নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পাখির চোখে পৃথিবী দেখতে ভালোবাসি।

সাইফুল আজীম

পেশা ও নেশা ড্রোন, জি.আই.এস এবং রিমোট সেনসিং নিয়ে কাজ করা। সেটাই করে চলছি, সেই সাথে আছি সামুর সাথে।

সাইফুল আজীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

৪১১৫ কিলোমিটার এবং আরো কিছু-৩: ভিশাখাপট্টমে এদিক সেদিক

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

পর্ব ৩ আমাদের ভিশাকাপট্টম ঘুরিয় দেখাবে। ৪ তারিখ সকাল থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত আমি ভিশাখাপট্টমে যতটুকু ঘুরেছি তাই নিয়ে লিখছি আজ।



আগেই বলেছি একটি সিম্পোজিয়ামে এসেছি পেপার প্রেজেন্ট করতে। তো ৪ তারিখ শুরু হয় সিম্পোজিয়াম।







আমার প্রেসেন্টেশন ছিল ৬ তারিখ তাই শুরুর দিনে রেজিস্ট্রেশন করেই ঘুরতে বের হয়ে যাই।আগে এসে ঘুরে যাওয়ায় সবকিছুই পরিচিত। শুরু কবলাম বঙ্গোপসাগরের তট থেকে। এটাকে আমি সী-বিচ বলবনা এর প্রাকৃতিক গঠনের কারনে। রুক্ষ ঢেউ আর পাথুরে তট নিয়ে গঠিত এই সমুদ্র উপকুলকে কক্সবাজারের মত বিচের আধিকারিক দেশের নাগরিক এই আমি আর যাই হোক বিচ বলতে পারিনি। তবে সমুদ্রের রুক্ষতা, তেজ ইত্যাদি দেখতে ভালোই লেগেছে। সকাল আর সন্ধ্যায় রোজ গিয়ে এর সৌন্দর্য উপভোগ করেছি। নিচের ছবিগুলো নানা সময়ে তোলা।































৪ তারিখ রাতে যাই কৈলাশগিরি নামক এক পাহাড়ের চূড়ায় ডিনারের আমন্ত্রণে। সেখানে ভিশাখাপট্টমী নাচ উপভোগ করি।







এ জায়গাটি দিয়ে দিনের বেলায় পুরো সমুদ্রতট আর রাতে আলো ঝলমল শহর দেখা যায়। আমি সন্ধ্যা থাকতেই চলে যাই তাই দুটোই উপভোগ করি।











৫ তারিখ বিকালবেলা যাই সাবমেরিন মিউসিয়ামে যেখানে ভারতীয় নৌবাহিনীর ব্যবহৃত একটি রাশিয়ান সাবমেরিনকে মিউসিয়ামে পরিনত করা হয়েছে (আমার কাছে এর ভেতরের সবকিছুর ছবি রয়েছে যা নিয়ে একটি পৃথক পর্ব লিখতে চাই)। সাবমেরিনের সাথে একটি লাইট এয়াক্রাফট আর ট্যাংকও রাখা ছিল। দেখলাম সেগুলিও। পুরোটা সমুদ্রতট এসব সহ নানা রকম জিনিষ দিয়ে বেশ সুন্দর করে সাজানো এবং খুবই পরিচ্ছন্ন। ব্যাপরাটা ঘুরতে আসা মানুষকে আকর্ষিত করে।



















৬ তারিখ আমার প্রেজেনটেশন দিয়ে, সিম্পোজিয়াম শেষ করে, সমুদ্রতট ঘুরে হোটেলে ফিরে আসি। এ সময একটি নেভাল শিপ চোখে পড়ে। আর আকাশে দেখি বিশাল আই-আই ৭৬ মডেলের মিলিটারি কার্গো বিমান। ভালোই হল, নতুন কিছু দেখলাম।











রাতে টুকটাক শপিং করি তারপর প্যারাডাইসে বিরিয়ানি আর এখানকার বিখ্যাত মটকা কুলফি নামক আইসক্রিম খাই। এটা দক্ষিণের দিকে ছাড়া আর কোথাও পাইনি আমি। খেতে খুবই মজার!







৭ তারিখ সকালে ট্রেন। এবার সিট এসি কামরাতেই তবে যেহেতু পাশ পরিবর্তন হয়েছে তাই নতুন কিছু দেখবার আশা নিয়ে সবকিছু গুছিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকাল ৬.২৫ এ ট্রেন তাই ৫টায় উঠতে হবে।অতএব, শুভরাত্রি ভিশাখাপট্টম।



পর্ব ৪ বা শেষ পর্বে থাকবে ফিরতি যাত্রার বর্ননা। যদিও পথ একই কিন্তু যা কিছু নতুন ছিল তাই থাকবে এতে। আমন্ত্রন রইল সমাপ্তিতে।



**২য় পর্ব:

Click This Link



*১ম পর্ব:

Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.