| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |

আমি ভেতর থেকে ভেঙে পড়েছি এক নিরব যন্ত্রণায়, অথচ বাইরের চালচলনে বজায় রেখেছি নিখুঁত স্বাভাবিকতা। আমার অন্তরে প্রতিনিয়ত এক অন্তহীন ভিড় তর্ক, অভিযোগ, মুখোশ আর অভিনয়। প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙলে মনে হয় যেন এক নতুন যুদ্ধক্ষেত্রে পা রাখছি, যেখানে অস্ত্র হলো শব্দ আর আঘাত আসে কেবল ভুল মানুষের মতামতের ভিত্তিতে।
এই পৃথিবী সত্যিই এক অদ্ভুত নাট্যমঞ্চ। এখানে সত্য, সততা আর সৌন্দর্য সবই ঢাকা পড়ে থাকে অকৃতজ্ঞতার স্বার্থপর মন-মানসিকতার নিচে। সাধারণ মানুষের মুখে হাসি দেখা যায়, কিন্তু সেই হাসির গভীরে লুকিয়ে থাকা ক্লান্তিটুকু কেউ দেখতে চায় না, দেখেও না। সবাই এখানে নিজেকে নিয়ে অভিনয় করছে সেটা নিজের সাফল্য হোক, ব্যর্থতা হোক, এমনকি নিজের দুঃখও হোক। আজকাল দুঃখ সাজানো, আনন্দ পরিকল্পিত, আর প্রেমও যেন কেবলই প্রদর্শনীর অংশ।
হে প্রভু, তুমি নিশ্চয়ই দেখছো, এই যুগে সবাই বিশ্লেষক, সবাই সমালোচক। সবাই কথা বলে, উপদেশ দেয় কী ভালো আর কী খারাপ, কিন্তু ভালোটা কেউ করে না, আর খারাপ কাজটার ফলাফলও কেউ ভোগ করে না। সবাই বিচারক, কিন্তু কেউ বিচারাধীন হতে রাজি নয়। প্রতিটি মানুষ এখন নিজেই নিজেকে সেরা মনে করে, নিজেই সমালোচক, আবার নিজেই নিজের প্রচারক।
আমাকে গুছিয়ে দাও হে প্রভু আমি এই বুদ্ধিজীবীদের কোলাহল থেকে মুক্তি চাই। এই অনন্ত তর্ক, এই ছোট ছোট অহংকারের ধুলো আর দুর্ব্যবহার সব যেন মুছে যাক আমার অন্তর থেকে। আমি ফিরে যেতে চাই সেই দিনে, যখন জীবনের মানে ছিল কেবল একটুকরো নিঃশব্দ শান্তি; যখন মানুষ ছবি আঁকতো নিজের মুগ্ধতা থেকে, গান লিখতো ভালোবাসা ভরে, আর কবিতা জন্ম নিতো কোনো নিঃসঙ্গ বিকেলে।
আজ মানুষ সেই বিস্ময় হারিয়ে ফেলেছে। এখন বিস্ময়ের জায়গায় এসেছে লোক-দেখানো বিজ্ঞাপন, তীব্র প্রতিযোগিতা, আর কীভাবে অন্যকে হারানো যায় বা ছোট করা যায় সেই অপমানপ্রবণ নীতি।
আমি ক্লান্ত, প্রভু। এই সাজানো ভুবনের ছদ্ম আলোতে আমি আর বাঁচতে পারছি না। আমি চাই না কেউ আমাকে বিশ্লেষণ করুক; আমি চাই শুধু একটু নিঃশব্দতা যেখানে আমি আমার ভেতরের মানুষটাকে চিনতে পারবো, যেখানে কোনো মাপকাঠি থাকবে না, কোনো তুলনা থাকবে না।
আমার শব্দগুলো যেন আবার মাটির গন্ধ পায়, আমার চোখ যেন আবার মুগ্ধ হয় শিশিরে ভেজা সকালের আলোয়, আমি এই পৃথিবীর অভিনয় থেকে বেরিয়ে এসে যেন সত্যিকারের শ্বাস নিতে পারি, যার মধ্যে থাকবে শান্তি ও সুখের জীবন আর নির্মল আলো।
ছবিঃ ফেইসবুক
২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৫
সামিয়া বলেছেন: বাস্তব সত্য। ধন্যবাদ
২|
২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৩:০১
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: সুন্দর লেখা ।
২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৬
সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ
৩|
২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৪
শোভন শামস বলেছেন: আশা নিয়ে মানুষ বাঁচে। সুন্দর পৃথিবীতে সুন্দরভাবে সবাই যেন বেঁচে থাকে।
২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৬
সামিয়া বলেছেন: সেটাই আমাদের সকলের চাওয়া, সবাই ভালো থাকুক।
৪|
২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২
আকিব হাসান জাভেদ বলেছেন: মানুষ চেনা আজ বড় কঠিন। অনেক দিন হলো, সত্যিকারের ভালো মানুষ চোখে পড়ে না। সবাই এখন নিজের মতো করে ওস্তাদ হয়ে গেছে ।
২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:০৮
সামিয়া বলেছেন: সত্যিকারের মানুষ চিনে ফেলাই যেন এখন একপ্রকার শিল্প!
