নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পেশা ও নেশা ড্রোন, জি.আই.এস এবং রিমোট সেনসিং নিয়ে কাজ করা। সেটাই করে চলছি, সেই সাথে আছি সামুর সাথে।
শনিবার এবং রবিবার, ছুটির দুটো দিনে আমি ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করি। গত রবিবার ঘুরে আসলাম দেরাদুন শহর থেকে কিছুটা দূরে দেরাদুন ফরেস্ট এরিয়াতে অবস্থিত ডিয়ার পার্ক থেকে। আদতে চিড়িয়াখানার মত হলেও পার্কটি বনের মাঝে অবস্থিত এবং বনের বেশ বড় একটা অংশ ঘিরে এই বনে বাস করা নানা প্রজাতির হরিন রাখা হয়েছে। সেই সাথে হরিনের অংশের তুলনামূলক ছোট জায়গায় আরও কিছু প্রানী রাখা হয়েছে। বনের ঠিক মাঝে হওয়ায় সাধারন চিড়িয়াখানা থেকে এটি একদমই অন্য রকম আবহ উপলব্ধি করায়।
ক্যাম্পাস থেকে রওয়ানা করে পার্কের দুই কিলোমিটার দূরে নেমে গেলাম বাস থেকে। বাসে আসলে এই দুই কিলোমিটার রাস্তা হন্টন করতে হবে।
২ কিলোমিটার পাহাড়ী চড়াই পেরিয়ে ডিয়ার পার্কে পৌছাতে দুইবার বিশ্রাম নিতে হল এবং ক্লান্তি ড্রিংকসের সাহায্য নিতে হল। অবশেষে আধা ঘন্টার হন্টন শেষে ডিয়ার পার্কে পৌছালাম। সুন্দর কাঠের নামফলক এবং ওয়াল পেইন্ট সম্বলিত ১৯৭৬ সালে নির্মিত ২৫ হেক্টরের ডিয়ার পার্ক আমাকে স্বাগত জানাল।
এরপর দেয়াল ঘেরা প্যাসেজ ধরে মিনিট দুয়েক চলতে হল। কেমন যেন চুপ-চুপ পরিবেশ চারিপাশে।
টিকেট গেট দিয়ে ঢুকতে যাওয়া আগে দেখতে পেলাম একটি চিতাবাঘের ওয়াল পেইন্ট। তারমানে পার্কে বাঘও আছে এবং দেরাদুনের বনেও। গত বছর গহীন বনে ফিল্ড ওয়ার্কের সময় হাতী, নানা প্রজাতির হরিন, বানর, ইত্যাদি দেখৈছিলাম। ভাগ্যিস চিতাবাঘের সামনে পড়িনি।
পার্কের শুরুতেই সুন্দর একটি গাইড ম্যাপ দিয়ে কোথায় কি কি রয়েছে তা দেখানো হয়েছে। আমি হরিনের জায়গাটি কোথায় দেখে নিলাম এবং ওদিকেই রওয়ানা করলাম।
বানরকে না খাওয়ানোর নির্দেশ সম্বলিত সাইনবোর্ড চোখে পড়ল, সেই সাথে প্রচুর বানরও। এরা মুক্ত এবং বন্য। তবে তাদের খাবার দিতে হয়না, কেড়ে নিয়ে যায়। চিপসের প্যাকেট যার হাতে তার পিছনে কয়েকটা বানর.....এটা পার্কের স্বাভাবিক দৃশ্য বলা চলে।
হরিনগুলো যেখানে সেখানে এসে দাড়ালাম। এখানে ৬ থেকে ৮ প্রজাতির হরিন থাকলেও ধারে-কাছে দেখা মিলল গড়াল, সাম্বার এবং চিত্রা হরিনের। বাকীগুলো অনেক দূরে দাড়িয়ে তাই শুধু তাদের তথ্য সম্বলিত সাইনবোর্ডেরই দেখা মিলল।
হরিনের পার্কে বানরের রাজত্ব যেখানে সেখানে বানরদের ছবি না নিলে কি চলে? বানরেরা তাদের মুড নিয়ে রইল। কেউ ক্যামেরা দেখে ফটোজেনিক লুক দিল, কেউ মুখ ফিরিয়ে নিল আবার কেউ ক্যামেরাকে পাত্তা না দিয়ে নিজের কাজ করে গেল।
পার্কে থাকা বাকী প্রানীগুলোকে দেখলাম। রাজকীয় ভঙ্গীতে চলে বেড়ানো বন-মোরগ, আলসে কাছিম এবং ভাব নিয়ে বসে থাকা ঈগল পাখি, সেই সাথে নানা রকম পাখি দেখলাম।
সবশেষে গেলাম চিতাবাঘ দেখতে কিন্তু চিতাবাঘ তার জন্য তৈরিকৃত কৃত্রিম গুহায় বসে আছে। বাইরে বের হলইনা শেষ পর্যন্ত। আমার যদিও দেখা হয়নি কিন্তু আপনাদের জন্য গুগল থেকে পাওয়া চিতাবাঘটির ছবি এখানে দিচ্ছি।
পার্কে বিকেলটা ভালোই কাটল। এবার ফিরতে হবে। বিশাল একটা হাওয়াই মিঠাই কিনে খেতে খেতে ফিরতে শুরু করলাম।
বিকেলটা ভালোই কাটল আজ। হরিন, বানর, না দেখা চিতাবাঘ, বাকী প্রানীগুলো এবং হাওয়াই মিঠাই, সবাইকে ধন্যবাদ।
১২ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৫৬
সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২৩
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: সুমনের সাথে একমত।
১২ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৫৭
সাইফুল আজীম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:২০
মায়াবতী বািলকা বলেছেন: যোগাযোগ করতে চাই। লেখাবিষয়ক ব্যাপারে।
E-mail: arunimaaru2012
১২ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৫৮
সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ। কিছুক্ষনের মধ্যেই আপনাকে মেইল করছি আমি।
৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫
সূর্য হাসান বলেছেন: দেখতে এসেছিলাম।
১২ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭
সাইফুল আজীম বলেছেন: কোথায়? দেরাদুনে? নাকি আমার ব্লগে?
৫| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৫০
জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: চিতাবাঘের ছবিটা পছন্দ হল
১২ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭
সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ও গুগলকে।
৬| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৯
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: গত পোস্টের চাইতে বেশী ছবি দিয়েছেন দেখা যায়। দেখেও অনেকটা তৃপ্তি পেলাম।
১২ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯
সাইফুল আজীম বলেছেন: কিছু ছবি একসাথে জুড়ে আপলোড করায় সময় কম লেগেছে। সে কারনেই বেশী ছবি দিতে পেরেছি। এখন থেকে এভাবেই ছবি আপলোড করব।
৭| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪৩
উদাস কিশোর বলেছেন: চমত্কার ছবি গুলো
১২ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:০৫
সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:১৮
সুমন কর বলেছেন: সাথে আছি।