নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পাখির চোখে পৃথিবী দেখতে ভালোবাসি।

সাইফুল আজীম

পেশা ও নেশা ড্রোন, জি.আই.এস এবং রিমোট সেনসিং নিয়ে কাজ করা। সেটাই করে চলছি, সেই সাথে আছি সামুর সাথে।

সাইফুল আজীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

৬ দিনের ভ্রমনলিপি (দিল্লী-মাউন্ট আবু-গুজরাট-দিল্লী)-শেষ পর্ব: গুজরাটি বুলডোজার, চাঁদনী চকের জিলাপি, জামে মসজিদ, করিমের বিরিয়ানি এবং অন্যান্য

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:০০

মাউন্ট আবু থেকে বিদায় নিয়ে দিল্লীর ট্রেনে চড়ার আগে গুজরাটে ঘুরতে গেলাম। বাকী সফর সঙ্গীরা যাবে মন্দির দর্শনে আর আমি যাব মন্দির সংলগ্ন খেলনার দোকানগুলোতে। শুনেছি খেলনা ওখানে অনেক সস্তা।



গন্তব্যে যেতে যেতে গুজরাটি ল্যান্ডস্কেপে চোখ বুলালাম তবে প্রচন্ড তাপদাহে অস্থির হয়ে উঠলাম। আর প্রায়শই লম্বা শিংওয়ালা গরু (নাকি ষাড়?) মহাশয়দের আয়শী ঢংয়ে চলনের কারনে থেমে রইলাম।







গন্তব্যস্থল থেকে খুব কাছে এমন সময় এই বেলুনটির দিকে নজর গেল। যা ট্যুরিস্টদের নিয়ে আকাশে ঘুরে আসে কিছু সময়ের জন্য।







সবাই মন্দিরে চলে গেলে আমি গেলাম খেলনার দোকানগুলোতে। অনেক ঘুরে তবেই পছন্দসই এই বুলডোজারটি কিনলাম। দাম খুবই কম ছিল। পরে চাঁদনী চকে দেখলাম যা দিয়ে কিনেছি তার দ্বিগুন দাম। কম দামে গুজরাটি বুলডোজার পেয়ে গেলাম আর কি :D







স্থানীয় বুননে তৈরী নিজের নাম সম্বলিত চাবির রিং কিনলাম কয়েকটা। প্রিয়জনদেরকে স্মৃতিমূলক কিছু দিতে পারব।







ফিরে আসতে পথে গুজরাটি আধিবাসীদের দেখলাম।দেখে সহজ-সরল মনে হলেও গাড়ির চালক জানালেন যে উশৃঙ্খল ও কিছুটা লুটেরা স্বভাবের।







আবু রোড স্টেশনে ফিরে ট্রেনের অপেক্ষার সময়টুকুতে এখানকার বিখ্যাত রাবড়ি নামক মিস্টান্নটি চেখে দেখলাম। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে সরসমেত খাওয়া আর কি! এটা বিখ্যাত মিস্টি? কিভাবে কি বুঝলামনা!







দিল্লী পৌছে মেট্রো করে চাঁদনী চকে গিয়ে হাজির হলাম। সকালের নাস্তা সারলাম দিল্লী-৬ এবং চাঁদনী চক প্রধান সড়কের সংযোগস্থলে অবস্থিত ১৪৪ বছরের পুরোনো ছোট্ট এক জিলাপীর দোকানের ঘিয়ে ভাজা জিলাপী দিয়ে। স্বাদ। অতুলনীয় তবে সাইজে বড় বলে ৩টার বেশী খেতে পারলামনা।







চাঁদনী চকে শপিং করে লাল কেল্লার সামনে থেকে একটু ঘুরে এলাম। এবার সময় জামে মসজিদে যাওয়ার।







দিল্লী-৬ গলি ধরে চলে এলাম জামে মসজিদে। আগেও বার কয়েক এসেছি এখানে। কেন যেন এখানে আসলেই মনটা শান্ত হয়ে যায়। চিন্তা নামক কিছুই আর টের পাইনা। মহান আল্লাহ্ কে স্মরণ করলাম কিছুটা সময় এক কোনে বসে নীরবে, একান্তে।







