নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার আমি

সানজিদা প্রীতি

কোনো এক শীতের জ্যোৎস্নাস্নাত রাতে শিশির ভেজা ঘাসের উপর খালি পায়ে তোমার হাতটি ধরে হাঁটবো। শিশিরের ফোঁটা গুলো আমার পায়ে শিশির নুপুর পড়িয়ে দিবে।আর তুমি ঘাস ফুল নিয়ে আমার খোঁপায় পড়িয়ে দিবে।তখনি জোনাকি পোকার দল এসে হাজির হবে রংবে রং এর প্রজাপতিদের নিয়ে।তারা আমাদের ঘিরে একটা বলয় সৃষ্টি করবে।সে বলয়ের মধ্যে জ্যোৎস্নার আলোতে ভিজব আমরা দুজন।আমার চোখের মায়ায় তুমি নিজেকে হারাবে অন্য একরাজ্যে।তখনই চন্দ্রসুধা এসে আমাদের আমন্ত্রণ করবে তার রাজ্যে যাওয়ার জন্য সাথে থাকবে চন্দ্রাবতীর প্রহরীরা।তার আমাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য ফুলের ভেলা নিয়ে হাজির হবে।সে ফুলের ভেলায় বসে আমরা পৌঁছে যাবো চন্দ্রাবতীর দেশে।সেথায় আমায় পড়ানো হবে জ্যোৎস্নার তৈরি শাড়ি, মাথায় পড়ানো হবে হবে প্রজাপতির ক্রাওন আর পায়েতো আছে আমার শিশিরের তৈরি নুপুর।তুমি বরাবরের মতই আমার প্রেমে পড়বে।তুমি শুধু আমায় অপলক দেখবে আর ভাববে ইসস আমার নামটা যদি চন্দ্রাবতী হত তাহলে মন্দ হত না।

