! যারা চেয়ারে বসতে পারে তাদের চেহারাটাও পরিবর্তন হয়ে যায়!
ভালো থাকবেন।
৩| ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:১০
আরাফআহনাফ বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো।
ভালো থাকুন - আরো নতুন নতুন বৈচিত্রময় লেখা আশা করছি আপনার কাছ থেকে।
ধন্যবাদ সায়েমুজজ্জামান আপনাকে।
১৯ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আমার প্রশংসা করেছেন। এজন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ভালো থাকবেন।
৪| ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৩
প্রামানিক বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো। এতকিছু জানা ছিল না।
১৯ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪০
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ধন্যবাদ। প্রশাসনের বিষয়ে আমার কিছু গবেষণা রয়েছে। সেখান থেকেই এ লেখাটা।
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
৫| ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৩
আলামিন১০৪ বলেছেন: বর্তমানেও তেনাদের প্রেতাত্মাদের দেখা মিলে খোদ বাংলাদেশে। একটা সত্য কি বলবেন মশাই? ব্রিটিশ ব্যুরোক্রেটিক সিস্টেম থেকে আমরা করে বেরুতে পারব? সেদিন এক তদন্ত কাজে কোন এক জেলার ডিসি অফিসে গিয়েছিলাম। নন-ক্যাডার গ্রেড-৪ এর
এক অফিসারের সাথে ৯ম গ্রেডের এক ব্রাহ্মনের কথা বলার ধরন দেখে আমি টাস্কিত । আশার কথা হলো, প্রকৌশলীরা, ব্রাহ্মন পদ দখল করা শুরু করেছে। অঙ্ক বিজ্ঞানের বিষয় কাট-ছাট করেও আজকাল খুব একটা সুবিধা হচ্ছে না।
১৯ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: জানিনা ভাই আপনি কে! পরিচয় তো নেই। অন্ধদের দেশে চোখ নিয়ে জন্ম নেয়ার পাপ বলতে একটা কথা রয়েছে। আমার পরিচয় দেয়া হয়েছে। জীবনে আর্ট করে জীবিকা নির্বাহ করেছি। দশ বছর সাংবাদিকতা করে জীবন চালিয়েছি। এখন প্রশাসনের জব করি। কাউরে ডরাই না। এজন্য নিজের নামেই লেখালেখি করি। আর আপনি এই সুযোগটা নিলেন। নিজের পরিচয় আড়ালে রেখে আমার প্রফাইলে এসে ল্যাং মেরে চলে গেলেন। এটা কাপুরুষতা ভাই!
আপনার জন্য আমার খারাপও লাগছে। কেন লাগছে জানেন! মানুষের বাচ্চা একটা হয়। একটা প্রাণির বাচ্চা অসংখ্য। রবীন্দ্রনাথ শেষের কবিতায় বলেছিলেন, ভালোর সংখ্যা যত কম হয় তত ভালো। ভালোর সংখ্যা বেশি হলে হয় মাঝারি। বেসামরিক প্রশাসনকে মাঝারি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ২৮টি ক্যাডার তৈরির মাধ্যমে। এখন আরেকটি ট্রেন্ড লক্ষনীয়। সংখ্যায় বেশি ধরে ধরে নিয়োগ দেয়া! এর সমালোচনা করতে চাইনা। তবে এটা বলছি এ কারণে যে এখন ঘরে ঘরে এডমিন ক্যাডার! কোটার বদৌলতে অনেকের কপালই খুলে গেছে। আমার দুঃখ লাগে ভাই! এই সময়ে দেশে হাটলেও এডমিন ক্যাডারের সাথে ধাক্কা লাগে! আর আপনার গোষ্ঠিতে একজন এডমিন ক্যাডার নাই। দুঃখজনক ভাই! আপনার গোষ্ঠিতে আপনিই মনে হয় বড় শিক্ষিত তা মন্তব্য পড়ে বুঝা যায়! গোষ্ঠিতে একজন এডমিন ক্যাডার থাকলে এই মন্তব্য করতেন না। অনলাইনে একটি পেশার বিরুদ্ধে তারই একজনের কাছে ঘৃণা ছড়াতেন না। দিনশেষে সবাই চাকরি করি। কেউ পিয়ন। কেউ কেরানি। কেউ এই ক্যাডার। কেউ সেই ক্যাডার! দিন শেষে সবাই সবার ভূমিকায় অভিনয় শেষে ঘরে ফেরে। সেখানেও অফিসের ক্যাচাল নিয়ে আসলে কেমন হয় ভাই! এক কাজ করেন। পাশের দেশ ভারতে যান। আইএএস অফিসারদের অন্য ক্যাডারের অফিসারদের প্রতি ব্যবহারটা দেখে আসেন। তারপর তুলনা করেন।
যাই হোক ভাই মনে কষ্ট নিয়েন না। আপনার গোষ্ঠিতে এডমিন ক্যাডার না থাকলে ক্ষতি নেই। আপনার কমেন্টে বুঝা যাচ্ছে আপনি একজন ইঞ্জিনিয়ার। এই ব্লগে আমার নাম দেয়া রয়েছে। গুগল করেন। আমার পরিচয় পেয়ে যাবেন। অফিসে চলে আসেন। দেখা করে যান। একজন এডমিন অফিসারকে ভাই বানিয়ে যান। দেখবেন নিজের ভাইয়ের ক্যাডারের বিরুদ্ধে তার কাছে আর কিছু বলতে ইচ্ছা করবেনা।
ভাই বানাতে না পারেন। আত্মীয় বানাতে পারেন। আর আমি এখনো অবিবাহিত। বয়সটা একটু বেশি। এই যা সমস্যা!!
৬| ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৪
কামাল১৮ বলেছেন: বৃটিশরা এদেশের মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করেছিলো।হিন্দু আর মুসলমান।হিন্দুরা বৃটিশদের সাথে মিশে যায় মুসলমানরা দুরে সর্ থাকে।
২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪১
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: মুসলমানদের এই অবস্থানের পেছনে কিছু কাঠ মোল্লারও অবদান রয়েছে। তারা ইংরেজিকে বিধর্মীদের ভাষা হিসেবে আখ্যা দেয়। ইংরেজি শিক্ষাকে হারাম ঘোষণা করে। ফলে মুসলমানরা শিক্ষা দীক্ষায় পিছিয়ে পড়েছিল।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
৭| ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৭
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: এগুলো করার পেছনে শক্ত যুক্তি ছিলো। যে কাজের জন্য যেমন উপযুক্ত কর্মী দরকার। আমরা শুনেছি ব্যাংকের চাকরীও দেওয়া হতো বংশ দেখে। যুক্তি ছিলো গরীব চুরি করবে।
২০ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৮
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: তবে বর্তমানে সংবিধান অনুযায়ী এ ধরণের শ্রেণি বৈষম্য করার সুযোগ নাই। তবে আমার অভিজ্ঞতায় বলে অভিজাত পরিবারের সন্তানেরা সরকারি চাকরিতে দুর্নীতি কম করেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৩
বিষাদ সময় বলেছেন: প্রতিদিন নতুন নতুন বিষয়ের উপর আপনার লেখা বেশ ভাল লাগে। আশরাফ, আতরাফ সম্পর্কে সামান্য জানা ছিল। তবে আমার জানাটা আপনার লেখার চেয়ে একটু ভিন্ন রকম।
সে যাহোক মুঘলদের হাতে যে প্রথার সূচনা তার সম্পূর্ন দায় চাপিয়ে দিলেন বৃটিশদের ঘাড়ে!!
ধন্যবাদ।