নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পাখির চোখে পৃথিবী দেখতে ভালোবাসি।

সাইফুল আজীম

পেশা ও নেশা ড্রোন, জি.আই.এস এবং রিমোট সেনসিং নিয়ে কাজ করা। সেটাই করে চলছি, সেই সাথে আছি সামুর সাথে।

সাইফুল আজীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছুটিতে দেশের পথে-২.২ : অতঃপর প্রবাসে (কলকাতার জলপথে)

১০ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৪০

কলেজ স্ট্রীট ভ্রমন শেষে ট্যাক্সি করে ফিরে আসলাম হাওড়া স্টেশনেই। তবে রাস্তায় ভীষন জ্যাম ছিল। জ্যামের এমনই দশা যে বাস আর ট্রাম একই ট্রাকে দাড়িয়ে ছিল যদিও ট্রামের ট্রাকে বাসের চলার কথা নয়।







স্টেশনে ফিরে ফ্রেশ হলাম, ক্যামেরা ও ট্যাব রিচার্জ করলাম এবং সাবওয়ে ধরে চলে এলাম ফেরী ঘাটে।







হুগলী নদীর ওপারে চোখ পড়তেই মনে হল যেন আধুনিক ও কমার্শিয়াল কলকাতাকে দেখছি। এপারে-ওপারে যেন বিস্তর ফারাক।







ওপারে যাওয়ার ফেরী চলে এল। মন্দ নয় ফেরীটি। উঠে বসবার দুই মিনিট পরই ফেরী রওয়ানা করল ওপারের উদ্দ্যেশে।







ফেরী কিছুটা দূরে যেতেই পুরো ফেরী ঘাট একসাথে দেখতে পেলাম। নানা রুট থেকে ফেরীগুলো আসছে, একটু থেমেই আবার চলছে। সবগুলো একই ধাঁচের হলেও বেসরকারিভাবে চলা ফেরীগুলো তুলনামূলকবাবে নতুন মনে হল।







ফেরী তখন নদীর মাঝে। হাওড়া স্টেশন, হাওড়া ব্রীজ এবং বিদ্যাসাগর সেতু....তিনটি স্থাপত্যই পুরো দেখতে পেলাম মাঝ নদী থেকে।



হাওড়া স্টেশনের নতুন ও পুরাতন ভাগের সুক্ষ্ম পার্থক্য বুঝতে পারলাম। এও বুঝলাম এটা আসলে কত বিশাল জায়গা নিয়ে দাড়িয়ে।







হাওড়া ব্রীজের একাংশ নতুন রং পেয়ে চকচক করছে। রোদেলা বিকেলে হাওড়া ব্রীজের এমন অসাধারন রূপ দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগল। পুরো ব্রীজটাই আমার চোখের সামনে!!







একটু দূরে তবুও স্পষ্ট বিদ্যাসাগর সেতু। হাওড়ার মতই পুরো অবায়ব নিয়ে হাজির আমার সামনে!







স্টেশন এবং ব্রীজ দেখতে দেখতে ফেরী ওপারের ঘাটে ভীড়ল। ভাবলাম একটু ঘুরে দেখি। তাই একটি রেল স্টেশন এবং ব্যস্ত সড়ক পেড়িয়ে চলে এলাম এক অফিস পাড়ায়। ইস্টার্ন রেলওয়ের দপ্তরের পাশ দিয়ে এগিয়ে চললাম হরেক রকম স্ট্রীট ফুডের বাহার দেখতে দেখতে। ডাল-ভাত থেকে বিরিয়নি, নানা রকম মিস্টি, ফল, পানীয়......সে এক এলাহী ব্যাপার। সবাই খুব খাচ্ছে এটা-ওটা। আমিও বা কম কিসে! জিলাপী, লাস্যি এবং তেহারী খেলাম। স্বাদের কথা বলতে গেলে আদি স্ট্রীট ফুড যাকে বলে ঠিক তাই।











অফিস পাড়ায় চক্কর শেষ করে নদীর পারে গড়ে তোলা মিলিনিয়াম পার্কে এসে বসলাম। হুগলী নদীর বয়ে চলাকে উপভোগ করলাম প্রান ভরে।







