নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগের স্বত্বাধিকারী সামিয়া

সামিয়া

Every breath is a blessing of Allah.

সামিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোট গল্পঃ প্রাণের স্পর্শ

২২ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:৪১

ভেজা ওড়না তারে ঝুলিয়ে দিল নাদিয়া। চুলটা এক ঝটকায় পেছনে সরিয়ে গামছায় মুছে নিল। হঠাৎ চোখ পড়ল সামনের বাড়ির ছাদে, আরে! আবার সেই ছেলেটা!

প্রতিদিন একই সময়। ছেলেটা ছাদে উঠে হাঁটে, একটু এক্সারসাইজ করে। ঘড়ি মিলিয়ে ওঠে নাকি? তাকিয়েই থাকে? অথচ আলাপ তো দূরে থাক, নামটাই জানা নেই নাদিয়ার।

তাকালে বিরক্তি লাগে। তবু সে নিজেই মাঝে মাঝে চোখ মেলায়, অদ্ভুত! ভেতরে ভেতরে কেমন যেন ধরা পড়ার ভয়, আবার না তাকালেই কেমন শূন্য লাগে।

এই সময়ই পাশেই ভারী বালতি ঠক করে রাখল কেউ। জামাকাপড় মেলতে এল ফারিহা আপা। নাদিয়ার প্রতিবেশী স্বামী কাঁচাবাজারে হালাল মাংসের দোকান চালান, আর ফারিহা বাসায় সেলাইয়ের কাজ করেন। দুই ছেলে নিয়ে দিব্যি কাটছে দিন। ঢাকায় চাকরির জন্য নতুন আসার পর নাদিয়াকে এই এলাকার গলি পথ চিনতে, বাজারে দামাদামি করে সবজি কিনতে, আলাদা করে মাছ মাংসের বাজার, এমনকি সস্তায় কাপড়ের মার্কেট চিনতে পর্যন্ত সাহায্য করেছে ফারিহা।

একবার পাশের ছাদের ছেলেটার দিকে তাকিয়ে নিয়ে ফারিহা মুচকি হেসে বলল
- একদিন কথা বলে নাও।

- আরে না না আপা! কী যে বলেন! নাদিয়া লজ্জায় ভুরু কুঁচকাল।

ওড়না মেলতে মেলতে ফারিহা আবার বলে উঠল,
- ওর নাম রায়হান। বয়স সাতাশ। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেছে।
- ইন্নানিল্লাহ! আর আমি একজন ডিভোর্সি তাড়াতাড়ি বলে উঠল নাদিয়া।

ফারিহা হেসে গামছায় ক্লিপ লাগাল,
- আমার স্বামীও আমার আগে আরেকটা বিয়ে করেছিল, টেকেনি, আমরা একসাথে ভালোই সুখে আছি, এক যুগ হয়ে যাচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ!
- কিন্তু আপা, আমাদের সমাজে একজন পুরুষ ডিভোর্সি হওয়া আর মেয়ে ডিভোর্সি হওয়া তো এক চোখে দেখে না!

ঢাকার গরমে ছাদ পুড়ে যাচ্ছে। নাদিয়া ছায়ায় সরে এল। ফারিহা মুচকি হেসে জানাল
- ওসব ছাড়ো, আগামীকাল থেকে এই বিল্ডিং এর কমল সাহেবের মেয়েকে কম্পিউটার শেখাবে ও, একটু কথা বলে তো দেখো। বলে ফারিহা সিঁড়ি নামতে লাগল। নিচে নামার আগে ঘুরে আবার বলল,
- ছাদের উত্তর দিকে টবে যে গন্ধরাজ আর গোলাপ ফুটছে, কিছু বুঝতে পারছো না?
- না তো! অবাক চোখে বলল নাদিয়া।

ফারিহা হেসে নিচে চলে গেল। আর নাদিয়ার মনে হল ওই গাছগুলো আসলে অকারণেই লাগানো হয়নি। ছেলেটি হাতে করে প্রায়ই ওকে গোলাপ আর গন্ধরাজ কিনে বাসায় ফিরতে দেখে।

