নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাজী সায়েমুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে কিউং হি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ট্রেড পলিসি বিষয়ে মাস্টার্স। জন্ম ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম শহরের দামপাড়ায়। তার পূর্বপুরুষ ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের বাউফলের ঐতিহ্যবাহী জমিদার কাজী পরিবার। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখিতে হাতে খড়ি। তবে ১৯৯৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত হন। তিনি যুগান্তর স্বজন সমাবেশের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহবায়ক। ২০০৪ সালে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেন। পরে ইংরেজী দৈনিক নিউ এজ এ সিনিয়র প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীতে ২৮ তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের একজন সদস্য হিসেবে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সিনিয়র সহকারী কমিশনার, সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রেক্টর (সচিব) এর একান্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনডিপিতে লিয়েনে চাকরি করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামে ন্যাশনাল কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। শিল্প সচিবের একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷বর্তমানে সরকারের উপসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলা ছাড়াও ইংরেজী, আরবী, উর্দ্দু ও হিন্দী ভাষা জানেন। ছোটবেলা থেকেই কমার্শিয়াল আর্টিস্ট হিসেবে পরিচিত ছিলেন। যেকোনো প্রয়োজনে ইমেইল করতে পারেন। [email protected]
আমি বেশ কয়েকজন আরবীভাষী সহপাঠি পেয়েছি । তাদের মধ্যে দু'এক জন আবার নাস্তিক। একজনের সাথে কোরআন নিয়ে কথা হয়েছিল। সে আমাকে জানালো, কোরআনে অনেক ভুল আছে। তাকে বললাম, দেখাও কোথায় কোথায় ভুল আছে। সে যা দেখালো তা একবচন বহুবচন সম্পর্কিত। বললো, গণিতেও ভুল আছে। উত্তারাধিকারদের মধ্যে কোরআনের নিয়মে সম্পদ বণ্টণ করলে কম বেশি হয় । আমি বললাম, পাগলা, কোরআন মজিদ বুঝতে হলে কোরআনের দৃষ্টিতে দেখার দরকার। ব্যাকরণের সৃষ্টি হয়েছে কোরআনের বহু বছর পরে। আরবী ব্যাকরণের ভিত্তিটাও কোরআন। একারণে ব্যাকরণ দিয়ে কোরআনের ভুল ধরা যায়না। আর কোরআনের একবচন বা বহুবচন ব্যবহারের প্রেক্ষাপট কারণ রয়েছে। সম্মানের ভিত্তিতে এবচন বা বহুবচন ব্যবহার করা হয়েছে। এগুলো বুঝতে বালাগাত বা অলঙ্কার শাস্ত্র পড়তে হবে। আর উত্তারাধিকার বণ্টনে কোরআন মিলিয়ে দিলে মুসলমানরা গণিত নিয়ে গবেষণা করতেন না। এর ফলে গবেষণা করতে হয়েছে। এতে আউল আর রাদ ধারণার উদ্ভব হয়েছে। তাছাড়া কোরআনে বলা হয়েছে, ওয়া ফি আমওলিকুম হক্কুন লিসায়িলি ওয়াল মাহরুম। ‘তোমাদের সম্পদে ভিক্ষুক ও বঞ্চিতদের হক রয়েছে।’ সম্পদ বণ্টন উত্তারাধিকারদের মধ্যে মিলে গেলে এই আয়াত বেকার হয়ে যেতো। এটি কারো ভাবনায় আসতোনা। বণ্টন করতে গিয়ে বেশি থাকলে রাদ না করেও গরীবদের দিয়ে দিলেই তো হয়। এছাড়াও কোরআনের মতো একটি আয়াত বানিয়ে দেখানোর যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে এটাও সে মানতে নারাজ। সে বলেছে, কিছু দিন আগে করোনার সময় তিউনিশিয়ার একজন করোনা নিয়ে সুরা কারিয়াহ এর আদলে একটা সুরা বানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে। এতে ব্যাপক দাঙ্গা হাঙ্গামা হয়। একারণে সবাই এটি এড়িয়ে চলে। আমি তাকে বললাম, কুরআন হলো ইউনিক। দশভাবে এটিকে পড়া যায়। এটা না কবিতা না প্রবন্ধ। পাঠ পদ্ধতি বা তেলাওয়াতের কারণে অন্য ধর্মগ্রন্থের সাথে পার্থক্য তৈরি হয়েছে। কোরআনের মতো সুরা তৈরির যে চ্যালেঞ্জটা ছুড়ে দেয়া হয়েছে তা হলো- কোরআনের আদলে সুরা তৈরি নয়। এরকম ইউনিক আরেকটা কোরআন বা সুরা তৈরির চ্যালেঞ্জ দেয়া হয়েছে।
আমি তাকে বললাম, আমাকে সাড়ে ১৪ শ বছর আগের বাংলা পড়ে শুনানো হলে, আমি কিছুই বুঝবোনা। অক্ষরও চিনবোনা। কত বিবর্তন হয়েছে। অথচ কোরআনের আরবী ঠিক এত সময় পরেও স্টান্ডার্ড আরবী। কোন আরবী ভাষাভাষীর বুঝতে একটুও কষ্ট হয়না। আমাদের যাদের মাতৃভাষা আরবী নয়; যারা বিদেশী তবে কোরআনের আরবী বুঝি; তারা কোরআনের আরবী দিয়েই আধুনিক আরবী বুঝতে পারি। যদিও আরবী কথ্য ভাষায় পরিবর্তন হয়েছে।
যাই হোক, কোরআনের বিরোধীতাকারীদের জবাব দিতে এ বিষয়ে কথা বলার উদ্দেশ্য নয়। উদ্দেশ্য হলো- এটা জানানো যে, আরবীভাষীদের মধ্যেও নাস্তিকতা বাড়ছে। এরা আধুনিক শিক্ষিত। তাদের সাথে কথা বলে যা বুঝলাম, ইসলাম নামধারী একটি অংশের উগ্রতা মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ হানাহানির পেছনের কারণ বলে তারা মনে করছে। কেউ এই দুর্ভোগ ও মৃত্যূর জন্য ইসলামকেই সরাসরি দায়ী করছে। ফলত: তারা ধর্ম ছাড়ছে। বর্তমান বিশ্বে অনেকে যেমন মুসলমান হচ্ছেন। আবার অনেকে ইসলাম ধর্মও ত্যাগ করছেন। ইসলামত্যাগী বিখ্যাত মানুষের তালিকা উইকিপিডিয়াতেও আছে। এদের কেউ উগ্র নাস্তিকও হচ্ছে। সম্প্রতি ইরাকের একজন সুইডেন প্রবাসি বারবার কোরআন পুড়িয়ে অবমাননা করেছে। সে আরবীভাষী উগ্রপন্থী নাস্তিকদেরই একজন।
এখন প্রশ্ন হলো- কোরআন পোড়ানো যায় কী না? এ বিষয়ে আলোচনা করা যাক। কোরআনের ১০৬টি আয়াতে কোরআন সম্পর্কে বলা হয়েছে। একটি আয়াতে বলা হয়েছে, কোরআন মজিদ আল্লাহ নাযিল করেছেন। আর আল্লাহই এই কোরআন সংরক্ষণ করবেন। এ কারণে কোরআনকে ধ্বংস করা সম্ভব নয়। এর বড় প্রমাণ হলো- বর্তেমানে বিশ্বে প্রায় সাড়ে ছয় কোটি কোরআনের হাফেজ রয়েছে। একদল মনে করে, কোরআন ছাপানো পুস্তক পুড়িয়ে দিলে বা ছিড়ে ফেললেই তা ধ্বংস হয়ে যাবে। এরা পুরাপুরি বোকার স্বর্গে বাস করে। আবার একদল মনে করে, কাগজে লেখা যে কোরআন তা আগুনে পুড়েনা। এদেরও কোরআন সম্পর্কে সাধারণ ধারণার অভাব রয়েছে। এ কারণেই কোথাও অগ্নিকান্ডের পর প্রায়শই দেখা যায়- কোরআন পুড়েনি বলে প্রচার করা হচ্ছে৷ আর তাতে বেকুব লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়ছে৷ তো আমার প্রশ্ন হলো- কোরআনের বই না পুড়লে সুইডেনে পুড়ালো কীভাবে?
