![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরিবর্তন চাই- আপদমস্তক পরিবর্তন চাই। কুঠারাঘাত দিয়ে হলেও ভাঙতে চাই স্থবিরতার শৃঙ্খল।।
‘শিশুরাই জাতির ভবিষ্যত।’ ‘ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুদের অন্তরে।’ আজকের শিশুই আগামী দিনের ভবিষ্যত। সুতরাং শিশুদের সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে সত্যিকারের মানুষ গড়ার দায়িত্ব আপনার-আমার সকলের। আমাদের যথোপযুক্ত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেই আমরা পেতে পারি একটি সুন্দর উত্তর প্রজন্ম। পৃথিবীর অন্য হাজারো প্রজাতির মত যেমন আমাদের দায়িত্ব রয়েছে প্রজননের মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্ম রেখে যাওয়া, তেমনই মানুষ হিসেবে পরবর্তী প্রজন্মকে যুগোপযুক্ত মানুষ করে গড়ে তোলার দায়িত্বটা একান্তই আবশ্যকীয়, যে দায় মানুষ ভিন্ন অন্য কোন প্রজাতির নেই। অবশ্য প্রত্যেক প্রজাতিই তার উত্তর প্রজন্মকে প্রতিযোগীতায় টিকে থাকার জন্য যা যা শেখানো দরকার তা প্রজাতি- শিশুটিকে শিখিয়ে যায়। তেমনি মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে আমাদের দায়িত্ব রয়েছে উত্তর প্রজন্মকে প্রতিযোগীতায় টিকে থাকার জন্য যথোপযুক্ত শিক্ষা দিয়ে উপযুক্ত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। পৃথিবীতে যে হারে মানুষ বাড়ছে তাতে মানুষের মধ্যে দিন দিন অন্তঃপ্রজাতি প্রতিযোগীতা বাড়তেই থাকবে। জ্ঞান-বিজ্ঞানে আমরা এমনিতেই অনেক পিছিয়ে আছি এবং দিন দিন উন্নত বিশ্বের সাথে সে বৈষম্য আরো বাড়ছে। তাই শিক্ষা এবং উপযুক্ত শিক্ষাই হওয়া উচিত আমাদের প্রতিযোগীতায় টিকে থাকার সবচেয়ে বড় অস্ত্র। পার্শ্ববতী দেশ ভারতও যেখানে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের মেধা বিক্রি করে অনেক আয় করছে সেখানে আমরা কেবলই শ্রম বিক্রি করছি, যারা তুলনামূলক অনেক কম আয় করে। দূর্বল পররাষ্ট্রনীতির জন্য তাও হোচট খায় মাঝে মাঝেই।
আমরা যারা এখানে ব্লগিং করি তাদের মধ্যে আমার মত দু’চারজন ইতোমধ্যেই বাবা বা মা হয়ে থাকলেও বেশিরভাগ ব্লগারই বাবা-মা হওয়ার অপেক্ষায়। একজন বাবা/মা হিসেবে আপনাকে পালন করতে হবে অনেক দায়িত্ব। আপনার সন্তানটির পাঠোভ্যাস গড়ে তুলতে আপনি কী করবেন তা নিয়েই আজকের পোস্ট। পুরোটাই আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। আপনাদের সন্তানদের ক্ষেত্রেও কাজ দিবে বলেই আমি আশা করি।