তার বুকের ভেতর হঠাৎ অদ্ভুত অনুভূতি খেলে গেল। কিন্তু সেটা কাউকে বুঝতে দেয়া যাবে না, বিশেষ করে ফারিহা আপাকে তো নয়ই।

ঐদিন সন্ধ্যার আজানের আগে আগে নাদিয়া ছাদে কাপড় গুটাচ্ছিল। হঠাৎ পাশ থেকে একটা কণ্ঠস্বর
- আসসালামু আলাইকুম।

চমকে তাকাল। রায়হান দাঁড়িয়ে আছে, সামনের বাড়ির ছাদে। হালকা হাসি তার ঠোঁটে।
- ওয়াআলাইকুম আসসালাম। নাদিয়া এতটুকুই বলে চোখ নামিয়ে নিল।
একটু নীরবতা। তারপর রায়হান বলল
- আপনি ফুল খুব ভালোবাসেন, তাই না?

নাদিয়ার বুক ধক করে উঠল। গন্ধরাজের টবগুলো মনে পড়ে গেল। ভেতরে কোথাও উষ্ণতা ছড়াল। তবু নিজেকে সামলে নিয়ে বলল
- ফুল তো সবাইকেই টানে।
রায়হান মৃদু হেসে উত্তর দিল
- তবু সবার জন্য ছাদ ভর্তি করে ফুল লাগাইনি কিন্তু।

নাদিয়ার মুখে কোনো কথা এল না। কাপড় গুটিয়ে নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নেমে এল তাড়াহুড়ো করে। বুকের ভেতর কেমন অস্থির লাগছিল।

দিনগুলো কেটে যাচ্ছিল নিজের ছন্দে। শিফার কম্পিউটার শেখা এগোচ্ছিল , আর সেই সাথে রায়হানের এই বিল্ডিং এ আসা যাওয়া, যে কারনে নাদিয়ার সাথে কাজ থেকে দেখা সাক্ষাৎ ছোট ছোট কথাবার্তাও হয়েই যাচ্ছিল। কখনো শুধু সালাম, কখনো ফুল গাছ নিয়ে হালকা আলোচনা, কখনো আবার বাজার থেকে ফেরার পথে একঝলক চোখাচোখি।

সবকিছু খুব স্বাভাবিক, আবার খুব অস্বাভাবিকও লাগতো নাদিয়ার কাছে।

এক বিকেলে গোধূলির আলোয় ছাদে বসে ছিল নাদিয়া। হাতে এক মগ চা, চোখ গোধূলির আকাশে। হঠাৎ রায়হান এসে দাঁড়াল সামনের ছাদে। কিছুক্ষণ নীরবতা। তারপর বলল
- কখনো মনে হয় না, আমরা হয়তো এভাবে হঠাৎ দেখা পাওয়ার জন্যই ঠিক করা ছিলাম?

নাদিয়া চুপ। মগটা হাতে শক্ত করে ধরল। মন বলছিল কিছু একটা বলতে, কিন্তু ঠোঁট নড়ল না।
শুধু মৃদু হেসে বলল
- কিছু কিছু প্রশ্নের উত্তর সময়ই দেয়, রায়হান।
রায়হান মুগ্ধ চোখে নাদিয়ার দিকে তাকিয়ে রইল, তারপর আস্তে করে মাথা নাড়ল।
- নাদিয়া একটা কথা বলব?
চমকে তাকিয়ে শুধু মাথা নাড়ল সে। রায়হান বলল,
- আমি জানি, আমাদের আলাপ খুব বেশি দিনের নয়। কিন্তু মনে হয়, আপনাকে আমি অনেক আগে থেকেই চিনতাম। আমি চাই… আপনি আমার জীবনের সঙ্গী হোন।