শেষের এই শ্রেণির মানুষের যে বিষয়টা জানা দরকার তা হলো- কোরআন হচ্ছে- শব্দ (লফজ) ও অর্থ (মানাআ) দুটার সমন্বয়। যখন এটা পড়া হয়- তখনি এটা কোরআন। আর কোরআনের শাব্দিক অর্থও পঠিত। মাদরাসায় কোরআনের এ বিষয়ে পড়ানো হয়। সেখানে এ বিষয়ে বিস্তারিত পড়তে হয়। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে- হালিল কুরআনু লফজান আও মাআনান? কোরআন কী শব্দের নাকি অর্থের? এ বিষয়ে ইমামদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। ইমাম আবু হানীফা রা. এক সময় মনে করতেন অর্থটাই কোরআন। কারণ কোরআনে বলা হয়েছে, ওয়া ইন্নাহু লা ফি ঝুবুরিল আউয়ালিন- কোরআন পূর্ববর্তী কিতাবেও রয়েছে। (সুরা শুআরা:আয়াত ১৯৬) অথচ পূর্ববর্তী কিতাবগুলো আরবীতে লিখিত ছিলনা। একারণে ইমাম আবু হানীফা রা. ফারসিতে কোরআন পড়া যাবে বলে মত দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে হানাফী স্কুল অব থটের ইমাম হযরত আবু ইউসুফ রা. ও ইমাম মুহাম্মদ রা. বলেছিলেন, নামজে আরবীতেই কুরআন পড়তে হবে। শেষ বয়সে ইমাম আবু হানীফা রা. অবশ্য এটা মেনে নিয়েছিলেন। সবশেষ কথা হলো- হানাফী মাজহাবের মতে, কোরআন হলো শব্দ ও তার অর্থের সমন্বয়। কোরআন শুধু শব্দ নয়। শুধু অর্থও কোরআন নয়। তাহলে অর্থ না বুঝে শুধু কোরআন পড়লে কী সওয়াব হবেনা? এই বিষয়টা স্পষ্ট করা প্রয়োজন। সেটা হলো- কোরআন বুঝে পড়ুক বা না বুঝে পড়ুক পড়লেই সওয়াব পাওয়া যাবে। তবে অর্থ বুঝে পড়াটাই ভালো।
সবশেষে বলা যায়, আগুনের বৈশিষ্ট্য পুড়িয়ে দেয়া। এজন্য কাগজে লেখা যেকোন কিছু আগুনে পুড়বে। তাতে কোরআনের কিছু লেখা থাকলে তাও পুড়বে। তবে কাগজে লেখা কোরআনের শব্দগুলো একটি দৃশ্যমান অংশ। এটা আবার অদৃশ্যভাবে বুকেও ধারণ করা যায়। আরেকটি অদৃশ্য বিষয় হচ্ছে- অর্থ। আল্লাহ যা বলেছেন। যখনি পড়া হবে-এই দুটি বিষয় একত্রিত হয়ে কোরআন হবে। এটা পোড়ানো সম্ভব নয়। কেউ কোরআন বইটি পুড়ে ফেললে সেটা কোরআনের অবমাননা হবে নিশ্চয়ই। তবে সে কোরআন পুড়িয়ে দিয়েছে- এমনটা কোনক্রমেই সম্ভব নয়। এছাড়াও সাড়ে ছয় কোটি কোরআনের হাফেজের বুকে আগুন দেয়া সম্ভব নয়। কোরআন হলো নুর। এ নুর নির্বাপিত করাও সম্ভব নয়।
২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ওই দেশে কোরআন পোড়ানো হলে হাউকাউটা এদেশেই করা হয়। যারা হাউ কাউ করেন তারা জেনে নিক আসলেই কোরআন পোড়ানো যায় কী না! এ লেখা পড়লে হাউকাউ কমবে।
২| ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩
অহন৭১ বলেছেন: কোরআন কী পোড়ানো যায়! কেন যাবে না?? সেই ১৪০০ বছর আগেই কোরআন পোড়ানো শুরু হয়।
আমাদের হাতে যে কোরআন রয়েছে তা খলিফা ওসমান সংকলন করেছেন। সে সময়, খলিফা ওসমান নিজের বুঝমত কোরাআনের অনেক সূরা/আয়াত সংরক্ষণ করেন, আবার অনেক সূরা/আয়াত পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেন। তা ছিল এক হজবরল দশা। কোরআনের সূরা নাজিলে ক্রম, সূচি, dialect.... কোন কিছুরই তোয়াক্কা করেন নি তিনি। যে কারনে খলিফাদের মাঝে খুনাখুনিও হয়েছে।
