নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি প্রচলিত অর্থে কোন লেখক নই তবে লেখালেখিটাকে অন্তর থেকে ভালোবাসি। তাই ভালোবাসার টানেই মাঝে মাঝে সমাজ, সংস্কৃতি এবং প্রযু্ক্তি নিয়ে দু’এক লাইন লেখার চেষ্টা করি।

সানিম মাহবীর ফাহাদ

নিজেকে এখনও ঠিক মতো জানতে পারিনি।

সানিম মাহবীর ফাহাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আধুনিক প্রজন্মের পাঠ চিন্তা এবং পড়ালেখার সত্যিকার উদ্দেশ্য!

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭

আমাদের পূর্ববর্তি প্রজন্ম পড়ালেখার সত্যিকার উদ্দেশ্য বলতে গিয়ে কিছুটা দ্বিধান্বিত অবস্থায় পড়ে যেতো। যেমন, তারা নিজেরাও জানতো পড়ালেখার মূল উদ্দেশ্য হলো একটা ভালো চাকরী করা। তারপরেও তাদের কাছে পড়ালেখার মূল উদ্দেশ্য জানতে চাইলে তারা হাসিমুখে বলতো- জ্ঞান অর্জন করার জন্যই তো পড়ালেখা করছি। তাদের তুলনায় আমাদের প্রজন্ম একটু আলাদা, পড়ালেখা যে আমরা ভালো একটা চাকরী পাওয়ার জন্যই করি এটা বলতে আমরা লজ্জাবোধ করি না। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করার সময় স্যারের লেকচার শোনার পরিবর্তে চাকরীর জন্য পড়তে গিয়ে স্যারের কাছে ধরা খেলেও আমাদের অনুশোচনা হয় না। স্যাররাও এখন এগুলো নিয়ে ঘাটাঘাটি করে না। তবে অবাক হলাম আমাদের পরবর্তি প্রজন্মের অবস্থা দেখে!

একদিন দশম শ্রেণী পড়ুয়া আমার এক ছাত্রকে প্রশ্ন করলাম, তোমার পেশাগত টার্গেট কি? উত্তরে সে বললো- স্যার, আমি পুলিশ ক্যাডার হবো। আমি বললাম, শুধু পুলিশ ক্যাডারই কেন? উত্তরে সে যা বললো তাতে আমি অজ্ঞান হয়ে যাবো মনে হচ্ছিলো। তার মতে, একমাত্র পুলিশ পেশাতেই ঘুষ খেয়ে সহজে বড়লোক হওয়া যায় এবং প্রশাসনিক পদবী থাকায় কেউ পুলিশের ভয়ে কথা বলতে পারে না! চাকরী করার পর মানুষকে ঘুষ খেতে অভ্যস্ত হতে দেখেছি কিন্তু ঘুষ খাওয়ার ইচ্ছে নিয়ে চাকরীর পরিকল্পনা করতে এই প্রথম বার দেখলাম। আমাদের পরবর্তি প্রজন্মের যদি এই রকম উদ্দেশ্য হয় তাহলে জাতি তাদের কাছ থেকে কী প্রত্যাশা করবে?

পুলিশ কথাটা শুনলেই কেমন জানি একটা ঘুষখোর ঘুষখোর ভাব চলে আসে। ব্যক্তিগত ভাবে আমি কখনো পুলিশের সংস্পর্শে আসিনি, আমার বাপ দাদা চৌদ্দ গোষ্ঠীর মধ্যে কেউ পুলিশে চাকরী করেনি কিংবা কোন প্রয়োজনে পুলিশের কাছে যেতেও হয়নি। শুধু ট্রাফিক পুলিশদের মাঝে মাঝে ঘুষ নিতে দেখেছি এবং সিনেমা নাটকে ঘুষখোর পুলিশদের দেখে সামান্য অভ্যস্ত হয়েছি। তাও সিনেমা নাটকের পুলিশেরা কোন এক সময় নায়কের কারনে ঘুষ খাওয়া ছেড়ে দেয় যদিও বাস্তবে এমনটা হয় কিনা জানিনা। এখন প্রশ্ন হলো, প্রত্যেক পুলিশ অফিসারই কি ঘুষখোর? নাকি এসব কেবলি বাস-ট্রাক চালক কিংবা বাংলা সিনেমার অপপ্রচার? পুলিশের মতো দেশ এবং জাতির রক্ষকদের সম্পর্কে এমন ঘুষখোর খেতাব প্রচলিত থাকলে তো সামনে একদল ঘুষখোর চিন্তা ধারার প্রজন্ম তৈরী হবে। যে প্রজন্ম চিন্তাতেই ঘুষখোর তাদের তৈরী বাস্তবতার কথা ভাবার সাধ্য কি আমাদের!

