![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের উপর ডাঃ জাকির নায়েক বর্তমান সময়ের একজন অতুলনীয় ব্যক্তিত্ত্ব। এ বিষয়ে তার অতুলনীয় খেদমত মুসলমানদের একটি বড় অর্জন। একটা সময় ছিল, তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের উপর ডাঃ জাকির নায়েকের লেকচারগুলো মুগ্ধ হয়ে শুনেছি, তাঁর পক্ষ হয়ে অনেকের সাথে বিতর্কও করেছি। বিভিন্ন ধর্মের উপর ডাঃ জাকির নায়েকের সেই আলোচনাগুলো ছিল অসাধারণ। এবং এ বিষয়ে তিনি
ইসলামের যে খেদমত করেছেন, বর্তমান সময়ে সে খেদমতের গুরুত্ব সম্পর্কে প্রত্যেকেই অবগত।
দুঃখজনক হল, বর্তমানে ডাঃ জাকির নায়েক তাঁর দাওয়াতের ক্ষেত্র ও পরিম-ল অতিক্রম করেছেন। তিনি একজন দায়ী, কিন্তু তিনি মুফতী, মুহাদ্দিস কিংবা মুফাসসির নন। যখন থেকেই তিনি তার জ্ঞানের সীমা বা পরিধি অতিক্রম করেছেন, তখন থেকেই তার থেকে অনেক অনাকাঙ্খিত ও ভুল বিষয় প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। মাসআলা-মাসাইল বা ফতোয়া প্রদানের যোগ্য না হয়ে তাঁর জন্য এ পথে অগ্রসর হওয়াটা কখনও যৌক্তিক হতে পারে না। প্রকৃতপক্ষে তিনি যেহেতু মাসআলা দেয়ার যোগ্য নন, এজন্য তিনি যে সমস্ত মাসআলা দিয়ে থাকেন, এর অধিকাংশ মাসআলা মূলতঃ সালাফী বা আহলে হাদীসদের থেকে নেয়া। বাস্তব সত্য হল, এক্ষেত্রে তিনি সালাফী বা আহলে হাদীসদের প্রতিনিনিধিত্ব করে থাকেন।
ডাঃ জাকির নায়েকের মত একজন দায়ীর পক্ষে সালাফী বা আহলে হাদীসদের পথে পা বাড়ানোর যৌক্তিকতা আমাদের নিকট অস্পষ্ট।
ডাঃ জাকির নায়েক ফিকহের বিষয়ে অভিজ্ঞ না হয়ে বিভিন্ন বিষয়ে ফতোয়া প্রদান করায় তিনি সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত হয়েছেন। তাঁর এ সমস্ত ভুল মাসআলা সম্পর্কে অনেকেই হয়ত অবগত। ফিকহের বিষয়ে ভুল মাসআলা দেয়ার পাশাপাশি তিনি মাযহাব প্রসঙ্গে বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর পর্বে এবং বিশেষভাবে “ইউনিটি ইন দ্য মুসলিমউম্মাহ” শিরোনামের লেকচারে বিভিন্ন ধরণের অমূলক উক্তি করেছেন। এ লেকচারে তিনি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মাযহাবকে ইসলাম বহির্ভূত একটি বিষয় হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন। -- ইজহারুল ইসলাম
২| ০২ রা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭
ভার্চুয়াল ফাইটার বলেছেন: উনি ক ইভুল মাসওয়ালা দিয়েছেন তা না বলেই পোস্ট । মুহাহাহহাহহাহাহহাহাহাহাহাহাহহাহাহাহাহাহাহ
চুল কানি কোথায় আমরা তা জানি
০৬ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৩৫
সেলিম৬২৫১ বলেছেন: ডাঃজাকির নিচের লিংকে বলেছেন,
তিনি নাকি কুরআন হাদিসে তাবলিগের ৩ দিন, ৪০ দিনের কোন দলিল খুজে পাননি।
Click This Link
তাবলীগের ব্যাপারে বেশ কিছু আপত্তি উত্থাপন করা হয়। সাধারণভাবে এসব আপত্তি নিয়ে খুব বেশি মাথাব্যাথার কারন নেই, কারন তাবলীগ যে সময় চালু হয় তখনকার প্রসিদ্ধ আলীমদের কেউ এর ব্যাপারে আপত্তি করেছেন এমন নজির কেউ দেখাতে পারবে মনে হয় না। আর আজ এতে বছর পর এসে এসব আপত্তির তেমন ভিত্তি নেই।
সবচেয়ে বড় কথা হল তাবলীগের পেছনে রয়েছে দারুল উলুম দেওবন্দের সমর্থন। আর দেওবন্দ মাদ্রাসার নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে কোন মুসলমান সন্দেহ প্রকাশ করলে তা হবে হাস্যকর।