আপনার সন্তানটি যখন থেকে কথা বলতে শুরু করবে তখন থেকেই আপনার এ দায়িত্ব শুরু হয়ে যাবে। দু’একটি ব্যতিক্রম ছাড়া বেশিরভাগ শিশুই মা শব্দটি দিয়ে প্রথম অর্থপূর্ণ শব্দের উচ্চারণ শুরু করে। বাবা, দাদা ইত্যাদি শব্দের সাথে শিশুরা আরেকটি অর্থপূর্ণ শব্দ বলতে শেখে সেটা হল ‘কী’। অল্পদিনের মধ্যেই দেখা যায় শিশুটি অন্য যেকোন শব্দের চেয়ে এই ‘কী’ শব্দটিই বেশি ব্যবহার করছে। কারণ চারপাশের সবকিছুই শিশুর জন্য রাজ্যের বিস্ময় হয়ে দাঁড়ায়। তাই ‘এটা কী, ওটা কী’ প্রশ্ন করে সে জানতে চায় এবং পরিচিত হতে চায় তার আশেপাশের জগত সম্পর্কে। এসময় আপনাকে যে কাজটি করতে হবে তা হল শিশুটির এই ক্রমাগত ‘কী’ এর উত্তর দেয়া। যদি কোন শিশু ‘কী’ প্রশ্নটি করতে না শেখে তাকেও আঙুলের মাধ্যমে দিক নির্দেশনা দিয়ে শিখিয়ে দিতে হবে এটা চেয়ার, এটা গাছ, ওটা পাখি ইত্যাদি। এ কাজটি আপনি একেবারে শিশুবেলায়ই শুরু করতে পারেন; যেমন- বাবা/মামনি, দেখ এটা ফুল, এটা পুতুল, ওটা ঘড়ি ইত্যাদি। যে কাজটি আপনি কখনো করবেন না তাহল শিশুকে এ ধরণের প্রশ্নে কখনো কোন ভাবে রাগ করা বা ধমক দেয়া। শিশুরা তার কোন প্রশ্নে উত্তরের পরিবর্তে ধমক পেলে বা চোখ রাঙানী পেলে আশাহত হয় এবং তার ভিতরে নতুন প্রশ্নেচ্ছাকে দমিয়ে রাখে, যা তার মানসিক বিকাশে খুবই প্রতিকূল হতে পারে এবং হয়ও।
এরপরই আপনি আপনার সন্তানের জন্য কিছু ছবিসমৃদ্ধ বই কিনে দিবেন। শিশুদের বইগুলো রঙিন হয় যা তাকে খুবই আকৃষ্ট করে। বইয়ের ছবি দেখিয়ে দেখিয়ে আপনি শিশুটিকে বিভিন্ন পশু-পাখি-ফল-মাছ ইত্যাদির সাথে পরিচয় করে দিবেন। ধরুন, আপনি শিশুটিকে বইতে কবুতর দেখালেন, এরপর বাইরে সত্যিকারের কবুতর দেখতে পেলে ঐটি দেখিয়ে তার কাছে জানতে চাইবেন, ‘বলতো বাবু, এটা কী?’ সে বলতে না পারলে তাকে মনে করিয়ে দিবেন যে তোমার বইয়ে এই ছবিটা তো আছে। দেখবেন ঠিকই সে বলতে পারবে। এভাবেই তাকে পরিচিত করে তুলুন এবং বুঝান যে বইয়ের সাথে প্রকৃতির কী সুন্দর মিল! এ সময়টায় তাকে সুন্দর সুন্দর ছড়া শুনান। দেখবেন খুব সহজেই সে ছড়াগুলো মুখস্থ করে ফেলেছে। এক্ষেত্রে বাংলা ছড়া শেখানোকেই আমি প্রাধান্য দেয়ার কথা বলব। ছড়াগুলোর সুন্দর অন্তমিল থাকা বাঞ্চনীয়। তবে আমি দেখেছি শিশুরা এ বয়সে অন্তমিল ছাড়া কবিতাও মুখস্থ করতে পারে। আমি আমার তিন বছরের ছেলেকে ‘তেত্রিশ বছর কাটল কেউ কথা রাখেনি’ এবং ‘কুমড়ো ফুলে ফুলে নুয়ে পড়েছে লতাটি’ কবিতাটাও মুখস্থ করিয়ে ফেলেছিলাম। সেটা ছিল এক্সপেরিমেন্ট। আপনারা তা করবেন না, বা করা উচিত না বলেই আমি মনে করি। তবে মজার বিষয় হল শিশুরা এই বয়সে যা শিখে তা তারা কিছুদিন পরেই ভুলে যায়। এর প্রধান কারণ সম্ভবত ঐ বয়সের মস্তিষ্কের কোষগুলো পরবর্তী নতুন কোষগুলোর সাথে কোন লিঙ্ক তৈরী করে না।
