![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবেলার বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিয়ে গেছে সব।ভিজে যাওয়া পৃথিবীটা হাতে নিয়ে একা বসে আছি।শেষ দিনের রুদ্ধশ্বাস প্রতীক্ষায়...
লেজার ভিশনের ব্যানারে প্রকাশিত হলো 'আমার আকাশ পুরোটাই'। 'ঘুড়ি' খ্যাত দরাজ গলার গায়ক লুৎফর হাসানের দ্বিতীয় একক এলবাম এটি।
ব্যতিক্রমী কথা আর সঙ্গীতে সাজানো এলবামটি প্রিয় হয়ে যাবে যে কোনো বাংলাগানের শ্রোতার। এলবামের গানগুলো লিখেছেন নব্বইয়ের দশকের তুমুল জনপ্রিয় লতিফুল ইসলাম শিবলী ও মারজুক রাসেলসহ হালের রবিউল ইসলাম জীবন, সোমেশ্বর অলি ও ইশতিয়াক আহমেদরা।
সঙ্গীত করেছেন কিছুটা নিভৃতে থাকতে পছন্দ করা সুমন কল্যান, আছেন তানভীর তারেক ও তরুণ সজীব দাশ ও অভিজিৎ জিতু।
দু'টি গানে লুৎফর হাসানের সাথে কন্ঠ দিয়েছেন ক্লোজআপ ওয়ান তারকা পুতুল ও তাহমিনা মতিন নামের নতুন এক শিল্পী।
এলবামের এগারটি গানের প্রথমটি হলো শিরোনাম সঙ্গীত- 'আমার আকাশ পুরোটাই।' শিল্পীর প্রথম এলবামের বিখ্যাত গান 'ঘুড়ি'র সিকুয়্যেল এটি। প্রথম গানটাতে শিল্পী প্রশ্ন রেখে গেয়েছিলেন 'ঘুড়ি তুমি কার আকাশে উড়ো...', নতুন গানটিতে শিল্পী মূলত আগের প্রশ্নটিরই উত্তর দিয়েছেন। তিনি গেয়েছেন, 'প্রশ্ন রেখেছিলাম, উত্তরও দিয়ে গেলাম/ আগে পরে আর কিছু নাই.../ তুমি আমার ঘুরি/ আমার হাতেই নাটাই/ যেখানেই উড়ে বেড়াও/ আমার আকাশ পুরোটাই।' এটি এলবামের দ্বিতীয় সেরা গান।
দু'টি গানই লেখেছেন সোমেশ্বর অলি। 'আমার আকাশ পুরোটাই' গানটির সঙ্গীত করেছেন সজীব দাস।
'আমার আকাশ পুরোটাই'এর দ্বিতীয় গান 'বর্ষার ঋণ'। প্রথমে ইশতিয়াক ভাইয়ের লিরিকটি পড়েই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। গানটি শোনার পর মনে হয়েছে লিরিকের চেয়েও বেশি মুগ্ধতা আসলে গায়কিতেই ছড়াচ্ছে। আসলেই অসাধারণ লিরিকে অনন্য অসাধারণ গায়কি ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন শিল্পী লুৎফর হাসান। সাথে কন্ঠ দিয়েছেন ক্লোজআপ ওয়ান তারকা পুতুল। আমার কাছে এলবামের সেরা গান এটি।
গানটির সঙ্গীত করেছেন অভিজিৎ জিতু।
এলবামের তৃতীয় গান 'ঠিকানা।' লিরিক লেখেছেন মারজুক রাসেল। নব্বইয়ের দশকে জেমস- আইয়ূব বাচ্চুর গান লিখে লিখে যিনি হয়ে আছেন আমার গান শোনার প্রথম সময়ের নায়ক। এ গানটিতেও দারুণ সূর দিয়েছেন শিল্পী। এলবামের তৃতীয় সেরা গান এটি।
এলবামের চতুর্থ গান 'প্রতিদিন গোলাপ দিবো।' একেবারেই সাধারণ কথার গানটি লেখেছেন জনি হক। তবে সূর ও সঙ্গীত অনবদ্য। এই গানের শিল্পীর সাথে কন্ঠ দিয়েছে তাহমিনা মতিন। বেশ ঝাঁঝালো কন্ঠ! অনেকটা মৌসুমী ভৌমিকের মতো। এলবামের নবম সেরা গান এটি।
গানটির সঙ্গীত করেছেন সজীব দাস।
এলবামের পঞ্চম গান 'শুভাশিস নিও।' হালের জনপ্রিয় গীতিকারদের একজন রবিউল ইসলাম জীবনের লেখা এটি। সূর করেছেন শিল্পী নিজেই। সঙ্গীত সজীব দাস। গানটি ভালো হয়েছে। বারবার শুনতে ইচ্ছে করবে। বিষাদ ছড়ানো গান। গভীর বিষাদ। এটি এলবামের দশম সেরা গান।
এলবামের ষষ্ট গান 'স্বপ্ন ঝরা ক্ষত।' পরিপূর্ণ একটি গান। কাওনাইন সৌরভের লেখা এই গানটি এলবামের দ্বিতীয় সেরা গান। প্রথম চারটি লাইন 'ওয়েলকাম টিউন' করার মতো সুন্দর! 'আমার স্বপ্ন ঝরা ক্ষত আমি রোদ্দুরে শুকাই/ খোলামাঠে শুয়ে আমি পাল তোলা গান গাই/ পাখির উড়া দেখে আমি উড়াল দিতে চাই/ মাটির সাথে লেপ্টে থাকা হঠাৎ ভুলে যাই।' চতুর্থ সেরা গান এটি।