আবার কোরআনের আয়াত ছগলে খেয়ে হজম করে ফেলেছে, এমন অকাট্ট প্রমানও আছে।
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রজম সম্পর্কিত আয়াত এবং বয়স্ক লোকেরও দশ ঢোক দুধপান সম্পর্কিত আয়াত নাযিল হয়েছিল, যা একটি সহীফায় (লিখিত) আমার খাটের নিচে সংরক্ষিত ছিল। যখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তিকাল করেন এবং আমরা তাঁর ইন্তিকালে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়লাম, তখন একটি ছাগল এসে তা খেয়ে ফেলে। (সহীহুল বুখারী ১৪৫২, নাসায়ী ৩৩০৭, ২০৬২, মুয়াত্তা মালেক ১২৯৩, দারেমী ২২৫৩) হাদিসের মানঃ হাসান।
২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩০
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: লেখাটা ভালো করে পড়ুন। কোরআন কী সেটা জানুন। কোরআন পাঠ না করা পর্যন্ত সেটা কোরআন নয়। তারপর বলুন, কোরআন পোড়ানো যায় কীনা!
আমাদের নবী দঃ হযরত ওসমান রাঃ কে বলে গেছেন হযরত ওসমান রাঃ কোরআন একত্রিত করবেন। ওই সময় অনেক হাফেজ ছিল। এখনো দুই থেকে ছয় কোটি মুসলমান কোরআনের হাফেজ। নাইজেরিয়ার ঘরে ঘরে হাফেজ। বাংলাদেশেও হাফেজের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। বুকে ধারণ করা এই কোরআনও পোড়ানো সম্ভব না।
৩| ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৬
ধুলো মেঘ বলেছেন: কবি হাফেজ আহমেদ নামের একজন ব্লগারকে খুব মিস করছি। উনি বিভিন্ন সময়ে কুরআনের বিভিন্ন ভুল ধরে পোস্ট দিতেন। সামূ কর্তৃপক্ষ বিনা কারণেই তাকে ব্যান করেছেন।
২০ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:১১
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ইসলাম এবং কোরআনের বিরুদ্ধে গত চৌদ্দশত বছর ধরে অনেক বই লেখা হয়েছে। এখনো প্রতিনিয়ত লেখা হচ্ছে। এই লেখা ইসলামের বিন্দু পরিমাণও ক্ষতি করতে পারেনি।
অথচ জঙ্গীরা ১৯৭৯ সালে মক্কা আক্রমণের মাধ্যমে জঙ্গীবাদের যে সূচনা করেছিল তার ডালপালা পুরা মুসলিম বিশ্বে কালো ছায়া ফেলেছে। এরা ইসলামের বিস্তার থামিয়ে দিয়েছে। এরা ইসলামের যে পরিমান ক্ষতি করেছে তা আর কেউ করতে পারেনি।
ধন্যবাদ।
৪| ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনার দাবির সাথে অনেক কিছুই মিলেনা।
এত গর্ব করা ঠিক না।
হযরত মুহাম্মদ বেঁচে থাকতে কোরআনকে বইয়ের আকারে লেখা বা ছাপানো যায়নি। অর্থাৎ উনি কোরআন চোখে দেখে যেতে পারেননি।
কোরআনের কোন আয়াত আগে পরে হবে এই নিয়ে দ্বন্দ্বে খলিফা ওসমানকে হত্যা করা হয়। কোন বাইরের শত্রু তাকে হত্যা করেনি নিজের দলের ভিতরেই কোন্দলের ভেতর তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় মসজিদের ভেতরে। কোরআন লেখাররত অবস্থায়।
ইসলামের চার খলিফার তিন খলিফাই দলীয় কোন্দলে নিহত হয়েছিলেন।