তাবলীগের কিছু বিষয় সম্পর্কে দলীল দিচ্ছি।
১. হিজরতের দলীল:
যতদিন তাওবাহর দ্বার বন্ধ না হবে ততদিন হিজরত বন্ধ হবে না (বুখারী, তবে এইমুহুর্তে সঠিক অবস্থান বলতে পারছি না)।
মক্কা বিজয়ের পর হিজরত নেই কিন্তু জিহাদ ও সৎ উদ্দেশ্য (Jihad and good intention remain), এবং যদি জিহাদের ডাক আসে তবে অতিসত্বর সাড়া দাও ( বুখারী, খন্ড ১, পৃ ৩৯০, ইংলিশ ভার্সন (http://www.mclean.faithweb.com/)- পৃ ৪২২, ৬৫৩, ৬৬৩, ৭২৫)।
লক্ষ করুন এগুলো বুখারী শরীফের হাদীস, এখানে হিজরতের সাথে এগুলোর উল্লেখ করে স্বয়ং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরতের সাথে দাওয়াতের জন্য ঘর ছাড়ার কিয়াসের পথ খুলে দিয়েছেন।
২. চিল্লার (চল্লিশ দিন) দলীল:
আর আমি মুসাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি ত্রিশ রাত্রির এবং সেগুলোকে পূর্ণ করেছি আরো দশ দ্বারা। বস্তুত এভাবে চল্লিশ রাতের মেয়াদ পূর্ণ হয়ে গেছে ( আরাফ ১৪২)।
নিশ্চয়ই তোমাদের প্রত্যেকের সৃষ্টির উপকরন নিজ নিজ মাতৃগর্ভে চল্লিশ দিন অবস্থান করে . . . ( বুখারী, সৃষ্টির সূচনা অধ্যায়, ২৯৮১, পৃ ৩৬৯, ইংলিশ ভার্সন- পৃ ১৮৯২)।
এছাড়া আরও আয়াত ও হাদীস আছে। দেখুন “চল্লিশ রাতের মেয়াদ” কথাটি উল্লেখ করে আল্লাহ পাক এর বিশেষত্বের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। সুতরাং দ্বীনি ক্ষেত্রে চল্লিশ দিনের এই বিশেষত্বের বিবেচনায় বাড়াবাড়ি না করে কেউ যদি চল্লিশ দিনের উসূল মানে সেটা দোষের হওয়ার কথা নয়।
মাসযিদে ঘুমানো:
আব্দুল্লাহ ইবনি উমার রাদ্বি. যুবক এবং অবিবাহিত (young and Unmarried) থাকা অবস্থায় মাসযিদে ঘুমাতেন (বুখারী ইংলিশ, পৃ ১১২)।
এখানে young অর্থ শিশু নয়, কারন পরে Unmarried বলা হয়েছে, শিশু হলে নিশ্চয়ই অবিবাহিত বলার প্রয়োজন পড়ে না।
আলী রাদ্বি. ফাতিমা রাদ্বি. এর সাথে রাগ করে মাসযিদে ঘুমেিয়ছেন (বুখারী ইংলিশ, পৃ ১১২)।
বৃহস্পতিবারের বয়ান:
পৃথিবীর সব জায়গায় তাবলীগের বয়ান হয় বৃহস্পতিবার বাদ আসর।
ইবনি মাসঊদ রাদ্বি. প্রতি বৃহস্পতিবার লোকদের ওয়াজ করতেন। একজন বললেন- হে আব্দুর রাহমান আমাদের মন চায় আপনি আমাদের প্রতিদিন নসিহত করেন। তিনি বললেন এ কাজ হতে আমাকে যা বিরত রাখে তা হল- আমি তোমাদের ক্লান্ত করতে পছন্দ করি না। আর আমি নসীহত করার ব্যাপার তোমাদের দিকে লক্ষ রাখি যেমন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের প্রতি লক্ষ রাখতেন আমাদের ক্লান্তির আশংকায় (বুখারী, ইফাবা, পৃ ৫৮)
আল্লাহ পাক সবাইকে বোঝার ও আমাল করার তৌফিক দান করুন, আমীন।
০৬ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৩৬
সেলিম৬২৫১ বলেছেন: জাকির নায়েক বলেন , হিন্দুদের ‘বেদ’ বইটা আল্লাহপাকের বাণী হতে পারে।
[লেকচার সমগ্র, ভলিউম-২, পৃষ্ঠা-১৬২]
ইসলামের আকিদা হচ্ছে-
আল্লাহ তায়ালা প্রধান চারটি আসমানি কিতাব ছাড়াও বিভিন্ন
নবীর প্রতি ১০০টি সহিফা করেছেন। কিন্তু হিন্দুদের বেদ আল্লাহর কিতাব
হওয়ার ব্যাপারে কুরআন ও হাদিসের কোথাও কিছু বলা হয়নি।
তাই এ জাতীয় বইকে আল্লাহর কিতাব হওয়ার ধারণাও করা যাবে না।
[তথ্যসূত্র: মিশকাত, ১ম খন্ড, ২৩৪ পৃষ্ঠা]
৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:১৭
বেলা শেষে বলেছেন: ....so we have find out some cause- why we have to fight....
