নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পেশা ও নেশা ড্রোন, জি.আই.এস এবং রিমোট সেনসিং নিয়ে কাজ করা। সেটাই করে চলছি, সেই সাথে আছি সামুর সাথে।
কলকাতার পথ-ঘাট এবং জলপথ ঘুরে সন্ধ্যায় ওয়েটিং রুমে ফিরে এলাম। ফ্রেশ হয়ে রাতের খাবারের সন্ধানে ফুড প্লাজাগুলোতে ঘুরে ঘুরে অবশেষে চিকেন কারী, রাইস এবং কিছু স্ন্যাক্স কিনলাম। ট্রেন ছাড়ার ৩০ মিনিট পূর্বেই ট্রেন প্লাটফর্মে হাজির। ট্রেনের নাম দুন এক্সপ্রেস। ১৯২৫ সাল থেকে দেরাদুন-কলকাতা রুটে চলাচল করা একমাত্র দৈনিক ট্রেন এটি।
ট্রেন সঠিক সময়ে হাওড়া ছাড়ল। সারাদিনের ভ্রমনে ক্লান্ত এই আমি রাতের খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে পড়লাম। তবে কাশীতে পিন্ডদান করতে যাওয়া ছয় সহযাত্রীদের রাতভর গল্প-আড্ডায় ঘুম খুব একটা হলনা। রাতে টের পেলাম বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি ট্রেন থেমে আছে এক মফস্বল স্টেশনে। বৃষ্টিস্নাত সকালের মনোরম আবহাওয়ায় সকালের নাস্তা সেরে নিলাম।
ট্রেন ছাড়তেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামল। ট্র্রেন বা বাস, বাহন যাই হোক, যাত্রাপথে বৃষ্টি দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। কাঁচ বেয়ে বৃষ্টি নামছে, দূরে দাড়িয়ে বৃষ্টিভেজা পাহাড়......আহা! প্রকৃতি কতই না সুন্দর।
চলতে চলতে ট্রেনে করে পার হলাম সোন ব্রীজ যা ভারতের দীর্ঘতম ব্রীজ। একটি সড়ক সেতু এবং দুটো রেল সেতু সোন নদী পেরোতে সাহায্য করে যানবাহনগুলোকে।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামল। সময় পার করতে ইনফার্নো এবং সাদা বেড়াল কালো বেড়াল বইদুটো পড়ে ফেললাম। পাশ কাটিয়ে চলা রাজধানী এক্সপ্রেসকে দেখে আগস্ট ট্যুরের কথা মনে পড়ল।
বিকেল সন্ধ্যায়, সন্ধ্যা রাত আর রাত সকালে পরিনত হল। ট্রেনের ধীরগতি, পরিচিত বন-জঙ্গল এবং পাহাড় আমাকে জানিয়ে দিল দেরাদুনে এসে পড়েছি।
যেমনটা পরিকল্পনায় ছিল তার সবকিছুই ঠিক-ঠাক হল। ২০ দিনের ট্যুর শেষে আবারও দেরাদুনে আমি। অতএব এই ধারাবাহিকেরও অন্ত এখানেই।
*আগামী মাসে রাজস্থানে অবস্থিত মাউন্ট আবুতে ৭ দিনের ট্যুরে যাচ্ছি। বলা যেতে পারে সুপারভাইজারের দেওয়া বার্থডে গিফট। ট্যুর শেষ হতেই হাজির হব মাউন্ট আবু ভ্রমন ব্লগ নিয়ে। এখন অপেক্ষা এপ্রিলের.......
**গত রবিবার দেরাদুনে অবস্থিত মালসি ডিয়ার পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেই ভ্রমনচিত্র নিয়ে আসব খুব জলদি।
পর্ব ২.২:
Click This Link
পর্ব ২.১:
Click This Link
পর্ব ১:
Click This Link
১১ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২
সাইফুল আজীম বলেছেন: নারে ভাই, আমি বড়লোক না। আমার প্রতিটা ট্যুরই কোন না কোন ভাবে আমার রিসার্চের সাথে লিংকড্ আর তাই ট্যূরের সকল খরচ ট্যুরের আগেই পেয়ে যাই। ট্যুর করি আমি, টাকা দেয় ইউ.এন। ভারতে আসার পর এখন পর্যন্ত কোন ট্যুরেই নিজের টাকা খরচ করতে হয়নি।
২| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৩১
বেলা শেষে বলেছেন: Thank you very much for informations.
১১ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯
সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০০
তূর্য হাসান বলেছেন: আমিও আপনার পিছু পিছু এখন দেরাদুনে। দেখি আপনার চোখে আর কি কি দেখা যায়।
১১ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৪
সাইফুল আজীম বলেছেন: কাল বা পরশু ডিয়ার পার্ক দেখাব। আর কোন এক সিরিজে দেরাদুন শহরের নানা কিছু দেখাব কোন এক সময়।
৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:১৫
অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: ভালো লাগছে ভ্রমনের গল্প আর ছবি ।
১২ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:১২
সাইফুল আজীম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৫| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ ভোর ৫:৩৩
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আগের পর্বগুলোর শুধু ছবিগুলো দেখে এলাম। তবে এই পর্বের ছবিও দেখলাম আবার বর্ণনাও পড়লাম। এই ধরণের পোস্টে আমার মতো পাঠক আরও বেশী ছবি আশা করে। আশা করছি মালসি ডিয়ার পার্কের পোষ্ট যখন দেবেন তখন বেশী বেশী ছবি থাকবে। ভালো লাগলো আপনার এই ভ্রমণ পোষ্ট। ধন্যবাদ সাইফুল আজীম।
১২ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:১৭
সাইফুল আজীম বলেছেন: ভাই, কি কারনে জানিনা ব্লগে ছবি আপলোড করতে আগের চাইতে অনেক বেশী সময় লাগছে। সে কারনেই ছবির সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছি এই সিরিজটিতে। আর এই সিরিজে সেই ছবিগুলোই দিয়েছি যা আগের ট্রেন যাত্রার সিরিজগুলোতে ছিলনা। সে কারনে ছবির সংখ্যা কিছুটা কম হয়েছে। তবে পরবর্তী পোষ্টে বেশী বেশী ছবি দেওয়ার চেষ্টা করব, কথা দিলাম।
ধন্যবাদ।
৬| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬
সুমন কর বলেছেন: গুড পোস্ট।
১২ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৫
সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ০২ রা মে, ২০১৪ বিকাল ৫:০২
েবনিটগ বলেছেন:
০২ রা মে, ২০১৪ রাত ১০:৪১
সাইফুল আজীম বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫
আদম_ বলেছেন: বড়লুকের পুস্ট