নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পাখির চোখে পৃথিবী দেখতে ভালোবাসি।

সাইফুল আজীম

পেশা ও নেশা ড্রোন, জি.আই.এস এবং রিমোট সেনসিং নিয়ে কাজ করা। সেটাই করে চলছি, সেই সাথে আছি সামুর সাথে।

সাইফুল আজীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মোস্তফা ভিডও গেম.........ছেলেবেলা থেকে আজ

২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:২৮

ব্লগে ঢুঁ মারতে গিয়ে অশান্ত কাব্যের পোষ্টে পেয়ে যাই ছোটবেলাকার সেই মোস্তফা ভিডিও গেমের পিসি ভার্সন। তবে তা ছিল ২০ বিহীন। ২০ওয়ালা নামাতে নষ্ট ছেলের লিংকের সাহায্য নেই। ট্যাব চার্জে রেখে হলেও ডাউনলোড করে ফেলি, ইনষ্টল দেই পিসিতে। শেষ করি পুরোটা এক বসায়। অসংখ্য কয়েন নিয়েছি, আজ কে ঠেকাবে আমায়। খেলা শেষে কিছু স্মৃতি ভেসে উঠলো সামনে। আর তাই ট্যাব নিয়ে বসে গেলাম লিখতে গেমটা নিয়ে আমার স্মৃতিকথা।



বাংলাদেশের প্রথম বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারানোর পরের দিন। ক্যান্টনমেন্ট স্কুল বলে হঠাৎ ছুটি না পাওয়া গেলেও জয় উপলক্ষে অর্ধ দিবস স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয়। স্কুল আগেভাগে ছুটি তাই ধীর গতিতে বাসায় যাচ্ছিলাম। সাথে বন্ধু একজন। কে মনে নেই, তবে সাফি ই হবে হয়তো। হঠাং দেখলাম রাস্তার পাশের দোকান থেকে হইহই আওয়াজ। এগিয়ে গেলাম আর পরিচিত হলাম মোস্তফা গেম এর সাথে (আসল নাম জেনেছি আজ, তাই এতদিনের জানা নাম ই সই)। ব্যাস, জীবনে নতুন মোড়। বাসায় গিয়ে কি একটা বলে আবার ফিরে এলাম। বন্ধুর কয়েনে একটু খেললাম আর অবাক হয়ে ভাবলাম হায় কত কিছুইনা অজানা আমার। বাসায় এসে বাবাকে বললাম। বন্ধুসুলভ বাবা বিকেলে নিয়ে গেলেন, সাথে ছোট ভাই। বাবার সাথে মাঝে মাঝে যাওয়া এরপর থেকে কিন্তু তাতে মন ভরেনা। বাবা বলে দিয়েছেন সপ্তাহে একবার। কিন্তু মন মানেনা। তাই বাবার কথার অমান্য হলো। অতপর অসুদপায় অবলম্বন। পড়তে যাব বলে না গিয়ে ভ্যান ভাড়ার টাকা, ব্যাংকে জমাবো বলে নেওয়া টাকা, ইত্যাদি দিয়ে চললো মোস্তফা গেম খেলা। একদিনতো কিভাবে পুরো ১০ টাকা যোগাড় করে গেম ফাইনাল খেললাম। বসকে বাইকের ধাক্কায় মেরে উল্লাসে ফ্যানের পাখায় বাড়ি খেয়ে হাত কাটলাম। তবুও সে কী খুশী!আহা, এ যেনো যুদ্ধ জয়।



সুখ সইলোনা বেশিদিন। বাবা জানলের দূত মারফত। জীবন দর্শন পাঠ হলো বাসায়। ছেলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে রব উঠলো। আর তাই মোস্তফা গেমকে বিদায় জানিয়ে ভালো ছেলে হবার চেষ্টায় লেগে গেলাম। স্কুল, কলেজ, ইউনিভারসিটি পেরোলাম। বহুবার মোস্তফা গেম সামনে এলো। কিন্তু আমি যে ভালো ছেলে! ও আমায় মানায় না যে। হারিয়ে গেলো মোস্তফা গেম।



আজ অনেকদিন পরে আমি নষ্ট ছেলে হলাম। ইচ্ছেমত যত খুশী তত কয়েনে মোস্তফা গেম খেললাম। আমার ওয়ালটের একটা টাকাও লাগলোনা। বাবা বললেন, এত রাতে গেম খেলছিস? আমি বললাম হ্যা, একটা নষ্ট ছেলের গেম। বাবা গেমসটা দেখলেন, বোধকরি তিনিও স্মৃতি হাতরালেন, হাসলেন এবং চলে গেলেন। তার চোখে ছেলের নষ্ট হয়ে যাবার ভয়টা আজ আর নেই।



গেম খেলা শেষ কিন্তু আমি তা রেখে দিয়েছি সায়মন জুনিয়রের জন্য যে কিনা তার বাবার সামনে বসে মোস্তফা গেম খেলবে, ২০ দিয়ে বস মারবে, হুরিয়া দিবে, আরো কত কি! পাশেই তার বাবা থাকবে। কিন্তু সায়মন জুনিয়র নষ্ট ছেলে হবার ভয়ে খেলা থামাবেনা।



নোট ১: বাসায় জানার পর জিদ করে গেমস থেকে দূরে এসে বোধকরি ভালোই করেছিলাম। তাই হয়তো আজ এত কথার ফুলঝুরি ঝরছে।



নোট ২: কিছুদিন পর হয়তো এম.টেক করতে প্রবাসী হবো। গেমটা নিয়ে যাবো। ল্যাবে রিমোট সেসেনসিং এর সাথে মোস্তফার যুগলবন্দী চলবে।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৩২

রাজ হাসান বলেছেন: ভাই লিংক কই???

