![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকে এখনও ঠিক মতো জানতে পারিনি।
বাঙ্গালী মুসলিমদের জোব্বার প্রতি বিশেষ ধরনের একটা দুর্বলতা আছে। কোন মূর্খ যদি সুন্দর জোব্বা এবং টুপি পড়ে গ্রামের কোন মসজিদে গিয়ে হাজির হয় তাহলে ইমাম সাহেব নির্দ্বিধায় তার জায়গা ছেড়ে দিয়ে সেই জোব্বাধারীকে ইমাম হিসাবে দাঁড় করিয়ে দিবে। অথচ অন্য কোন ছেলে যদি ইসলামিক যথার্থ জ্ঞান নিয়ে সাধারণ শার্ট কিংবা টিশার্ট পরে নামাজ পড়তে যায় তাহলে তাকে পোশাকের জন্য নানা রকম তিরস্কারের শিকার হতে হয়। এর মানে এই দাঁড়াচ্ছে যে কারও মুসলিম এবং মুত্তাকী হওয়ার মানদণ্ড অনেকটা জোব্বার উপরেও নির্ভর করে।
কিন্তু সত্যিকার অর্থে যারা জোব্বাধারী তাঁদের অনেকের আচরণ দেখলে এই সব জোব্বাপ্রেমিদের মাথায় বজ্রপাত হওয়ার মতো অনুভূতি হবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের যেসব শেখরা অঢেল অর্থ সম্পত্তির মালিক তাঁরা সুন্দর জোব্বা পাগড়ি পরে সাথে অর্ধ-নগ্ন কিংবা আংশিক পোশাকে আবৃত মেয়ে পাশে নিয়ে চলাচল করে। জোব্বা পরে পার্টিতে গিয়ে নাচে, কিংবা জোব্বা পরে বাদ্যযন্ত্র বাজায়। যার কোনটাই ইসলাম কর্তৃক স্বীকৃত না।
আসলে পোশাকে কারও ধর্মীয় আনুগত্য প্রকাশ পায় না। আমরা যদিও পাঞ্জাবী কে ইসলামিক পোশাক হিসাবে মনে করি কিন্তু এটাতে অনেক বড় ধরনের একটা ভুল আছে আছে। আমার জানা মতে ইসলাম ধর্মে নির্দিষ্ট কোন পোশাক কে ইসলামিক পোশাক হিসাবে চিহ্নিত করা হয়নি। ইসলামিক পোশাক হলো ঢিলেঢালা পোশাক, যাতে কারও নামাজ পড়তে কোন প্রকার ঝামেলা না হয়। আপনি যদি কোন টাইট পাঞ্জাবী পড়ে নামাজে দাঁড়ান এবং এতে করে আপনার রুকু সিজদা করতে সমস্যা হয় তাহলে সেক্ষেত্রে পাঞ্জাবীও ইসলামিক পোশাক হিসাবে বিবেচিত হবে না।
মহানবী (সাঃ) মক্কায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সেটা ছিলো মরুভূমির দেশ যেখানে দিনে অসহ্য গরম এবং রাতে প্রচণ্ড শীত থাকতো। তাই দিনে মরুভূমির বালি যাতে শরীর ও চোখে মুখে লাগতে না পারে এবং রাতে শীতের কারণে যেন কষ্ট করতে না হয় তার জন্যই জোব্বা এবং পাগড়ির প্রচলন ছিলো। রাসুল (সাঃ) যদি মক্কায় জন্মগ্রহণ না করে বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতেন তাহলে তিনি বাংলাদেশের সাথে মানানসই পোশাকই পরতেন। অবশ্যই তখন গলা থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত আবৃত জোব্বা পড়তেন না।
আমাদের অনেক গোঁড়া মুসলিমদের কিছু কর্মকাণ্ড আমার কাছে অস্বাভাবিক লাগে। ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে যথার্থ জ্ঞানের অভাবে তাঁরা অনেক ধরণের মুর্খামি করে। যেমন রাসুলের যুগে যে জিনিস ছিলো না তাঁরা তা ব্যবহার করবে না। যেমন মসজিদে মাইক ব্যবহারেও অনেক হুজুরের আপত্তি দেখেছি আমি। ইসলাম সব সময় একটি আধুনিক ধর্ম। রাসুল (সাঃ) যে যুগে ইসলাম নিয়ে আসেন তখন ইসলাম ছিলো একেবারে স্ট্যান্ডার্ড। আধুনিক রণকৌশল, পররাষ্ট্রনীতি, সংবিধান, রাষ্ট্রপরিচালনার সিস্টেম সব ইসলাম থেকেই এসেছে। আপনারা জানেন কিনা জানিনা, পৃথিবীর সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান হলো মদিনার সনদ।