তবুও আমি বিশ্বাস করি এখনও কিছু মানুষ আছে, যারা নিঃশব্দে ভালোবাসে, ভালো থাকে, আর পৃথিবীটাকে একটু সুন্দর করে রাখে। ধন্যবাদ
৫|
২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:২৩
জুল ভার্ন বলেছেন: এক হৃদয়স্পর্শী আত্মবেদনার স্বীকারোক্তি, যেখানে প্রতিটি শব্দ যেন নীরব আর্তনাদের মতো কাঁপে। লেখাটি ভেতরের যন্ত্রণাকে এমন মর্মস্পর্শীভাবে তুলে ধরেছে যে, পাঠকেরও মনে এক গভীর নিঃশব্দতা নেমে আসে। আধুনিক সমাজের মুখোশ, কৃত্রিম সুখ আর আত্মপ্রদর্শনের এই নির্মম বাস্তবতাকে আপনি যেভাবে বিশ্লেষণ করেছেন, তা কেবল সাহিত্য নয়- এ যেন আত্মার এক প্রতিবাদ। শেষের প্রার্থনাগুলোতে যে শান্তির আকুলতা, তা আমাদের হারানো মানবিকতার জন্য এক গভীর আহ্বান। সত্যিই, এমন লেখা শুধু পড়া যায় না- মনের ভেতর অনেকক্ষণ ধরে অনুভব করতে হয়।
২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:১০
সামিয়া বলেছেন: মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ
৬|
২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: প্রভু কাউকে গুছিয়ে দেন না।
যা করার নিজেকেই করতে হবে।
২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:১১
সামিয়া বলেছেন: সেটা আপনার ব্যক্তিগত বিশ্বাস
৭|
২২ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:০০
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: দীর্ঘ প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, বাংলাদেশ আমাকে একজস্ট করে ফেলে। প্রতিবারই দেশে আসা হয় কম-বেশী কাজ নিয়ে কিন্তু দালালি, বাটপারি আর দুর্নীতিগ্রস্থ এই দেশে কোন কিছুই আর শেষ করা হয়ে ওঠে না। প্রবাসে আমার এমনটা কখনোই মনে হয় নি, যে কোন বিষয়ে কম-বেশী ফোন কলেই সমাধান করা যায়। এখানে স্বশরীরে একাধিকবার অফিসে গিয়েও কোন কাজ হয় না, ঝুলে থাকে দীর্ঘ সময় ধরে। যানজট, গরম আর অযোগ্য লোকজন পদে পদে জীবনকে বিষিয়ে তোলে। ইটস্ রিয়েলি ফ্রাসট্রেটিং।
২২ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:৩১
সামিয়া বলেছেন: হুম, আসলেইএটা সত্য। দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের মানুষ আমরা।
৮|
২২ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:২৪
মাথা পাগলা বলেছেন: দারুন লিখেছেন! পরের কিস্তিতে "ভেতরের ভাঙন"-এর পরিপূরক হিসেবে "ভেতরের শান্তি" নিয়ে লেখার দাবি রইলো।
২২ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:৩১
সামিয়া বলেছেন: আচ্ছা লিখবো, এ আর এমন কি কঠিন। ধন্যবাদ
৯|
২২ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
২২ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:৩২
সামিয়া বলেছেন: ওকে
১০|
২২ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:১৪
করুণাধারা বলেছেন: আমি তখন সামুতে নতুন, অভ্র দিয়ে বাংলা লিখি কিন্তু সমস্যা হয়। সেই সময় আপনার একটা পোস্ট দেখেছিলাম মনে হয় বনানীর কোন একটা এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলে বাসে উঠেছিলেন এবং কোনো এক দুর্বৃত্ত সেই টাকার লোভে আপনার অনুসরণ করেছিল বাসে। তারপর সেই দুর্বৃত্তকে ফাঁকি দেওয়ার গল্প। ঘটনাটা এত ভালো লেগেছিল যে মন্তব্য করতে ইচ্ছা করেছিল। বাংলা লিখতে না পারায় মন্তব্য করেছিলাম ইংরেজিতে এক শব্দে, Bravo!
আজকেও ইংরেজিতেই মন্তব্য করছি, Be brave! বিরুদ্ধতার সাথে লড়াই চালিয়ে গেলে সার্থকতা আসবেই।
২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৫৫
সামিয়া বলেছেন: আপনি তো নস্টালজিক করে দিলেন, জীবনে কতরকম করলাম এই আমি ভাবতেই আশ্চর্য লাগে। আপনি মনে রেখেছেন দেখে আশ্চর্য হয়েছি, আপু আপনাকে দেখতে ইচ্ছে করছে।
১১|
২২ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:৪৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: সামিয়া,
জীবনের ফেলে আসা অধ্যায়গুলোই যদি বারবারে পড়েন তবে জীবনের পরবর্তী অধ্যায়ে আপনি যাবেনই বা কি করে!
তাই জীবন যখোন আপনাকে কান্নার শতেক কারন দেখায়, তখোন জীবনকে হাযারো কারন দেখান যে, আপনি হাসতেও জানেন !
২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৫৬
সামিয়া বলেছেন: খুব সুন্দর ইন্সপায়ার্ড করা কথা গুলো। অনেক ভালো লাগলো। কৃতজ্ঞতা
১২|
২৫ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৫৬
সামিয়া বলেছেন: আচ্ছা![]()
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৩:০১
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: হে প্রভু আমি এই বুদ্ধিজীবীদের কোলাহল থেকে মুক্তি চাই।
.......................................................................................
পৃথিবী কাউকে এককভাবে বাচঁতে দেয়না ।
প্রত্যকে নিজ নিজ কর্মফলের প্রত্যাশা করে ।
ভালো সমাজ আমাদের সুস্হতা দেয়,
আর অসুস্হ পরিবেশ আমাদের কে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করে ।