![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্নদেখি যা কিছু সত্য ও সত্যকে আলিঙ্গন করে, তার শেষপ্রান্তে যাব।
ভারতের তেল মন্ত্রী এম ভিরাপ্পা মইলি গত বছর ১৮ই অক্টোবর বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের এসএস৪ এবং এসএস৯ হস্তগত করার প্রাথমিক আয়োজন করার ঘোষনা দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন,
"দেশের বাইরে তেল-গ্যাস সম্পদ হস্তগত করতে আমরা আরো আগ্রাসী হব। চীনকে পিছনে ফেলে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।"
এছাড়া............................................................
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং গত বছর ২২ নভেম্বর ভারতীয় সেনাবাহিনীর সামনে "ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদী আকাংক্ষা ও নিরাপত্তা মতবাদ" পরিষ্কার করতে গিয়ে বলেন,
".............আমাদের কৌশলগত লক্ষের কেন্দ্রে থাকবে পন্য, জালানী ও খনিজের ব্যাপারে আমাদের সামুদ্রিক বাণিজ্যকে রক্ষা করা, বিশ্বজুড়ে প্রবাসী ভারতীয়দের স্বার্থরক্ষা এবং বিশ্বজুড়ে ভারতীয় পুঁজির পদচিহ্ন সম্প্রসারিত করা"
মার্কীন যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরাইলের মত ভারতের কোন ঘোষিত নিরাপত্তা মতবাদ না থাকলেও মইলি ও মনমোহন সিংয়ের বক্তব্যে এর আগামীর রুপরেখা পাওয়া যায়। ঐদিন অর্থাৎ ২২ নভেম্বর মনমোহন সিং কম্বাইন্ড কমান্ডারস কনফারেন্সের সেই বক্তব্যের শুরুতে বলেন,
"অর্থনৈতিক পেন্ডুলাম পশ্চিম থেকে পূর্বে সরে আসছে।"
এ বক্তব্যের থেকে এটা স্পষ্ট যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থনীতিতে চীনের উত্থান এবং যুক্তরাষ্ট্রের "পিভ টু এশিয়া" অর্থাৎ চীন ঘেরাও নীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ভারতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের অনাস্থা ভারতীয় নীতি নির্ধারকদের দক্ষিণ এশিয়ায় রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রয়োগের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। আর তাই মার্কীন কতৃপক্ষের চোখে চোখ রেখে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলতে পেরেছেন,
"ভারতের চোখ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের রাজনীতি দেখতে হবে"
ভারত খুব ভালোমতই বোঝে যে দক্ষিণ এশিয়ায় ছড়ি ঘোরাতে হলে, চীন এবং রাশিয়ার স্বার্থ ভারতকে দেখতে হবে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় মার্কীন আধিপত্য খর্ব করতে হবে। আর তাই চলমান সিরিয়ান যুদ্ধের ব্যাপারে ভারতের অবস্থান মার্কীন পররাষ্ট্র নীতির বিপরীতে। ভারতের এ অবস্থান স্পষ্ট হয় ঐ দিন মনমোহন সিংয়ের বক্তব্যে। তিনি বলেন,
"পশ্চিম এশিয়ায় (মধ্যপ্রাচ্য) অনিশ্চয়তা, সংঘাত ও যুদ্ধ ভারতের জালানী নিরাপত্তা বিঘ্নিত করবে এবং সেখানে বসবাসরত ৭০ লক্ষ ভারতীয়র জীবনকে অনিশ্চিত করে তুলবে।"
এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের ব্যাপারে ভারতের আশংকা যে এই সংঘাত বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ করে তুলবে এবং তাদের নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলবে। এজন্য ভারত প্রকাশ্যেই জামাতের মত মধ্যপন্থী দলেরও বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ভারতের এই সাম্রাজ্যবাদী আকাংক্ষা পোষণ করার ব্যাপারে ভারত যে রাজনৈতিক বিশ্লেষণ ও কুটনৈতিক পদ্ধতি অনুসরণ করছে, একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে আমাদের হাসিনা সরকারও একই দৃষ্টিভঙ্গিতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছে।
কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষণের এই জায়গাতে এসে হাসিনা সরকার ভুলে গেছে যে ভারতের কুটনৈতিক ও নিরাপত্তা সক্ষমতা আমাদের মত মেরুদন্ডহীন ভঙ্গুর না। আর মার্কীন পুঁজির থাবা থেকেও বাংলাদেশ এতো সহসা মুক্তি পাচ্ছেনা। আর তাই মার্কীন টুথপেষ্ট দিয়ে দাঁত মেজে ভারতীয় পানি দিয়ে কুলি করার এই আকাংক্ষা হাসিনাকে টিকফা বা রামপালের মত রাষ্ট্রীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তিতে অংশগ্রহনে উৎসাহিত করছে।
এই সকল রাজনৈতিক ও কুটনৈতিক সিদ্ধান্ত গুলোর পিছনে যা প্রভাবক হিসাবে কাজ করছে তা হলো মার্কীন সাম্রাজ্যবাদের দূর্বল চিত্র এবং পরাশক্তি হিসাবে ভারত-চীন-রাশিয়া জোটের আত্মপ্রকাশের সম্ভাবনা। কিন্তু মুসলিম উম্মাহর বুদ্ধিবৃত্তিক অগ্রগতি ও নীরব জাগরণ বিশ্বের বর্তমান এবং সম্ভাব্য পরাশক্তি গুলোর পরাশক্তি হয়ে টিকে থাকার অথবা পরাশক্তি হবার সম্ভাবনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
আলোচনার এই পর্যায়ে যদি আমরা মার্কীন যুক্তরাষ্ট্রের পরাশক্তি হিসাবে আত্মপ্রকাশের গল্পের দিকে দৃষ্টি রাখি তাহলে দেখতে পায় যে দ্বিতীয় সারির একটা অস্ত্র বিক্রেতা দেশ কিভাবে নিজেকে পরাশক্তিগুলোর দূর্বলতার সুযোগে বিশ্ব মঞ্চে পরাশক্তি হিসাবে আবির্ভাব ঘটায়। একই প্রক্রিয়ায় যদি গোযওয়ায়ে হিন্দের উদ্ভব ঘটে এবং মুসলিম উম্মাহর বিশ্বমঞ্চে পরাশক্তি হিসাবে আত্মপ্রকাশ ঘটে তাহলে খিলাফত প্রতিষ্ঠা হওয়ার সম্ভাবনা আর অমূলক বা ফ্যান্টাসী থাকেনা।
পরিশেষে একটা কথায় বলা যেতে পারে,
তারাও পরিকল্পনা করে, আল্লাহও পরিকল্পনা করেন; নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ পরিকল্পনাকারী।” (সূরা আলে ইমরান ৫৪)
২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৩২
খাটাস বলেছেন: বেশ কিছু ব্যাপার জানলাম। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:২৩
গোয়েন্দাপ্রধান বলেছেন: শেষ জামানার জিহাদ ইমাম মাহদি
খিলাফাহ ইত্যাদি নিয়ে চমতকার বিশ্লেষণ আর্টিকেল এর সাইট
অবশ্যই পড়া উচিত। আপনার চিন্তাই পালতে দেবে ইনশা আল্লাহ
Click This Link