![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পেশা ও নেশা ড্রোন, জি.আই.এস এবং রিমোট সেনসিং নিয়ে কাজ করা। সেটাই করে চলছি, সেই সাথে আছি সামুর সাথে।
দেরাদুনে প্রচুর তিব্বতীয়দের বাস। তাদের রয়েছে আলাদা কলোনী, ব্যবসার জন্য আলাদা মার্কেট এবং রেস্টুরেন্ট। এখানে আসার পর থেকেই এই রেস্টুরেন্টগুলোর নাম-ডাক শুনেছি, গিয়েছিও বারকয়েক। খাবারের মান সত্যিই অতুলনীয় এসব রেস্টুরেন্টে। আজ থিসিসের সবচাইতে বড় সমস্যার সমাধানের পর যখন সেলিব্রেশনের ইচ্ছা হল তখন ঠিক করলাম মধ্যান্যভোজনটা তিব্বতীয় রেস্তোরাঁতে করব।
সবচাইতে ভালো তিব্বতীয় রেস্তোরাঁটি দেরাদুন থেকে প্রায় ১৫ কিমি দূরে রাজপুরে অবস্থিত। পাহাড় ঘেরা এই রেস্তোরাঁয় শুধু যে পেটের ক্ষুধা মেটায় তাই নয়, বরং চারপাশের প্রকৃতি মনের ক্ষুধাকেও প্রশমিত করে। আজ আমার গন্তব্যস্থল ছিল এটাই। ক্যাম্পাস থেকে অটো নিয়ে পাহাড়ী ঢাল বেয়ে উপরে উঠতে উঠতে পৌছে গেলাম রাজপুরে।
ছোট্ট একটা মফস্বল এই রাজপুর যা জিলাপীর জন্য বিখ্যাত। কিন্তু আজ দিন জিলাপীর নয় তাই রাজপুরে নেমে হেঁটে এগিয়ে গেলাম ORCHARD এর দিকে। এটাই রেস্তোরাঁটির নাম। তবে কোথাও কোন গেট নেই। বাগানের ভেতর দিয়ে চলতে চলতে হাজির হলাম রেস্তোরাঁর দরজায়।
বাইরে এবং ভেতরে দুই জায়গাতেই বসার ব্যবস্থা। বাইরে বসলে খাওয়া আর দেখা দুটোই সম্ভব। তাই প্রথম রাউন্ডে বাইরে বসলাম এবং পরে ভেতরে গিয়ে বসলাম। রেস্তোরার সবকিছুতেই কাঠের ব্যবহার। আসবাব, পাত্র সবকিছুতেই কাঠ।
চারপাশের পরিবেশ শান্ত আর সুন্দর। আর এই সবকিছু যেন আমার ক্ষুধা বাড়িয়ে দিল। দেরী না করে অর্ডার করলাম। অর্ডার করলাম দু দফায়। এরা প্রায় ২০ মিনিট টাইম নেয় বলে প্রথম দফা শেষ করে যেন পরের দফা পাই তাও বলে দিলাম। এও বলে দিলাম প্রথম অর্ডার বাইরে আর দ্বিতীয় অর্ডার ভেতরে সার্ভ করতে।
অর্ডার শেষে নজর দিলাম প্রকৃতির দিকে। পাহাড়ের নানা রূপ দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
পানির শব্দে তাকালাম নিচে বয়ে চলা ছড়ার দিকে। আহা কি সুন্দর!
চোখ গেল কিছু গ্রীণ হাউস টাইপ ঘরের দিকে। হারতে পারলাম ওখানে ফুল চাষ করা হয় গ্রিণ হাউসের ভেতরে।
প্রথম দফার অর্ডার চলে এল। এতে ছিল টুং-ফং চিকেন স্যুপ এবং গার্লিক চিকেন নুডুলস। তিব্বতীয় খাবারের মূল মন্ত্র হল নানা রকম সস্ যা খাবারকে অন্যরকম এটা স্বাদ দেয়। প্রতিবার মুখে নিতেই ষোলআনা তৃপ্তি পাওয়া যায়।
দেরী না করে প্রথম দফা পেটে চালান করলাম এবং পা বাড়ালাম রেস্তোরাঁর ভেতরে। গিয়ে দেখি দ্বিতীয় দফায় হাজির ভেজিটেবল ডামপ্লিং স্যুপ এবং সিচুয়ান বিফ ফ্রাইড রইস।
স্যুপটা ছিল অদ্বিতীয় আর প্রচুর ঝাল দেয়া বিফ রাইসের পুরোটা শেষ করতে গিয়ে চোখে পানি চলে এল। সাহায্য নিলাম লেমোনেডের এবং শেষ করলাম মধ্যান্যভোজন।
ফিরে এলাম ক্যাম্পাসে এবং অপেক্ষায় পরবর্তী সাফল্যের। এটা নিশ্চিত যে পরবর্তী সেলিব্রেশনটাও এখানেই হবে।
তিব্বতীয় রেস্তোরাঁ রকস্.......
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯
সাইফুল আজীম বলেছেন: না ভাই, মোটেই না। কোল্ড ড্রিংকস সহ ৪টা আইটেম খেলাম। ১৩.৫% ভ্যাট সহ বিল এল ৫০০ রূপীর মত। আমি একা ছিলাম তবে প্রতিটা খাবারের পরিমান দুইজনের জন্য যথেস্ট। সে দিক দিয়ে চিন্তা করলে দাম সহনীয়।
২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪
নীল বরফ বলেছেন: দেখতে অনেক সুন্দর;সাথে খাবারগুলোও জিভে জল এনে দিলো যে!।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪৬
সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ।
খাবারগুলো আসলেই জিভে জল আনে।
৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩০
লিখেছেন বলেছেন: alone in such a fine restaurant! its not a full dining experience! Unless you are a loner. Sorry, for english writing!
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৩
সাইফুল আজীম বলেছেন: উপায় নাই ভাই, প্রবাসে এমন পরিবেশে নিয়ে যাওয়ার মত কেউ নাই তাই একলাই সই!
৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ওয়াও খাবার গুলির কালার ই বলছে কতটা টেস্টি ছিল ।।
শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৮
সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ।
তিব্বতীয় খাবার আসলেই টেস্টি
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫১
লিখেছেন বলেছেন: expensive?