![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পেশা ও নেশা ড্রোন, জি.আই.এস এবং রিমোট সেনসিং নিয়ে কাজ করা। সেটাই করে চলছি, সেই সাথে আছি সামুর সাথে।
মুসৌরি ভ্রমন আমার কাছে নতুন কিছু নয়। মুসৌরি নিয়ে একটি পর্বও লিখেছিলাম এই ধারাবাহিকে। কিন্তু আজ সেই মুসৌরি ভ্রমনই আমাকে এনে দিল এক অন্যরকম, আনকোরা এবং নতুন কিছু সময়। নানা ঋতুতে নানা রূপধারীনী মুসৌরি আজ সেজেছিল শুভ্র চাদরে। আমি সেই শুভ্রতা নিয়েই এ পর্বে।
শনিবার দিনভর বৃষ্টিতে নিশ্চিত ছিলাম যে মুসৌরিতে তুষারপাত অবধারিত। গতকাল সন্ধ্যায় জানতে পারলাম তুষারপাত বিগত ১২ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছে। মুসৌরি সেজেছে তার মৌলিক সাজে। দেরী না করে আজ রবিবার মুসৌরি যাওয়ার পরিকল্পনা করলাম। সাথে আছেন একজন বাংলাদেশী ট্রেইনী। রাতে জানতে পারলাম ভারী তুষারপাতে রাস্তা চলাচলের অযোগ্য তাই বাস, ট্যাক্সি কিছুই চলবেনা। কিন্তু তবুও সিদ্ধান্ত নিলাম সকালে বাস স্টেশনে যাওয়ার। কারন খুব সকালে বাস চলতে পারে এমন তথ্য পেয়েছিলাম।
সকাল ৬.৪৫ এ দুই বাংলাদেশী বাস স্টেশনে হাজির। বাস যাবে, যাবেনা করতে করতে একসময় ছাড়ল। কিন্তু কতদূর যেতে পারবে তা কেউ জানেনা। বাস এগিয়ে চলল। দূর পাহাড়ে তুষারের মুকুট দেখে আমি পাগলপ্রায়।
বাস এগোতে থাকে আর শুভ্র মুসৌরিও ধরা দেয় রেটিনাতে। আহা কি রূপ!!
একসময় রাস্তার চারপাশে দেখা মিলে তুষারের। রেফ্রিজারেটর বিনা বরফ এই প্রথম দেখলাম।
বাস থেমে গেলা। মুসৌরি যেতে বাকী ৭ কিমি রাস্তা এবার হেঁটে যেতে হবে। অতএব হন্টন শুরু হল। রাস্তার দু-ধারে তুষার, পাশের খাদে তুষার, এদিকে-ওদিকে যেদিকে তাকাই শুধুই তুষার।
রাস্তায় চলতে চলতে ফটোসেশনের মাঝে নজরে এল কিছু গাড়ি। কোন গাড়ি তুষারে আটকে আছে, কোন গাড়ি হুড ভর্তি তুষার নিয়ে ঠায় দাড়িয়ে আবার কোন কোন গাড়ি তুষার মাথায় নিয়ে আস্তে আস্তে চলছে আর বারবার স্কিড করছে।
রাস্তা ধরে যতই সামনে এগোই তুষার ততই বাড়ে। ক্লিনারেরা ব্যস্ত তুষার সরাতে।আর রাস্তার ধারে সব বাড়ির ছাদ কে যেন একদম স্নো-ওয়াস করে দিয়েছে মনে হল।
রাস্তার পাশে সবাই তুষার-মানব রেপ্লিকা বানাতে ব্যস্ত। আমরাও একটা বানালাম। চারুকলা বিষয়ক প্রতিভায় আমি যে শূন্য তার প্রমান পেয়ে গেলাম তুষার-মানবকে এক নজর দেখেই।
প্রায় দুই ঘন্টার হন্টন শেষে মুসৌরিতে পৌছালাম। কিন্তু রাস্তা যেন ক্রমশই বিপদজনক হয়ে উঠেছে সেখানে। তুষারের পুরু আস্তরন, গাড়ির স্কিড, পার্কিং লটে তুষারে চাপা পড়া গাড়ি.........সবমিলিয়ে বেশ ভয়ের একটা ব্যাপার। কিন্তু সব বাধা পেরিয়ে আমরা মুসৌরিতে অবশেষে।
সকালে নাস্তা করিনি তাই স্থানীয় হোটেলে আলু-পরোটা, অমলেট আর চা খেয়ে নিলাম। শরীরে যেন জোস ফিরে এল।
নাস্তা শেষে মুসৌরি ভ্রমন শুরু। মুসৌরির রাস্তায় নামতেই চোখ গেল দূরের দেরাদুন শহরের দিকে। মেঘের নিচে আবছা দেরাদুনকে খুব অচেনা এবং রহস্যময়ী মনে হল।
মুসৌরির রাস্তা যেন আর রাস্তা নেই, তুষারের শক্ত পাতে পরিনত হয়েছে! এখানে হন্টন খুবই মুসকিল। রাকিব ভাইয়ের হ্যাট্রিক আছাড় খাওয়া দেখে আমি সতর্ক হয়ে গেলাম আর অপেক্ষাকৃত নরম তুষারে গোড়ালীর চাপে গর্ত করে করে সামনে এগোতে থাকলাম।
পুরো মুসৌরিই তুষারের চাদরে ঢাকা। ঘরের ছাদ, পানির ট্যাংক, গাছ.....সবকিছুই সাদা। আমার কাছে সবচাইতে ভালো লাগল বড়ির ছাদগুলো।
মুসৌরিতে কিছু পয়েন্ট আছে যেখান থেকে হিমালিয়ান রিজিয়নের পাহাড়গুলো দেখা যায়। তুষারাবৃত পাহাড়গুলো আজ অসাধারন লাগছিল।
মুসৌরির একপাশ থেকে অপরপাশের শহরটাকে দেখলাম এরপর। মনে হচ্ছিল যেন মুসৌরির জমজ।
এভাবে ঘুরে ঘুরে মুসৌরির শুভ্র রূপ দেখলাম।আজ আর কোন রকম কেনাকাটা করলামনা। তবে কিছু আজিব শখ পূরন করলাম যেমন কামড়ে কামড়ে তুষার খাওয়া, স্কিডিং করা......এইসব হাবিজাবি আর কি!!