সানজিদা প্রীতি › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন আলো

২৩ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১৩

পর্ব:১

চোখ মেলেই দেখলাম ফ্যান চলছে আস্তে আস্তে চারপাশে তাকাচ্ছি এখনো বুঝতে পারছি না আমি কোথায়, মাথায় খুব ব্যাথা হচ্ছে হাতটাও নাড়তে পারছি না, উপরে তাকাতেই দেখলাম স্যালাইনের প্যাকেট এত্তক্ষনে বুঝলাম আমি হাসপাতালে।।পাশে তাকাতেই দেখলাম আম্মা,নানু,আব্বু,আমার শাশুড়ি বসে আছে।।চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পরছে আমার।।আস্তে করে আম্মু কে ডাক দিলাম,
-আম্মা
-অরণি!এই যাও ডাক্তারকে ডেকে নিয়ে আসো।কি হইছেরে মা? (কাঁদো কাঁদো কন্ঠে)
-পানি খাবো একটু পানি দাও(আমি)
পানি খেয়ে জিজ্ঞাসা করলাম আজকে কত তারিখ?
-আজকে ২০তারিখ।কেন?তোর শরীর কেমন লাগচ্ছে এখন?বসতে কষ্ট হচ্ছে?শুইয়ে দিব?কেমনে পরছোস তুই??(মা)
আমি কিছু বলার আগে আমার শাশুড়ি বলে উঠলো,
-আরেহ বললাম না গোসল করতে গিয়ে পরছে।যদি রাফি বাসায় না থাকতো তাহলে কেমনে যে আমি কি করতাম আল্লাহ জানে..কত বার বলছি সাবধানে চল আপনার মেয়ে কি আমারে পাত্তা দেয় নাকি..আল্লাহর কাছে শুকড়িয়া রাফি সময় মত ওরে হাসপাতালে নিয়ে আসচ্ছে।।(শাশুড়ি)
-(মনে মনে বললাম বাহ কত্ত ভালোই না নাটকটা করছেন,আমি সত্যি গোসল করতে গিয়ে পরছিলাম নাকি আপনার ছেলে আমার এই অবস্থা করলো?? রাগে আমার চোখ থেকে শুধু পানি পরছে।আজকে যদি ২০তারিখ হয় তাহলে ২টা দিন পরে আমার জ্ঞান ফিরলো।)
জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আকাশ দেখচ্ছি আর ভাবচ্ছি,
আমার বিয়ের ১মাস চলে আজ।গত মাসের এই ২০তারিখেই আমার বিয়ে হয়।বিয়ে সবার জন্য আর্শীবাদ কিন্তু আমার জন্য আভিশাপ ছাড়া আর কিছুই না।আমার জীবনের সব থেকে বড় আভিশাপটা হল এই বিয়ে।হয়তো এইটা ইফতির এ আভিশাপ।ইফতির সাথে আমার ৩বছরের রিলেশন ছিল দুজনের চোখে হাজারো স্বপ্ন ছিলো ঘর বাঁধা থেকে শুরু করে সব কিছু নিয়ে।।আমার ফ্যামিলি সব স্বপ্ন এক নিমিষে শেষ করে দিল।আমার বাবা মা এর প্রেম করে বিয়েটা পছন্দের না তারা আমায় ইফতির সাথে বিয়েও দিবে না।আমার সাহসও ছিলো না বাবা মা এর মুখের উপর কিছু বলার তার উপর আমি ছিলাম ফ্যামিলির বড় মেয়ে বাবা মা এর ডিসিশন মুখ বুঝে মেনে নিলাম।।ইফতিকে ছেড়ে বাবা মা এর পছন্দ করা ছেলে রাফিকে বিয়ে করলাম।চুপচাপ চোখের জলের আড়ালে নিয়তিটাকে মেনে নিলাম।
বিয়ের দিন রাতে বাসর ঘরে বসে ভাবচ্ছি মানুষটাকে আমি চিনি না,জানি না কিভাবে মানুষটাকে মেনে নিব তাও জানি না।ইফতির জায়গাটা আমি কাউকে দিতে পারবো না।ভাবতে ভাবতে রাফি রুমে ডুকলো কি বলবো বুঝতে পারচ্ছি না কিছু বলার আগেই রাফি আমার উপর হায়নার মত আমার উপর জাফিয়ে পরলো...না ও মানুষ না একটা জানোয়ার মনে হচ্ছে এখন আমার কাছে।তার পুরুষত্ব খাটাচ্ছে আমার উপর মনে হচ্ছে আমি আমার রুমে ধর্ষিত হচ্ছি..আমার শরীরটা ও যেন ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে...আমার বুকটা কষ্টে ফেঁটে যাচ্ছে আমিতো কখনো চাইনি আমার জীবন সঙ্গী এমন হক, তার কাছে আমার মনের দামটা আমার শরীরের থেকেও বেশি হবে কিন্তু আফসোস আমার ভাগ্যে তা লিখা ছিল না।বিয়ের পরের দিন থেকেই তার রূপটা আমার কাছে প্রকাশ পেতে থাকলো..বিয়ের ৩দিন পর ও আমার গায়ে হাত তুলা শুরু করলো। দিনে তার চলতো আমার উপর শারীরিক,মানুষিক নির্যাতন আর রাতে তার পাশবিক নির্যাতন। কথায় কথায় আমার গায়ে সে হাত তুলে আমার শাশুড়ি সব সময় তাকে উসকে দিত। গত ১মাসে আমি সত্যি মরে গেছি ওরা আমায় মনের দিক থেকে একবারে মেরে ফেলছে। বিয়ের ১৭দিনের মাথায় সহ্য করতে না পেরে চুরি করে বাবার বাড়ি চলে এলাম।তাদের সব খুলে বলার পর আম্মা আব্বা দুজনেই কেঁদে দিল রাফিকে ডাকা হল সব মিটমাট করে আমাকে বুঝিয়ে আবার শুশুড় বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হল।তারা আমার সাথে ৩দিন ভালো ব্যবহার করলো। ৩দিন পর সব আবার আগের মত..১৮তারিখ সকাল বেলা রাফির জন্য ডিম ভাজতে দেরি হল কেন ও আমার হাতটা ধরে অনকে মারলো মনে হচ্ছিল তখন আমার হাত বুঝি ভেঙ্গে গেল। আমার শাশুড়ি, ননদ দাঁড়িয়ে দেখছে আমার বাঁচানোর জন্য একবারও এগিয়ে আসলো না তাদের কাছে আমি চিৎকার করে সাহায্য চাচ্ছিলাম কিন্তু তারা আমায় তা না করে বোকে যাচ্ছিল শেষে রাফি আমায় একটা ধাক্কা দিল ফ্লোরে সম্ভবত পানি পরে ছিল আমি স্লিপ কেটে কিসের উপর পরলাম আমার আর কিছুই মনে নাই।মানুষ বিয়ের ১মাস পর যায় হানিমুন করতে আর আমি হসপিটালে...আহা ভাগ্য আজ আমায় কোথায় নিয়ে আসলো...
চলবে....

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সনেট কবি বলেছেন: দুঃখ জনক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.