নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পাখির চোখে পৃথিবী দেখতে ভালোবাসি।

সাইফুল আজীম

পেশা ও নেশা ড্রোন, জি.আই.এস এবং রিমোট সেনসিং নিয়ে কাজ করা। সেটাই করে চলছি, সেই সাথে আছি সামুর সাথে।

সাইফুল আজীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি যেমন দেখেছি: কোপেনহেগেনের বাংলাদেশী দূতাবাস এবং বাংলাদেশী মসজিদ

১০ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:২২

কোপেনহেগেন এবং তার আশেপাশে বসবাসরত বাংলাদেশীদের কাছে দেশীয় যে দুটো স্থান সবচাইতে পরিচিত তা হল দূতাবাস এবং মসজিদ। প্রায় দুই বছর হয়ে এল কোপেনহেগেনে বসবাস করছ। কেমন আমার অভিজ্ঞতা এই দুই স্থানে? আজকে না হয় সহজ করে সেকথাই লেখা যাক।

বাংলাদেশী দূতাবাসটির অবস্থান কোপেনহেগেন থেকে একটু বাইরে সাগরের পারে। এখানে আমার প্রথম যাওয়া এ বছরের মে মাসের ৬ তারিখে। পাসপোর্ট রিনিউয়ের জন্য আবেদন করেছিলাম। কাগজ-পত্র গুছিয়ে নিয়ে গেলে আন্তরিক পাসপোর্ট কর্মকর্তা মেহেদী ভাইয়ের কর্ম দক্ষতায় ১৫ মিনিটেই আবেদনের কাজ সম্পন্ন হয়ে যায়। ডেলিভারির তারিখ ছিল জুনের ১০ তারিখ কিন্তু সেই সময়ের অনেক আগেই হাতে চলে এসেছিল নতুন পাসপোর্ট। আমিই ২৯শে মে গিয়ে পাসপোর্ট নিয়ে আসি। একজন প্রবাসী হিসাবে এই সার্ভিসে আমি খুশি।



প্রায় এক বছর হতে চললো এখানকার দূতাবাস পাসপোর্টের আবেদন জমা এবং পাসপোর্ট ডেলিভারি দিচ্ছে নাহলে এই কাজ করতে স্টকহোম যাওয়া লাগতো এবং তাতে সময় এবং টাকা দুইয়েরই অপচয়! এই দূতাবাসে এস্তোনিয়া এবং আইসল্যান্ডের বাংলাদেশীরাও পাসপোর্ট বিষয়ক সুবিধাগুলো পাচ্ছেন। ধন্যবাদ honorable Ambassador, এই উদ্দ্যোগটি নেওয়ার জন্য।

গতকাল আবার দূতাবাসে যাই পহেলা বৈশাখ এবং ঈদ এর যুগলবন্দী অনুষ্ঠানে যেখানে আন্তরিকতার কমতি ছিলনা। প্রচুর খাবারের সমাহার ছিল, সাথে দেশীয় সংস্কৃতির আবহ। বিদেশীদের আনাগোনা ছিল চোখে পড়ার মত। এমন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি আনন্দিত। দেশ থেকে দূরে এক টুকরো দেশ, আহা বেশ, বেশ!













দূতাবাসকে আমার সবসময়ই “আপন এবং আন্তরিক” মনে হয়েছে। আমি যতদূর জেনেছি/শুনেছি, এখানে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের ধারণাও এরকমই।

এবার বাংলাদেশী মসজিদের কথা বলি। এটি কোপেনহেগেনের এক্কেবারে মাঝে অবস্থিত এবং রমজান মাস, উৎসবে অসাধারন আথিতেয়তার জন্য বাংলাদেশীতো বটেই, বিদেশীদের কাছেও সুপরিচিত। ঘরে ইফতারের আয়োজন থাকলেও এখানে আমি যাই প্রাণের টানে, বলা চলে কিছুটা পেটের টানেও কারন ১৯ ঘন্টা রোযা রেখে বাসার একসাথে এতো বাংলাদেশী আইটেমের এন্তেজাম সহজ নয়। আরও কথা বলার আগে ইফতারের কিছু ছবি দেই।





এছাড়াও বাংলাদেশী মসজিদে নামাজ পড়তে আসা কিংবা উৎসবে যোগ দিতে আসা মানেই ভাই-বেরাদারদের সাথে পরিচিত হওয়া, নানা রকম পরামর্শ দেওয়া-নেওয়া করা। এখানে আমার প্রিয় যে ব্যাপারটা তা হল এখানে বাচ্চাদেরকে কোন রকম বকা দেওয়া হয়না তাই বাচ্চারা মসজিদে আসে আনন্দ নিয়ে এবং গত প্রায় দুই বছরে আমি দেখেছি যে এই বাচ্চারা সময়ের সাথে নিজের ধর্মকে আপন করে মসজিদেই অংশ হয়ে যায়।

গতকাল মসজিদেও ঈদ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল যাতে নানা রকম খাবার আর গেমসের সমারোহ বাচ্চা-বড় সবাই খুব আনন্দ করেছিল। আমি দূতাবাস হয়ে মসজিদে যাওয়ার কারনে বেশীক্ষণ থাকতে পারিনাই তবে যতক্ষণ ছিলাম মজা পেয়েছি। একটা গ্রুপ ছবি যেখানে অবশ্য আমি নাই।



বাংলাদেশী মসজিদ আমার প্রিয় স্থান এবং স্বস্তির স্থান। এবাদতের সাথে সামাজিকতার অসাধারন মেলবন্ধন আমি এখানে খুঁজে পেয়েছি।

দূতাবাস কিংবা মসজিদ, দুই স্থানেই আমি বাংলাদেশের খুঁজে পাই। একজন বাংলাদেশী এই আমি এ স্থান দুটিকে এমনভাবেই দেখেছি।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



নীচে, খাবারের যে ছবি দিয়েছেন, খাবারগুলো স্বাস্হ্যকর মনে হচ্ছে না; এসব খাবার বাদ দেয়া উচিত।

২| ১০ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:১৬

সাইফুল আজীম বলেছেন: বাংলাদেশী খাবার বলে কথা। ইফতারে এইতো চাই।

৩| ১১ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৮:১৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
উন্নত সব দেশেই অনেক মসজিদ গড়ে উঠেছে।
মসজিদে ইফতারি আয়োজন

৪| ১১ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার একটি পোষ্ট।
আমি আপনার এই পোষ্টের অপেক্ষায় ছিলাম।
আগের পোষ্ট বলেছিলেন- দূতাবাস নিয়ে পোষ্ট দিবেন।
আপনি কথা রেখেছেন। অনেক ধন্যবাদ।

৫| ১১ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৩

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.