নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পাখির চোখে পৃথিবী দেখতে ভালোবাসি।

সাইফুল আজীম

পেশা ও নেশা ড্রোন, জি.আই.এস এবং রিমোট সেনসিং নিয়ে কাজ করা। সেটাই করে চলছি, সেই সাথে আছি সামুর সাথে।

সাইফুল আজীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

৬ দিনের ভ্রমনলিপি (দিল্লী-মাউন্ট আবু-গুজরাট-দিল্লী)-৩: মাউন্ট আবুতে

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:০৪

দিল্লী থেকে রাতের ট্রেনে চেপে সকালবেলায় আবু রোড বেল স্টেশনে পৌছে গেলাম। জলদি মাউন্ট আবু পৌছানো দরকার কারন অবজারভেটরীতে গিয়ে অফিসিয়াল যত কাজ তা আজকেই শেষ করতে হবে। তাই দেরী না করে রওয়ানা হলাম মাউন্ট আবুর পথে যা আবু রোড স্টেশন থেকে ২৯ কি.মি দূরে।







সমতল পথ ধরে এগোতে থাকলাম আর রাজস্থানের চিরায়িত রুক্ষ, শুষ্ক পাহাড়ী ল্যান্ডস্কেপ দেখতে থাকলাম।







সমতল ছেড়ে পাহাড়ী ঢালে উঠতেই চারপাশের চিত্র যেন পাল্টে যেতে থাকল ক্ষনে ক্ষনে। কিছুটা পথ রুক্ষতা, তারপর সজীবতা এবং তারপর এক প্রাচ্যীয় ল্যান্ডস্কেপ। যতই উপরে উঠতে লাগলাম সজীবতা বাড়তে লাগল, সেই সাথে খেজুর গাছের সংখ্যাও। অনেক দিন পর একসাথে এত্ত খেজুর গাছ দেখলাম।







ঘন্টাখানেক পর মাউন্ট আবুতে পৌছালাম। অবজারবেটরী গেস্ট হাউজ যার নাম হিল ভিউতে মাথা গোঁজার ঠাই হল। গেস্ট হাউজের চারপাশে লাল ফুল এবং টিয়া পাখির এক বিশাল মেলা। গাছের ডালে ডালে টিয়া পাখি। মজা করে ফল, বীজ খাচ্ছে তারা।







নাস্তা করে রওয়ানা হলাম অবসারভেটরীর দিকে। গেস্ট হাউজ থেকে ২৫ কি.মি দূরে অবস্থিত ভিজিবল-ইনফ্রারেড অবসারভেটরীটি পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত। দূর থেকে অবসারভেটরী ও তার আশেপাশটা খুব সুন্দর দেখায়।







অবসারভেটরীতে পৌছে আমি অবাক! পাহাড়ের চূড়া থেকে রাজস্থানের ল্যান্ডস্কেপ এত সুন্দরভাবে দেখা যায় যা ভাষার প্রকাশ করা যায়না। শুষ্ক নদী, নীলাভ জলাধার, পাহাড়..........অপূর্ব!







কাজ শুরু করে দিলাম। বেশ কিছু রিডিং নিলাম, কিছু ইন্সট্রুমেন্টস্ সেট আপ করলাম....এই সব করতে করতে দুপুর হয়ে এল। মধ্যান্নভোজন শেষ করে ফিরে এলাম গেস্ট হাউজে। ফিরে আসার পথে কেয়ামত সে কেয়ামত তাক মুভির শুটিং স্পট দেখতে পেলাম। দর্শনার্থীরা এখানে আসে, ছবি তুলে, এই আর কি।







গেস্ট হাউজে ফিরে খানিক বিশ্রাম নিলাম।শেষ বিকেলে বের হলাম মাউন্ট আবুর অন্যতম আকর্ষন নাক্কি লেকে সূযার্স্তের সময়টা পার করতে।







নাক্কি লেক খুব একটা বড় কিছু নয়। তবে পাহাড় ঘেরা এই লেকে সূযাস্ত দেখতে মন্দ লাগেনা।







নাক্কি লেকে প্রচুর মাছ। সামান্য একটু মুড়ি কিংবা পপ কর্ন ছড়িয়ে দিলেই মাছেরা হুটোপুটি শুরু করে আর নিমিষেই সাবাড় হয়ে যায় মুড়ি বা পপকর্ন।







মাছের খাবারে ভাগ বসাতে হংসবাহিনীরও কমতি নেই লেকে। তবে মুড়ির চাইতে পপকর্নই তাদের বেশী প্রিয়।







মাউন্ট আবুতে অনেক সফটির দোকান। নানা রকমের সফটি পাওয়া যায় এখানে। আইসক্রিম পাগল এই আমি কি আর বসে থাকতে পারি। শুরু করে দিলাম সফটি খাওয়া। এই সফটির দোকানগুলোতে মানুষই নয়, পাহাড়ী জঙ্গল থেকে ভাল্লুকও চলে আসে প্রায়।







রাত করে গেস্ট হাউজে ফিরতে বারন তাই জলদি ফিরে এলাম। ভাল্লুক এবং চিতাবাঘেরা প্রায়ই লোকালয়ে চলে আসে আর সে কারনেই এত কড়াকড়ি। গেস্ট হাউজে ফিরে ভলিবল খেলে, রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে গেলাম। কাল সারাদিন মাউন্ট আবুর দর্শনীয় স্থান দেখতে যাচ্ছি। তাই ক্লান্তির লেশমাত্র রাখা চলবেনা।



আগামী পর্বে আমরা মাউন্ট আবুর দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখব, অনেক অনেক ছবির সাথে।



**পর্ব-২

৬ দিনের ভ্রমনলিপি (দিল্লী-মাউন্ট আবু-গুজরাট-দিল্লী)-২: রেল যাদুঘরে-

Click This Link



***পর্ব-১

৬ দিনের ভ্রমনলিপি (দিল্লী-মাউন্ট আবু-গুজরাট-দিল্লী)-১: বিমান বাহিনী যাদুঘরে-

Click This Link

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:১১

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: নাক্কি লেক তো খুব সুন্দর ।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:২৮

সাইফুল আজীম বলেছেন: ঠিক বলেছেন। আগামী পর্বে নাক্কি লেকের দিনের বেলার ছবি দিচ্ছি। সৌন্দর্যটা আরও সুন্দরভাবে বুঝতে পারবেন আশা করছি।

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৩২

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৩৫

সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.