নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পাখির চোখে পৃথিবী দেখতে ভালোবাসি।

সাইফুল আজীম

পেশা ও নেশা ড্রোন, জি.আই.এস এবং রিমোট সেনসিং নিয়ে কাজ করা। সেটাই করে চলছি, সেই সাথে আছি সামুর সাথে।

সাইফুল আজীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরও একবার এপার-ওপার এবং নতুন কিছু দেখা

১৫ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৯:৪৭

২৮.০৫.২০১৪ থেকে ১২.০৬.২০১৪ তারিখ পর্যন্ত আরও একবার দেরাদুন-খুলনা-দেরাদুন ঘুরে এলাম। একটি স্বপ্ন পূরনের উদ্দেশ্যেই এবার দেশে গিয়েছিলাম কিন্তু স্বপ্ন ভঙ্গ হল এবং দেরাদুনে ফিরে এলাম। এর আগে কয়েকবার এই ভ্রমন নিয়ে লিখেছি তাই এবার শুধুই নতুন যা কিছু তা নিয়ে লিখছি। যাওয়ার সময় টেনশন আর ফিরে আসার সময় কষ্ট, সবমিলিয়ে খুব বেশী ছবি তুলিনি এবার। তাই অল্প কিছু ছবি দিচ্ছি যার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। চলুন ছবিগুলোতে নজর বুলাই।



দিল্লী থেকে ট্রেন ছাড়তেই এই দৃশ্যটি আপনার নজরে পড়বে। রেল-লাইনের পাশ জুড়ে আনকোরা, সাধারন বাড়িঘর কিন্তু দৃশ্যটি আমার কাছে সবসময় ভালো লাগে কোন কারন ছাড়াই।







রাজধানী এক্সপ্রেসে ওয়াই-ফাই সার্ভিস থাকলেও দেশে যাওয়ার পথে স্পীড বেশ ভালো ছিল। ট্যাবের সবগুলো এ্যাপস্ আপডেট করেছিলাম। আর সেই সময়টাতে চোখে পড়ল একদল নীল গাই। প্রথমবার নীল গাই দেখলাম তাও একসাথে এত্তগুলো যদিও প্রথমে হরিণ ভেবেছিলাম কিন্তু সহযাত্রী শুধরে দিয়েছিল।







হাওড়া পৌছাবার কিছু আগে একপাল গরুর বিচরন দেখলাম। একসাথে গরুর পালের বিচরন দেখে ছোটবেলায় পড়া 'হাফ দ্যা টাইম দে মান্চ দ্যা গ্রাস' ছড়ার কথা মনে পড়ে গিয়েছিল।







বেনাপোল যাওয়ার বাসের অপেক্ষায় থাকাকালীন টানা রিক্সা দেখলাম যা আমার কাছে মোটেই আরামদায়ক এবং নিরাপদ মনে হয়নি।







খুলনা ফিরে প্রথমেই প্রিয় খাবাগুলোর স্বাদ নিলাম। মান্নানের ফুচকা, ফালুদা, নিউ মার্কেটের হুগলী বেকারীর চিকেন চপ এবং ভেজিটেবল রোল যা সেই ছোট্টবেলা থেকে আমার খুব প্রিয়, ইত্যাদি খেয়েছিলাম তবে গরমের কারনে এবং প্রিয়জন খুলনায় না থাকায় অনেক কিছুই খাওয়া হয়নি।















মাঝে তিন দিনের জন্য ঢাকা গিয়েছিলাম। মাওয়া হয়ে যেতে যেতে নদীতে সেই মান্ধাতা আমলের টানা ফেরী দেখে অবাক হলাম। এ যে এক্কেবারে লক্কর-ঝক্কর অবস্থা!







বিশ্বকাপের উন্মাদনা মাওয়া-কাওরাকান্দি রুটের লন্চগুলোতেও। ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার পতাকাবাহী লন্চদুটো যখন পাশ কেটে যাচ্ছিল তখন দেখে খুবই মজা পেয়েছিলাম।







যাত্রাপথে সম্প্রতি আলোচিত রাজকীয় ট্যাক্সি সার্ভিসের দেখলাম। গাড়িতো ভালোই কিন্তু ভাড়া নিয়ে যা শুনেছি তাতে আমার এর থেকে দূরে থাকাই সই।







ভাইয়ের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ঢাকার অন্যরকম একটি স্কাইলাইন দেখতে পেলাম। গাছের পরে গাছ, দূরে শহুরে কঙ্কাল সাড়ি দাড়িয়ে......







খুলনা ফিরে আসার পথে নদীতে একসাথে নানা রকম জলযানের পরিভ্রমনের দৃশ্যটা মজার ছিল। ফেরী, লন্চ, স্পীড বোট....একসাথে, এক পথে।







গতবার হাওড়া ব্রীজে রংয়ের কাজ চলছিল। এবার দেখলাম কাজ শেষ। দুপুরের রোদে চমকাচ্ছে হাওড়া ব্রীজ।







হাওড়া রেল স্টেশনের ফুড প্লাজার খাবার আমার বেশ লাগে। এবার চেখে দেখেছিলাম বিরিয়ানি এবং প্যাড়া সন্দেশ। খেতে ভালোই ছিল।











একগাদা বাংলা কমিকস্ কিনে নিয়ে রাজধানী এক্সপ্রেসে চড়েছিলাম।ট্রেন ছাড়তেই ঝুম বৃষ্টি। দূরন্ত গতিতে ছুটে চলা ট্রেন থেকে নিকষ কালো আকাশের ছবি তুলতে কষ্ট হলেও কিছুটা সফল ছিলাম।







মন খারাপ থাকায় আর কোন ছবি তুলিনি। স্বপ্ন ভঙ্গের কষ্ট বড়ই বেদনাদায়ক। তাই ছবি যা কিছু সম্বল তা দিয়ে ব্লগটি লিখলাম। আশা করছি নতুন কিছু ছবি আপনাদের ভালো লাগবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:৪৪

বোকামানুষ বলেছেন: ভ্রমণ পোস্ট ভাল লেগেছে কিন্তু দেশে যে কারণে আসছিলেন তা পূরণ হয়নি জেনে খারাপ লাগলো

১৬ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫

সাইফুল আজীম বলেছেন: :(

২| ২১ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:২৪

বাকি বিল্লাহ বলেছেন: ভেবেছিলাম পোস্টটা আরো বড় হবে কিন্তু এখানেই শেষ
সপ্ন ভাঙ্গার কথা শুনে কষ্ট পেলাম কষ্ট পেলাম ... সপ্ন ভেঙ্গেছে তো কি হয়েছে তাই বলে সপ্ন দেখা তো ছেড়ে দেবোনা??

২১ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৩২

সাইফুল আজীম বলেছেন: ভাই, পোস্ট বড় করার জন্য ছবি চাই কিন্তু কষ্টের তীব্রতায় ছবি তোলার মত মানসিকতা ছিলনা।

স্বপ্ন দেখে, তার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে অযোগ্যদের কাছে ব্যর্থ হওয়ার কষ্ট অনেক বেশী। সত্যি বলতে কি স্বপ্ন দেখা ছেড়েই দিয়েছি প্রায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.