রাসুল (সাঃ) যদি সেই যুগে জন্মগ্রহণ না করে বর্তমান যুগে জন্মগ্রহণ করতেন তাহলে তাঁর কাছে থাকতো সব আধুনিক প্রযুক্তি। আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম, তাঁর সাহাবীরা থাকতেন বড় বড় রাষ্ট্রীয় নেতাগণ। তিনি থাকতেন বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে আলোচিত এবং ক্ষমতাধর মানুষ। ইসলাম এমন একটা ধর্ম যেখানে সব সময় আধুনিকতা থাকে। গোঁড়ামি ইসলামের সাথে মানানসই কোন বিষয় না। ইসলাম সহজ এবং সুন্দর ধর্ম এবং সর্বকালের মানুষের জীবনযাত্রার সাথে মানানসই। ইসলামের সঠিক জ্ঞান আপনাকে ১৪০০ বছর আগের যুগে ফিরিয়ে দিবে না। বরং বর্তমান যুগে সঠিক এবং সুন্দর জীবন যাপনের ধারণা দিবে। আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে ইসলামের সঠিক জ্ঞান দান করুন।
২৮ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১:৪১
সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: আমার ব্যাখ্যার সাথে আমি কোনভাবেই একমত হতে পারলাম না। কোরআনে এমন অনেক কিছু আছে যা একজন মানুষের পক্ষে লেখা সম্ভব নয়। তাছাড়া হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ছিলেন একজন নিরক্ষর। তারপক্ষে এমন আশ্চর্য গ্রন্থ রচনা করা কোন ভাবেই সম্ভব না। এটা একটা নির্ভুল গ্রন্থ যা সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকেই নাযিল হয়েছে।
মানুষ এটার ভুল ব্যাখ্যা করছে এটা মানুষের সমস্যা। সঠিক ব্যাখ্যা যদি না থাকতো তাহলে একটা সমস্যা ছিলেন। রাসুল নিজেই কোরআনের অনেক ব্যাখ্যা দিয়েছেন যা আমরা হাদিস হিসাবে পাচ্ছি। তিনি যদি নিজেই রচনা করতেন তাহলে কোরআন হাদিস মিলে এক হয়ে যেতো।
২| ২৮ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১:৪৮
রোষানল বলেছেন: সহমত।
২৮ শে মে, ২০১৬ দুপুর ২:৩৭
সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: ধইন্যা
৩| ২৮ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৩:২২
রোয়ানু বলেছেন: লেবাস তো পরিচয় তুলে ধরবেই। কেউ ক্যাডেটের ছাত্র। সে যদি আদমজীর কলেজের পোশাক পরে ক্লাস করতে যায় তবে কি সেটা গ্রহনীয় হবে?
সুন্নাতের অনুসরণ করতে হলে ঐ সব অবান্তর চিন্তা (যেমন উনি অন্যত্র জন্মালে পোশাক অন্যরকম পরতেন, অন্যত্র জন্মালে অন্যরকম খাদ্যখানা খেতেন) থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নচেৎ সুন্নাতের অনুসারী হওয়া যাবে না। আল্লাহ তাঁর ইচ্ছানুযায়ীই তাঁকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন, এবং তিনি চেয়েছেন বলেই তাঁকে অনুসরণীয় করে তুলেছেন। সুতরাং এই করলে এই হতো সেই করলে তা হতো এসব হলো বাইক্কা যুক্তি, যা দ্বারা মানুষ সঠিক ইসলাম থেকে দূরে সরতে থাকে। যেমন ইহুদি খ্রিষ্টনরা আহলে কিতাবধঅরী হয়েও তাদের ধর্মকে যুগোপযোগী করতে করতে এখন নিজেদের পিতৃপরিচয়ই ঠিক মতো দিতে পারে না ....
