নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি প্রচলিত অর্থে কোন লেখক নই তবে লেখালেখিটাকে অন্তর থেকে ভালোবাসি। তাই ভালোবাসার টানেই মাঝে মাঝে সমাজ, সংস্কৃতি এবং প্রযু্ক্তি নিয়ে দু’এক লাইন লেখার চেষ্টা করি।

সানিম মাহবীর ফাহাদ

নিজেকে এখনও ঠিক মতো জানতে পারিনি।

সানিম মাহবীর ফাহাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রক্ষণশীল পরিবারে আধুনিক কন্যা সন্তান অভিশাপ নাকি আশির্বাদ?

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০০

কন্যা সন্তান ব্যাপারটার মাঝে একটু অন্য রকম শীতলতা এবং তারও বেশি প্রশান্তি আছে। লম্বা চুলে জোড়া বেণী করা কোন ফুটফুটে বাচ্চা মেয়েকে দেখলেই চোখ জুড়িয়ে আসে। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকেও একটি কন্যা সন্তানকে জান্নাতের দরজার সাথে তুলনা করা হয়েছে। অনেক বাবা মা আছেন যারা পুত্র সন্তানের চেয়ে কন্যা সন্তানকেই বেশি পছন্দ করেন। কিন্তু সময়ের পরিবর্তন এই পছন্দের বিষয়টাকে দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সুযোগ দেয় না। কন্যা সন্তান ছোট থাকলে বাবা মা যতোটুকু তাদের পছন্দ করেন, সেই সন্তান বড় হলে তাদের সেই পছন্দে সাময়িক ভাটা পড়ে। কারন আজকাল একটি সন্তানকে সঠিকভাবে বড় করা জ্বলন্ত কয়লার উপর দিয়ে হেটে যাওয়ার সমান। আমি এ ব্যাপারে কিছু দৃষ্টান্ত তুলে ধরছি-

ভৌগলিক অবস্থান এবং জলবায়ুগত কারনে ভারতীয় উপমহাদেশের মেয়েরা খুব অল্প বয়সে যৌবন প্রাপ্ত হয়। মাত্র ১২-১৩ বছর বয়সের মধ্যেই মেয়েরা যৌবনের স্বাদ আস্বাদনের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। অনেক বাবা মা তাদের সন্তানকে ১৫ বছর বয়সের মধ্যে বিয়ে দেওয়ার কথাও ভাবেন, হয়তো দিয়েও দেন। যদিও মেয়েদের বিয়ের ক্ষেত্রে ১৮ বছরের একটি নুন্যতম বয়স সীমা আছে তবুও সেটাকে খুব বেশি মানা হয় না। কিন্তু সময় মনে হয় এখন একটু দ্রুতই বদলে যাচ্ছে। গত কয়েক বছরে পরিবেশ পরিস্থিতি বদলানোর মাত্রাটা লক্ষণীয়। প্রত্যেকটি গ্রামে গ্রামে এখন স্থানীয় প্রশাসন হয়েছে। বাল্য বিবাহ রোধ করার জন্য কঠোর আইন এবং সেগুলোর বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু এতে সন্তানের বাবা মায়ের কী ধরনের উপকার হচ্ছে সে ব্যাপারে একটু আলোকপাত করছি।

কিছুদিন আগে আমাদের এলাকার এক মেয়ে বিয়ে করার জন্য অস্থির হয়ে পড়ে। বাবা মা’কে হুমকি দেয় যদি তাকে বিয়ে না দেয় তাহলে সে আত্মহত্যা করবে। এরকম পরিস্থিতিতে কী আর করার আছে? বেচারা বাবা মা অনিচ্ছা সত্ত্বেও মেয়ের পছন্দের ছেলের সাথেই তার বিয়ে ঠিক করে। কিন্তু বিয়ের দিন বাসায় পুলিশ এসে মেয়ের বাবা এবং ভাইকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। পুলিশের অভিযোগ, মেয়ের বাবা এবং ভাই অল্প বয়সে মেয়ের বিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু মেয়ের বাবা এবং ভাইয়ের অবস্থাটা একবার ভেবে দেখছেন? তাদের কি দোষ ছিলো? নাকি মেয়েকে আদর যত্ন করে বড় করাটাই এখন তাদের বড় অপরাধ?

