নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি প্রচলিত অর্থে কোন লেখক নই তবে লেখালেখিটাকে অন্তর থেকে ভালোবাসি। তাই ভালোবাসার টানেই মাঝে মাঝে সমাজ, সংস্কৃতি এবং প্রযু্ক্তি নিয়ে দু’এক লাইন লেখার চেষ্টা করি।

সানিম মাহবীর ফাহাদ

নিজেকে এখনও ঠিক মতো জানতে পারিনি।

সানিম মাহবীর ফাহাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি ভালো রেজাল্ট, ছোট্ট কিছু স্বপ্ন পূরণের সাথে বৃহত্তর স্বপ্ন হরণ!

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৮

পরীক্ষায় ভালো ফলাফল প্রত্যেকটা ছাত্র-ছাত্রীর চরম কাঙ্খিত একটি বিষয়। ভালো ফলাফল ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যক্তিগত জীবনের সম্পত্তি হলেও খুব কম সময়েই তারা নিজেদের ইচ্ছায় ভালো ফলাফল অর্জন করে। কারন পড়ালেখাটা এমন কোন সুখকর বিষয় না যে, কেউ মনের সুখে এটা অর্জন করে। ব্যতিক্রম যে নেই তা বলছি না তবে ব্যতিক্রমগুলো আজকের আলোচনার বিষয় না।

ছেলে মেয়েদের পড়াশোনায় মনযোগি করার জন্য বাবা মায়েরা সন্তানের সামনে কিছু লোভনীয় অফার উপস্থাপন করেন। এই অফারগুলো অনেকটা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে দেওয়া হয়। যেমন পিএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য লোভনীয় অফার হলো একটি সাইকেল কিনে দেওয়া। এটার তেমন কোন ক্ষতিকর দিক নেই, শুধু সন্তান এর ফলে বাড়ির বায়রে একটু বেশি সময় কাটায়। তবে আসল সমস্যা হলো জেএসসি পরীক্ষা নিয়ে।

ছেলে মেয়েরা যখন জেএসসি পরীক্ষা দেয় তখন তারা মোটামুটি ভাবে বড় হওয়ার প্রথম সিড়িতে অবস্থান করে। তথ্য-প্রযুক্তি এবং মোবাইল ফোনের প্রতি তাদের আকর্ষন বেশি থাকে। ফলে ভালো মানের একটি স্মার্টফোন কিনে চাওয়া হলো তাদের ভালো রেজাল্ট এর পূর্বশর্ত। অভিভাবকরাও সন্তানের এরকম শর্তে মন খারাপ করেন না। বরং নিজেরাই মহা উৎসাহে সন্তানদের শর্ত পূরণে তৎপর হয়ে উঠে। কিন্তু ভালো রেজাল্ট করার পর যখন সন্তানের ছোট্ট এই স্বপ্নটি পূরণ করে দেওয়া হয় তখন মূলত তাদের বৃহত্তর স্বপ্ন পূরণের সিড়িটাকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। কারন তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে স্মার্টফোন দিয়ে সব কিছু করা যায়। ফেসবুক, ভাইবার, লাইনে তখন তারা বেশি অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। এর ফলশ্রুতিতে পড়াশোনার প্রতি তাদের আগ্রহ কমে যায়। এবং একটা সময়ে এসএসসিতে তারা খারাপ রেজাল্ট করে বসে।

এইচএসসি লেভেলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে কম্পিউটার রিলেটেড কিছু টপিক্স থাকাতে একটি কম্পিউটার কেনার স্বপ্ন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে সব সময় হাতছানি দেয়। বাবা মায়েরাও সন্তানের ভালো রেজাল্টের পর তাদের এই স্বপ্ন পূরণ করে দিতে দ্বিধা করেন না। কম্পিউটারের সাথে যুক্ত হয় হাই স্পিড ইন্টারনেট। কিন্তু অধিকাংশ ছেলে মেয়েরা এই সুন্দর সুযোগের অপব্যবহার করে বসে। কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট নেশার মতো দাড়ায়। জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এরকম আসক্তি তাদের ভবিষ্যতের জন্য অন্ধকার ভিন্ন আলোর পথ দেখায় না।

এখন প্রশ্ন হলো, সব ছেলে মেয়েরা কি এমন করে? উত্তর হলো, না। সব ছেলে মেয়েরা এমনটা করে না। কিন্তু অধিকাংশদের ক্ষেত্রে এমনটা হতে আমি দেখেছি। আপনার নিজের বাড়ি কিংবা আশেপাশে নজর দিলে আপনিও হয়তো এমনটাই দেখবেন। যদি এরকম না হয়ে শতকরা একজনও ছোট্ট স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে বৃহত্তর স্বপ্নের বলয় থেকে বেরিয়ে আসে এবং সেটা যদি আপনারই সন্তান হয় তাহলে কিন্তু দুঃখের সীমা থাকবে না। সে ক্ষেত্রে আপনারা সন্তানদের বইমুখি করতে পারেন। বিনোদনের জন্য কমিক্স, জ্ঞানের জন্য সাধারন জ্ঞানের বই, ভ্রমন কাহিনী, জোকস রিলেটেড বইগুলো দিতে পারেন। আমার বাবা এই কাজটি করতেন। অন্তত ইলেকট্রনিক ডিভাইস কিনে দিয়ে ছেলে মেয়েদের ছোট্ট একটি স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে তাদের বড় স্বপ্নগুলোকে হরণ করবেন না।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৫

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
আজকাল খারাপ রেজাল্ট বলে কিছু কি আসে? :)
বাই দ্যা ওয়ে আপনার সাথে সহমত, ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসগুলা অনেক বেশী হার্মফুল ||

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৭

সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: কথা অবশ্য সত্য! এখন তো পরীক্ষা দিলেই জিপিএ ৫। তবে রেজাল্ট যাই হোক, কোমলমতি ছেলেমেয়েদের স্মার্টফোন এবং কম্পিউটার থেকে দুরে রাখা ভালো। তবে প্রয়োজন হলে নজরদারীতে রেখে এসব ডিভাইস ব্যবহারে অনুমতি দিতে হবে।

২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫০

এনামুল হক \";\" বলেছেন: ভাই জে এস সি রেজাল্ট দেখার জন্য লিংক দেন ,

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৩

সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: কোন লিঙ্ক এখন কাজ করছে না। লিঙ্ক কাজ করলে এমনিতেই খুঁজে পাবেন।

৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯

মোঃ আমানউল্লাহ বলেছেন: বেপারটা লক্ষনীয় ।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩২

সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: লক্ষ্য করে দেখবেন তাহলে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.