২৯ শে মে, ২০১৬ রাত ১:৩৫
সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: রাসুলের সুন্নাতটাকে পোশাকে না রেখে আমলে আনা উচিত। আজকাল পোশাক যদি ধর্মীয় হতো তাহলে পাঞ্জাবী পরা হিন্দু কিংবা দাড়িওয়ালা শিখদেরকেও মৌলানা মনে হতো। আমি বলিনি জোব্বা পড়া যাবে না। কিন্তু জোব্বার কারণে কারও ঈমান আমলকে কখনোই প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না। তাছাড়া জোব্বার কারণে কারও মর্যাদারও কমবেশি হলে সেটা দুঃখজনক।
৪| ২৮ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:০৪
বিবেক ও সত্য বলেছেন: আপনি আমার সাথে দ্বিমত পোষণ করায় স্বাভাবিক। কারন কুরআনের প্রতি আপনার জন্মগত একটি প্রেম আছে। তাছাড়া কুরআনের শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে আপনি যা বিশ্বাস তা কতটুকু সঠিক তা আপনি কষ্মিনকালেও যাচাই করে দেখেননি।
যেমন আপনি বলেছেন-’কোরআনে এমন অনেক কিছু আছে যা একজন মানুষের পক্ষে লেখা সম্ভব নয়’, দয়া করে কি বলবেন সে জিনিসগুলো কি কি? আপনি বলেছেন-’এটা একটা নির্ভুল গ্রন্থ ’ প্রশ্ন হল নিভূল বলতে কোন ধরনের নির্ভূলতা ?- তা পরিস্কার করেননি। সেটা কি ব্যকারণগত নির্ভূলতা, নাকি কোন ধরনের? কবি রবিন্দ্রনাথের লেখাও তো নির্ভূল-নয় কি?
৫| ২৮ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:২৩
বিবেক ও সত্য বলেছেন: আর ব্যখ্যা সম্পর্কে বলেছেন মানুষে ভূল ব্যখ্যা করলে মানুষের দোষ-আপনার এ কথা গ্রহণযোগ্য হয় যদি কোন ব্যক্তি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভূল ব্যখ্যা করে থাকে। কিন্তু যদি তার জ্ঞানের স্পল্পতাহেতু হয় তার জন্য তো সে নিজে দায়ী নয়।
আর আমি ভূল ব্যখ্যা সম্পর্কে মুলত আপত্তি করিনি। আমি বলেছি কুরআনের একই আয়াতের অনেক ধরনের ব্যখ্যার সুযোগ আছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত লিখবো, আপনাকে তা পড়ে দেখার জন্য আবেদন জানাচ্ছি যদি সত্যিই আপনার সত্যের প্রতি অনুরাগ থাকে।
৬| ২৮ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৫৯
ভবঘুরে মানুষ বলেছেন: আপনার মনগড়া কথার সাথে একমত হতে পারলামন্না । আবাল তত্য আবিষ্কারক তো বাহ ........................
২৯ শে মে, ২০১৬ রাত ১:২৮
সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: আপনি যদি নিজে কোন সঠিক তথ্য দিতেন তাহলে জাতি উপকৃত হতে পারতো! আবাল বললেন আর চলে গেলেন তা তো ঠিক নয়। কথার পিঠে প্রমাণ উপস্থাপন করুন।
৭| ২৮ শে মে, ২০১৬ রাত ১১:২১
মোস্তফা ভাই বলেছেন: ১০০% একমত। অনেকদিন পরে একটা ভালো লেখা পড়লাম।
২৯ শে মে, ২০১৬ রাত ১:২৯
সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: ধন্যবাদ মোস্তফা ভাই, অনুপ্রাণিত হলাম।
৮| ২৮ শে মে, ২০১৬ রাত ১১:২৪
মোস্তফা ভাই বলেছেন: বাংগালী মুসলমান আরবী ভাষায় লিখা চটিবইকেও না বুঝে পবিত্র মনে করে।
২৯ শে মে, ২০১৬ রাত ১:৩০
সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: এ কারণেই তো এখন রাস্তায় আরবিতে লেখা থাকে এখানে প্রস্রাব করিবেন না।
৯| ২৯ শে মে, ২০১৬ রাত ২:৪৮
ওসেল মাহমুদ বলেছেন: যুক্তি আছে ! কিন্তু বেশ কিছু পন্ডিত পানি ঘোলা করছে !
