নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পাখির চোখে পৃথিবী দেখতে ভালোবাসি।

সাইফুল আজীম

পেশা ও নেশা ড্রোন, জি.আই.এস এবং রিমোট সেনসিং নিয়ে কাজ করা। সেটাই করে চলছি, সেই সাথে আছি সামুর সাথে।

সাইফুল আজীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদেশী চোখে বাংলাদেশ: আমার দেখা-৩ (মিয়ানমার)

৩১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২৩

একটু জলদি জলদিই লিখে ফেলছি ধারাবাহিকের খন্ডগুলো। চেয়েছিলাম একসাথে লিখতে তাই প্লটটা মাথায় আছে পুরোটাই কিন্তু তা অনেক বড় হয়ে যাবে বলে খন্ডগুলোর সৃষ্টি। পিসিতে হলে একসাথে লিখতাম। ট্যাবলেট সম্বল তাই খন্ডই সই।



৩য় খন্ডে কথা বলি একজন মিয়ানমারবাসীর ভাবনা নিয়ে। আমার একজন কোর্সমেট মিয়ানমারের ছিল। আমার দেখা পৃথিবীর সবচাইতে সুখী মানুষ। সবকিছুতেই হাসি, কোনকিছুতেই কোন অভিযোগ নাই। তার কাছে বাংলাদেশের কথা বললে মিটিমিটি হাসে সে। কারন কি জানতে চাইলাম। উত্তরে সে আমাকে দেখালো তার কাছে থাকা নানা রকম ঔষধ যেমন প্যারাসিটামল বা এই জাতীয়। সবই বাংলাদেশী। আমাদের দেশে স্বল্প মূল্যের। মায়ানমারেও স্বল্প মূল্যের অন্যান্য দেশ থেকে আসা ঔষধের তুলনায়।



একই কথা পোশাকাদির ক্ষেত্রেও। তার মতে মান ভালো, দাম কম.....এ কারনেই বাংলাদেশী পোষাক খুব জনপ্রিয়। তবে ইদানীং নাকি চায়নিজ পোষাকের আধিক্য বাড়ছে যদিও তার কাছে মানে সেরা বাংলাদেশী পণ্য।



মায়ানমারের বন্ধুটির ধারনা বাংলাদেশের মানুষ অনেক ভাগ্যবান, অনেক সুখী। আমি তাকে বলি, হ্যা সুখী আমরা, অনেক সুখী, কোনো কারন ছাড়াই এমনিতেই খুশী বাংলাদেশী হিসেবে।



তাকে একবার প্রশ্ন করেছিলাম মিয়ানমারে মুসলিম নিধন নিয়ে। উত্তর দেয়ার আগে তার মুখে এমন একটা ভাব চলে আসল যে মনে হল নিধনের কলকাঠি সেই নাড়ছে।অপরাধী অপরাধী ভাব নিয়ে স্বভাজাত মিটিমিটি হেসে সে সরি বলল। আর বলল, দেখো তোমরা কত সুখী, দেশের হয়ে কাউকে সরি বলতে হয়না। আমি বললাম তথাস্ত।



মাঝে মাঝেই বন্ধুটির মেইল পাই, একজন সুখী মানুষের মেইল। মিয়ানমার যাওয়ার কোনো সখ ছিলনা কখনোই ছিলনা তবে সুখী মানুষটাকে দেখতে একবার যেতে চাই। তাকেও নিমন্ত্রণ করেছিলাম আমার সুখী দেশ ভ্রমনের। কথা দিয়েছিল আসবে যদি অনুমতি পায়।



বাংলাদেশ সুখী দেশ...........আহা কি চমকিত ভাবনা আমার দেশকে নিয়ে এক প্রতিবেশীর। ভাবতে ভালোই লাগে।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

মিথিলা মাহমুদ বলেছেন: "দেখো তোমরা কত সুখী, দেশের হয়ে কাউকে সরি বলতে হয়না" !:#P !:#P !:#P