২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৩৭

সাইফুল আজীম বলেছেন: Click This Link

লিংক©নষ্ট ছেলে।

২| ২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:০১

রাজ হাসান বলেছেন: ভাইরে বুঝলাম না আমারতো আইটকা আইটকা আসে স্মুথলী খেলতে পারলাম না।কি করা যায়???

২৮ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৪:০৬

সাইফুল আজীম বলেছেন: আটকানোর কোনো কারন বুঝে আসছেনা ভাই।

৩| ২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:২২

অশান্ত কাব্য বলেছেন: :)

২৮ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৪:০৭

সাইফুল আজীম বলেছেন: :)

৪| ২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ৩:৩৮

রাজু মাষ্টার বলেছেন: ভাই গেমটা আমার কাসেও আসে :#) :#) :#) :#)

আমিও কয়েকদিন কুপাইয়া খেলসি :-B :-B :-B :-B

কিন্তু এখন পাথ ডাইরেক্টরিটা উলটা পালটা হইয়া গেসেগা,তাই গেম লোড হয়না......

আমারে একটু পাথগুলার ব্যাপারে হেল্পান......আমি খেলতাম চাই :(( :((

আপনি কোথায় এম.টেক করতে যাচ্ছেন? আমি CSE র স্টুডেন্ট,কিঞ্চিত খায়েশ আছে আমার ও,বিদেশের হাওয়া বাতাস খাওয়ার !:#P !:#P

২৮ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৪:৪৭

সাইফুল আজীম বলেছেন: পোষ্টে দেওয়া লিংক থেকে নামিয়ে নেন। পাথ ডিরেক্টরিরর কোনো ব্যাপার নাই এখানে।আশা করি চলবে।

আমি রিমোট এন্ড জিআইএস এ এম.টেক করছি সিএসএসটিইএপি নামক ইউনাইটেড নেশনস্ এর একটা সেন্টার থেকে যা ভারতের দেরাদুনে অবস্থিত। এটি ২১ মাসের পিজিডি+এম.টেক কোর্স। ৯ মাস পিজিডি+১২ মাস এম.টেক। আসলে থিওরি কোর্সের শেষে পিপিজিডি আর রিসার্চের শেষে এম.টেক আর কি। ২য় ধাপ চাইলে দেশে বসেই করা যায়। প্রথম ধাপে ভালো ফল করলে ২য় ধাপেও ভারতে গিয়ে রিসার্চ করার সুযোগ মিলে।

সিএসইর স্টুডেন্টদের জন্য এখানে আছে জিওইনফরমেটিকস্ ডিভিশন বা জিআইডি। আপনি এখানে সিএসইর ব্যাপক ফ্লেভার পাবেন। একটা উদাহরন দেই-অনটোলজি যা কিনা একই জিনিষের নানা নাম চিনার বিদ্যা। আবার ধরেন প্রোগাম তৈরি করা যা নিজেই ইমেজ থেকে রাস্তা চিনে নিবে।আমি আরবান প্ল্যানার তাই আমার ডিভিশন ছিল আরবার স্টাডিজ তবে জিআইডি কোর্সে জানছি সিএসই কি কাজে লাগে এই ফিল্ডে। এককথায় চরম।

বাংলাদেশে কোর্সটি জনপ্রিয় বেশ। সরকারি কর্মকর্তারা বেশ যান। ২টা সিটের কোঠা আছে বাংলাদেশীদর জন্য নিদেনপক্ষে।

ফেলোশিপের পরিমাণ আর কভারেজ অসাধারন, একটা টাকাও যাবেনা নিজের পকেট থেকে। আর ট্যুর তো অগনিত। পুরো ভারত ঘুরবেন ওদের টাকায়। এককথায় বেশ প্যাকেজিং কোর্স।

http://www.cssteap.org/rs_gis_course.html বিস্তারিত পাবেন। জিআইডির সিলেবাস সহ।

৫| ২৮ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৩১

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: :( :( :( :( :(

২৮ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫২

সাইফুল আজীম বলেছেন: কি হলো ভাই?

৬| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

রাজু মাষ্টার বলেছেন: ভাই আফেনেরে পিলাস +++++++++

যা ইনফো দিসেন না পুররাই চখাম

আমি টেরাই মারমু অবশ্যই :-B :-B :-B :-B :-B

৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২৭

সাইফুল আজীম বলেছেন: টেরাই মারার আগে একবার জানাইয়েন। কিছু টিপস দিমুনে। টিপস কামে দিবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.