নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পেশা ও নেশা ড্রোন, জি.আই.এস এবং রিমোট সেনসিং নিয়ে কাজ করা। সেটাই করে চলছি, সেই সাথে আছি সামুর সাথে।
ব্যাস্ততার কারনে অনেকদিন কোথাও ঘুরতে যাইনি। তবে গত শনিবার সব ব্যাস্ততাকে দূরে রেখে আমরা কজন বেররিয়ে পড়লাম দেরাদুন শহরের বাইরে অবস্থিত ওয়াইল্ড লাইফ ইনিস্টিটিউটের পথে। ওখানে খুব মজা করেছিলাম বনের ভেতর ট্রেইল ধরে চলতে চলতে। সেই ট্রেইলিংয়ের সচিত্র বর্ননা নিয়েই আজকের পর্ব।
শহর থেকে বেশ দূরে অবস্থিত ওয়াইল্ড লাইফ ইনিস্টিটিউটের সীমানায় প্রবেশ করলাম প্রায় ভর দুপুরে। ইনিস্টিটিউটের লোগোতে হরিণ দেখে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা মনে পড়ে গেল। আহা, যদি আবার ফিরতে পারতাম সেই ক্যাম্পাসে!!
সুন্দরাকৃতির ঘর, লম্বা করিডর পেরিয়ে পরিচিত একজনের সাথে দেখা করতে গেলাম। তার কাজ আমাদের সবকিছু ঘুরিয়ে দেখানো।
ক্যাম্পাসটি বনের মাঝে অবস্থিত। রাস্তার চারপাশ বনে ঘেরা এবং পুরো ক্যাম্পাসের ল্যান্ডস্ক্যাপে বন্যতার ছোয়া।
ক্যাম্পাসের নানা কিছু দেখে, দুপুরের খাবার খেয়ে আমরা চললাম বনে ট্রেইলিং করতে। ট্রেইলের শুরুতে গাইড ম্যাপ দেখে সবকিছুর একটা ধারনা পেয়ে গেলাম।
জানা গেল এই বনে নানা রকম পাখি, খরগোশ আর একটি চিতার বসবাস। মোশন সেন্সিটিভ ক্যামেরায় নাকি চিতাটিকে কয়েকবার দেখা গিয়েছে এখানে। তবে দিনের বেলায় চিতা সাহেবের দেখা মিলবেনা নিশ্চিত হয়ে তবেই ট্রেইল ধরে এগোতে থাকলাম। নিস্তব্ধতা, পাখির ডাক, শুকনো পাতার আওয়াজ.......সব মিলিয়ে বন্যতা যেন ট্রেইলের পরতে পরতে জড়িয়ে।
ট্রেইল জুড়ে বসানো রয়েছে মোশন সেন্সিটিভ ক্যামেরা। তার সামনে গিয়ে আমার বান্দরীয় নৃত্য প্রতিভার বিকাশ ঘটালাম এবং সাথে থাকা এখানকার একজন গবেষককে বললাম ছবিগুলো সংগ্রহ করে আমায় দিতে।
গাছ জুড়ে উইপোকার বসতি দেখলাম কয়েকবারই। খুব একটা বিশালকায় নয় তবে একবারে ছোট যে তাও নয়।
বনের মাঝেই একটি লেক যা দূরে গিয়ে নদীতে সংযুক্ত। বন্য প্রানীদের পানীয় জলের সরবরাহক এই লেকটিই।
বন জুড়ে ট্রেইল করে একটি লজ্জাবতী গিরগিটি এবং নানা রকম প্রজাপতি বিনা আর কিছুই দেখতে পেলামনা। তবে আড্ডায় আড্ডায় ট্রেইলটা জমে উঠেছিল এতই যে কোন রকম শূণ্যতার স্থান সেখানে ছিলইনা।
অবশেষে ট্রেইলের সমাপ্তি ঘটল। বন ছেড়ে লোকালয়ে ফিরলাম। কিন্তু আমার মন পড়ে রইল ট্রেইলের মোশন সেন্সিটিভ ক্যামেরায়। ছবিগুলো আদৌ পাওয়া হবে কিনা জানিনা কিন্তু যিনি ছবিগুলো দেখেন তিনি যখন আমার অদ্ভুত দর্শন ছবি দেখবেন তখন না আমাকে বনে আসা নতুন প্রজাতির শাখামৃগ ভাবেন সেটাই বুঝতে চেষ্টা করছি
*একটি বিশেষ প্রয়োজনে হঠাৎই বাংলাদেশে আসছি পরশু। থাকব কয়েকদিন তারপর আবার ফিরে আসব। যদিও এমন ভ্রমন নিয়ে আগে কয়েকবার লিখেছি তবুও আশা করছি এবার একদম নতুন কিছু নিয়ে হাজির হতে পারব খুব জলদি।
২৬ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৪
সাইফুল আজীম বলেছেন: নগ্রাপ ডিসিপ্লিন
২| ২৬ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭
রাতুলবিডি৪ বলেছেন: প্রোফাইলে দেখলাম ইউ আর পি, কোন ব্যাচ ?
২৬ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫২
সাইফুল আজীম বলেছেন: ভাই ০৬০৪২৬
৩| ২৬ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:০৬
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার হয়েছে পোষ্টটি।
২৬ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:১৩
সাইফুল আজীম বলেছেন:
৪| ২৬ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২২
টেকনিসিয়ান বলেছেন: নিজ জন্মভূমিতে আসা অনেক আনন্দের কিন্তু দেশের যা অবস্থা গুম, খুন, রাহাজানি, সরকারী দলে চাঁদাবাজীর এলাকা দখল নিয়ে মারামারি......পত্রিকার পাতায় প্রতিদিন অপহরন- আবার নাটকীয় ফিরে আসা এগুলো পড়তে পড়তে আমার ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে গেছি.....
এজন্য ব্লগে বসে সময় পার করি... আপনারা বিদেশের ভ্রমণ, গবেষণা বিষয় বস্তু নিয়ে লিখেন বলে আমরা উপভোগ করি ও সময় কাটে।
আর এবার দেশে আসলে রেব-পুলিশ, নেতা-কেতা, আম খাওয়া থেকে ১০০০ হাত দূরে থাকবেন
২৬ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৪৪
সাইফুল আজীম বলেছেন: সে যাই হোক ভাই দেশ মানে দেশ, মায়ের হাতের রান্না, বাবার সাথে আড্ডা।
ধন্যবাদ আমার লেখাগুলো পড়ার জন্য।
সবকিছু থেকে দূরে থাকলেও আম থেকে থাকবনা কারন আম কিনে খাইনা অনেক বছর হয়ে গেল। গাছ থেকে সংগ্রহ করে বাবা নিয়ে আসেন।
৫| ২৬ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৫৭
বোকামানুষ বলেছেন: ভাল লাগলো পড়তে
২৭ শে মে, ২০১৪ সকাল ৮:৫৮
সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬
রাতুলবিডি৪ বলেছেন: আপনি খুলনার ! কোন ডিসিপ্লিন ?