এরপরে শিশুটি বর্ণের সাথে পরিচয় হবে। এক্ষেত্রে একটি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ তা হল আপনি কখনোই শিশুটিকে ‘অ থেকে ঔ’ কিংবা ‘ক থেকে চন্দ্রবিন্দু’ এভাবে মুখস্থ করাবেন না। আপনি তাকে অক্ষরগুলো চিনাতে শুরু করবেন। কেবল মুখস্থ করালে সে মুখস্থ ঠিকই করবে তবে তাতে অক্ষরগুলো চিনতে দেরী হবে। এক্ষেত্রে যে কাজটি আমি করেছিলাম এবং যথেষ্ট ফলদায়ক হয়েছে তা হল- বইয়ের অক্ষরগুলো পত্রিকা বা অন্য কোন বই-এর মাঝে খুঁজে বের করানোর কৌশল। ধরুন, আপনি একটা পত্রিকা পড়ছেন সেখানে লাল অক্ষরে একটা বড় হেডিং দেয়া। আপনি প্রথমে শিশুটির বই খুলে হেডিংয়ে যে অক্ষরগুলো রয়েছে তার একটা বের করবেন, তারপর পত্রিকার হেডিংয়ে সে অক্ষরটি দেখিয়ে বলবেন, ‘দেখ বাবা, তোমার বইয়ের এই অক্ষরটি পত্রিকায়ও রয়েছে, এই দেখ ‘ক’ও রয়েছে।” এরপর দেখবেন শিশুটি নিজেই পত্রিকা খুঁজে খুঁজে অক্ষর বের করছে এবং আপনাকে দেখাচ্ছে, ‘বাবা, দেখ এই অ, মা দেখ, এই একটা ড’ ইত্যাদি। আপনাকে শুধু তার জিজ্ঞাসার উত্তর দিলেই চলবে। এভাবে কয়েকদিন পর দেখবেন আপনার সন্তান সবগুলো অক্ষরই চিনে ফেলেছে। এভাবেই যুক্তবর্ণও শিখে ফেলবে। যুক্তবর্ণের ক্ষেত্রে আপনাকে ধরিয়ে দিতে হবে যে কিভাবে যুক্তবর্ণ গঠিত হয়। দু’চারটা দেখানোর পর দেখবেন শিশুটি নিজেই যুক্তবর্ণ দেখে বলতে পারবে কোন যুক্তবর্ণ কী কী অক্ষর দিয়ে গঠিত। শেখানোর মধ্যে আনন্দ মিশিয়ে দিলে শিশুরা নিজেরাই শিখে ফেলতে পারে, অভাবনীয় দ্রুততার সাথে।
বর্ণমালা ও যুক্তবর্ণের সাথে কার ও ফলাও এভাবে শিখিয়ে ফেলুন। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই লিখছি আপনাকে শিখাতে হবে না, আপনি শুধু একটু পন্থাটা শিখাবেন যা করার শিশুটিই করবে বলে আমি মনে করি। এবারে শব্দ তৈরীর কায়দাটা ধরিয়ে দিতে হবে। প্রথমে কার, ফলাবিহীন শব্দ যেমন বল, জল ইত্যাদি এরপরে কার এবং পরবর্তীতে ফলা ও যুক্তবর্ণবিশিষ্ট শব্দ তৈরীর কায়দাটা ধরিয়ে দিতে হবে। এবারে ছড়ার বই এবং পরবর্তীতে গল্পের বই ধরিয়ে দিন। প্রথমে যে ছড়াগুলো আপনি পূর্বেই মুখে মুখে শিখিয়েছিলেন সেগুলো ধরিয়ে দিন। দেখবেন শিশুটি প্রথম একটি বা দুটি শব্দ বানান করে পড়ে ধরতে পেরেই বাকি লাইনগুলো মেমোরী থেকে গড়গড় করে বের করে দিবে। এবার নতুন ছড়ার বই দিন। দেখবেন দু’চার দিনেই বেশ কয়েকটা ছড়া সে মুখস্থ করে ফেলেছে। আপনি তাকে সাহায্য করুন। গল্পের বই পড়ার ক্ষেত্রে ছবিসহ বনের পশু-পাখির গল্প যেমন খরগোশ কচ্ছপের গল্প ইত্যাদি বেশ ভাল কাজ করে।