৩১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৫২

সাইফুল আজীম বলেছেন: সত্যি কথাটা অসাধারন ছিল।

২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০৭

ভিটামিন সি বলেছেন: ক্লাশমেট হিসেবে পাইছিলেন তো তাই ভালো। কর্মক্ষেত্রে পেলে বুঝতেন যে মিয়ানমার কি জিনিস। এই মিয়ানমারের কারণে আমি প্রথমাবস্থায় প্রবাস ছেড়ে দিতে চেয়েছিলাম। কি ইংলিশ যে কয় অর্ধেক মুখে থাকে আর অর্ধেক পেটের ভেতর। আর তার অধীনস্ত কেউ থাকলে তার পাছার গরম বাতাস বের করে ছাড়ে। শালা মিয়ানমার। শালারা অলটাইম মুখভর্তি পান খায় যেখানে সেখানে পিক ফেলে। একটা স্যান্ডো গেঞ্জি গায়ে দিয়ে হাফপ্যান্ট পরে যেখানে সেখানে যায়। বাসায় পরে লুঙ্গির নিচে স্যান্ডো, শার্ট ইন করে। দেখলেই বমি আসে। আর এদের গায়ের গন্ধও কেমন যেন খারাপ।

৩১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৩

সাইফুল আজীম বলেছেন: সবািতো এক হয়না, তাইনা? আমার বন্ধুটি আপনার বস হলে আপনার ধারনা উল্টে যেত।

তবে তাদের ইংলিশ আসলেই জটিল। বুঝা মুসকিল। ড্রেসআপও অদ্ভুত। শার্ট ইন করে আন্ডারওয়ার বা শর্টসের ভেতর। আমার বন্ধুটির ইংলিশ শেষ পর্যন্ত ভালো হয়েছিল ইংলিশ কোর্সের কারনে আর আমরা সবাই অনেক বলায় আজিব ড্রেসআপও চেন্জ হয়েছিল।

৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৭

নিয়ানডার্থাল বলেছেন: ওরা ইংরেজিতে অনেক দুর্বল। অন্তত আমাদের চাইতে।
অনেক শব্দ মুখ দিয়েই আসেনা, আমাদের ক্লাসের "জিন মার হুন " নামে মেয়েটা তাই ক্লাসে কম কথা বলে।
আবার দেখি হিউমার সেন্স ও অন্য
রকম। আমরা যখন জোকস বলে হাসি তখন ওর মুখ্টা বেকুবের মতো করে রাখে। তারপর সবার পরে হাসে।

৩১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪১

সাইফুল আজীম বলেছেন: আমাদের ইংলিশের ধারেকাছেও ওরা নাই। তাই কথা বলেইনা প্রায়। সেন্স অফ হিউমার কম কিছুটা এটাও ঠিক। আমার মনে হয় বুঝতেই পারেনা হাসতে হয় কোথায়।তাই পরে হাসে।

৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮

তোমোদাচি বলেছেন: আপনার তাহলে একটা ভাল মিয়ান্মারিয়ান এর সাথে পরিচয় হয়েছে।
আমার এক ল্যাবমেট আছে, এমনিতে তাঁর তেমন সমস্যা দেখি না, কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে সে খুবই কট্টর!
ফেস বুক এ বিভিন্ন পেইজ খুলে রোহিঙ্গা দের সম্পর্কে আজে বাজে কথা বলে। তাঁর একটা স্ট্যাটাস ছিল রোহিঙ্গারা আমাদের নাগরিক নয়, ওরা অনুপ্রবেশ কারী ওদের তাড়িয়ে দাও নইলে খুন কর!!

তারপর থেকে এই ফাউল টাকে আমি দেখতে পারি না; এখনও আমার পিছে বসে আসে ... মনে হয় কানের নীচ বরাবর একটা চটকানা লাগায়! X( X(

৩১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১২

সাইফুল আজীম বলেছেন: ভাই, কানের নীচ বরাবর দুইটা দিয়েন। একটা আমার তরফ থেকে।

৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তারা লুঙ্গি পরে শার্ট ইন করে! গেঞ্জিও ইন করে পরে!

৩১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩

সাইফুল আজীম বলেছেন: হ্যা ভাই। এরা ইন ছাড়া কিছুই পড়েনা।

৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: যাই হোক , ভালো লাগলো পড়ে !
বাঙ্গালী তাই আমরা সব সময় খুশি !

৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১২

সাইফুল আজীম বলেছেন: বাঙ্গালি নয়, বাংলাদেশী হিসাবে আমরা সুখী।

৭| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০৪

এম এম কামাল ৭৭ বলেছেন: লিখাটা পড়তে ভাল লাগলো।

৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২১

সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৫৬

রিদম হাসান বলেছেন: ভাল লেগেছে

০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩৩

সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ

৯| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৫৬

রিদম হাসান বলেছেন: ভাল লেগেছে

০১ লা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩৪

সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ

১০| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮

লোপা এসহক বলেছেন: valo laglo ...

০১ লা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮

সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ

১১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৮

আলাপচারী বলেছেন: দারুণ আলোচনা শুরু হয়েছে। আমিও যোগ দেই।

শেষের ভাই থেকে শুরু করি। আসলে ওরা হিউমার বোঝে না। কারনটা কিন্তু অনেক গভীরে। বিশ্ব জনপদের বির্বতন ও ইতিহাস সমন্ধে ধারণা নিলে উত্তর পেয়ে যাবেন। ক্ষুদ্র জ্ঞানে একটু বলি। (বহু বছর আগে ছাত্রজীবনে পড়েছিলাম, স্মৃতি ঝাপসা হয়ে গেছে।) ইন্দো চায়না অঞ্চল তথা নাক বোচা, হলুদ চামড়ার জনগোষ্ঠি নৃত্বাত্তিক ভাবেই অর্থাৎ জীন গত ভাবেই বিষন্ন প্রকৃতির, একাকীত্ব পছন্দ করে। এই হোল ভালো দিক। উল্টো পিঠে আছে একই কারনে নিষ্ঠুর, আবেগ কম, অমিশুক। চেঙিস খান নিষ্ঠুরতায় অদ্বিতীয়, এই অঞ্চলের মানুষ। জন পদের চাহিদা অনুযায়ী তাই বৌদ্ব ধর্ম তথা অহিংসার প্রচার ও ঠাই পেয়েছে এই অঞ্চলে অথচ গৌতম বুদ্বের জন্ম ভারত বর্ষে। এ নিয়ে সৈয়দ মুজতবা আলীর চমৎকার লেখা আছে। প্রসঙ্গতঃ বলি সৈয়দ মুজতবা আলীর ডক্টরেট ডিগ্রী কিন্তু তুলনা মূলক ধর্ম ত্বত্ত নিয়ে।
ইশারা পেয়ে যাবেন কেন মধ্যপ্রাচ্যেই নবী ও রাসূলদের আগমন। ঐ একই সূত্র, জনপদের চাহিদা।
ভারত বর্ষে একরকম মহামানবের উত্থানের দরকার হয় নাই কেননা প্রাচীণ কাল থেকেই এক অঞ্চল সমৃদ্ধ ছিল সব অর্থে সব ক্ষেত্রে।

আর আমার নিজের অবজারভেশন হোল, পাহাড়ের মানুষরা পাহাড়ের মতোই নীরব, রহস্যময়, সংকীর্ণ আর আনপ্রেডিক্টেবল।
ধান ভানতে মনে হয় শীবের গীত গেয়ে ফেললাম।
আসলে আপনার লেখার স্প্রীট আমাকেও লেখালো।

০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩১

সাইফুল আজীম বলেছেন: ভালো বলেছেন। প্রকৃতিই তাদের গড়ে দিয়েছে।

১২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪৮

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: আমরা, অনেক সুখী, কোনো কারন ছাড়াই এমনিতেই খুশী বাংলাদেশী হিসেবে।

০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২৭

সাইফুল আজীম বলেছেন: অবশ্যই

১৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি যখন শুরু তে মুম্বাই আসি ,বাচ্চাদের গার্মেন্টস কিনতে গেলে দোকানি আমাকে দেখিয়েছিল ।সি মেইড ইন বাংলাদেশ ...

এখন আমি নিজে খুজলে ও পাই না :(

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৯

সাইফুল আজীম বলেছেন: আপু, গত বছর দিল্লীর কনাট প্লেসের একটি শো-রুমে বাংলাদেশী শার্ট পেয়েছিলাম। কিন্তু ঔ এক দোকানেই.... :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.