![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পেশা ও নেশা ড্রোন, জি.আই.এস এবং রিমোট সেনসিং নিয়ে কাজ করা। সেটাই করে চলছি, সেই সাথে আছি সামুর সাথে।
২য় পর্ব শুরু হচ্ছে ৩রা ডিসেম্বর সকাল থেকে। ঘুম থেকে উঠেই দেখলাম সূর্যদয়। চলমান কিছু থেকে সূর্যদয় দেখাটা অনেকটা মুভি দেখার মতই। তাই হাতে এক কাপ মাসালা চা নিয়ে সূর্যের আগমন উপভোগ করতে লাগলাম।
একবার জানালা দিয়ে দেখলাম লম্বা ট্রেনটিকে। এত্তগুলো কোচ নিয়ে এগিয়ে চলছে বিরামহীন।
এর মাঝে এল এক ফেরিওয়ালা। তার কাছে ছিল লুডু গেম বোর্ড। কিনে নিলাম একজনকে উপহার দিব বলে। নিজেও কিছুক্ষন সাপ-মইয়ের মাঝে পড়ে রইলাম সময় কাটাতে
সকালের নাস্তার সময় হয়ে গেল। ভেজিটেবল কাটলেট আর ব্রেড দিয়ে নাস্তা সারলাম। স্বাদ মন্দ নয় তবে আহামরিও নয় যেমন রাতের খাবারটি ছিল।
নাস্তা শেষে জানালার বাইরে মনযোগ দিলাম। পার হচ্ছিলাম ছত্রিশগড় প্রদেশ। বাইরে ঝোপ-ঝাড় আর বন ছাড়া কিছুই চোখে পড়লনা। তবে রেল লাইনের পাশে লাল-সাদা কিছু ফুল দেখলাম প্রায় পুরোটা ছত্রিশগড় ধরেই। আহা! কি সৌন্দর্য!!
প্রবেশ করলাম উরিষ্যা বা ওরিষাতে। কয়লা খনি সমৃদ্ধ এই প্রদেশে প্রবেশ করতেই কয়লা ভর্তি ওয়াগান চোখে পড়ল। তার সাথে পাথুরে আর শুকনো জমি মাইলের পর মাইল জুড়ে যা দেখে একটু বোরিংই লাগল। তাই এই সময়টা ট্রেনের নানা কোচে ঘুরে ঘুরে কাটালাম। কিছুক্ষন বই পড়লাম। আর যতবারই বাইরে তাকাই শুধুই পাথুরে আর শুকনো জমি। কোথাও কোথাও টিলাও নজরে এল।
সময় হয়ে এল দুপুরের খাবারের। সরবরাহক একই তবে মেন্যুতে কিছুটা পরিবর্তন এল। ডাল, আলু-মটর কারি আর একটা মিক্স ভেজিটেবল কারি। খেতে রাতের খাবারের মতই অসাধারন ছিল। ভেজিটেবল কারি সহ্য করতে না পারা এই আমি পুরোটাই চেটেপুটে সাবাড় করে দিলাম।
যাত্রা প্রায় শেষের পথে।।ট্রেন প্রবেশ করল আন্ধ্রা প্রদেশে। পাহাড়ের সাড়ি আমাকে স্বাগত জানাল গত বছরের মতই।
কিছুক্ষন পরেই সূর্যাস্ত হল সাথে আমার দীর্ঘ যাত্রারও অন্ত হল। সূর্যকে বিদায় জানিয়ে ভিশাখাপট্টমে প্রবেশ করলাম।
স্টেশন থেকে সোজা হোটেলে চলে এলাম। ফ্রেশ হয়ে চলে গেলাম বিখ্যাত রেস্টুরেন্ট প্যারাডাইসে বিরিয়ানি দিয়ে রাতের খাবার সারতে। স্বাদ, দাম এবং পরিমান তিন দিক দিয়েই প্যারাডাইসের জুড়ি নেই।
ভরপেট দম বিরিয়ানি খেয়ে হেলতে দুলতে হোটেলে ফিরলাম তলিয়ে গেলাম ঘুমের সাগরে.............ভিশাখাপট্টমে আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম!
১ম পর্বের মত ২য় পর্বেও ঘুম দিয়ে ইতি টানছি। ৩য় পর্বে আপনাদের সাথে নিয়ে ভিশাখাপট্টম ঘুরব
*১ম পর্ব:
Click This Link
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫২
সাইফুল আজীম বলেছেন: একটা পেপার প্রেজেন্ট করতে গিয়েছিলাম ভাই
২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩২
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: বাহ! বেশ তো।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫২
সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৮
সোজা কথা বলেছেন: ছবিগুলা দেখে ভালো লাগল।৩য় পর্বের আশার রইলাম....
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২০
সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ। ৩য় পর্ব কাল অথবা পরশু পোস্ট করব
৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫
সিস্টেম অ্যাডমিন বলেছেন: ভাল লাগল । তবে কিছু স্থানে সামান্য কিছু সংশোধন প্রয়োজন । ধন্যবাদ ।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১
সাইফুল আজীম বলেছেন: সংশোধনের ব্যাপারে বললে ভালো হত। শুধরে নিতাম।
৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪
অদৃশ্য বলেছেন:
এই পর্বটা পড়েই প্রথমটাতে গেছিলাম... আপনার সাথে থাকার ইচ্ছে থাকলো পুরো ভ্রমণ জুড়ে...
শুভকামনা...
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৩
সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ। আশা করছি ধারাবাহিকের বাকী পর্বগুলো আপনাকে আনন্দ দিবে।
৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: ভাল লাগল।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৩
সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৩
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: সুন্দর ছবিগুলো। শুভেচ্ছা রইলো, সুধী।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২১
সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ
৮| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০
মঞ্জুরে খোদা টরিক বলেছেন: আসলেই দারুণ রোমান্সকর-- উপস্থাপনার ঢংটা সুন্দর। ভাল লাগলো--
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩
সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ
৯| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৩২
ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: আমিও এ্যমট্র্যাক এ করে সম্ভবত ৭,০০০কিমি জার্নি করেছিলাম, সেই ক্যলিফোরনিয়ার বেকার্সফিল্ড থেকে টরন্টো পর্যন্ত। তিন দিন লেগেছিল, অভিজ্ঞতা আমার ব্লগে দিয়েছি।
০১ লা মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৬
সাইফুল আজীম বলেছেন: বাহ্, বেশ মজার ছিল নিশ্চয়ই?
১০| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৮
নীল ভোমরা বলেছেন: বাহ্!....বেশ এনজয় করছেন!
০১ লা মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৭
সাইফুল আজীম বলেছেন: হ্যা, তা বলতে পারেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৮
মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: ভাই এখানে কি করেন?