নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পাখির চোখে পৃথিবী দেখতে ভালোবাসি।

সাইফুল আজীম

পেশা ও নেশা ড্রোন, জি.আই.এস এবং রিমোট সেনসিং নিয়ে কাজ করা। সেটাই করে চলছি, সেই সাথে আছি সামুর সাথে।

সাইফুল আজীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

নোয়া: ধ্বংস ভয়াবহতা এবং সৃষ্টির আনন্দ যেখানে একাকার

২৯ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৫৯

বুঝতে পারছিনা নোয়া মুভির দেখার পর কেমন লাগল তা কিভাবে লিখব। কারন এর প্রেক্ষাপটটি এপিক কেন্দ্রিক যার অনেক কিছুই আমার অজানা। তবে প্রেক্ষাপট যাই হোক মুভিটি মন ছুয়ে গিয়েছে আমার। তবে সেই মনের কিছু কথাই বলা যাক নোয়াকে নিয়ে।



মুভিটি একটু ধীর গতির তবে প্রতিটি বিষয় তার পূর্ববর্তী বিষয়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত খুব সুন্দরভাবে তাই বোর হওয়ার কোন প্রশ্নই আসেনা। ছবির শুরু মানবজাতির স্বর্গ থেকে বিতারন দিয়ে যারা পৃথিবীকে দিনে দিনে সংঘাতময় করে তুলেছে। নোয়ার তখন শৈশব। এই সংঘাত তার পিতার জীবন নিয়ে নেয় তারই সামনে। সে ছুটে পালিয়ে যায়, যেন জীবনের কঠিন বাস্তবতা থেকে দূরে যেতে চায়। জীবন তাকে মুক্তি দেয়না। নোয়া বড় হয়, তার সংসার হয় এবং তাদের নিয়েই সে এগিয়ে চলে। নোয়া একদিন সৃষ্টিকর্তার ইশারা পায়। পৃথিবী ধ্বংস হবে এবং তাকে বাঁচাতে হবে নিষ্পাপদের। সৃষ্টিকর্তার সাহায্য নিয়ে তার নৌকা বা আর্ক তৈরি শুরু হয়। একসময় শেষও হয়। নানা প্রজাতির জোড়া প্রানী তাতে আশ্রয় নিতে শুরু করে। কিন্তু সংঘাত চলতে থাকে আর নোয়ার কিছুু বিশ্বাসে তার প্রিয়জনরাই কষ্ট পেতে থাকে। একসময় মহাপ্লাবন আসে........................না, আর বলছিনা কারন এরপর অনেক কিছুই ঘটে যা আমি মুভি দেখার আগে ভাবতেও পারিনি তাই কিছু রহস্য থাকুক।



মুভির গ্রাফিক্স অসাধারন। ত্রিমাত্রিক বলে সবকিছুই উপলব্ধি করেছি। মহাপ্লাবনের শিকার মানুষের বাচাঁর আকুতি, ঝড়ের ভয়াবহ গর্জন সবকিছু যেন আমাকে নোয়ার নৌকার যাত্রী করে দিয়েছিল। কতবার যে চোখ বন্ধ করেছি কে জানে!



সৃষ্টিকর্তার প্রতিশোধ এত ভয়ানক হতে পারে! অবশ্যই পারে। যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন পরম মমতায় তার প্রতি অবাধ্যতার ফল স্বরূপ যে শাস্তি আসবে তার কোন ধারনা পাওয়া সম্ভব নয়। তবে তার অতি সামান্য আজ মনে হয় উপলব্ধি করলাম।



মুভিতে কোন এক মুহুর্তে নোহা স্রষ্টার সৃষ্টির পরিক্রমা বর্ননা করে যা শুরু হয় এক মহা বিষ্ফোরন দিয়ে। ধীরে ধিরে পৃথিবীর সৃষ্টি, প্রানের সৃষ্টি, মানবজাতির আগমন ও সহিংসতায় পৃথিবীর করুনতম পরিনতি যেন আমার চোখের সামনে দেখতে পাই এবং ভাবি খুব কি মন্দ হত যদি এই পৃথিবীতে সংঘাত না হত! কেই বা চায় ভয়াবহতা, ধ্বংসের সাক্ষী হতে!



তবে স্রষ্টা পরম দয়াময়। তার সৃষ্টিকে তিনি ভালবাসেন, তাই তাকে ক্ষমা করেন এবং নতুন ভাবে বাচাঁর পথ দেখান। কার তিনি মহানুভব, তিনি মহান! নোহা মুভির শেষটা এরকমই যেখানে ধ্বংসের ভয়াবহতার পরেই সৃষ্টির আনন্দ উপভোগ করেছি প্রানভরে।



স্রষ্টা আমাদেরকে ধ্বংস এবং সৃষ্টি, যুদ্ধ এবং শান্তি, প্রতিশোধ এবং ক্ষমা সবকিছুরই আস্বাদন করিয়েছেন। কিন্তু আমরা জীবনে কোনটিকে বেছে নিব সেটাই সবকিছু। স্রষ্টা যেমন সৃষ্টিতে অতুলনীয়, তেমনি ধ্বংসে ভয়ানক। আমরা যেন এটা না ভুলি।



সবশেষে এটাই বলব যে নোয়া মুভির থীম সঠিকভাবেই এসেছে মুভিটিতে। মুভিটি দেখলে আপনিও কিছুক্ষন স্তব্ধ হয়ে যাবেন আর ভাববেন স্রষ্টা ও তার সৃষ্টি নিয়ে। ছবিটি দেখুন একবার, ভালো লাগবে।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১

স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: ভাল লাগল।

২৯ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০১

সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৪

গোবর গণেশ বলেছেন: কোথায় দেখলেন, সিনেপ্লেক্সে চলে..?