আর আরবি ভাষা নিয়ে এত গর্ব করার কিছু নেই।
১৪০০ বছর আগে আরবি ভাষা আরবি অক্ষর সম্পূর্ণ আলাদা ছিল, সেই সময়কালের লিখিত কোরআন কেউ পড়তে পারবে না, কারণ বর্ণমালাই ছিল আলাদা ধরনের, অনেক পুরনো আরবি পুস্তক ৬০০+ সালের হাতে লিখিত কোরআন এখনো ব্রিটিশ জাদু ঘরে আছে। হাইলি এক্সপার্ট আর্কিও লজিস্ট বর্ণমালা বিশেষজ্ঞ ছাড়া এসব পুস্তকের পাঠউদ্ধার সম্ভব নয়। তখন ৫০% আরবি বর্ণ ছিলই না। এরপর ১০০০ বছরের বিবর্তনে বর্তমানের আরবি ভাষা এসেছে এবং নতুন নতুন বর্ণমালা যুক্ত হয়েছে।
২০ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৯
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: হযরত মুহাম্মদ দঃ এর ইন্তেকালের সময় কতজন সাহাবা হাফেজ ছিলেন? কুরআন তখন বুকে ধারণ করা হতো। মুখস্ত করার উপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হতো। রাসুল দঃ এ
র আমলেও কোরআন ছিল।
বুখারি শরিফের এক বর্ণনায় এসেছে, হজরত ইবনে ওমর (রা.) বলেন, 'রাসুল (সা.) কোরআন নিয়ে শত্রুদের ভূখণ্ডে সফর করতে নিষেধ করেছেন।' (বুখারি শরিফ, খ. ১, পৃ. ৪১৯)
ইয়ামামার যুদ্ধে ৭০ জন সাহাবা শাহাদত বরণের পর হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব রাঃ এর অনুরোধে হযরত আবু বকর রাঃ কোরআনকে সংকলনের নির্দেশ দেন। পরে একটি কুরআনের সংকলন করা হয়। আবু বকর (রা.) সংকলিত কোরআনকে পরিভাষায় 'উম্ম' বা আদি কোরআন বলা হয়। এটিই ছিল সুবিন্যন্থ প্রথম লিখিত বই আকারে কোরআন। এটি সাত হরফ বা সাত কেরাতে লেখা হয়েছিল।
হজরত আবু বকর (রা.) সংকলিত কোরআনটি মৃত্যু পর্যন্ত তাঁর কাছেই ছিল। এরপর উমর (রা.)-এর কাছে। তাঁর শাহাদাতের পর নিজ অসিয়ত মোতাবেক রাসুল (সা.)-এর স্ত্রী, নিজ কন্যা হাফসা (রা.)-এর কাছে রেখে যান। অতঃপর মারওয়ান বিন হাকাম তাঁর রাজত্বকালে এ কপিটি চাইলে তিনি তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। হাফসা (রা.)-এর ইন্তেকালের পর মারওয়ান এ কপি হজরত ইবনে উমর (রা.)-এর কাছ থেকে নিয়ে যান।
পরে তিনি কোরআনের সে কপিটি আগুনে জ্বালিয়ে দিয়েছেন। কারণ যে উসমান (রা.)-এর খেলাফত আমলে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তুতকৃত কপির সঙ্গে এর কেরাতের পার্থক্য ছিল। এ নিয়ে মতপার্থক্যের ফেতনা যাতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।
হযরত উসমান (রা.) সাত কেরাতের পরিবর্তে এক কেরাত, আঞ্চলিক একাধিক ভাষার পরিবর্তে প্রমিত এক ভাষায় কোরআন সংকলন করেছেন। (উলুমুল কোরআন, তকি্ব উসমানি, পৃ. ১৮৬-১৮৭) এটিই সর্বসম্মত। হযরত আলী রাঃও হাফেজ ছিলেন। তিনি খেলাফতের দায়িত্ব পাওয়ার পরেও কোরআন নিয়ে কোনো মতপার্থক্য করেন নি।
আরবী অক্ষরের পরিবর্তন হয়েছে। তবে ওই সময়কার রাসুল দঃ এর প্রেরিত চিঠিগুলো পড়তে পারি। বর্ণমালার পরিবর্তন হয়েছে। কেরাতের পরিবর্তন হয়নি। আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। এই আয়াত তখনো যেভাবে পড়া হতো এখনো পড়া হচ্ছে। একই উচ্চারণ। একই মাখরাজ। একই তাজবিদ।