....so we have to fight......!!! but no benifit!!!
০৬ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:২২
সেলিম৬২৫১ বলেছেন: ডাঃ জাকিরের বয়ান সম্প্রচার করে কোন চ্যনেল?
ইসলমিক টিভি, চালায় কে?
মওদুদি অনুসারিরা, হাহ হা ....
তাদের তো কষ্ট লাগবেই জাকির নায়েক সমন্ধে কিছু বললে।
টিভির মুফতি সাব দিয়া যদি ইসলাম হইতো তবে,
ডাঃসাবের আগেতো কোন চ্যনেল ছিলো না তখন কার কাছে যাইতো?.............
উত্তর আছে? উত্তর নাই...
so Of course have benefit ....
ইসলািমক আকিদা নষ্ট করতে পারলেই হল...
প্রভুরাও খুশি হবে, আর মুসলমান এমনিতেই নিজেরা ধ্বংস হয়ে যাবে।
৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৪৪
ম,ন,রেজা বলেছেন: জাকির নায়েক এর জন্য এই দেশের কতিপয় কাঠমোল্লা এবং ফিত্রা-জাকাৎ খাওয়া কিছু পরগাছাদের ভাত উঠে যাচ্ছে বলে তারা শংকিত।
ঘরে বসে টিভির মাধ্যমে মা বোনেরা অনেক না জানা বিষয় জানছে-জ্ঞানের চোখ খুলে যাচ্ছে দেখে আজ ওরা তার নামে কুৎসা রটায় ।
০৬ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৩৩
সেলিম৬২৫১ বলেছেন: লেখক বলেছেন: কপট এবং কপর্দকহীনরা নিজেদের গায়ের দুর্গন্ধ অন্যের উপর চাপাতে খুবই স্বস্তিবোধ করে।
আমি বলি তারা হুজুরদের কয়দিন টাকা দান করেছেন?
আর কতদিন এসে হুজুররা কাছে এসে হাত পেতেছে?
আর ডাঃ সাহেব তো নিজের জন্য ডিজিটাল ওয়েতে হাত পাতে।
তারা আল্লাহর ঘরের জন্য চেয়েছেন।
আপনি কি পারবেন মানুষের কাছে টাকা চাইতে?
শুধু মাত্র আল্লাহর জন্য? পারবেন না।
প্রেষ্ঠিজ বলে কথা। অথচ তাদের তৈরী মসজিদে আমরা নামায পড়ি।
৫| ০২ রা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৩০
পদ্মা_েমঘনা বলেছেন: ম,ন,রেজা বলেছেন: জাকির নায়েক এর জন্য এই দেশের কতিপয় কাঠমোল্লা এবং ফিত্রা-জাকাৎ খাওয়া কিছু পরগাছাদের ভাত উঠে যাচ্ছে বলে তারা শংকিত। ঘরে বসে টিভির মাধ্যমে মা বোনেরা অনেক না জানা বিষয় জানছে-জ্ঞানের চোখ খুলে যাচ্ছে দেখে আজ ওরা তার নামে কুৎসা রটায় ।
ইজহারুল ইসলামদের গাত্রদাহের কারণ বুঝলাম, কিন্তু জনাব সেলিমের এটা এখানে প্রচারের উদ্দেশ্যে কি তা-তো বুঝলাম না!