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২১

সপ্ন বালক বলেছেন: সহমত।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৭

সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: সহমতের জন্য ধইন্যা :)

২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৩

টোকাই রাজা বলেছেন: পুলিশ তো চুনুপুটি, গু খায় সবই মাছে, নাম পড়ে গাওরা মাছের।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৬

সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: যথার্থ বলেছেন, তবে একমাত্র পুলশ হতে পারলেই মনে হয় শুরু থেকে (বৈধ ভাবে!) ঘুষ খাওয়া যায়।

৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪১

অশোক বলেছেন: কি কমু ভাইজান।
সময়ের দোষ।
বেচে থাকতে হলে টাকা চাই,অনেক টাকা।

যা অর্জনে নীতিবোধের কোন বালাই নেই।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৭

সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: প্রধান সমস্যা হলো নৈতিক শিক্ষার অভাব! বাবা মা যেমন ছোট থেকেই টাকা-পয়সাকে প্রধান ভাবতে শেখায়। ছেলে মেয়েরাও তেমন টাকা আয় করাকেই প্রধান ধান্ধা মনে করে। সেটা যে উপায়েই হোক।

৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৯

আফরীন সুমু বলেছেন: আগে বাংলাদেশে চোরের মান সবচেয়ে নিচে ছিল। এখন পুলিশের মান তারও নিচে।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৬

সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: চোর এবং পুলিশের মাঝে আসলে তেমন কোন প্রভেদ নেই :(

৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আমাদের প্রজন্মের লক্ষ্য একটা জায়গা করে নেয়া কারণ জায়গা পাওয়াটাই এখন সবচেয়ে বড় ব্যাপার| তারপরের ধাপই হলো টাকা কামানো

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০

সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: তাই বলে তো আর টাকা কামানোর জন্য মনুষ্যত্ব বর্জন করা যাবে না। অন্তত এতো ছোট বয়সে কেউ যদি বড় হয়ে ঘুষখোর হওয়ার স্বপ্ন দেখে তাহলে সেটা দুঃখজনক :(

৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০২

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: মানুষ তার দৃষ্টিভঙ্গির দ্বারা পরিচালিত হয়। নিজের ঘর এবং সামজিক আচার থোকে দৃষ্টিভঙ্গির তৈরী হয়। প্রত্যেক পেশায় ভাল মন্দ লোক আছে। ব্যাপারগুলো অনেক বেশি আলেচনা এবং গবেষণার দাবি রাখে। আমরা শুধু মানুষের ত্রুটিগুলো খুজে খুজে বের করি। কে , কেন, কি কারণে অন্যায় করে তা কখনে বুঝিনি, বুঝতে চেষ্টাও করিনি।
সমস্যার মূলে আমরা কখনো আঘাত করিনি, আমরা শুধু হৈ হৈ রৈ রৈ নিয়েই ব্যস্ত। একটি বাণী সব সময় মনে রাখা উচিত " সকল কাজের ফলাফল নিয়্যতের উপর নির্ভর করে। " (আল হাদিস)

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩

সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: সকল কাজের ফলাফল নিয়্যতের উপর নির্ভর করে বলেই বর্তমান প্রজন্মের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আমাদের ব্যথিত করে। বর্তমান সময়ে নৈতিক শিক্ষাকে অন্য যেকোন শিক্ষার চাইতে খুব গুরুত্বের সাথে উপস্থাপন করতে হবে। নাহলে একটি দুর্নীতিগ্রস্থ জাতি আর কিছুই পাবো না।

৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: :(

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১

সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: :(

৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১০

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: দেশের নেতা যেমন, নাগুরকরাও তেমন, বংশধরাও তেমন...!

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪

সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: এদের আন্ডা বাচ্চা যা হবে সবই এমনই হবে।

৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১১

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: দেশের নেতা যেমন, নাগরিকরাও তেমন, বংশধরাও তেমন...!

১০| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৩

নিমগ্ন বলেছেন: ভাল কথা বুইলচেন।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৫

সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: সাপোর্টের জন্য ধইন্যা :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.