আমরা হেজাজি খতেও আরবী লিখেছি। এটা সাধারণ মানুষ পড়তে পারবেনা। তবে পাঠের পরিবর্তন নেই।
এটা অবশ্যই ব্যতিক্রম।
৫| ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৯
বিষাদ সময় বলেছেন: বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর- তাই বিশ্বাস নিয়েই থাকুন, বিতর্কে না জড়ানোর অনুরোধ রইল। এক সময় এসব নিয়ে সামান্য পড়ালেখা করেছি। এখন বয়স হয়েছে তাই আর জল ঘোলা করতে চাই না। ভাল থাকুন সৎ ও বিশ্বাসী থাকুন সেই কামনা।
২০ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৪২
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: এই লেখা পড়ে বুঝলে কেউ তর্ক করতে আসবেনা। বিতর্কের কোনো সুযোগ নেই।
ধন্যবাদ।
৬| ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:০৪
এম ডি মুসা বলেছেন: কোরআন একটি বিদ্যা, একটি কিতাব, একটি উপদেশ, এটি সত্য পথে চলার জন্য নির্দেশ। আপনি এগুলি পুরে ফেললে কারো ক্ষতি হবে না এটা মানুষের জন্য তৈরি হয়েছে। একটা মানুষের মঙ্গলের জন্য আসছে আপনি জাহান্নামে গেলে কার কে যায় আসে। আপনি মানলে মানবেন না মানলে নাই। তবে কেউ যদি সত্যের বাণী ফুরিয়ে ফেলে অবশ্যই তার মস্তিষ্কে করন হবে,, যদি সেটা সত্য হয়।
২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৩
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: কী লিখছুইন ভাইছা।মাথার উপ্রে দিয়ে গেছে।
আল্লাহ আপ্নারে হেফাজত করুন। আমিন।
৭| ২০ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২০
কামাল১৮ বলেছেন: মুসলমানদের কাছে কোরানে ভুল থাকার কোন সম্ভাবনাই নাই।কারণ,একথা বিশ্বাস করলে সে কাফের হয়ে যাবে।তা হলে ভুল থাকে কি করে।
২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:০২
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ভালো বলেছেন। তবে যারা ভুল রয়েছে বলেন, তারা উসুল বালাগাত পড়েন নাই। পড়লে আর ভুল বলতেন না।
৮| ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৩
শেখ সোভানা ইয়াসমিন বলেছেন: আপনি যথার্থই বলেছেন কোরআন হলো নূর যা শুধু বইয়ের পাতায় না অন্তরে ধারন করা হয় তাই কোরআন পুড়ানো সম্ভব নয়, বড় জোর কাগজ পুড়তে পারে তবে আক্ষরিক অর্থে কোরআন পোড়ানো সম্ভব নয়।
২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৩
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৯| ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: কয়েক বছর আগে লঞ্চে আগুন লেগে এক কোরানে হাফেজ পুড়ে অঙ্গার হয়ে গিয়েছিল।
২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:০২
