নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পাখির চোখে পৃথিবী দেখতে ভালোবাসি।

সাইফুল আজীম

পেশা ও নেশা ড্রোন, জি.আই.এস এবং রিমোট সেনসিং নিয়ে কাজ করা। সেটাই করে চলছি, সেই সাথে আছি সামুর সাথে।

সাইফুল আজীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

হলিডে: যে মুভিতে ব্লাকবেরী ছাড়াও আর যা কিছু দেখলাম

১৪ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:১৬

বাংলাদেশ থেকে ফিরে কিছুটা বিষন্ন নানা কারনেই। তাই মন ভলো করতেই মুভিপ্রেমী বড় ভাই সমেত দেখে এলাম 'হলিডে' মুভিটি। তো চলুন মুভিটি নিয়ে কিছু বলা যাক নিজের মত করে।



ব্লাকবেরী, ব্লাকবেরী এবং ব্লাকবেরী....পুরো মুভি জুড়ে সবার কাছেই ব্লাকবেরী ফোন। প্রেম, মমতা, হুমকি, ইত্যাদি সকল বার্তার একক বাহক ব্লাকবেরী। শুধু হলিডেই নয় সদ্য মুক্তি প্রাপ্ত প্রায় সব ছবিতে ব্লাকবেরী যেন বলিউডের অফিসিয়াল কমিউনিকেশন স্পন্সর। নিজেরও একটি ব্লাকবেরী থাকায় মুভিতে বারবার ব্লাকবেরী ফোন দেখতে ভালোই লাগে ;) ;) ;)



মুভিটি প্রায় ৩ ঘন্টার। একবসায় দেখবার মতই মুভি। তেমন আবোল-তাবোল কিছুই নেই। সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তার জীবনকে কিছুটা হলেও কাছ থেকে দেখা যায়।।সবমিলিয়ে মুভিটি আমার ভালো লেগেছে।



মুভিতে সোনাক্সী স্রেফ আইটেম গার্ল যেমনটা ধুম-৩তে ক্যাটরিনা। নাচ-গান, সাদামাটা রোমান্স বিনা তেমন কোন কাজ ছিলনা তার। মুভি হিট হলে বেহুদাই ক্রেডিট পাবে সে।



গোবিন্দর বেলায়ও সোনাক্সীর কথাই প্রযোজ্য তবে মুভি হিট হলেও তার ক্রেডিট গোবিন্দ পাবেনা কারন এটা-ওটা বলে হাসানোর চেষ্টা বিনা তার আর কাজ কি?



মুভিতে দেখানো এন্টি-টেররিসম এ্যকশনগুলো আমার ভালো লেগেছে। আমি বিস্তারিত বলছিনা কারন তাতে ব্লগটি পড়ার পর মুভিটি দেখে মজা পাবেননা আপনারা। এছাড়াও গ্রাফিক্সের কাজগুলো ভালোই ছিল।



মুভিতে কিছু অসমান্জস্য ছিল।মহা আবোল-তাবোল নয় তবে চোখে পড়েই যায়। এই যেমন-

১. ভেঙ্গে যাওয়া/মচকানো হাত মোচড় দিয়ে ঠিক করা!



২. মিলিটারি স্যালুটের বাহুল্যতা।



৩. মিলিটারি ব্যাজগুলোতে কোন রকম মিল/ধারাবাহিকতা না থাকা (এটা আমার মনে হয়েছে। আমার ধারনা ভুল হলেও হতে পারে)।



৪. অক্ষয়কে ক্যাপ্টেন পদ মর্যাদাধারী দেখানো (অক্ষয়ের যে বয়স তাতে মেজর হলেই ভালো হত)।



এমন কিছু অসামন্জস্যতা রয়েছে মুভি জুড়ে তবে তা কৃষ-৩য়ের মত গাজাখুরী নয় তাই সহনীয়। তামিল মুভি থেকে কপি করা মুভিতে সামান্য অসামন্জস্যতা না থাকলে তা বলিউড মুভি হয় নাকি?



মুভির শেষের দৃশ্যটি সত্যিই কষ্টের। ছুটি শেষে সৈন্যরা ফিরে যাচ্ছে পোস্টে। ট্রেন ছাড়বে আর কিছু পরেই। বাবা, মা, বোন, বউ, সন্তান কাঁদছে, কাঁদছে কঠিন হৃদয়ের সৈন্যটিও। ট্রেন ছেড়ে দিল, হাত নাড়তে নাড়তে সৈন্যরা বিদায় নিল........হলিডে শেষে তারা ফিরে চলল যদিও হলিডেতেও তারা তাদের দায়িত্ব পালন করে গেল নিষ্ঠার সাথে। এই পুরো দৃশ্য, সাথে করুন সুরের একটি গান যে কাউকে কিছুক্ষনের জন্য হলেও পাল্টে দিবে সেই বিদায় দিতে আসা পরিবারের সদস্যে অথবা ছুটি শেষে ফিরে চলা সৈন্যে।



আমি কখনওই মুভি বিষয়ক পোষ্টে বিস্তারিত বলিনা। শুধুমাত্র আমার ভালো/মন্দ লাগা জানিয়ে যাই। এবারও তাই করলাম। হলিডে মুভিটি এককথায় উপভোগ্য। মন খারাপের সময়টাতে মনটা কিছুক্ষনের জন্য হলেও সবকিছু ভুলে ছিল। একটি মুভি থেকে এটা পেলেই যথেষ্ট তাই নয় কি?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.