জামে মসজিদের ১ নং গেট থেকে বের হয়ে একটু এগোতেই বিখ্যাত করিম রেস্টুরেন্ট। করিমের বিরিয়ানির সুনাম বিশ্বজুড়ে। যতবারই এসেছি এদিকে বিরিয়ানি না খেয়ে যাইনি। এবার বোনাস হিসেবে নেহারী এবং তন্দুর রুটির দেখা মিলল। তাই বিরিয়ানির সাথে এই দুটোরও অর্ডার দিলাম। করিমের সুনাম করা কিছু লেখাও দেখলাম।







ভরপেট নেহারী, তন্দুর এবং বিরিয়ানি খেয়ে চাঁদনী চক থেকে দিল্লীর কেন্দ্র কনাট প্লেসে এলাম এখানকার সবচাইতে পুরোনো টয় শপে। কয়েকটা মডেল এয়ারক্রাফ্ট কিনলাম। এখানে এত্ত খেলনা যে যদি কার্ড এবং বেশ কিছু টাকা ট্রাভেল ব্যাগে না রেখে সাথে নিয়ে আসতাম তাহলে সব শূন্য করে এক বাক্স খেলনা নিয়ে দেরাদুনে ফিরতে হত। ভাগ্যিস ওগুলো ব্যাগেই রেখে এসেছিলাম স্টেশনের ক্লক রুমে!







খেলনা কিনে, আরও কিছুক্ষন ঘুরে তারপর রেল স্টেশনে ফিরে এলাম এবার দেরাদুন ফিরতে হবে।



৬টা দিন অসাধারন কাটল। জন্মদিনের সকালে ট্যুর শুরু করেছিলাম আর পহেলা বৈশাখের বিকেলে তা শেষ করলাম। বিশেষ দিনগুলো একা কাটানোর কস্ট কিছুটাতো লাঘব হল!



****পর্ব-৪

৬ দিনের ভ্রমনলিপি (দিল্লী-মাউন্ট আবু-গুজরাট-দিল্লী)-৪: যা কিছু দেখলাম মাউন্ট আবুতে

Click This Link



***পর্ব-৩

৬ দিনের ভ্রমনলিপি (দিল্লী-মাউন্ট আবু-গুজরাট-দিল্লী)-৩: মাউন্ট আবুতে

Click This Link



**পর্ব-২

৬ দিনের ভ্রমনলিপি (দিল্লী-মাউন্ট আবু-গুজরাট-দিল্লী)-২: রেল যাদুঘরে

Click This Link



*পর্ব-১

৬ দিনের ভ্রমনলিপি (দিল্লী-মাউন্ট আবু-গুজরাট-দিল্লী)-১: বিমান বাহিনী যাদুঘরে

Click This Link

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:১৪

আজীব ০০৭ বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ........


++

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:১৭

সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও

২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার হয়েছে আপনার লেখাটি। ধন্যবাদ।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮

সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৮

শাহ আজিজ বলেছেন: আপনার তথ্যে কিছু বিভ্রান্তি তৈরি হবে পাঠকের কাছে যারা আবু পাহাড়ে কখনো যায়নি । মাউন্ত আবু ও আবু রোড দুটি ভিন্ন জায়গা কিন্তু কাছাকাছি । আপনি লিখছেন গুজরাটে ঘুরতে বেরুলাম আসলে আপনি আবু রোডের কোথাও শপিঙ্গে বেরিয়েছিলেন । আবু রোড থেকেই ট্রেনে অন্য জায়গায় যেতে হয়। গুজরাট নামে শহর আছে পাকিস্তানে । ভারতে গুজরাত একটি প্রদেশ এবং আহমেদাবাদ এর রাজধানী ।