এরকম ঘটনা শুধু একটা না। প্রত্যেকটা গ্রামে এরকম ঘটনা অহরহ ঘটছে। যতোবার গ্রামে যাই ততোবার মানুষের মুখে শুনি অমুকের মেয়ে তমুকের ছেলের সাথে পালিয়ে গেছে। তমুকের মেয়ে অমুকের ছেলেকে ছাড়া বাঁচবে না, ইত্যাদি ইত্যাদি। কেউ হয়তো বলতে পারেন, শুধু গ্রামেই কি এর প্রভাবটা বেশি পড়ছে? শহরে এর প্রভাব এতোটা নয় কেন? উত্তর হলো, শহরগুলোতে প্রত্যেকটা কাজের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা আছে। এখানে প্রয়োজন অনুযায়ী বিকল্প পরিস্থিতি সৃষ্টি করা যায়। কিন্তু গ্রামে এই সুযোগগুলো অনেক কম। আমাদের অবাক হতে হয় মায়ের জাতির এই অধঃপতন দেখে। এর পেছনে কারন হিসাবে কি দাড় করানো যায়?

যদি কেউ বলেন এর পেছনে ধর্মীয় শিক্ষার অভাব আছে তাহলেও আমি নারাজ। আপাদ মস্তক বোরখায় আবৃত মাদরাসার ছাত্রিকেও পালিয়ে বিয়ে করতে দেখিছি আমি। পাশের গ্রামে জামে মসজিদ এর খতিবের মেয়ে সারাদিন খাওয়া বাদ দিয়ে কোরআন শরিফ পড়ে। পরে জানা গেলো একটি ছেলের সাথে অবৈধ সম্পর্কের জের ধরে তার এই নতুন ভনীতা। সমাজ সভ্যতা আবার আদিম যুগের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এর সমাধান দুটো হতে পারে, হয় দেশটাকে ফ্রি সেক্স এর দেশ করতে হবে, না হয় বাল্য বিবাহের আবার প্রচলন করতে হবে। স্কুল কলেজে কনডম বিতরণ কোন স্থায়ী সমাধান হতে পারে না। তবে কোন কিছু না হলেও অন্তত প্রয়োজনের তাগিদে বাবা মায়ের ইজ্জত রক্ষার্থে তাদের মেয়েকে যেকোন বয়সে বিয়ে দেওয়ার অধিকারটুকু দিতে হবে।

নিজের বিয়ের বয়স হয়ে যাচ্ছে। হয়তো দু’এক বছরের মধ্যে কাজটা সম্পন্নও করতে হবে। কিন্তু যখন ভাবি আমার পরিবারেও একটি কন্যা সন্তান আসতে পারে। তাকে এই সমাজ ব্যবস্থা, অশ্লীলতায় পরিপূর্ণ সংস্কৃতির মাঝে বড় করতে হবে তখন ভয়ে কুঁকড়ে উঠি। এ সমাজ ব্যবস্থা আমি চাই না। এই নিয়ম নীতি আমি চাই না। আমি চাই একটি মেয়েকে সঠিক ভাবে বড় করার পরিবেশ। তাকে নৈতিকতা শিক্ষা দেওয়ার পরিবেশ। তবে ছেলে সন্তান মানেই যে রসগোল্লা এমনটা না। কিন্তু তুলনামূলক ভাবে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদেরকে মানুষ করা একটু সহজ। কারন মেয়েরা আজকাল স্বীকারই করতে চায় না ছেলেদের সাথে তাদের কোন তফাত আছে। সন্তান হিসাবে আমরা শুধু ছেলে অথবা মেয়ে সন্তান চাই। ছেলে রূপি মেয়ে কিংবা মেয়ে রূপি ছেলেকে আমাদের কাম্য নয়।

