নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় আমি একজন মুসলমান।[email protected]\nwww.Sahidesarwar.wapka.mobi

সাদামাটা একটি ছেলে

আস্লামুয়ালাইকুম,আমি মোঃ সারোয়ার হোসেন।To know me more plz go facebook & search সাদামাটা একটি ছেলে

সাদামাটা একটি ছেলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

অহংকারীরা জান্নাতে যেতে পারবেনা!

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০২

যে কারণে আমল ভাল হলেও
জান্নাতে যেতে পারবেন না আপনি
অহংকার একটি খারাপ গুণ। এটি ইবলিস
ও দুনিয়ায় তার সৈনিকদের বৈশিষ্ট্য।
সর্বপ্রথম যে অহংকার করেছিল সে
হচ্ছে— লানতপ্রাপ্ত ইবলিস। এ
ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেন,
“অতঃপর আমিফেরেশতাদেরকে
বললাম আদমকে সেজদা কর; তখন সবাই
সেজদা করল। কিন্তু ইবলিস
সেজদাকারীদের মধ্যে ছিল না।
আল্লাহ বললেন: আমি যখন তোকে
সেজদা করার আদেশ দিলাম তখন
কিসে তোকে সেজদা করতে বাধা
দিল? সে বলল, আমি তার চেয়ে উত্তম।
আমাকে বানিয়েছেন আগুন দিয়ে;
তাকে বানিয়েছেন মাটি
দিয়ে।” [সূরা আরাফ, আয়াত: ১১-১২]
অহংকার একটি ইবলিসি চরিত্র। যে
ব্যক্তি অহংকার করতে চায় সে
জেনে রাখুক সে শয়তানের চরিত্র
গ্রহণ করেছে। সে সম্মানিত
ফেরেশতাদের চরিত্র গ্রহণ করেনি,
যারা আল্লাহর আনুগত্য করে সেজদায়
লুটিয়ে পড়েছিল।
আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে
বর্ণিত তিনি নবী সা: বলেন: “যার
অন্তরে অনুু পরিমাণ অহংকার আছে
সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
একথা শুনে এক সাহাবী বলল: ইয়া
রাসুলুল্লাহ সা: যে কোন লোকই তো
পছন্দ করে তার জামাটা সুন্দর হোক,
তার জুতাটা সুন্দর হোক? তিনি সা:
বললেন: নিশ্চয় আল্লাহ সুন্দর; তিনি
পছন্দও করেন সৌন্দর্য। অহংকার হচ্ছে
সত্যকে উপেক্ষা করা এবং মানুষকে
তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা।”[সহিহ মুসলিম] এ
হাদিসের ব্যাখ্যায় বিশেষজ্ঞরা
বলেন, সত্যকে উপেক্ষার অর্থ হল, সত্য
জেনেও সেটাকে প্রত্যাখ্যান করা।
আর মানুষকে তুচ্ছ করার অর্থ হল,
মানুষকে তুচ্ছতাচ্ছ্যিল বা হেয় করা।
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে
বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল সা:
বলেছেন, “যে ব্যক্তি অহংকারবশতঃ
কাপড় ঝুলিয়ে হাঁটবে কিয়ামতের
দিন আল্লাহ তার দিকে তাকাবেন
না। আবু বকর (রাঃ) বললেন: আমার
কাপড়ের একটা অংশ অনিচ্ছায় ঝুলে
পড়ে যায়; আমি বারবার সেটাকে
টেনে নেই। তখন তিনি সা. বললেন,
আপনি তো সিদ্দীক। [সহিহ বুখারি
(৩৪৬৫)]
অহংকার শুধু মাত্র আল্লাহর জন্যই
প্রযোজ্য। আবু সাঈদ খুদরি (রাঃ) ও আবু
হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তাঁরা
বলেন, রাসুল সা: বলেন, আল্লাহ
তাআলা বলেছেন, সম্মান হচ্ছে-
আমারর কাপড়; আর অহংকার হচ্ছে-
আমার চাদর। যে ব্যক্তি এটা নিয়ে
আমার সাথে টানাটানি করে আমি
তাকে শাস্তি দেই।”[সহিহ মুসলিম
(২৬২০)] এই হাদিসের ব্যাখ্যায় মুসলিম
শরীফের প্রখ্যাত ভাষ্যকার ইমাম নববী
রহ. লিখেছেন, আমার সাথে
‘টানাটানি’ করবে এর অর্থ- যে এ গুণ
লালন করবে; ফলে সে অংশীদার এর
পর্যায়ে পড়বে। এটি অহংকারের
কঠিন শাস্তি ও অহংকার হারাম
হওয়ার স্পষ্ট ঘোষণা।[শারহু মুসলিম
(১৬/১৭৩)]
যে ব্যক্তি অহংকার করতে চায় ও বড়ত্ব
দেখাতে চায় আল্লাহ তাকে নীচে
ছুড়ে ফেলে দেন ও বেইজ্জত করেন।
যে ব্যক্তি মানুষের উপর অহংকার করে
কিয়ামতের দিন তাকে মানুষের
পায়ের নীচে মাড়ানো হবে।
এভাবে আল্লাহ তাআলা অহংকারের
কারণে তাকে লাঞ্ছিত করবেন। আমর
ইবনে শুয়াইব তার পিতা থেকে তিনি
তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন তিনি
নবী সা: থেকে বর্ণনা করেন তিনি
বলেন: “কিয়ামতের দিন
অহংকারীদেরকে ছোট ছোট
পিপীলিকার ন্যায় মানুষের
আকৃতিতে হাশরের ময়দানে উপস্থিত
করা হবে। অপমান ও লাঞ্ছনা
তাদেরকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে
ফেলবে। তাদেরকে জাহান্নামের
একটি জেলখানায় একত্রিত করা হবে,
যার নাম হবে “বুলাস’’। আগুন
তাদেরকে চতুর্দিক থেকে ঢেকে
ফেলবে। জাহান্নামীদের শরীরের
ঘাম তাদেরকে পান করতে বাধ্য করা
হবে।”।[সুনানে তিরমিজি (২৪৯২)]
অহংকারের নানান রূপ রয়েছে:
১. সত্যকে গ্রহণ না করা; অন্যায়ভাবে
বিতর্ক করা। যেমনটি আমরা আব্দুল্লাহ
ইবনে মাসউদের হাদিসে উল্লেখ
করেছি। “অহংকার হচ্ছে- সত্যকে
উপেক্ষা করা এবং মানুষকে
তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা।”
২. নিজের সৌন্দর্য্য, দামী পোশাক ও
দামী খাবার ইত্যাদি দ্বারা অভিভূত
হয়ে পড়া এবং মানুষের উপর
দাম্ভিকতা ও অহংকার প্রকাশ করা।
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত
তিনি বলেন নবী সা: বলেছেন, একদা
এক ব্যক্তি হুল্লা পরে, আত্মম্ভরিতা
নিয়ে, মাথা আঁচড়িয়ে হাঁটছিল
এমতাবস্থায় আল্লাহ তাকে সহ ভূমি
ধ্বস করে দিলেন এবং এভাবে
কিয়ামত পর্যন্ত সে নীচের দিকে
যেতে থাকবে।”[সহিহ বুখারি (৩২৯৭) ও
সহিহ মুসলিম (২০৮৮)] কখনো কখনো
আত্মীয়স্বজন ও বংশধরদের নিয়ে
গৌরবের মাধ্যমেও অহংকার হতে
পারে.
অহংকার প্রতিরোধ করার উপায় হল:
নিজেকে অন্য দশজন মানুষের মত মনে
করা। অন্যসব লোককে নিজের সমতুল্য
মনে করা। তারাও এক বাপ-মা থেকে
জন্মগ্রহণ করেছে। যেভাবে আপনিও এক
বাপ-মা এর ঘরে জন্মগ্রহণ করেছেন। আর
আল্লাহভীতি ব্যক্তির মর্যাদা
পরিমাপের মানদন্ড। আল্লাহ তাআলা
বলেন: “নিশ্চয় তোমাদের যে ব্যক্তি
বেশি তাকওয়াবান সে আল্লাহর
নিকট বেশি সম্মানিত।”[সূরা হুজুরাত,
আয়াত: ১৩]
অহংকারী ব্যক্তির জানা থাকা
উচিত সে যতই বড় হোক না কেন
পাহাড় সমান তো আর হতে পারবে
না; জমিন ছিদ্র করে তো বেরিয়ে
যেতে পারবে না। যেমনটি আল্লাহ
তাআলা বলেছেন, “অহংকারবশে তুমি
মানুষকে অবজ্ঞা করো না এবং
পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণ করো না।
নিশ্চয় আল্লাহ কোন দাম্ভিক
অহংকারীকে পছন্দ করেন না।
পদচারণায় মধ্যবর্তিতা অবলম্বন কর এবং
কণ্ঠস্বর নীচু কর। নিঃসন্দেহে গাধার
স্বরই সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর।”[সূর
া লোকমান, আয়াত: ১৭-১৮] এ
আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম কুরতুবী
বলেন, “পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণ
করো না” এখানে অহংকার থেকে
বারণ করা হয়েছে এবং বিনয়ী হওয়ার
নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আয়াতে ‘আল
মারহা’ শব্দের অর্থ- তীব্র আনন্দ। কেউ
কেউ বলেছেন: হাঁটার মধ্যে অহংকার
করা, কেউ বলেছেন, কোন মানুষের
তার মর্যাদার সীমা অতিক্রম করে
যাওয়া। কাতাদা বলেছেন, হাঁটার
ক্ষেত্রে অহংকার। কেউ কেউ
বলেছেন: প্রত্যাখান। কেউ কেউ
বলেছেন, উদ্যম। [তাফসিরে কুরতুবী
১০/২৬০]
অহংকার প্রতিরোধ করার আরেকটি
উপায় হলো- অহংকারী যে পথ দিয়ে
বের হয়েছে পেশাবও সে পথ দিয়ে
বের হয়। তার সৃষ্টির সূচনা হয়েছে
নাপাক বীর্য থেকে। তার সর্বশেষ
পরিণতি হচ্ছে- পচা লাশ। এ দুই অবস্থার
মাঝখানে সে পায়খানা বহন করে
চলছে। সুতরাং অহংকার করার মত কী
আছে?!!
আমরা আল্লাহর নিকটে প্রার্থনা
করছি তিনি যেন আমাদেরকে
অহংকার থেকে মুক্তি দেন এবং
আমাদেরকে বিনয় দান করেন,,,,
আমিন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.