এলবামের সপ্তম গান 'উত্তরী হাওয়া।' সেজুল হোসেনের লিরিক, অলক বাপ্পার সূর আর অভিজিৎ জিতুর সঙ্গীতে একেবারে ব্যতিক্রমী গান এটি। আমার কাছে মনে হয়েছে বর্তমান প্রজন্মের গায়কদের মধ্যে এরকম মাটির গান করার 'সাহস' একেবারেই নেই। এমন সুন্দর আর মন খারাপের গানটি উপহার দেওয়ার জন্য শিল্পীর কাছে কৃতজ্ঞতা। গানের কথা আর সূরে বাউল আব্দুল করিমের ছায়া স্পষ্ট থাকলেও লেখক ও সূরকারের স্বকীয়তাও ভালোভাবেই উপস্থিত আছে গানটিতে। এলবামের ষষ্ট সেরা গান এটি।
এলবামের অষ্টম গান 'কষ্ট।' লেখেছেন লতিফুল ইসলাম শিবলী। লুৎফর হাসানের সূরে গানটির সঙ্গীত আয়োজন করেছেন অভিজিৎ জিতু। দারুণ গান। কথাগুলো বেশি ভালো। 'চলার পথে কাটছে দু'পা/ স্মৃতির ভাঙা কাঁচে/ পুরনো চিঠি প্রথম গোলাপ/ পুড়ছে মোমের আঁচে।' অষ্টম সেরা গান।
নবম গান 'চশমা'। সঙ্গীতের কাজ দারুণ হলেও মোটের উপর ভালো লাগেনি। মনে হয়েছে লিরিক তাড়াতাড়ি লেখা হয়েছে। আর আমার নিজের কাছে লিরিক ভালো না লাগলে আর কিছু শুনতে ইচ্ছে করেনা। এলবামের সবচেয়ে বাজে গান। এটি লেখেছেন আবদার রহমান।
এলবামের দশম গান 'প্যারিস রোড।' মন খারাপের চূড়ান্ত জায়গায় নিয়ে যাবে শ্রোতাকে। এটি কেবল শুনলেই বোঝা যাবে গায়ক লুৎফর হাসান ঠিক কী পরিমাণ বিষাদ লালন করেন নিজের মধ্যে! 'প্যারিস রোড মানে চারুকলা/ রোকনের বিরহ গিয়েছে বেড়ে/ প্যারিস রোড মানে ভালো কি আছি/ প্রিয় প্যরিস রোড তোমাকে ছেড়ে।' গানটি লেখেছেন ও সূর করেছেন শিল্পী নিজে। এই গানটি পঞ্চম সেরা গান।
এলবামের শেষ গান 'দুপর।' শিল্পীর একমাত্র মেয়েকে নিয়ে শিল্পীর নিজের লেখা গান। সঙ্গীত করেছেন সুমন কল্যানদা। দারুণ একটি গান বাবা'দের ভালো লাগবে নিশ্চিত! এলবামের সপ্তম সেরা গান এটি।
০২
সব মিলিয়ে ভালো কিছু গান করেছেন লুৎফর হাসান। দুই একটা গান ছাড়া বাকি সব গানের সূরেই মন খারাপের বাতাস আছে। যে বাতাস কখনো কখনো গভীর বিষাদী মন খারাপের, কখনো আবার নতুন রকম মন খারাপের। একেবারে নতুন রকম অনুভূতির। সূর নিয়ে শিল্পীর খেলা ভালো লেগেছে।
সবাই কিনে শুনতে পারেন। নিরাশ হবেন না শ্রোতা হিসেবে এতোটুকু বলতে পারি। সারা দেশে এখনো পাওয়া যাচ্ছেনা হয়তো। তবে রাজধানীর বড় সব মিউজিকের দোকানেই হয়তো পাওয়া যাবে। আমি কিনেছি বসুন্ধরা সিটি থেকে।
লুৎফর হাসানের ফেসবুক পেইজ।
এই লেখার সকল মন্তব্য শ্রোতা হিসেবে আমার নিজের। আর গানের রেটিংও আমার নিজের দেওয়া।
ধন্যবাদ সবাইকে।
২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২২
সাইফ হাসনাত বলেছেন: কি?!
২| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
+++
২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩১
সাইফ হাসনাত বলেছেন: আজ সবাই চুপচাপ কেনো!
৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪৭
আকাশ_পাগলা বলেছেন: ভালো না লাগলে আর কিছু শুনতে ইচ্ছে করেনা। এলবামের সবচেয়ে বাজে গান। এটি লেখেছেন আবদার রহমান।
এভাবে কারও লেখাকে মূল্যায়ণ করা যায় কী?
হয়ত তোমার কাছে ভালো লাগে নি, কিন্তু তারও ত পয়েন্ট অব ভিউ আছে, লজিক আছে।
২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৯
সাইফ হাসনাত বলেছেন: আসলে আকাশ ভাই, প্রতিটি গান সম্পর্কে একেবারে 'শোনা মাত্র' যে অনুভূতি তাই-ই এখানে লেখেছি।
ওই লিরিকটার অর্থ আমি নিজে খুজে পাইনি। খুব বেশি অসম্পূর্ণ মনে হইছে। তবে ভালো কোনো অর্থ হয়তো আছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫
টুম্পা মনি বলেছেন: হুম।