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ভাই। হাফেজের অভাব নাই। ঘরে ঘরে হাফেজ। আমার এক ভাই। তিনিও হাফেজ। ইসলামের এই দিকটির কাছে পৃথিবীর ইতিহাসে কোন ধর্ম বা কোনো গোত্রের তুলনাই হয়না। এটা অবিশ্বাস্য বিষয়। ত্রিশ পাড়া কোরআন মুখস্ত করা অনেক কঠিন। কারণ আয়াতের সাথে আয়াতের শব্দ রয়েছে। যাই হোক এটা আমার কাছে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বড় ধরণের অলৈকিক বিষয় মনে হয়। আপনিও একটু চিন্তা করে দেখতে পারে।
ভালো থাকবেন।
১০| ২১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৩
নতুন বলেছেন: দুনিয়াতে সবচেয়ে অবাক একটা বিষয় হইলো কোরানে হাফেজ হওয়া।
একজন হাফেজ ৬২৩৬ আয়াত মুখস্ত করে রাখে কিন্তু তার অর্থ জানে না।
প্রায় সব হাফেজই সমাজে কম আয় করে এবং কস্ট করে জীবন জাপন করে।
দেশে সরকার এতিম বাচ্চাদের দেখাশুনার ব্যবস্থা করলে দেশে এতো এতিম খানা / মাদ্রাসা থাকতো না।
২১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: সব হাফেজরাই কোরআনের অর্থ জানে। কারণ হাফেজি করেই কেউ তার শিক্ষা জীবন শেষ করেনা। আর কোরঅানের ভাষা সহজ। অর্থ সহজ। তবে আমি তাফসির পড়েছি। তাফসিরের আরবী কঠিন। এটা অনেক হাফেজের পড়া হয়না। কেউ কামিলে তাফসির নিয়ে পড়লে ভিন্ন কথা। তবে আলিমে তাফসিরে জালালাইন পড়ানো হয়। এটা কওসি মাদরাসায়ও পড়ানো হয়। প্রাথমিক শিক্ষাটা হয় কোরআনের অনুবাদ শিখে। পরবর্তিতে তাফসির পড়তে শুরু করে।
এখন ধনী লোকের সন্তানদেরকেও মাদরাসায় পড়ানো হয়। আমি যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি. সেখানের একজন অতিরিক্ত সচিব (যিনি বুয়েটের ছাত্র ছিলেন) এবং একজন উপসচিব (যিনি ইংলিশ সাহিত্য নিয়ে পড়েছেন) সন্তানদের মাদরাসায় পড়াচ্ছেন। দেশে আধুনিক
শিক্ষা প্রদানের এতিমখানা করা দরকার। আমার আধুনিক শিক্ষা দেয়ার একটা এতিমখানা করার ইচ্ছা আছে। হাফেজ হওয়ার পর আরবী শেখানোর সাথে আধুনিক শিক্ষা দেয়ার সুযোগ রয়েছে। এদের সাথে সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থায় পড়ুয়ারা টিকবেনা। অভিজ্ঞতা বলে আর কি! সমস্যাটা হচ্ছে মাদরাসায় মেধাবি ছাত্রদের সংখ্যা তুলনামূলক কম। যারা মেধাবি তারা খুবই ভালো করে।
আমি মাদরাসায় পড়েছি। আপনাদের মতো সাধারণ শিক্ষায় পড়েছি। আর্ট কলেজে পড়েছি। দেশে ঢাবিতে পড়েছি। বিদেশে ইকোনোমিক্স পড়ে এসেছি। এখন পিএইচডির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। মাদরাসা শিক্ষা আমার মতো মাঝারি ছাত্রকে অনেক কিছু দিয়েছে। পাঁচটার মতো ভাষা জানি। আমার লেখা পড়লে কিছুটা বুঝবেন।
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
১১| ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:১৭
নতুন বলেছেন: আপনি উন্নত শিক্ষা পেয়েছেন। বিদেশী সমাজের মানুষদের দেখেছেন।
আপনি কেন হাফেজী পড়ে দেশে থাকলেন না। এবং আপনি কি আপনার সন্তানদের দেশে হাফেজ বানাতে দেশের মাদ্রাসায় পাঠাবেন? নাকি বির্ধমীদের দেশেই তাদের স্কুলে পড়াবেন?