পুনশ্চঃ আমার এই লেখাটি কোন মেয়ের মনে কষ্ট দিলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। কারন কাউকে কষ্ট দেওয়ার জন্য আমি এটা লিখিনি। আমি শুধু একটি মেয়ে সন্তানকে নিয়ে তাদের বাবা মায়ের আশা ভঙ্গের কথা উল্লেখ করেছি। আমি যাদের নিয়ে লিখেছি তারা হয়তো আমারই বোন, ভাগনি কিংবা ভাতিজি। তাদের এই অবস্থাগুলো আমাকেও ব্যথিত করে। এই অবস্থা থেকে দ্রুত পরিত্রান এবং এ বিষয়ে একমত হোন কিংবা দ্বিমত হোন আপনার সুচিন্তিত মতামত কামনা করছি।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমিও একটা সময় ভাবতাম যে, মেয়েদের চাইতে ছেলেদের মানুষ করা সহজ। কিন্তু পরে ভাবলাম, ২ টাই কঠিন। কারণ, একটা ছেলেও বাইরে কী করছে তা যেমন জানা যায় না, আবার একটা মেয়ে বাইরে কী করছে তাও বুঝা যায় না। তবে কন্যা সন্তানের সুবিধা হচ্ছে তাদের ঠিকমত লাইনে রাখা যায় সচতেন হলে যেটা ছেলেদের বেলায় কঠিন। দিন আরো খারাপ হচ্ছে। কিছুদিন আগে আমি কন্যা সন্তানের বাবা হয়েছি। আমি এখন কন্যা সন্তান নিয়ে চিন্তায় আছি। তবে একটাই উপায় হলো, ছোটবেলা থেকেই ধর্মীয় অনুশাসনে বড় করে তোলা। আর সময় হলেই বিয়ে দিয়ে দেয়া। ভালো স্টুডেন্ট হলে পড়ালেখা কন্টিনিউ হবে, না হলে ১৮ হলেই বিয়ের চেষ্টা শুরু। বাকীটা আল্লাহর হাতে।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২০

সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: ভালো কথা বলেছেন। তবে মেয়ের খেয়াল যদি কখনো খারাপ হয়ে যায় সেক্ষেত্রে তাকে কন্ট্রোলে আনা অনেক কঠিন। কারন এক্ষেত্রে সম্মানের দিকটা ছেলেদের চাইতে একটু বেশিই আশঙ্কাজনক। আধুনিক যুগে মেয়েরা অনেক বেশি বায়রের পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত হয়। তখন তাদের কথা শুনানো কঠিন। তাছাড়া বাড়ির বায়রে যেসব মেয়েরা থাকে তাদের বিষয়ে না হয় নাই বললাম। আল্লাহ যেন আপনার মেয়েকে সঠিক ভাবে বড় করার তৌফিক দান করেন। আমিন।

*** ছোট বেলা থেকে ধর্মীয় অনুশাসনগুলো বুঝাতে পারলে কাজ হবে। কারন সেক্ষেত্রে মানুষিকতা সেই ভাবেই গড়ে উঠবে। কিন্তু বায়রের পরিবেশ দ্বারা একবার কলুষিত হলে ধর্মীও কথা পানিতে গুলে খাইয়ে দিলেও কাজ হয় না।

২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭

আহলান বলেছেন: আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করো ....!

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬

সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: আমিন...!

৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৩

মিমমা সুলতানা মিতা বলেছেন: তোমার লেখা গুলো পুরুষশাষিত সমাজের পুরুষদের জন্য সঠিক চিন্তা ভাবনা। আসলে আমাদের পুরুষ শাশিত সমাজে আমাদের ছেলেরা সন্ত্রাস, মাস্তান, খুন, নেশাখোর হলেও আমরা সেই ছেলেকে সোনার ছেলে বলে আক্ষ্যা দিয়ে থাকি, তাদের এই অপরাধ কোনো অপরাধি ই না মনে করে থাকি। একই পাড়ার রহিমের ছেলে আর করিমের মেয়ে যদি সম্পর্ক করে পালিয়ে বিয়ে করে তাহলে সে পাড়ার সবাই বলবে করিমের মেয়ে পালিয়ে গেছে অমুকের সাথে। একবারো কেও বল্বেনা রহিমের ছেলে করিমের মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। এটা হলো সমাজের মানুষের ঘুনে ধরা চিন্তাধারা, বা মেয়েদের উপর দোষ চাপানো প্রবনতা। একই কাজ মেয়েরা করলে মেয়ে চরিত্রহীন আর ছেলেরা করলে হয় ভুল করেছে না বুঝে সোনার ছেলে আমার। আসলে একটা মেয়ে ক্যা সঠিক ও সুন্দরভাবে মানুষ করতে হলে সবার আগে বাবা মা এর মন্টাকে আধুনিক করতে হবে, সুন্দর করতে হবে তাদের চিন্তাধারাকে। আর এই ভাবনা গুলো যখন বাবা মা এর উপর প্রভাব পড়বে তখন মেয়ে সন্তান মানুষ করা খুব সহজ হয়ে যাবে। আমার বড় আপুর ২ মেয়ে। ছোট্টবেলা থেকে বাবা মাএর সাথে বন্ধুত্বপুর্ন সম্পর্ক তাদের। বর্তমানে তারা উচ্চতর ডিগ্রী লাভ করে একজন আটলান্টাতে আর একজন এ্যাডভোকেট। আসলে আমার আপা দুলাভাই কখনো ওদেরকে মেয়ে বলে দেখেনি, সন্তান বলে ভেবেছেন, এবং বন্ধুর মতন তাদের তৈরী করেছেন। তো আসলে সব চেয়ে বড় প্রয়োজন বাবা মা এর মনের বিকাশ একজন মেয়ের জন্য।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১২

সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: আমি কিন্তু ছেলেদের সাফাই করি নি! বলেছি ছেলেরাও রসগোল্লা না। কিন্তু আমি যে প্রেক্ষাপটটি তুলে ধরেছি সেটা তো বাস্তব। ছেলে মেয়ে দুটোকেই সঠিক পথে মানুষ করা কষ্টকর। কিন্তু ধর্মী দৃষ্টিকোন থেকে মেয়েদের অবস্থানটা কোথায় থাকার কথা আর তারা কোথায় আছে? আমি কিন্তু জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা কিংবা কাজের প্রসঙ্গে নেতিবাচক কিছু বলিনি। শুধু বলেছি মেয়েদের অনৈতিক আচরণের কারনে বাবা মায়েরা আজকার মেয়ে সন্তানের দিকে ভীতিকর দৃষ্টিতে তাকায়।

আমাদের সমাজ ব্যবস্থা, ধর্মীও নীতিগুলো তো আর একদিনে আপনি বদলাতে পারবেন না। বদলানো উচিত ও না। কিন্তু আপনি যদি এই প্রেক্ষাপটগুলোর মুখোমুখি নিজে হতেন তখন বুঝতেন বিষয়টা কতোটা খারাপ হতে পারে। পরিবেশ এবং প্রকৃতি ছেলে এবং মেয়েকে আলাদা ভাবে তৈরী করেছে। এটা আপনাকে স্বীকার করতেই হবে। শিক্ষায়, মেধায় ছেলে মেয়ের সমান হতে পারে। কিন্তু সেটাকে সব জায়গায় সমান ভাবা যায় না। তাছাড়া আপনি যে যুগের কথা বলেছেন সেটা এখন ভুলে যান। একটু বাস্তব মুখি হলেও দুই যুগের তফাতটা বুঝতে পারবেন।

৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সন্তানকে ঠিকভাবে মানুষ করা সবসময়েই কঠিন কাজ, কি ছেলে কি মেয়ে। আপনি যেসব মেয়ে ছেলের সাথে পালিয়ে গেছে বললেন, তারা তো আর একা পালায় নি। তাদের সাথী তো ছেলেই ছিলো।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০৭

সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: আমি কিন্তু ছেলেদের সাফাই করি নি! বলেছি ছেলেরাও রসগোল্লা না। কিন্তু আমি যে প্রেক্ষাপটটি তুলে ধরেছি সেটা তো বাস্তব। ছেলে মেয়ে দুটোকেই সঠিক পথে মানুষ করা কষ্টকর। কিন্তু ধর্মী দৃষ্টিকোন থেকে মেয়েদের অবস্থানটা কোথায় থাকার কথা আর তারা কোথায় আছে? আমি কিন্তু জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা কিংবা কাজের প্রসঙ্গে নেতিবাচক কিছু বলিনি। শুধু বলেছি মেয়েদের অনৈতিক আচরণের কারনে বাবা মায়েরা আজকার মেয়ে সন্তানের দিকে ভীতিকর দৃষ্টিতে তাকায়।

৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২৬

মিমমা সুলতানা মিতা বলেছেন: বললাম তো তোমাদের পুরুষ শাষিত সমাজে তোমাদের মতন পুরুষ গুলো মেয়েদের মুল্যায়ন করতে পারো না। এটা তোমাদের দুর্বল মনের পরিচয়। মেয়েদের কে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য মনে করো, মেয়েদের জাষ্ট চার দেয়ালের রান্না ঘরের আর রাত্রের খেলনা পুতুল ভাবো, মেয়েদের রক্তে মাংশে গড়া মানুষ বলেই মনে করোনা, তাইই আজ এই সমাজ ব্যবস্থায় মেয়েদের এই পরিনতি। আজ যদি মেয়েদের মানুষ করা ভয় এর কারন না ভেবে নির্ভয়ে মেয়েদের সম্মান দিতে পারতে তাহলে তোমাদের নিজেদের ভবিষ্যত মেয়ের ভবিষ্যত নিয়ে এত ভয় এত দারিদ্রতা থাকতো না।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯

সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: এখানে সম্মানের প্রশ্নটা তুলা বোকামী হবে আপু। মেয়েদের যথেষ্ট সম্মান দেওয়া হয়। কিন্তু আপনার কথা মতো মনে হচ্ছে যে মেয়েদেরকে যদি তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী বেহায়াপনার সব সুযোগ সুবিধা দেওয়া হতো তাহলে সেটাই হতো তাদের জন্য উপযুক্ত সম্মান। আমিতো বলেছি, আমি মেয়েদেরকে ছোট করার জন্য কিছু বলিনি। আমি শুধু সামাজিক অবস্থাটার কথা বেশি বলেছি বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে। সেখানকার অবস্থা আপনার কতোটুকু দৃষ্টি গোচর হয়েছে সেটা আমি জানিনা। তবে সে অবস্থা সম্পর্কে জানলে অবশ্যই শিউরে উঠবেন।

৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫২

নতুন বলেছেন: মিতা আপুর মতনই বলতে হয়। আপনার চিন্তায় মেয়েদের দোষটিই বেশি দেখেছেন আপনি।

আপনার গল্পে প্রথমেই বললেন ''মাত্র ১২-১৩ বছর বয়সের মধ্যেই মেয়েরা যৌবনের স্বাদ আস্বাদনের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে।''

আমাদের দেশের মেয়েরা কখনোই যৌবনের স্বাদ আস্বাদনের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে<< এতোটা এখনো শুরু হয়নাই।

আর মেয়েরা কিন্তু ছেলেদের সাথেই প্রেম করে... বিয়ে করে...পালিয়ে যায়।

যারা প্রেম করে তারা কি ছেলেদের খুজে নিয়ে প্রেম করে?? না কি কোন ছেলে ঐ মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়????

প্রেমে/বিয়ে/পালিয়ে বিয়ের প্রথম উদ্দেগ কে নেয়??? মেয়ে না কি ছেলে???

