নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কিছুনা তোমার জন্য কিন্তু আমিই সবকিছু কারো জন্য। সুতরাং সম্মান কর, আর যদি তাও না পার অসম্মান করনা। সম্মান পেতে চায়লে অবশ্যই সম্মান দিতে জানতে হয়।মুকুটহীন রাজকন্যা

হাশেমের মেয়ে

নিজেকে সাধারাণ বলব না। বিধাতা যা বানিয়েছেন তাই। পড়তে লিখতে জানি কিছুটা তবে সেটা দিয়ে জ্ঞানী বলা যায় না কিন্তু শিক্ষিত নামে পরিচিত। আমি আমার মস্তিষ্ককে মানি, আর সে মানে তার ধারণ করা প্রথা সংস্কৃত এবং আপন মতামত। তার বিবেচনায় আমি চলি। উদাসী বলা চলে তবে দেবদাশের মত নয়।

হাশেমের মেয়ে › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিরাপদ সড়ক চাই...

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৪৪

সময়টা খুব বেশি আগের না। ২০১৭ এর নভেম্বর মাসের ঘটনা। আমার ছোট ভাই স্কুল থেকে আসার সময় গাড়ি এক্সিডেন্ট করে। কতটা ভয়াবহ দিন ছিল সেদিন আমাদের। মাগরিবের আযানের সময় বান্ধবীর সাথে পড়ছিলাম। পরের দিন ব্যাংকিং পরীক্ষা। বড় মামা ফোন করে যখন জিজ্ঞেস করে কই এখন। স্বভাবত পালটা প্রশ্নকারী আমি কেন উত্তরে জানতে পারি ভাই এক্সিডেন্ট করছে। মুহূর্তের মধ্যে যে কি কি চিত্র ভেসে উঠছে চোখের সামনে সাথে অজানা আশংকা।
হাসপাতালে যেতে যেতে আনুমানিক ৯টা। খুব ভয়ানাক। এক পা থেঁতলে যাওয়া। ডিম আকারের চোখের কোণে জমাট রক্ত। রক্তাক্ত ছাই রঙের জামাট কাটা। কোন উপায় নেয় সময়ের উপেক্ষায় চারেদিক থেকে কেটেকুটে জড়িয়ে হাসপাতালে নেয়া হয়।

হয়ত আল্লাহ্‌র অশেষ রহমত ছিল দেখে জানে বেঁচে আছে। এটা দ্বিতীয় দেখা এক্সিডেন্ট খুব কাছ থেকে সেই সাথে প্রথম অনুভূতি যার ভাষা জানা নেয়।

এর আগে ৩য় সেমিস্টার থাকা কালে ফিরতি পথে মাথা থেঁতলানো এক পাগলের লাশ রাস্তায় ছিটিয়ে থাকতে দেখেছি। কেমন ছিল জানি না সময়ের চিত্র। কেবল এইটুকু জানি। আজও কোন এক্সিডেন্ট এর খবর শুনলে বা দেখলে স্পষ্ট চোখের সামনে ভেসে উঠে সেই মাথা থেঁতলানো দৃশ্যটা। পাশে পরে থাকা উশকুখুশকু দাড়ি- চুলের মানুষটা। কেমন জানি খুব আপন আপন মনে হয়েছিল। মানুষটা রক্তের সম্পর্কহীন হলেও ঘটনা গুলো কেমন জানি আপনদের কস্ট অনুভব করায়।

বেচারার কত সময় বাসায় অতীত হল। সাথে মনে নতুন ভয়ের জন্ম "রাস্তায় বের তো হতেই হবে। যদি ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়!" ।

আসলেয় অনিশ্চিত জীবন, বলাতো যায়না। তাছাড়া সেয় একি রাস্তা কোন উপায় নেয় পথ পরিবর্তনের। বলা বাহুল্য আমাদের চলাচলের রাস্তা দিয়ে তেমন একটা রিক্সা যায়না। একেতো ভাঙা তারউপর কর্নফুলী ব্রীজের এপারওপার যাতায়াত রাস্তা।

তার এক্সিডেন্টকে, তার ভুলে-দোষে হয়েছে বলে বকা দিয়েছি বারবার। তার ভাষ্যমতে সে দু'দিক দেখেয় পার হয়েছে। সাক্ষীরা অবশ্য তায় বলেছিল দোষটা তার ছিলনা। গাড়ির চালকের। গাড়ি গায়ের উপর থেকে না সরিয়ে পালিয়েছিল। মানুষ কতটা পিশাচ হতে পারে আল্লাহ্‌ মালুম।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.