নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করুন সুস্থ জীবন গড়ুন।খাওয়ার জন্য বাচবো\'না, বাচার জন্য খাবো,

Abul kalam

Abul kalam › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাদাস্রাব(লিউকোরিয়া)

০৪ ঠা মে, ২০১৭ সকাল ১১:৪২


সাধারণভাবে অতিরিক্ত সাদা স্রাবকে ইংরেজিতে লিউকোরিয়া বলা হয়।সব মেয়েরই কমবেশি সাদাস্রাব হয়ে থাকে। এই স্রাবে। এই স্রাবে কোন রক্তমিশ্রিত থাকে না,প্রদাহজনিত কারনে কোনরুপ দুর্গন্ধ থাকে না,যোনিপথে বা যোনির মুখে কোন চুলকানিও থাকে না।কারো কারো ক্ষেত্রে সাদাস্রাবের জন্য কাপড় বা আন্ডার গার্মেন্টস ভেজা থাকে এবং শুকালে এক ধরনের হলদেটে বা বাদামি দাগ লেগে থাকে। সবসময় ভেজা ভেজা ভাব লাগলে অস্বস্তিবোধ করেন।অতিরিক্ত সাদা স্রাবের ব্যাপারটা একেক জনের কাছে একেক রকম।অল্প সাদা স্রাব হলে অনেকে ভয় পেয়ে যান।আবার কেউ কেউ অতিরিক্ত সাদা স্রাবের জন্যও অস্বস্তিবোধ করেন না।
অধিকাংশ মহিলার ধারনা লিউকোরিয়া বা সাদাস্রাবের জন্য তার স্বাস্থ্য দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে বা শরীর দুর্বল হয়ে পড়ছে যা ঠিক নয়।বরং এর উল্টোই ঠিক।অথাৎ সাধারণত স্বাস্থ্য খারাপ হলে বা ভগ্ন স্বাস্থ্যের অধিকারী হলে তাদের লিউকোরিয়া হয়।লিউকোরিয়ার জন্য কখনোই স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায় না।এটাকে যৌনরোগ বা ক্যান্সার মনে করেও মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েন অনেকে,যা ঠিক নয়।১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের স্ত্রী হরমোন বেশি থাকে।ফলে যোনি কোষ স্তর মোটা থাকে।যোনিতে ব্যাসিলাই নামক এক ধরনের স্বাভাবিক উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে।এরা যোনিতে মৃত কোষের ভেতরে গ্লাইকোজেনকে ল্যাকটিক এসিডে রুপান্তরিত করে। এই ল্যাকটিক এসিড যোনিপথকে ভেজা রাখতে সাহায্য করে এবং যোনির পিএইচ বজায় রেখে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, মেয়ে শিশু জন্মের পর প্রথম ১০ দিন বাচ্চার যোনিপথে আঠালো সাদাস্রাব বের হতে থাকে।এটা দেখে ভয়ের কিছুই নেই।এর কারন হল গর্ভকালীন মায়ের শরীরে স্ত্রী হরমোনের আধিক্য থাকায় সেটা গর্ভফুল দিয়ে কন্যাশিশুর শরীরে প্রভাব ফেলে।
সাধারনত নিয়মিত মাসিকের দু'সপ্তাহ পর বা ১৪ দিনের মাথায় যখন ওভ্যুলেশন হয় অথাৎ ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নির্গত হয় তখন তলপেটে ব্যাথাসহ সাদাস্রাব হয়ে থাকে।
জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন করলে অতিরিক্ত সাদাস্রাব হতে পারে।
সন্তান প্রসবের দেড় মাস থেকে তিন-চার মাস পর্যন্ত সাদাস্রাব দেখা যায়।
অত্যাধিক যৌন উত্তেজনা বা আবেগেও সাদাস্রাব হতে পারে।
যৌনিপথে ট্রাইকোমোনাস ক্যানডিডিয়া বা মোনিলিয়া জীবাণু দ্বারা কোনভাবে সংক্রমণ হলে।
কপার-টি পড়ার সময় কোনভাবে জরায়ুতে জীবাণু প্রবেশ করলে।
পুরাতন আমাশয় বা কোষ্টকাঠিন্য হলে।
মাসিকের কাপড় অপরিষ্কার এবং নোংরা পানিতে ধৌত করলে বা অপরিষ্কার যায়গায় শুকালে।
মানসিক দুশ্চিন্তা ও অশান্তিতে ভুগলে।
লক্ষন সমূহের মধ্যে,
যোনি থেকে প্রচুর রসক্ষরণ হতে থাকে,ঘন দই বা ভাতের মাড়ের মতো সাদা দেখায়,যোনিতে চুলকায় এবং অনেক সময় ফুলে উঠে, কোন কোন সময় রসে দুর্গন্ধ ও ফেনার মতো দেখায়, ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে এবং প্রস্রাবে কষ্ট দেখা যায়,সহবাসে জ্বালাপোড়া থাকতে পারে,
যোনির ভিতরে পরীক্ষা করলে সারভিক্সের মুখে ফোস্কা গলানোর মত লালচে দেখায়,গর্ভকালীন যৌন মিলন বন্ধ থাকার ফলে এটা হতে পারে,রোগী খিটখিটে ও রুগ্ন স্বভাবের হতে পারে।
যদি সাদাস্রাব খুব ঘন ঘন ও দুর্গন্ধযুক্ত এবং সঙ্গে চুল্কানি থাকে,তবে বুঝতে হবে জরায়ুর মুখে বা যোনিপথে সংক্রমণ হয়েছে।ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণেও দুর্গন্ধ সাদাস্রাব হয়ে থাকে।পি আইডি বা প্রজনন অঙ্গের ইনফেকশন থাকলে তলপেট ও কোমর ব্যাথা সহ লিউকোরিয়া হয়।
এই সব সমস্যায় অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৫০

Dr. Dipankar Mondal বলেছেন: সাদা স্রাব থেকে মুক্তি পেতে সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হবে তা হল যৌনাঙ্গ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে সর্বদা। অবশ্যই স
সাদা স্রাব থেকে মুক্তি পেতে সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হবে তা হল যৌনাঙ্গ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে সর্বদা। অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে যদি কোন ইনফেকশন থেকে রোগটি হয়ে থাকে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় এই রোগ সম্পূর্ণ রূপে আরোগ্য হয়।

সাদা স্রাবের উপর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিষয়ক একটি পোস্ট দেখুন এখানেঃ Click This Link

ডাঃ দীপংকর মন্ডল।
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.