০৬ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৩২
সেলিম৬২৫১ বলেছেন: কপট এবং কপর্দকহীনরা নিজেদের গায়ের দুর্গন্ধ অন্যের উপর চাপাতে খুবই স্বস্তিবোধ করে।
আমি বলি তারা হুজুরদের কয়দিন টাকা দান করেছেন?
আর কতদিন এসে হুজুররা কাছে এসে হাত পেতেছে?
আর ডাঃ সাহেব তো নিজের জন্য ডিজিটাল ওয়েতে হাত পাতে।
তারা আল্লাহর ঘরের জন্য চেয়েছেন।
আপনি কি পারবেন মানুষের কাছে টাকা চাইতে?
শুধু মাত্র আল্লাহর জন্য? পারবেন না।
প্রেষ্ঠিজ বলে কথা। অথচ তাদের তৈরী মসজিদে আমরা নামায পড়ি।
৬| ০২ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:২৪
জাহিদবিডি বলেছেন: আপনারা কি বলতে পারবেন কে ফতোয়া দিতে পারবে? কী হবে তার যোগ্যতা। কাল যদি আমি যুক্তি দিয়ে কোন অপ্রকাশ্য ভূল আপনাদেরকে বুঝিয়ে দিতে পারি তো আপনারা মেনে নিবেন? না নিজের জ্ঞান দিয়ে বিচার-বিশ্লেষন করবেন? আর যাদের সাথে সবসময় হাক্কানী আলেমদের যোগাযোগ আছে। তাদের উপদেশ ফতোয়া শুনতে কষ্ট করে দূরে যেতে হবে না।
তাই এখনই জাকির নায়েক-এর সম্বন্ধে মন্তব্য করার চেয়ে তাকে অবজারভেশনে রাখাই ভালো। তবে বিখ্যাত দেওবন্দ ফতোয়া নম্বর সহ জাকির নায়েক সন্বন্ধে মন্তব্য করেছেন। মনে রাখবেন দেওবন্দ কিন্তু আলেম তৈরীর কারখানা। একজন আলেম যদি ক্যান্সার নিয়ে যদি ব্যখ্যা দেয় তখন আপনিও বলবেন এটা তার কাজ না, সে কি বোঝে। তাই যার কাজ, যাদের দায়িত্ব, যারা এ বিষয়ে স্কলার তাদের উচিত মন্তব্য করা।
তবে সেই দিন খুব দুরে নেই যেদিন এর মুখোশ উম্বোচিত হবে।
৭| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬
সেলিম৬২৫১ বলেছেন: জাহিদবিডি আপনি ঠিক বলেছেন।
আরে ভাই ডাঃজাকির নায়েকের আগে কে ছিলো?
বিখ্যাত দেওবন্দের আলেমরা।
এখেনাো আছে, ভবিষ্যতে থাকেব।
টেলিভিশনে যাকাত দেয়া যায় এটা ডাঃজাকির পাইলো কইত্তে?
জিবনে ও শুনি নাই, তিনি শুনাইলেন। তাইলে কি এখন থেকে মাসালার জন্য
টেলিভিশনের কােছ যেতে হবে?
জাকির নায়েক নাকি মোবাইলের ব্যবসা খুলেছে ।
তার মোবাইলের নাম "পিচমোবাইল"
এতদিন চিল্লা চিল্লি করল পিচ টিভিকে যাকাত দিন ।
এখন পীচ মোবাইলের জন্য কি চেয়ে বসবে ? আল্লাহ জানেন ।
আচ্ছা উনি যে মোবাইলের কোম্পানী করলেন এত টাকা পেলেন কোথায় ???
তাইলে কি এবার মোবাইলে লেকচার দিবেন ??
উনার এক ভক্ত ষ্ট্যটাস দিয়েছে যে, উনি নাকি মোবাইলের ব্যবসা খুলে মুসলমানদের উপকার করেছেন !!