ফিরতে হবে ঘরে। আবারর হন্টন শুরু। তবে রাস্তাগুলো এবার আগের মত নেই। তুষার মিলিয়ে যাচ্ছে সূর্যের তেজে, রাস্তা ফিরে পাচ্ছে চিরচেনা রূপ।
ঢাল বেয়ে নামার কারনে মাত্র ১.৫ ঘন্টায় পৌছে গেলাম বাস ছেড়ে যাওয়ার স্থানে। কিন্তু বাস না।পাওয়ায় ট্যাক্সি করে ফিরতে শুরু করলাম। পিছন ফিরে তাকালাম মুসৌরির দিকে। শুভ্র চাদর প্রায় ঝেড়ে ফেলে মুসৌরি তৈরি হচ্ছে নতুন রূপ ধারনের।
অপেক্ষায় আমি আগত বসন্তের.....
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪৫
সাইফুল আজীম বলেছেন: মানালি যাওয়ার প্লান ছিল। কিন্তু আর যাচ্ছিনা
২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অসাধারন কিছু ছবি ...
মন ভাল হয়ে গেল ...।
আপনি কোথায় থাকেন ? এক দিনে আসা যাওয়া করেছিলেন মনে হয় ? সব সময় ভাবি যাব ,কিন্তু এটা আবার বাচ্চাদের পরিক্ষার সিজেন
তাই ছবি দেখে আর বর্ণনা পড়েই শখ মিটাই ...
পোস্ট খুব ভাল লেগছে
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০২
সাইফুল আজীম বলেছেন: আপু, আমি ভারতের দেরাদুন শহরে থাকি। মুসৌরি দেরাদুন থেকে মাত্র ২৯ কিমি দূরে। বাসে যেতে ৪৫ মিনিট লাগে। আমি প্রায় যাই ঘুরতে।
যদি এখানে আসতে চান তবে জানুয়ারিতে আসবেন।
ধন্যবাদ।
৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার বাসা থেকে ৮।১০ ঘন্টার জার্নি ,কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে বাচ্চা দের ইয়ার ফাইনাল ।মার্চ এর আগে ঘুরাঘুরি নাই
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩২
সাইফুল আজীম বলেছেন: মার্চে আসলে মুসৌরির আরেক রূপ পাবেন। মুসৌরি সবসময় অনন্যা
৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৫৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
দারুণ পোস্ট। ছবিগুলো দেখে ভালো লাগল।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:১৪
সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৯
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: কবে যে যাবো, কবে যে যাবো?
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫০
সাইফুল আজীম বলেছেন: যেকোন সময়
৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩৭
টেকনিসিয়ান বলেছেন: সব কিছুই অসাধারণ লাগল।
আচ্ছা দিল্লী থেকে দেরাদুন কদ্দুর ট্রেনে...
আরো প্রশ্নের উত্তর ২, ৩নং পেয়ে গেলাম। ধন্যবাদ।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৪২
সাইফুল আজীম বলেছেন: ৩১৪ কিমি। সবচাইতে ভালো ট্রেন শতাব্দী এক্সপ্রেস। মান ও সময় দুটোই বেস্ট এটাতে।
৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০
মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার ভ্রমন!
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯
সাইফুল আজীম বলেছেন: তা যা বলেছেন
৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭
তূর্য হাসান বলেছেন: দারুন অভিজ্ঞতা।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪০
সাইফুল আজীম বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০১
রানা সোহেল বলেছেন: লেখা ভালো হচ্ছে সাইমন। চালিয়ে যা। (Y)
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪৪
সাইফুল আজীম বলেছেন: সবই আপনার দোআ সোহেল ভাই
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৭
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দারুণ, আমিও এই সৌন্দর্য উপভোগ করেছিলাম মানালিতে, একবারে ভরা তুষাপাতের মধ্য দিয়ে সেদিন মানালি ছেড়েছিলাম...