আমি কখনো মেয়েদের কে ছেলেদের স্কুলের সামনে দাড়িয়ে থাকতে দেখিনাই যে প্রমের প্রস্তাব দেবে বা ছেলে পছন্দ করবে।

নিজের বিয়ের বয়স হয়ে যাচ্ছে। হয়তো দু’এক বছরের মধ্যে কাজটা সম্পন্নও করতে হবে।

আপনার বয়স কি ২১ এর নিচে??
২১ এ বেশি হলেতো আপনার বিয়ের বয়স হয়েই গেছে। আর ৩০শের কাছা কাছি হলে তো অনেক দেরী হয়ে গেছে।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮

সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: আমি আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষন করছি না। কিন্তু বর্তমান অবস্থাটা দেখেছেন কিনা। যুক্তিতে আপনি আমাকে হারিয়েও দিতে পারবেন। কিন্তু বাস্তবতা আপনাকে হার মানাবে। মেয়ে আর ছেলে দুজনে সমান হয় না। ভাবাও যায় না। সমাজ ব্যবস্থাটাই তো আমাদের অন্য রকম। আপনি কি চাচ্ছেন মেয়েদের এই অবস্থাটা আমরা স্বাভাবিক ভাবে দেখি? তারা বিয়ে করতে চাইলো, বিয়ে দিতে গেলাম আর জেলে চলে গেলাম। এটাই কি আমাদের জন্য হওয়া উচিত।

*** বিয়ের প্রসঙ্গটা একটু অন্য ভাবে ভাবতে হবে। বিয়ের বয়স হলেই কিন্তু বিয়ে করা যায় না। কারন আজকাল ২৫ বছরের আগে পড়ালেখায় শেষ হয় না। বুঝতেই পারছেন তাহলে ব্যাপারটা।

৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫

মিমমা সুলতানা মিতা বলেছেন: সংকীর্ন মনের পরিচয় দিয়েছে লেখক। তবে মনটাকে উন্নত করো, দেখবে বেহায়াপনা কেও করবেনা, আর যদি মেয়েদের জাষ্ট সজ্জ্যা সঙ্গিনী খেলনা পুতুল ভাবো তাহলে তোমার মেয়েও ভবিষ্যতে সজ্যাসঙ্গিনী আর খেলনা পুতুল ছাড়া মানুষ হবে না, বাবা মা এর উন্নত মন ই ভবিষ্যত সন্তানের উপর প্রভাব পড়ে।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১১

সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: হা হা হা, আপনি কি বলতে চাইছেন লেখকের মনের সংকীর্নতার জন্যই মেয়েদের এতো সব বেহায়াপনা?

আপনি বিশ্বাস করেন আর নাই করেন আমি মেয়েদের কখনোই ছোট করে দেখি না। তবে প্রেক্ষাপটটি আপনি বুঝতে পারেননি ভেবে খারাপ লাগছে। সৃষ্টিকর্তা আপনাকে ভালো এবং মন্দের মাঝে পার্থক্য করার মতো ক্ষমতা দান করুক.....

৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৪

মিমমা সুলতানা মিতা বলেছেন: ল্লাহ আপনার মনের সংকীর্ন ভাবনা, মেয়েদের সম্মান করার তৌফিক দান করুন

৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৭

নতুন বলেছেন: *** বিয়ের প্রসঙ্গটা একটু অন্য ভাবে ভাবতে হবে। বিয়ের বয়স হলেই কিন্তু বিয়ে করা যায় না। কারন আজকাল ২৫ বছরের আগে পড়ালেখায় শেষ হয় না। বুঝতেই পারছেন তাহলে ব্যাপারটা।

জানি বিষয়টা তবুও জিঙ্গাস করলাম কারন অনেকে শুধুই বলে যে ধমে বলা আছে আগে বিয়ে দিতে কিন্তু আগে বিয়েটা বাস্তব সম্মত না।

আপনি ৩০ বছরে বিয়ে করবেন কিন্তু মেয়েটিকে ১৫ বছরে বিয়ে দিতে বলছেন?? ১৫ বছরের ব্যবধানে মানুষিক/শারিরিক দুই ভাবেই স্বামী/স্ত্রীর মাঝের পাথ`ক্য অনেক বেশি হয়।

সবচ্চ ব্যবধান ৭/৮ বছরের হতে পারে। তাহলে আপনি ৩০ শে বিয়ে করলে আপনার জন্য মেয়ের বয়স হওয়া উচিত ২২-২৩ এর চেয়ে বড় না হলে আপনাদের মনের মিল হবেনা।

তাই শুধুই ধমের খাতিরে ১৫ বছরের মেয়েকে বিয়ে দেবার যুক্তি দিলে হবে না।

মেয়ে দের কলেজে পড়ার আগে বিয়ে দেওয়া ঠিক না।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬

সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: সারা রাত গীতা পাঠ করে সকালে বলে সীতা কার বাপ!

