![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকে এখনও ঠিক মতো জানতে পারিনি।
ইংরেজি নতুন বছরের শুরুটা প্রত্যেক বছর একই রকম! কুয়াশা ভেজা নতুন একটি সকাল, কোথাও তারিখ লিখতে গিয়ে ভুল করে আগের বছরটা লিখে ফেলা, অন্যদের অহেতুক নতুন বছর নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা, দোকানদারদের কাছ থেকে বাকি না পাওয়া, যে কোন উল্টা-পাল্টা কাজে কৈফিয়ত দেওয়া- বছরের প্রথম দিনেই এমন কাজ করুম? এগুলো ছাড়া নতুন বছরের প্রথম দিনের আর কোন স্পেশাল ব্যাপার নেই! শুধু ২০০৩ সালের প্রথম দিনটি ছিলো অন্য রকম! সেদিন আমি অনেক বড় কিছু ভেঙ্গে ফেলেছিলাম। আর সেটা আমার বাবা মায়ের প্রথম স্বপ্ন। তাদের একমাত্র সন্তানকে তারা কোরআনের হাফেজ এবং পরবর্তি সময়ে মুফতি বানাতে চেয়েছিলেন। যথারীতি মাদ্রাসায় ভর্তিও করেছিলেন, কিন্তু তার ৪ মাস পরে ঠিক এই দিনে হুজুরের চোখকে ফাঁকি দিয়ে আমি মাদ্রাসা (আবাসিক) থেকে পালিয়ে আসি এবং স্কুলে ভর্তি হই। এরপর যতোগুলো নতুন বছরের সকাল গেছে আমি শুধু সেদিনের কথায় ভেবেছি। বাবা মা এবং সৃষ্টিকর্তাকে ওয়াদা করেছিলাম, শুধু মাদ্রাসা পড়েই আলেম হওয়া যায় না, মাদ্রাসায় না পড়েও হওয়া যায়। তারপর বহুদিন নিয়মিত কোরআন হাদিস পড়েছি। বাবা মা একটু হলেও শান্তনা খুঁজে পেয়েছেন যে আমি ইসলামের পথে আছি। কিন্তু এসব কেবলি স্মৃতি। সর্বশেষ কবে কোরআন পড়েছি মনে নেই, কবে মসজিদে বসে হাদিস শুনেছি তাও মনে নেই! নতুন বছরে শুধু এটাই আফসোস হয় সেদিন যদি না পালাতাম তাহলে হয়তো এমন হতো না। দুনিয়া এবং আখেরাত দুটোর সফলতায় হয়তো নিশ্চিত করতে পারতাম।
কিন্তু কেন সেদিন মাদ্রাসা পালিয়েছিলা সেটাই এখন প্রশ্ন। ছোটবেলা থেকেই পাঠ্যপুস্তকের বায়রে অনেক বই পড়ার সুযোগ পেয়েছি। বাবা খুব কৌশলে আমার বিনোদন, সাধারন জ্ঞান, অবসর, ভ্রমন সবকিছু বই কেন্দ্রিক করে দিয়েছিলেন। মানে যা কিছু করবো সেটা বই পড়ে। আমারও বিষয়টা ভালো লাগতো। নতুনকে জানার একটা আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছিলো মনে। কিন্তু মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার পরে আরবি ভাষার কোরআন শরিফ টানা ৪ মাস পড়ার পড়ে যখন কোন পাঠোধ্যার করতে পারিনি তখনই আমার মাদ্রাসা পড়ার প্রতি আগ্রহ নষ্ট হয়ে যায়। এখনো হাফেজিয়া মাদ্রাসাগুলো সেই সেকেলে অবস্থায় পড়ে আছে। পাঠ সিস্টেমের কোন পরিবর্তন হয়নি। যেন অন্ধভাবে কোরআন মুখস্ত করার জন্যই হাফেজদের সৃষ্টি করা হয়েছে। অথচ কোরআনের মূল উদ্দেশ্য যে সেটা বুঝে আমল করা এবং অন্যকে বুঝানো তা কেউ বুঝে না। যদি পরবর্তি সময়ের মতো সেই সময়ে বুঝতে পারতাম কোরআন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জ্ঞান ভান্ডার তাহলে হয়তো সেদিন কোরআনকেই আঁকড়ে ধরে রাখতে পারতাম। কিন্তু সেকেলে শিক্ষা ব্যবস্থা এবং হাফেজদের গোড়ামির কারনে কিছুই হলো না। তাই আফসোস শুধু আমার জন্যই না, আফসোস তাদের জন্যও যারা এই অসম্পূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা করেন।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬
সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: যখন ভাবি তখনই খারাপ লাগে
২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২২
মোঃ আমানউল্লাহ বলেছেন: আফসোস শুধু আপনার জন্য নয়। এখন ও অনেক হাফেজিয়া মাদ্রাসার অহরহ ছাত্রকে মাদ্রাসা পালাতে দেখা যায় ।
ইচ্ছা আছে নিজের ছোট ভাইকে আমাদের শেষকৃতিতে জানাজা পড়ানোর জন্য তৈরি করবো ।
কিন্তু বেপারটা নিয়ে আমি খুব শংকিত ।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩১
সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: তবে আমি সাজেস্ট করবো হাফেজিয়া মাদ্রাসায় না পড়িয়ে যে সমস্ত মাদ্রাসায় কোরআনিক তরজমা, হাদিস শাস্ত্র ইত্যাদি পড়ানো হয় সেখানে ভর্তি করতে। হাফেজ দিয়ে কোন কাজ নাই, অধিকাংশ হাফেজ পরবর্তি সময়ে ভেগাবন্ড হয়ে যায়
৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩
আবু শাকিল বলেছেন: সহমত
এখনো হাফেজিয়া মাদ্রাসাগুলো সেই সেকেলে অবস্থায় পড়ে আছে। পাঠ সিস্টেমের কোন পরিবর্তন হয়নি। যেন অন্ধভাবে কোরআন মুখস্ত করার জন্যই হাফেজদের সৃষ্টি করা হয়েছে। অথচ কোরআনের মূল উদ্দেশ্য যে সেটা বুঝে আমল করা এবং অন্যকে বুঝানো তা কেউ বুঝে না। যদি পরবর্তি সময়ের মতো সেই সময়ে বুঝতে পারতাম কোরআন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জ্ঞান ভান্ডার তাহলে হয়তো সেদিন কোরআনকেই আঁকড়ে ধরে রাখতে পারতাম। কিন্তু সেকেলে শিক্ষা ব্যবস্থা এবং হাফেজদের গোড়ামির কারনে কিছুই হলো না। তাই আফসোস শুধু আমার জন্যই না, আফসোস তাদের জন্যও যারা এই অসম্পূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা করেন।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৩
সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: সহমতের জন্য ধন্যবাদ আবু শাকিল ভাই
৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩০
সুলতানা রহমান বলেছেন: আমার কাছেও মাদ্রাসা শিক্ষাকে যথার্থ মনে হয়না। যদি ইসলামের দৃষ্টিতেও বলা হয় দ্বীন ও দুনিয়া দুটোর কথাই বলা হয়েছে। কিন্তু সেখানে শুধু দ্বীন তাও পরিপূর্ণ ভাবে চর্চা হয়না।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৫
সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগ উপযোগি করা এখন সময়ের দাবি। তাছাড়া শুধুমাত্র হাফেজদের প্রত্যেক রমজান মাসে তারাবী পড়ানো ছাড়া আর কোন কাজও থাকে না। কাজের উপযোগিও না তারা।
৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৩
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: একবিংশ শতাব্দীতে এসেও সেই পুরাতন নিয়ম পদ্ধতি আকড়ে ধরে চলছে!
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৫
সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগ উপযোগি করা এখন সময়ের দাবি। এটা আপডেট না হলে কেউ আর মাদ্রাসা শিক্ষার প্রতি আগ্রহ দেখাবে না।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২১
আরিফ সোহান বলেছেন: আসলেই আফসোস