৩০ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:০৪
সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: এদের কাজই এমন। ইসলামের অধঃপতনের পেছনে এই পণ্ডিতদের অবদানই বেশি।
১০| ২৯ শে মে, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪
শূণ্য পুরাণ বলেছেন: বিবেক ও সত্য বলেছেন: কুরআনের একটি আয়াতের হুকুমকে বহু ব্যখ্যা করা যায়। যিনি যে মত বা চিন্তাধারায় বিশ্বাসী তিনি উক্ত আয়াতকে সেভাবে ব্যখ্যা করে থাকেন আর অন্যদের ভ্রান্ত বলে থাকেন।
can not agree with this. to analyse the quran the best way is knowing sane nujul (background), sohi (accurate) hadith and pure arabic language with grammar. u can read tafseers (analysis) of quran, every specialist agree with the basic pillar of the islam, but ijma and kias is approved by the sariah.
১১| ২৯ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১:০২
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল লিখেছেন।আসলে আমরা না জেনে তর্ক করতে বেশী পছন্দ করি।
৩০ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:০৫
সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: সহমতের জন্য ধন্যবাদ ভাই
১২| ২৯ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১:৩১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ইসলাম সহজ এবং সুন্দর ধর্ম এবং সর্বকালের মানুষের জীবনযাত্রার সাথে মানানসই। ইসলামের সঠিক জ্ঞান আপনাকে ১৪০০ বছর আগের যুগে ফিরিয়ে দিবে না। বরং বর্তমান যুগে সঠিক এবং সুন্দর জীবন যাপনের ধারণা দিবে। আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে ইসলামের সঠিক জ্ঞান দান করুন।
সহমত।
+++++++++++++++
৩০ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬
সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: সহমতের জন্য ধইন্যা
১৩| ২৯ শে মে, ২০১৬ দুপুর ২:১৬
সবুজ আমস্ট্রং বলেছেন:
-
ভাল লিকসেন।
৩০ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:০২
সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: ধন্যবাদ
১৪| ২৯ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬
মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: সত্যই বলেছেন। বাহ্যিক পোশাককে আমরা পরহেজগারীর প্রধান মাধ্যম মনে করি। আসলে ইবাদাত হচ্ছে মানসিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। তবে, ইসলামিক ট্র্যাডিশনাল পোশাক হিসেবে জোব্বা বা পাঞ্জাবী যুগ-যুগান্তরে টিকে গেছে। আর, সাধারণ মানুষেরা পাঞ্জাবী বা জোব্বা পরিহিত লোকেদের সুফি সুফিই মনে করেন।কারণ ও আছে বড় বড় সুফি বা পীর-বুযুর্গ ব্যক্তিবর্গ এই রকম লম্বা ঢোলা আলখাল্লা টাইপের পোশাকই পরতেন। তাছাড়া, এটা যারা পরিধান করে আমরা তাদেরকে ভালো লোকই বলেই জেনে আসছি। এর ভিতর জোব্বা পরে যারা অনৈতিক কাজ করে এটা তার একান্ত ব্যক্তিগত। পোশাকের এতে কোন দোষ নাই। এ পোশাক পড়ে কেউ অন্যায় কাজ করলে এটা তার উপরই বর্তাবে। পোশাকের উপর নয়। তবে, এ পোশাকের অমর্যাদা করাটা এখন একটা ফ্যাশন হয়ে গেছে।