কোন জাতির ধ্বংসের জন্য"আলেম সমাজের প্রতি বিদ্বষ পোষণ"করাটাই যথেষ্ট
বর্তমানে আলেম সামাজের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করাটা এক শ্রেণীর
পেশায় পরিণত হয়েছে। উঠতে, বসতে ২৪টা ঘন্টায়ই আলেমদের
প্রতি কাদা ছুড়ে থাকে। সমাজের প্রত্যেকটা ব্যতিক্রম বা মন্দ কাজের
জন্য আলেম সমাজকে দায়ী করে থাকে। এই শ্রেণীর মূল লক্ষ্য উদ্দেশ্যই
হল সমাজে আলেমদের যেই প্রভাব রয়েছে তা নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া।
অথচ সমাজের মধ্য ইসলামের বাণী প্রচার প্রসারে আলেম সমাজের
যেই ভূমিকা রয়েছে তা অনিস্বাকার্য এবং তাদের অবস্থান ও অস্তিত্বও
অপরিহার্যতার দাবী রাখে। দুশমনদের হাজারো বিরুধিতা ও
ষড়যন্ত্র সত্বেও সাহাবায়ে কেরামের যুগ থেকে অদ্যাবদি এই দল আছে
এবং ইনশাআল্লাহ কিয়ামত পর্যন্ত থাকবে।
স্বয়ং আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনে ইরশাদ করেনঃ
"এবং তোমাদের মধ্যে এমন একদল লোক থাকা জরুরী যারা কল্যাণের
দিকে আহ্বান করবে এবং ভাল কাজের নির্দেশ দিবে, খারাপ কাজ থেকে
নিষেধ করবে এবং এই দলই সফলকাম। (আলে ইমরান ১০৪)
এই আয়াত দ্বারা আলেমগণই উদ্দেশ্য। কেননা আলেমরাই সদা সর্বদা সমাজকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বাঁচিয়ে শান্তির দিকে আহ্বান করে।
অন্য আয়াতে আলেম ও মূর্খের পার্থক্য করা হয়েছে এভাব-
"আপনি বলুন যারা জানে এবং যারা জানে না তারা কি সমান হতে পারে ?
(সূরা যুমার ৯)
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন উক্ত আয়াত দ্বারা আল্লাহ তা'য়ালা ওলামায়ে কেরামের যেই বৈশিষ্ট বর্ণনা করেছেন পুরো কুরআনে এর দৃষ্টান্ত অনুপস্থিত।
আর তাছাড়া হাদীসেও আছে, রাসূল (সা.) বলেনঃ"আলেমের মর্যাদা সাধারণ
আবেদ তথা ইবাদত পালনকারীর উপর এমন, যেমন আমার মর্যাদা
তোমাদের মধ্য থেকে সাধারণ ব্যক্তির তুলনায় বেশী। (তিরমিজী ২৬৮৫)
এই হাদীসেও আলেমদের মর্যাদার কথা বলা হয়েছে।
৮| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৭
সেলিম৬২৫১ বলেছেন: ডাঃজাকির নিচের লিংকে বলেছেন,
তিনি নাকি কুরআন হাদিসে তাবলিগের ৩ দিন, ৪০ দিনের কোন দলিল খুজে পাননি।
Click This Link
তাবলীগের ব্যাপারে বেশ কিছু আপত্তি উত্থাপন করা হয়। সাধারণভাবে এসব আপত্তি নিয়ে খুব বেশি মাথাব্যাথার কারন নেই, কারন তাবলীগ যে সময় চালু হয় তখনকার প্রসিদ্ধ আলীমদের কেউ এর ব্যাপারে আপত্তি করেছেন এমন নজির কেউ দেখাতে পারবে মনে হয় না। আর আজ এতে বছর পর এসে এসব আপত্তির তেমন ভিত্তি নেই।
সবচেয়ে বড় কথা হল তাবলীগের পেছনে রয়েছে দারুল উলুম দেওবন্দের সমর্থন। আর দেওবন্দ মাদ্রাসার নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে কোন মুসলমান সন্দেহ প্রকাশ করলে তা হবে হাস্যকর।
তাবলীগের কিছু বিষয় সম্পর্কে দলীল দিচ্ছি।
১. হিজরতের দলীল:
যতদিন তাওবাহর দ্বার বন্ধ না হবে ততদিন হিজরত বন্ধ হবে না (বুখারী, তবে এইমুহুর্তে সঠিক অবস্থান বলতে পারছি না)।