বুকের ভেতরটা কেঁপে উঠল নাদিয়ার। আকাশের দিকে তাকাল সে, তারপর ধীরে ধীরে বলল,
- রায়হান, তুমি জানো না আমি কে। আমি একজন ডিভোর্সি। আমার জীবনের ভাঙাচোরা ইতিহাস আছে।

রায়হান শান্তভাবে উত্তর দিল,
- আমি জানতাম না। কিন্তু এখন জানলাম। তাতে কী আসে যায়, মানুষ তো অতীত নিয়ে বাঁচে না। আমি আপনাকে চাই, আপনার বর্তমান আর ভবিষ্যৎকে নিয়ে।

নাদিয়ার চোখে পানি এসে গেল। তবু মৃদু হেসে বলল,
- তোমার মনটা খুব সুন্দর, রায়হান। কিন্তু সমাজ এত সুন্দর নয়। আমার অতীত শুনে তোমার পরিবার কি মেনে নেবেন আমাকে?
রায়হান চুপ করে রইল কিছুক্ষণ। তারপর বলল,
- আমি চেষ্টা করব। বলে ভীষণ ভালোবেসে চেয়ে রইল নাদিয়ার দিকে,
হাওয়ায় ভেসে এলো মসজিদের মাগরিবের আজান।
আকাশে তখন মিলিয়ে যাচ্ছে সূর্যের আলো।

কয়েক সপ্তাহ পরেই খবর ছড়াল, রায়হানের বিয়ে ঠিক হয়েছে পাশের এলাকার এক মেয়ের সঙ্গে। পরিবার পছন্দ করেছে, মেয়ে পড়াশোনা করছে, ভালো ঘরের মেয়ে সব মিলে পারফেক্ট। নাদিয়া শুনে ভাবলো বেশ এই ভালো হলো রায়হানের জন্য।


কিন্তু একদিন সন্ধ্যায় হঠাৎ দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ পেল নাদিয়া। কাপড় গুটিয়ে রেখে দরজা খুলতেই চমকে উঠল রায়হান দাঁড়িয়ে। মুখে উদ্বেগ, চোখে অস্থিরতা।
- নাদিয়া, একটু ভেতরে আসতে দেবেন?

নাদিয়া ইতস্তত করল, তারপর কিছু না বলে সরে দাঁড়াল। রায়হান ভেতরে ঢুকে সরাসরি বলে ফেলল,
- আমি আর পারছি না। আমার পরিবার বিয়ের তারিখ ঠিক করেছে। আমি চাই আপনি শুধু একবার বলেন যে আপনি আমার সঙ্গে থাকতে রাজি। আমি সব ভেঙে দেব, আমি লড়ব, আমি শুধু আপনাকেই চাই।

নাদিয়ার বুকের ভেতর কেঁপে উঠল। মনে হচ্ছিল, এখনই গিয়ে ওর হাত ধরে বলুক হ্যাঁ, আমি চাই। কিন্তু ঠোঁটের কাছে এসে কথাটা আটকে গেল।

সে মুখ শক্ত করে বলল,
- রায়হান, তুমি কি বুঝতে পারছ না তুমি কী করছ? একটা ডিভোর্সি মেয়ের জন্য এভাবে ভিখারির মতো অনুরোধ করা তোমার মানায় না।
রায়হান হতভম্ব।
- ভিখারির মতো?
কড়া গলায় বলল নাদিয়া
- তুমি এখনই আমার বাসা থেকে বের হও। আর কখনো এসো না। আমি কারও দয়া চাই না, করুণা চাই না। তুমি তোমার জীবন নিয়ে বাঁচো।

রায়হানের চোখে জল ভরে উঠল। সে কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেল। তারপর আস্তে করে মাথা নিচু করে দরজার দিকে এগোল। বেরিয়ে যাওয়ার আগে একবার পেছনে তাকাল,
- নাদিয়া, আর একবার ভাবো… দয়া করে।
তারপর...

