নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পাখির চোখে পৃথিবী দেখতে ভালোবাসি।

সাইফুল আজীম

পেশা ও নেশা ড্রোন, জি.আই.এস এবং রিমোট সেনসিং নিয়ে কাজ করা। সেটাই করে চলছি, সেই সাথে আছি সামুর সাথে।

সাইফুল আজীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

অত:পর অধমের কৃষ-৩ দর্শন, কিছু প্রশ্নের উদ্ভব এবং উত্তর খুজে পাওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করা

৩০ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২০

থিয়েটারে গিয়ে কৃষ-৩ দেখে টাকা নষ্ট করিনি। কিন্তু কাল যখন টিভিতে দেখাল তখন দেখলাম এবং নিশ্চিত হলাম যে থিয়েটারে গিয়ে দেখলে কিছু টাকার অপচয়ই হত। তবে মুভি দেখে কিছু প্রশ্ন মনে এল এবং চেষ্টা করলাম তার যথাসাধ্য উত্তর খুজতে। তো চলুন পড়ি সেই প্রশ্নগুলো-



১. কৃষ বেচারা কেন বেকার?

উত্তর: বেচারা লুকো-চুরি করে উপকার করতে গিয়ে নিজের ডিউটি করার সময়ই পায়না। আর তাই কোন চাকুরীই বেশীদিন টিকেনা। আহারে বেচারা, বুক ফাটে কিন্তু মুখ ফাটেনা।



২. কৃষের বাবার গবেষনায় ফান্ডিং কে করে?

উত্তর: কৃষের বাবা ভারতীয় গবেষনা সংস্থায় গবেষক তো! তার ফান্ডিংয়ের কি প্রয়োজন (জরুরী অবস্থায় এত বিখ্যাত গবেষককে স্যাম্পল না পাঠিয়ে সরাসরি আন্তর্জাতিক সংস্থার ল্যাবে নিয়ে গেলনা কেন? কৃষ কাধে করে দিয়ে আসত। সময়, খরচ সব বাঁচত)।



৩. সূযের আলো বিষয়ক গবেষনাটা পরিষ্কার হলনা আমার কাছে। ব্যাপারটা কি?

উত্তর: পাইনি। কৃষের বাবা আবিষ্কারের ব্যাপারটা পরিষ্কার করার আগেই.......



৪. কালের হাত-পা ঠিক হওয়ার পর গায়ে-পায়ে স্টীলের টুকরো জড়িয়ে বদসুরত হবার কি দরকার ছিল? পাওয়ারতো আগে থেকেই ছিল তাইনা?

উত্তর: আয়রনম্যান টাইপ একটা ভাব আনতে চাইছিল। বাজেট কম তাই কোনরকম একটা কিছুর ভাব দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তাতে আয়রনম্যান কম ভাঙ্গারীম্যান বেশী লাগছিল কাল বেচারাকে।



৫. কাল এবং কৃষ দুইজন এক বাপের ভাই এক হয়ে মারামারি শুরু করে দিল কেন? আয় ভাই, বুকে আয় বলে কালকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে কৃষের দলে কি আনা যেতনা? দেশ ও দশের ভালো হত!

উত্তর: পরিচালক কপি-পেস্ট করতে স্রেফ হলিউড মুভিই দেখছে। দুই-একটা বাংলা সিনেমা দেখলে কাহিনী অন্যরকম হতে পারত। আরে কত বেয়াদব হারিয়ে যাওয়া ভাই নায়ক জসীম, মান্নার আয় ভাই, বুকে আয় শুনে সিধা হয়ে গেল.....



কায়া বিষয়ক কিছু প্রশ্ন ছিল কিন্তু বেচারী যেভাবে একতরফা ভালবেসে জীবন দিল তাতে বিরাট কষ্ট পাইছি। তাই কায়ার স্মরণে কোন প্রশ্ন নয়।



মুভির শুরুতে ফেবুতে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম এমন যে প্রথম মিনিট থেকেই শুরু হয়ে গেল গাজাখুরি। মুভি দেখার পর মনে হইল যে প্রথম নয়,প্রতি মিনিটই ছিল গাজাখুরিতে ঠাসা। আবারও আনন্দিত হইলাম কিছু টাকা অপচয় না করায়। যতদুর মনে পরে ওই টাকা দিয়ে দুটো হট হুইলসের কার কিনেছিলাম। তাই সই!



শেষ কথা:কৃষ-৪ নামের কোন কিছু যেন না আসে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.