আমরা অন্যের জন্য মাদ্রাসা ভালো বলি কিন্ত নিজের সন্তানদের ওখানে দিতে চাইনা।
আপনার কি মনে হয় বিদেশের মতন স্কুল এবং চিকিতসা ব্যবস্থা দেশের মানুষের পাওয়া উচিত। না কি বিদেশের স্কুলগুলি আমাদের মাদ্রাসার অনুকরনে তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তান করা উচিত?
১২| ২৪ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৫
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আমি সবসময়ই আধুনিক শিক্ষার পক্ষে। একটা এতিমখানা করার চেষ্টা করছি যেখানে এতিমদের আধুনিক শিক্ষা দেয়া হবে।
আমি যেটা বলতে চাচ্ছি হাফেজ হওয়ার পরেও আধুনিক শিক্ষা গ্রহণ করা যায়। ঢাকার কয়েকটি ইংরেজি স্কুল তাদের শিক্ষার্থিদের হাফেজ বানিয়ে চমক দেখিয়েছে।
আপনি শিক্ষা ও চিকিৎসা বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। আপনার পর্যবেক্ষণ শক্তি ভালো। আমি একসময় সাংবাদিকতা করতাম। দশ বছর সাংবাদিকতা ছেড়ে আসার সময় যে নোট লিখেছিলাম তা এই সামুতেও দেয়া আছে। সেখানেও শিক্ষা ও চিকিৎসা নিয়ে আমার উদ্বিগ্নতা দেখতে পাবেন।
ধন্যবাদ।
১৩| ২৭ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৪
নতুন বলেছেন: আরবী যাদের মাতৃভাষা না তারা হাফেজ হলে তারা কোরানের সকল আয়াতের অর্থ জানে?
দেশের কতভাগ পোলাপাইন সচ্ছল পরিবারের? যারা মাদ্রাসায় হাফেজী পড়ে?
দেশে মাদ্রাসা চলছে লেজ কাটা শেয়ালের গল্পের মতন। যারা বর্তমানে হাফেজী/আলেম ফাজেল পড়েছে তারা সমাজে চলার মতন কোন লাইফ স্কিল শেখেনাই। তারা কিভাবে আয় রোজগার করবে?
দেশের সরকার দরিদ্র এবং ইয়াতিম যাদের দেখাশুনার কিছু করছেনা। তাই মাদ্রসার নামে মানুষের দান খয়রাত নিয়ে এসব প্রতিস্ঠান চলছে এবং মাদ্রসার সাথে জড়িতরা করে কেটে খাচ্ছে।
সব যুগেই কিছু অন্ধধামিক থাকবে। তারা তাদের সন্তানদের হাফেজ বানাতে মানত করবে জান্নাতের চাবি হিসেবে ব্যবহারের জন্য।
কিন্তু দেশের মাদ্রসার বড় একটা অংশই আসে অতি দরিদ্র জনগনের মাঝ থেকে। সরকার এদের খাদ্য, বস্র, শিক্ষার ব্যবস্থা করলে মা্দ্রাসা বন্ধ হবার উপক্রম হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:০৬
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
এই বাংলায় কেউ কোরান পোড়াবে না,যে দেশে পোড়ানোর সম্ভাবনা আছে ঐ খানে সামু ব্লগ নেই।