নাদিয়া ঘুরে দাঁড়াতেই রায়হান নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলল মুহূর্তেই এগিয়ে এসে নাদিয়ার দুই কাঁধ ধরে টেনে নিল বুকে।
সবকিছু এত দ্রুত ঘটল যে নাদিয়ার নিশ্বাস আটকে গেল। বুকের ভেতর ধকধক শব্দ, পরের মুহূর্তেই রায়হানের ঠোঁট ছুঁয়ে গেল তার ঠোঁটে; অচেতন, আকুল, প্রার্থনার মতো এক চুমু।

নাদিয়া প্রথমে জমে গেল, চোখ বড় বড় হয়ে গেল। তারপর হঠাৎই ধাক্কা দিয়ে নিজেকে সরিয়ে নিল, চোখ মুখ রাগে লাল, আতঙ্ক আর অশ্রু মিশে একাকার
- কী করছ তুমি, রায়হান! আমি একজন ডিভোর্সি, আমার একটা সম্মান আছে, বুঝলে? কণ্ঠ কেঁপে উঠলো নাদিয়ার।

রায়হান হাঁপাচ্ছিল,
-আমি ভালোবাসি তোমাকে… এটাই আমার অপরাধ?

নাদিয়া সোজা দরজা খুলে দিল।
- বের হও। এখনই। আর কখনো এসো না।

রায়হান কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইল, যেন বিশ্বাসই করতে পারছে না মুহূর্তটা সত্যি। তারপর ধীরে ধীরে বেরিয়ে গেল।

দরজা বন্ধ হতেই নাদিয়া দেয়ালে হেলান দিয়ে ভেঙে পড়ল। ঠোঁটে এখনও সেই স্পর্শের কম্পন, বুকের ভেতর ঝড় চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে তার।
ভাবছে; এই অপমান তোমাকে দূরে রাখার জন্যই ছিল, রায়হান। আমি চাই না তুমি আমার জন্য সব হারাও।

পর পর তিন দিন কেটে গেল; সূর্য ধীরে ধীরে পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ল ছাদে ফুলের গন্ধ ঘিরে ধরল চারপাশ। নাদিয়া চুপ করে বসে ছিল।
ফারিহা দূর থেকে নাদিয়ার দিকে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে দেখছিল, কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেল। বুঝতে পারছিল এই মুহূর্তে নাদিয়াকে কিছু না বলাই ভালো।

ঐ রাতেই হঠাৎ নাদিয়ার দরজায় কড়া নাড়লো। এত রাতে কে এলো ভেবে একটু ইতস্তত করল সে। দরজা খুলতেই চোখ বড় হয়ে গেল সামনে দাঁড়িয়ে আছেন রায়হানের বাবা আর মা দুজনেই।

মুহূর্তেই বুক কেঁপে উঠল নাদিয়ার।
- আসসালামু আলাইকুম,
- ওয়াআলাইকুম আসসালাম, মা। আমাদের ভেতরে আসতে বলবে না?

নাদিয়া হতচকিত হলেও ভেতরে নিয়ে এল, ঘরে নিস্তব্ধতা। অল্প আলোয় ঘরটা যেন আরও ফাঁকা আর নির্জন লাগছিল।

রায়হানের মা নীরব বসে রইলেন। কথা শুরু করলেন বাবা, গলায় দৃঢ়তা
- তুমি আমাদের ছেলেকে চেনো? ও জেদি, একগুঁয়ে। কিন্তু ভেতরে ভেতরে ও নরম, ভীষণ সংবেদনশীল। ওর বিয়ে ঠিক করেছিলাম আমরা, ডেট ও ফিক্সড করেছি, এইরকম সময় ও সে না'তেই অটল রইলো শুধু তোমার জন্য।
এখন বলো, তুমি কি ওকে একা মরতে দেবে?
নাদিয়া কেঁপে উঠল। ঠোঁট শক্ত করে বলল
- কেনো কি হয়েছে?
- ও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে মা! তবে আলহামদুলিল্লাহ, নিচে নির্মাণ কাজের জন্য বালুর স্তুপ ছিল, তাই প্রাণে বেঁচে গেছে। শুধু একটা পা ভেঙেছে। আমাদের কাছে বলেছে পা পিছলে পড়ে গেছে, কিন্তু ওকে তো চিনি জেদি ছেলে আমার।
- আমি তো চাই না আমার জন্য ওর ক্ষতি হোক। কিন্তু আমি ডিভোর্সি, আঙ্কেল। আমার ছায়া আপনার পরিবারের ওপর পড়ুক সেটা কি মেনে নেবেন আপনারা?