অবশ্য, আমরা বাঙ্গালীরা সব কিছুতেই বাড়াবাড়িটা একটু বাড়াবাড়ি রকমেই করে থাকি।
ইসলাম আধুনিক এটা ধ্রুব সত্য। তাই, শালীন যে কোন পোশাক পরিধান করে ইবাদাত করাটাই মুখ্য। কোন বিশেষ পোশাক এখানে প্রণিধানযোগ্য নয়। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোস্টের জন্য।
৩০ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩
সানিম মাহবীর ফাহাদ বলেছেন: সহমতের জন্য ধন্যবাদ
১৫| ৩০ শে মে, ২০১৬ রাত ১১:১০
মহা সমন্বয় বলেছেন: কি আর বলব কিছু বলার নেই।
শুধু এতটুকু বলব ধর্মীয় উন্মাদনায় পূর্ণ আমাদের এই দেশ। সম্ভবত আমরা গারীব এজন্য। প্রতিটি গরীব দেশের ঘাড়েই ধর্ম নামক এই সিন্দাবাদের ভূত চেপে থাকে। অন্তত আগামী দুই তিন শত বছরেও এই ভূত আমাদের ঘাড় থেকে নামে কি না কে জানে? অন্যন্য দেশ যেখানে হাঁটে সামনের দিকে আর আমরা হাঁটছি উল্টো পথে। আমরা ব্যস্ত আছি সহীহ বুখারী, সহীহ হাদিস, আর ফাজায়ালে আমল নিয়ে। প্রকৃত অর্থে এগুলোর মধ্যে মানব জাতির জন্য কোনই ফায়দা নেই। জানি আপনি আমার সাথে দ্বীমত পোষণ করবেন তবুও বললাম।
১৬| ৩০ শে মে, ২০১৬ রাত ১১:৩৬
বিবেক ও সত্য বলেছেন: শূণ্য পুরাণ এর দ্বিমতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি যে আপনি যে মতামত দিলেন তা শুনে শিক্ষা, বাস্তবজীবনে তা বিশ্লেষণ করে দেখা নয়। আমার মনে হয় না আপনি আমার চেয়ে বেশি কুরআনের প্রতি নিবেদিত যতটা আমি ছিলাম। আর আমার কুরআন সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য অনেক অধ্যায়নের পর, বিনা পড়াশোনায় নয়।
এবার আপনার কথার সংক্ষিপ্ত উত্তর দেই। আপনি বলেছেন শানে নুযুল থেকে সিদ্ধান্ত নিতে। আমি আপনাকে কুরআনে শত শত আয়াত দেখাতে পারবো যার কোন সুনির্দিষ্ট শানে নুযুল কেউ বলতে পারে না। আবার একই আয়াতে একাধিক শানে নুযুল আছে। কোনটি সঠিক তা নিয়ে যথেষ্ট মতভেদ আছে। আর সহীহ হাদিসের কথা বলেছেন। এই সহীহ হাদিস নিয়েও বহু মতবিরোধ আছে। আপনার ব্যখ্যায় যেটা সহীহ আরেকজনের ব্যখ্যায় সেটা সহীহ নয়।
আর কিয়াস। বিভিন্ন জনের বিভিন্ন কিয়াস। আর এসব কারনেই একই কুরআনের অনুসারী, অথচ হাজারও দলে বিভক্ত। প্রবাদ আছে যে ‘দু’জন হুজুর কখনও এক বিছানায় বিনা ঝগড়ায় থাকতে পারে না।’
সংক্ষেপে এ দু’টি কথা বললাম। সকল কথার পর্যাপ্ত প্রমান দিয়ে লিখতে গেলে প্রায় একটি বই হয়ে যাবে। ভাল থাকবেন সবাই।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১:২০
বিবেক ও সত্য বলেছেন: কুরআনের একটি আয়াতের হুকুমকে বহু ব্যখ্যা করা যায়। যিনি যে মত বা চিন্তাধারায় বিশ্বাসী তিনি উক্ত আয়াতকে সেভাবে ব্যখ্যা করে থাকেন আর অন্যদের ভ্রান্ত বলে থাকেন। স্রষ্টা কোন বিধান দিলে এত অস্পষ্টতা থাকত না। অথচ কুরআন নিজেকে দাবি করে অতি সুস্পষ্ট বিধান যার প্রতিটি কথা পরিস্কারভাবে ব্যখ্যা করে দেয়া আছে। এমন স্ব-বিরোধী কথা শুধু মাত্র মানবরচিত কিতাবেই থাকত পারে, এ বিশ্ব জগতের মহান স্রষ্টা এমন কিতাব দিতে পারেন না, যা বহু ব্যখ্যার সুযোগ রেখে বহু ফেরকার জন্মের সুযোগ দিবেন। এটাই প্রমান করে যে কুরআন মানব রচিত বই।