মক্কা বিজয়ের পর হিজরত নেই কিন্তু জিহাদ ও সৎ উদ্দেশ্য (Jihad and good intention remain), এবং যদি জিহাদের ডাক আসে তবে অতিসত্বর সাড়া দাও ( বুখারী, খন্ড ১, পৃ ৩৯০, ইংলিশ ভার্সন (http://www.mclean.faithweb.com/)- পৃ ৪২২, ৬৫৩, ৬৬৩, ৭২৫)।
লক্ষ করুন এগুলো বুখারী শরীফের হাদীস, এখানে হিজরতের সাথে এগুলোর উল্লেখ করে স্বয়ং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরতের সাথে দাওয়াতের জন্য ঘর ছাড়ার কিয়াসের পথ খুলে দিয়েছেন।
২. চিল্লার (চল্লিশ দিন) দলীল:
আর আমি মুসাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি ত্রিশ রাত্রির এবং সেগুলোকে পূর্ণ করেছি আরো দশ দ্বারা। বস্তুত এভাবে চল্লিশ রাতের মেয়াদ পূর্ণ হয়ে গেছে ( আরাফ ১৪২)।
নিশ্চয়ই তোমাদের প্রত্যেকের সৃষ্টির উপকরন নিজ নিজ মাতৃগর্ভে চল্লিশ দিন অবস্থান করে . . . ( বুখারী, সৃষ্টির সূচনা অধ্যায়, ২৯৮১, পৃ ৩৬৯, ইংলিশ ভার্সন- পৃ ১৮৯২)।
এছাড়া আরও আয়াত ও হাদীস আছে। দেখুন “চল্লিশ রাতের মেয়াদ” কথাটি উল্লেখ করে আল্লাহ পাক এর বিশেষত্বের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। সুতরাং দ্বীনি ক্ষেত্রে চল্লিশ দিনের এই বিশেষত্বের বিবেচনায় বাড়াবাড়ি না করে কেউ যদি চল্লিশ দিনের উসূল মানে সেটা দোষের হওয়ার কথা নয়।
মাসযিদে ঘুমানো:
আব্দুল্লাহ ইবনি উমার রাদ্বি. যুবক এবং অবিবাহিত (young and Unmarried) থাকা অবস্থায় মাসযিদে ঘুমাতেন (বুখারী ইংলিশ, পৃ ১১২)।
এখানে young অর্থ শিশু নয়, কারন পরে Unmarried বলা হয়েছে, শিশু হলে নিশ্চয়ই অবিবাহিত বলার প্রয়োজন পড়ে না।
আলী রাদ্বি. ফাতিমা রাদ্বি. এর সাথে রাগ করে মাসযিদে ঘুমেিয়ছেন (বুখারী ইংলিশ, পৃ ১১২)।
বৃহস্পতিবারের বয়ান:
পৃথিবীর সব জায়গায় তাবলীগের বয়ান হয় বৃহস্পতিবার বাদ আসর।
ইবনি মাসঊদ রাদ্বি. প্রতি বৃহস্পতিবার লোকদের ওয়াজ করতেন। একজন বললেন- হে আব্দুর রাহমান আমাদের মন চায় আপনি আমাদের প্রতিদিন নসিহত করেন। তিনি বললেন এ কাজ হতে আমাকে যা বিরত রাখে তা হল- আমি তোমাদের ক্লান্ত করতে পছন্দ করি না। আর আমি নসীহত করার ব্যাপার তোমাদের দিকে লক্ষ রাখি যেমন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের প্রতি লক্ষ রাখতেন আমাদের ক্লান্তির আশংকায় (বুখারী, ইফাবা, পৃ ৫৮)
আল্লাহ পাক সবাইকে বোঝার ও আমাল করার তৌফিক দান করুন, আমীন।
৯| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৭
সেলিম৬২৫১ বলেছেন: জাকির নায়েক বলেন , হিন্দুদের ‘বেদ’ বইটা আল্লাহপাকের বাণী হতে পারে।
[লেকচার সমগ্র, ভলিউম-২, পৃষ্ঠা-১৬২]
ইসলামের আকিদা হচ্ছে-
আল্লাহ তায়ালা প্রধান চারটি আসমানি কিতাব ছাড়াও বিভিন্ন
নবীর প্রতি ১০০টি সহিফা করেছেন। কিন্তু হিন্দুদের বেদ আল্লাহর কিতাব
হওয়ার ব্যাপারে কুরআন ও হাদিসের কোথাও কিছু বলা হয়নি।
তাই এ জাতীয় বইকে আল্লাহর কিতাব হওয়ার ধারণাও করা যাবে না।
[তথ্যসূত্র: মিশকাত, ১ম খন্ড, ২৩৪ পৃষ্ঠা]
১০| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮
সেলিম৬২৫১ বলেছেন: ডাঃ জাকির নায়েকের
ব্যাপারে আমাদের করণীয় কি?