এইবার রায়হানের মা কথা বললেন।
- সমাজ কথা বলবে, গালি দেবে। কিন্তু সমাজ কি আমাদের ঘরে ভাত দেয়? সমাজ কি রাতে এসে ছেলের চোখের জল মুছিয়ে দেয়? না। আমরা চাই, ও সুখী হোক। আর ওর সুখ যদি তোমার হাত ধরে আসে, তবে আলহামদুলিল্লাহ, আমরা সেটাই চাই।

নাদিয়া চোখ নামিয়ে ফেলল। বুকের ভেতর ঝড় বইছে। সে কিছু বলার আগেই রায়হানের বাবা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন
- আমি বুড়ো মানুষ, এই জীবনে অনেক কিছু দেখেছি। একটা ভাঙা সংসার মানেই জীবনের শেষ নয়, আবার শুরু করার সুযোগ সবার গ্রহন করা উচিত। তুমি যদি সাহস না পাও, তবে রায়হানও হারিয়ে যাবে। আমাদের একমাত্র ছেলেকে কি তুমি এইভাবে ভেঙে পড়তে দেবে?

নাদিয়ার চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়ল। কণ্ঠ ভেঙে এল
- আমি ভয় পাই… যদি আবার একই ঘটনা ঘটে ? যদি আবার একা হয়ে যাই?

রায়হানের মা উঠে এসে নাদিয়ার মাথায় হাত রাখলেন। গলায় স্নেহ
- ভয় পেয়ো না, মা। এবার তুমি একা নও। আমরা হব তোমার পরিবার।

বুকের ভেতর জমে থাকা কষ্টের দেয়াল ভেঙে গেল নাদিয়ার। সে হঠাৎ কান্নায় ভেঙে পড়ল। মুখ ঢেকে ফিসফিস করে বলল
- ঠিক আছে… আমি রাজি।

পেছন থেকে ফারিহা আপা এসে বললো এখন তাহলে হাসপাতালে চলো জামাই রাজার সেবা যত্ন করে সুস্থ তো করে নাও।

নাদিয়া হাসপাতালে পৌঁছে দেখলো, বেডে শুয়ে আছে রায়হান, পায়ে প্লাস্টারের ব্যান্ডেজ, মুখ ফ্যাকাশে।
নাদিয়ার চোখের জল থামতে চায় না। কাঁদতে কাঁদতে সে রায়হানের দিকে তাকালো,
রায়হানের চোখে তখন মুগ্ধতা আর অবিশ্বাস সে শুধু চুপচাপ নাদিয়ার হাত ধরে রাখল।

নাদিয়া হঠাৎ রায়হানের মুখের দিকে এগিয়ে গেল, কাঁদতে কাঁদতে ঠোঁটের ওপর চুমু দিল ভেতরের সব দুঃখ, সব আকুতি নিয়ে তুমুল আবেগে।

রায়হানের চোখে মুখে হাসি ফুটে উঠল। অবশেষে সে কাঁপা গলায় ফিসফিস করে বললো
- পাল্টা চুমু…

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:২৭

শায়মা বলেছেন: বাহ দুঃখ দুঃখ মজার গল্প!!!

২| ২২ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৩৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কিছু অংশ পড়েছি,ভালো লেগেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.