| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |

মেয়েটি উঠেছিল সময়ের সিঁড়ি বেয়ে নিঃশব্দের স্মৃতির দেশে, আলো অন্ধকারে জমে থাকা অপেক্ষার গন্ধ; ভেতরে বাহিরে হাঁটতে হাঁটতে নীরব মুহূর্তগুলো কেটে যায় একা, কেউ জানেনা জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ যেন তার অচেনা কালের নিরব চিৎকার।
বারান্দার ঝরা পাতা আর ধুলো, ঘুমন্ত কক্ষগুলো নিস্তব্ধ ভীষণ ব্যথার মতন।
ঐ ঘরে বাবা থাকতো;
ঐ ঘরে ভাই থাকতো;
ঐ ঘরে বোন;
কত হাসি; কান্না; কোলাহল; এখন কিছু নেই
মোমবাতি নিঃশ্বাসে নিভু নিভু; কোথাও কেউ নেই আজ, শুধু পশ্চিমের নারকেল গাছটা ছাড়া।
তবু মেয়েটি হাঁটে কথা বলে স্বাভাবিক সাধারণ; প্রতিবেশী অনেকের মৃত্যু সংবাদ শুনতে শুনতে সেটিও এখন স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে, আসতে যেতে তাদের সাথে দেখা হয় না আর।
আগামীর গোপন দরজা টেনে খুলে ও;
অন্ধকার যেনো আরো ঘন হয়; মুখে জমে ওঠে বরফ ঠাণ্ডা চিরতরে হারিয়ে যাওয়ার ভয়,
এখানে বাবার বিছানায় আর কেউ ঘুমায় না, শুধু ধুলো পড়া নিঃশেষের রঙ,
নিস্তব্ধ মনের চোখগুলো উঁকি দেয় অতীতের দিকে।
মেয়েটির নিরব আর্তনাদ, দিন রাত্রি কাঁদে,
পা পিছলে পড়ে যায় পৃথিবীর এক প্রহর থেকে আরেক প্রহরে।
এক দৌড়ে ছুটে যেতে ইচ্ছে করে, বাবার ঘরেই মেয়েদের নিরাপদ শান্তির আশ্রয়, কিন্তু বাবা তো নেই, বাবা কোথায়?
ভাগ্যের পরিহাস হাসে, শিউলি চোখে আঁকা নীরব শত্রুতা।
এই ঘর কি কখনো মানুষের ছিলো, নাকি শুধুই স্মৃতির তালা চাবি?
মেয়েটি কেঁদে কেঁদে খোঁজে প্রিয়জন।
ওর আর্তনাদে নির্ঘুম রাত শেষে ভোরের রঙ নেমে আসে চুপচাপ,বিবাহিত বোন আর তার ঘরে; অনেক গুলো বছর পর হয়তো দুই এক রাত থাকবে এসে এই আশায় যত্ন করে কিনে বোনের ঘরে লাগিয়ে দেয়া সিলিং ফ্যানের শো শো শব্দ শুনতে শুনতে মেয়েটি আলগোছে ঘুমিয়ে পড়ে, তখন হয়তো না ফেরার দেশে পাড়ি দেয়া বাবা আর ভাই মাথায় হাত বুলিয়ে দেয় তাদের অদৃশ্য হাতে; আর সব সময়ের মত বলে ওঠে; ধ্যুর পাগলী।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১:০০
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
বুকের গভীর থেকে উঠে আসা দীর্ঘশ্বাস কোথায় যেন চাপা পড়ে যায়!
কেউ কি তার খোঁজ রাখে!