উলামায়ে কেরাম ডাক্তার
সাহেবের বিরোধিতা করেন
কেন? ডাঃ জাকির নায়েক
সম্পর্কে আলোচনা করা এখন
ঈমানী দায়িত্ব। এ
বিষয়ে আলোচনা করা বর্তমান
সময়ে কঠিন। কেননা, সাধারণ
শ্রোতা ও ভারতীয় উপমহাদেশের সাধারণ
মুসলমান
যারা মিডিয়া বা পিস টিভির
সাথে পরিচিত। তাদের কেউ
কেউ ডাঃ জাকির
নায়েককে আল্লাহ তা’আলার আশীর্বাদ মনে করতে শুরু
করেছে। আহলে হক
উলামায়ে কেরামের
ঈমানী দায়িত্ব ডাক্তার
সাহেবের ভ্রান্ত মতবাদ জন-
সম্মুখে পরিস্কার করা। এহেনাবস্থায় কোনো আলেম
যদি নিরব ভূমিকা পালন করে,
তাহলে কিয়ামতের
ময়দানে আল্লাহ তা’আলার
কাঠগড়ায় অবশ্যই
জবাবদিহি হতে হবে। ফলে উলামায়ে কেরাম হাজার
প্রতিকূলতার মধ্যেও এ
ব্যাপারে কথা বলতে শুর
করেছেন। মূলত ডাঃ জাকির
নায়েককে তৈরীর
পেছনে এটিও একটি কারণ যে, সাধারণ মুসলমানরা আলেম
সমাজ হতে বিচ্ছিন্ন
হয়ে আলেমের
মুখোমুখি অবস্থান
নিবে এবং জাকির নায়েকের
বক্তব্যের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের অন্তরে এ কথা বদ্ধমূল
করা যে, উলামায়ে কেরাম
এতোদিন তাদেরকে ভুল
বুঝিয়ে আসছেন।
(নাউযুবিল্লাহ) দেখুন! আজ কিন্তু তাই হচ্ছে।
সাধারণ মানুষ আলেমদের
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেছে এবং অ
সাধারণ মানুষ ইতোমধ্যেই
ভাবতে শুরু করেছে যে, এতোদিন
ওলামায়ে কেরাম তাদের ভুল বুঝিয়ে আসছে। (নাউযুবিল্লাহ)
১১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৯
সেলিম৬২৫১ বলেছেন: হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন যে ব্যক্তি আমার আলেমদের সম্মান করবে না সে আমার দলের অন্তর্ভুক্ত না।
১২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬
সেলিম৬২৫১ বলেছেন: মসজিদ মাদ্রাসা হল আখেরাতের পোষ্ট অফিস,
এখানে দান করলে, তা সরাসরি আখেরাতে চলে যায়
এক ভাই বললনে যে, হুজুরদের নাকি ইনকাম কমে যায়।
আমি বলি তারা হুজুরদের কয়দিন টাকা দান করেছেন? আর কতদিন এসে হুজুররা তার কাছে এসে হাত পেতেছে?
আর ডাঃ সাহেব তো নিজের জন্য ডিজিটাল ওয়েতে হাত পাতে।
তিনি যাদের দেখেছেন, তারা আল্লাহর ঘরের জন্য চেয়েছেন। আপনি কি পারবেন মানুয়ষর কাছে টাকা চাইতে? শুধু মাত্র আল্লাহর জন্য? পারবেন না। প্রেষ্ঠিজ বলে কথা। অথচ তাদের তৈরী মসজিদে আমরা নামায পড়ি।
১৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৪২
সেলিম৬২৫১ বলেছেন: হযরত মাওলানা প্রফেসর হামিদুর রহমানের (দা.বা) মাযহাব সমন্ধে লেকচার শুনুন।
Click This Link
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৪
ময়না বঙ্গাল বলেছেন: আল্লা কোরানে অনেক জায়গায় ফরমাইয়েছেন যে, তোমরা বড় বড় গুনাহ এড়িয়ে যাও , ছোট ছোট গুনাহ আল্লা দেখে ও না দেখার ভান করবেন।