![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘আজ ফাগুনী পূর্ণিমা রাতে চল পলায়ে যাই’
ভূমি ব্যান্ডের একটা গান। এই বছরের রথ যাত্রায় আমি ঢাকাতেই ছিলাম। বাড়িতে যাওয়া হয়নি। ইউনিভার্সিটিতে আসার পরে যে সব জিনিস গুলো ছাড়তে হয়েছে, এটা তার মধ্যে একটা। মনে আছে, ৪ বছর আগের রথের সময় আমি, আমার মামাতো ভাই উজ্জ্বল সহ আরো অনেকেই ছিলাম। একটা আনন্দের দিন বলা চলে। সেই সময়ে ‘রীতা’ কে ভাল লাগত উজ্জলের। কথা হতো ওদের মাঝে। কিন্তু সেই সময়ে এটা ম্যাচিউরিটি পর্বে আসেনি। মাত্র ইন্ট্রুডাক্টরী লেভেলে ছিল। ক্ষনিকের দেখা, একটু কথা বলা , একটু হাসি বিনিময় এই পর্যন্তই। রথের দিন রীতাও এসেছিল।
চুম্বক যেমন লোহাকে খুঁজে বেড়ায় ঠিক তেমনি উজ্জ্বলও রীতাকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল, এবং এক সময় পেয়েও যায়। রীতা এসেছিল তার কয়েকজন বান্ধবী সহ। উজ্জ্বল তো বেজায় খুশী।
আমাকে বলে – চল। গেলাম।
পেছন থেকে রীতাকে জিজ্ঞাসা করলাম – রীতা কেমন আছ? ও বলে উঠল – দাদা, ভাল আছেন আপনি? উজ্জ্বল ততক্ষনে পেছন থেকে পাশা-পাশি চলে এসেছে। কথা জমেছে ওদের মাঝে। আমারা যারা বর পক্ষ ও কনে পক্ষ ছিলাম তাদের কাজ ছিল দুজনকে শেল্টার দেয়া। তাই দিচ্ছিলাম। এই ভীড়ের মাঝেও ওরা লোক চক্ষুর আড়ালে পরপ্সর পাশা-পাশি থাকার চেষ্টা করছে। আমরা ওদের হাঁটা দেখছি আর ভাবছি – ‘এই পথ যদি না শেষ হত তবে কেমন হত?’
চার বছর পর আজ আমি চাঁদপুর থেকে দূরে। এখনো রথ যাত্রা উৎসব হয় সেখানে। কিন্তু আমি সেটা উপভোগ করতে পারি না। আর সেটাই ভাবছি দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে। শাঁখারী বাজার থেকে একটা বর্ণীল শোভাযাত্রা বের হল। সবাই আনন্দ করছে। স্পীকারে বাজছে – ‘আজ ফাগুনী পূর্নিমা রাতে ...’। গানের ছন্দে নাচছে সবাই। নারী-পুরুষ কোনো ভেদা-ভেদ নেই। এটা যেন আনন্দের ঝর্ণাধারা। আমি দেখছিলাম, আর ভাবছি – ৪ বছর আগেকার কথা, যে সময়েতে উজ্জলদের ভয়ে-ভয়ে থাকতে হয়েছিল।
©somewhere in net ltd.