আপনি আবু পাহাড়ে জৈন দের দিলওয়ারা টেম্পল মিস করেছেন । ওটা শুধু সাদা মারবেল পাথরে তৈরি । যাহোক ৩২ বছর পর সব কিছু নিশ্চয়ই পরিবর্তন হয়েছে । ভালো লাগলো আপনার কাহিনী তবে বেশ দ্রুত ঘুরছেন এতে সব দেখা থেকে বঞ্চিত হতে হয় ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:২৯

সাইফুল আজীম বলেছেন: আমি তথ্য নয়, যা দেখি তাই লিখি সাথে অনেক ছবি দিতে চেষ্টা করি। মাউন্ট আবু ও আবু রোডের দূরত্ব ও কিভাবে গিয়েছি তা ১ম পর্বে লিখেছি।

গুজরাটে আমাদের গ্রুপ মন্দিরে গিয়েছিল কিন্তু আমি না গিয়ে দোকানে দোকানে ঘুরেছি। মন্দিরে গেলে ক্যামেরা, ব্যাগ রাখ, জুতো খুলে জমা রাখ.......এত ঝামেলায় আমি যাবনা আগেই ভেবে রেখেছিলাম। উদ্দেশ্য কিন্তু ঘুরতে যাওয়াই ছিল।

আবু রোড থেকে ট্রেনই নয়, বিলাশবহুল বাসে করে দিল্লী, আহমেদাবাদ, জয়পুর যেকোন জায়গায়ই যাওয়া যায়। আর আমার শিরোনাম ও আগের যেকোন লেখা পড়া সবাই জানেন যে ভারত ভ্রমন নিয়ে লিখছি আমি। পাকিস্তানের গুজরাট এখানে আসে কিভাবে?

জৈন দিলওয়ারা টেম্পলে গিয়েছিলাম। ভেতরে যাইনি।

আমি কিন্তু ট্যুরিস্ট হয়ে নয়, অফিসিয়াল কাজে গিয়েছিলাম। তাই যা যা মাউন্ট আবুতে দেখা যায় সময়ের মধ্যে দেখে নিয়েছি। কাজ-ঘুরে বেড়ানো, সাথে অনেক অনেক ছবি তোলা, এটাই আমার মোটো।

৩২ বছরে অনেক কিছু বদলে গিয়েছে। বিশেষ করে আবু রোডে একটি আশ্রমের প্রভাবে শহরে অনেক পরিবর্তন এসেছে। মাউন্ট আবু কিছুটা কৃত্রিম হয়ে গিয়েছে আগের থেকে।

ধন্যবাদ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৫৪

সাইফুল আজীম বলেছেন: শপিং আবু রোডে নয় বরং গুজরাটের আম্বাজি মন্দিরে না গিয়ে ওখানকার দোকানে ঘুরতে ঘুরতে করেছি। গুজরাট ঘুরতে গিয়ে ল্যান্ডস্কেপ এবং শপিংই করেছি। মন্দিরে যাইনি বা তার ছবিও তুলিনি কারন ক্যামেরা বহন করা নিষেধ ছিল তাই গাড়িতে রেখে গিয়েছিলাম।

৪| ০২ রা মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৩

েবনিটগ বলেছেন: karim's biriyani - taste কেমন?

০২ রা মে, ২০১৪ রাত ১০:৫৫

সাইফুল আজীম বলেছেন: অসাধারন তবে পরিবেশনায় বৈচিত্র আছে কিছু আর মজা ওখানেই। যেমন হাফ চিকেন বিরিয়ানি বা ফুল চিকেন বিরিয়ানি যাই নিন চিকেন পাবেন আস্তা একটি। হাফ হলে ছোট্ট চিকেন আর ফুল হলে বড় কিন্তু একটা আস্ত চিকেন। মাটন বিরিয়ানিতে এমন বৈচিত্র নেই। তবে চিকেন বিরিয়ানির এই বৈচিত্র সবসময় থাকে কিনা জানিনা। যে কয়বার গিয়েছি বেশীরভাগ সময়ে এটা দেখেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.