আমি কি আমার লেখায় এটাই বোঝাতে চেয়েছি যে গ্রামের মেয়েদের ১৫ বছরের আগে বিয়ে দিতে হবে? গ্রামের কিছু মেয়ে আছে যারা অল্প বয়সেই বিয়ে পাগল হয়ে যায়। তাদের বিয়ে দিতে গিয়ে যেন বাবাকে জেলে যেতে না হয় সেটাই আমি বোঝাতে চেয়েছি। লেখার ভিন্নার্থ বের করলে তো কিছু করার নেই। তাছাড়া আমি নিজেও কখনো ১৫ বছরের মেয়েদের বিয়ে করার ক্ষেত্রে আগ্রহী না। আমি শুধু অবস্থার প্রেক্ষিতে কিছু বিধানের পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে বলেছি।

আমি যে মেয়েটির কথা বলেছি, তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো তুমি এতো তাড়াতাড়ি কেন বিয়ে করবে? সে উত্তরে বলেছে আমার একজন স্বামী দরকার তাই বিয়ে করবো। সেখানে যদি আপনি থাকতেন তাহলে আপনি কি বলতেন? অথবা যদি আপনি মেয়ের অভিভাবক হতেন তাহলে আপনার ভুমিকাটা একটু বলবেন প্লিজ।

১০| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ছেলে আর মেয়ে - দুইটাকেই লাইনে রাখা এ যুগে কঠিন। অল্প বয়সে মোবাইল, ফেসবুক, সিনেমা - এসব তো আছেই তার উপর আছে ঘরের বাইরের নোংরা সমাজ। উচ্চ শিক্ষা আর অর্থ উপার্জন করতে গিয়ে যদি ছেলে কিংবা মেয়ে ধর্ম থেকে দূরে সরে যায় তাহলে সেটার দরকার নেই। প্রায় সময় টিভিতে দেখা যায়, তারকাদের মায়েরা হিজাব পরে আসেন, বাবারা থাকেন দাড়িওয়ালা/নামাজি। তারকারা গর্ব করে বলে, প্রথমে বাবা মা চায়নি, পরে তারা উৎসাহ দিয়েছে। অথচ এই অভিভাবকরা ব্যর্থ। কারণ, তারা তাদের ছেলে/মেয়েকে গুনাহ'র পথ থেকে সরাতে পারেনি।

১১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩১

আতিকুর রহমান সোহেল বলেছেন: কথার সাথে পুরোপুরি একমত । যখন চোখের সামনে আরেক জনের মেয়েকে নষ্ট পথে যেতে দেখি তখন ভাবি একটা বোন থাকলে আজ হয়তো সেও এই কাজ করতো । হয়তো কিছুটা কম আর বেশি । গোয়ালে গরু থাকলে যে সব গরুই ভালো হবে এমন তো কোন কথাই নেই । দুই একটা গুতা দিবেই । অনেকেই মনে করছেন এখানে মেয়েদের ছোট করা হয়েছে । না ! তাদের সম্মান বেহেশতের সমান । কিন্তু বলা হয়েছে বাল্যবিবাহের বয়সটা নিয়ে।
একটা ১৪-১৫ বছরের মেয়ে যখন সারারাত একটা ছেলের বাসায় থাকতে পারে বা আবুলের ফ্লাটে দেখা করতে পারে, তখন সেই মেয়ে অনেক বড় । আবার সেই মেয়েকে কম বয়সে বিয়ে দিলে সে হয়ে যায় ছোট । বিয়ের বয়সের কেন এই দরকার ? বাল্যবিবাহের জন্য এত আইন হয় অবাধ মেলামেশার জন্য কেন আইন হয় না ? কেন হয় না প্রেম করে বিয়ে করার বিরুদ্ধে আইন ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.