২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:২৭

সাইফুল আজীম বলেছেন: আমি প্রবাসী। যেখানে থাকি সেখানেই এক মাল্টিপ্লেক্সে দেখলাম ৩ডি ফরম্যাটে।

৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৫৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: নয়া নোয়াকে দেখার ইচ্ছা জ্ঞাপন করলাম।

৩০ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২১

সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৫৮

আমিনুর রহমান বলেছেন:



রিভিউ ভালো হয়েছে। ছবিটা দেখার ইচ্ছে প্রকাশ করে গেলাম

৩০ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২৫

সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ৩০ শে মার্চ, ২০১৪ ভোর ৪:০৫

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: ছবির কাহিনী যতটুকু তুলে ধরেছেন, তাতে মনে হল এটা নূহ (আ:) এর আমলে মহাপ্লাবনের কাহিনী নিয়ে নির্মিত।
একটা মুভিতে সব কিছু শতভাগ শুদ্ধ থাকে না। তাই রিভিউতে ভালো দিকের সাথে সাথে এর মন্দ কিছু থাকলেও তুলে ধরা দরকার ছিল। মুভিটা নির্মাণের পিছনে যারা জড়িয়ে আছেন, তাদের সংক্ষিপ্ত একটা তালিকা দেয়া দরকার ছিল। অন্তত পরিচালকের নাম এবং নায়ক ও নায়িকার নাম।
রিভিউটা অসম্পূর্ণ রয়ে গেলো। আরও মনোযোগী হওয়ার দরকার ছিল। ধন্যবাদ সাইফুল আজীম।

৩০ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২৪

সাইফুল আজীম বলেছেন: বাইবেলে বর্নিত এপিক নিয়ে এটি নির্মিত। মন্দ দিক আমি পাইনি তো লিখব কিভাবে? আর আমি ভাই গতানুগতিক রিভিউ লিখতে পছন্দ করিনা। আমার মত করে তাই লিখতে চেষ্টা করি যা মুভিতে দেখেছি। এটাকে রিভিউ না বলা চলে।

ধন্যবাদ।

৬| ৩০ শে মার্চ, ২০১৪ ভোর ৪:২০

দি সুফি বলেছেন: একেতো রাসেল ক্রোর মুভি, তারউপর মানব ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা নিয়ে মুভিটি নির্মিত। অবশ্যই দেখব।
রিবিউ ভালো হয়েছে। কিন্তু কেন নোহা বলছেন পরিষ্কার না। খ্রীষ্টান-ইহুদিরা বলে নোয়া বা নোয়াহ্‌, আমরা (মুসলিমরা) বলি নূহ্‌, প্রাচীন গ্রীকরা বলত নোয়ে; কোথাও কখনও নোহা পাইনি!

৩০ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৩৪

সাইফুল আজীম বলেছেন: নোয়াই হবে। শুধরে দিলাম।

৭| ৩০ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:০২

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: অনেক দিন ধরেই আশায় আছি ছবিটা দেখব বলে।

৩০ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩

সাইফুল আজীম বলেছেন: দেখুন, ভালো লাগবে।

৮| ৩০ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৫৫

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: আচ্ছা এইটা নিয়ে দেখলাম অনেক বিতর্কের সৃষ্টি হইছে , অনেক দেশে প্রিমিয়ার নিষিদ্ধও করছে । কারণটা কি ?? নোয়হা একটি ধর্মীয় কারেক্টার বলে ??

৩০ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯

সাইফুল আজীম বলেছেন: কারন দুইটা। প্রথমত ইসলামী দেশগুলোতে এটা এ কারনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে কারন এখন হযরত নুহ্ ( আ:) এর চরিত্রের মুখবায়ব দেখানো হয়েছে যা ঠিক নয়। এ ব্যাপারে ছবি নির্মাতারা বলছেন তারা বাইবেলে বর্ণিত নোয়ার এপিক থেকে মুভিটি বানিয়েছেন। দ্বিতীয়ত খ্রিষ্টীয় ধর্মালম্বী কিছু দেশ বলছে যে এখানে নোয়ার চরিত্র বাইবেলে বর্ণিত এপিকের সাথে যথেষ্ট অমিল রেখে তৈরি। তাই তারা মুভিটিকে নিষিদ্ধ করেছে বা বিরুদ্ধে বলছে।

ইন্টারনেটের কল্যানে এটুকুই জানি। মুভিটি দেখে যেটা মনে হল এটা বাইবেল কেন্দ্রিক। তবে মুভিতে নোয়ার যে ব্যাপারগুলো তুলে ধরা হয়েছে তাতে বলতে পারি হযরত নুহ্ ( আ:) ও মহাপ্লাবন বিষয়ক ইসলামী ধারনার সাথে তার কোন মিলই নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.