সন্ধা হয়ে এলে সূর্যের বিদায়বেলা যেন নদীর পানিতে মিশে যেতে শুরু করল। সূর্যাস্তের কিছু ছবি তুললাম। নদীর পারে এমন সুন্দর সূর্যাস্ত খুব কমই দেখেছি আমি।















ফিরে যেতে হবে এবার। ফেরীতে চড়ে বসলাম। হাইরাইজের গ্লাসে প্রতিফলিত অস্তমিত সূর্য যেন আমাকে বিদায় জানাল। ফেরী এপারে ভিড়তেই লকার থেকে লাগেজ নিয়ে ওয়েটিং রুমে চলে এলাম। তৈরি হতে হবে দীর্ঘ ট্রেন যাত্রার জন্য।







কলকাতা ভ্রমনের ইতি এখানেই। দেরাদুন ফিরব আগামী পর্বে। দেখবে ভারতের সবচাইতে দীর্ঘতম রেল ও সড়ক সেতু এবং আরও কিছু শেষ পর্বে।



পর্ব ২.১:



Click This Link



পর্ব ১:



Click This Link

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:০৭

আমিনুর রহমান বলেছেন:





সুন্দর পোষ্ট +++
বর্ণনা ও ছবি ভালো হয়েছে

১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯

সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫

মিলটন বলেছেন: সবপর্ব গুলোই পড়বো :)

১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০০

সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ। আশা করি ভালো লাগবে।

৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:০৪

খাটাস বলেছেন: ছবি পোস্ট অনেক ভাল লাগল। প্লাস।
শুভ কামনা জানবেন।

১০ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৫

সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:০৭

তূর্য হাসান বলেছেন: হাওড়া ব্রিজটা আরও কাছে থেকে দেখার ইচ্ছে ছিল। হতাশ হলাম। তবুও ধন্যবাদ।

১০ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৯

সাইফুল আজীম বলেছেন: আরও কাছে থেকে পুরো ব্রিজটা দেখা যেতনা।

ধন্যবাদ

১০ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৮

সাইফুল আজীম বলেছেন: হাওড়া ব্রিজের কাছ থেকে নেওয়া ছবি পাবেন কোন এক দিন

৫| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৩৮

সুমন কর বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। গুড পোস্ট।

১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫০

সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৫৩

এহসান সাবির বলেছেন: বর্ণনা ও ছবি ভালো হয়েছে।

শুভকামনা।

১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫০

সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ

৭| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৩

বেলা শেষে বলেছেন: ....good post.

১১ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬

সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৭

আদম_ বলেছেন: ওখানকার মানুষদের নিয়ে লিখুন। এই যেমন তাদের অদ্ভুত কিছু চাল-চলন-মনমানসিকতা। যা আমাদের সাথে ওদের প্যার্থক। অথবা কোন হ্যাপায় পড়েছেন কিনা এই সব আরকি।

১১ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫

সাইফুল আজীম বলেছেন: আমার কোন ভ্রমনেই আমি কোন হ্যাপায় পড়িনি কারন আমার প্রতিটা ট্যুরই অফিসিয়ালি সিডিউলড্ এবং আমি নিজেও ট্যুরের ১ মাস আগে থেকেই সবকিছু প্রোগাম করে রাখি, তথ্য সংগ্রহ করে নেই। তাই ভারতের যেখানেই ঘুরতে গিয়েছি কোথাও হ্যাপা নামক কিছুতে পড়িনি। তাই আমার ভ্রমন ব্লগে এসব পাবেননা।

আমি যেখানে থাকি বা যেখানে যেখানে ঘুরতে গিয়েছি কোথাও অদ্ভুত চাল-চলন-মানসিকতা চোখে পড়েনি। খাবারের কথা বললে কিছু পরিবর্তন দেখেছি। সময় পেলে লিখতে চেষ্টা করব। তবে গত জুলাইতে নানা দেশের মানুষদেরকে নিয়ে কিছু সিরিজ লিখেছিলাম। পড়ে দেখবেন। আশা করি ভালো লাগবে।

৯| ০২ রা মে, ২০১৪ বিকাল ৫:০৩

েবনিটগ বলেছেন: :)

০২ রা মে, ২০১৪ রাত ১০:৪০

সাইফুল আজীম বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.