একই সময়ে আপনি শিশুটির মাঝে কিছু কিছু বৈজ্ঞানিক ব্যাখাও গল্পের আকারে দিতে শুরু করবেন, অবশ্যই মুখে এবং শিশুতোষ ভাষায়। আপনার আশেপাশের সহজ বিষয়গুলোরই বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়ে তাকে বিজ্ঞানে উৎসাহী করুন। ক’দিন পরে দেখবেন সে নিজেই আপনাকে জিজ্ঞেস করছে, ‘আকাশ নীল কেন? বৃষ্টি কেন হয়? মাটি কিভাবে তৈরী হয়? গাছের পাতা সবুজ কেন? বৈদ্যুতিক পাখা ঘোরে কিভাবে?’ ইত্যাদি। দেখবেন এভাবে আপনার সন্তানের হাজার ‘কেন’র উত্তর দিতে দিতে আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। কিন্তু আপনি সন্তানের কাছে কখনোই রাগ বা বিরক্তি প্রকাশ করবেন না। যদি তার প্রশ্নের উত্তর আপনার জানা না থাকে তাহলে তাকে বুঝিয়ে বলবেন এবং পরবর্তীতে জেনে দিবেন বলে জানাবেন, কখনোই কোন অপব্যাখ্যা দিবেন না। এক্ষেত্রে গুগল খুব ভাল, আপনার সকল প্রশ্নের উত্তরের জন্য তৈরী সে। সুতরাং গুগুলের সাহায্য নেন। বিরক্ত হলে তাকে বুঝিয়ে বলবেন। কখনোই কোন প্রশ্নের জন্য রাগ করবেন না।
এবারে তাকে গল্পের বই পড়তে দিন। গল্পের বইয়ের ক্ষেত্রে প্রথমেই মজাদার বই পড়তে দিন। ছড়ার বইয়ে শিশুদের আগ্রহ বেশিদিন থাকে না, গল্প পড়তে শিখলে সে আর ছড়ার ক্ষেত্রে তেমন আগ্রহ পাবে না। গল্প পড়তে গিয়ে শিশুটি মাঝে মাঝেই দু’একটা কঠিন শব্দের মুখোমুখি হবে। সবচেয়ে ভাল হয় যদি বইটি শিশুকে পড়তে দেয়ার আগে আপনি নিজেই একবার পড়ে নেন। বিভিন্ন পশুপাখির গল্পের বইয়ের সাথে সাথে কিছু বিজ্ঞান বিষয়ক গল্প পড়তে দিবেন। এক্ষেত্রে উপেন্দ্রকিশোরের প্রায় সকল লেখাই দেয়া যেতে পারে। সুকুমার রায়ের লেখাগুলো কিনে দিন। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বেশ কয়েকটি কিশোর কালেকশন রয়েছে। এছাড়াও বাজারে শিশুতোষ প্রচুর বই পাওয়া যায়। সন্তানের সাথে আপনিও একবার পড়ে নিন। দেখবেন খুবই ভাল লাগবে। আরেকটু বড় হলে পড়তে দিন আবদুল্লাহ আল মুতির বিজ্ঞান বিষয়ক কিশোর গ্রন্থগুলো, যা বাংলাভাষার অন্যতম সম্পদ। তবে সন্তানদের পাঠাভ্যাস গড়তে সুবিধে হবে যদি আপনার নিজেরও পাঠাভ্যাস থাকে। ছুটির দিনগুলোর দুপুরে কিংবা অন্য অলস সময়গুলোয় আপনি নিজেই যদি একটা বই নিয়ে পড়তে বসেন, দেখবেন আপনার সন্তানের মধ্যেও তা ধীরে ধীরে সংক্রমিত হচ্ছে।
এভাবে আপনার সন্তানের বয়স যখন ৬-৭ এ পৌঁছবে তখন দেখবেন আপনার সন্তান লিখিত যা কিছু পাচ্ছে তাই-ই পড়তে শুরু করছে। ৮-৯ এ পৌঁছে গেলে দেখবেন আপনার সন্তান এখন একজন নিয়মিত পাঠক। যা আমাদের দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে দেখা যায় আমাদের দেশের শিশুদের একটা বিরাট অংশ প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করতেই ঝরে যায়। প্রধান কারণ হলেও এর একমাত্র কারণ দারিদ্র নয়, অন্যতম প্রধান কারণ শিশুদের পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কোন উদ্বেগ গ্রহণ না করা। শিক্ষকরা শিশুদের পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কোন ভূমিকাই নেয় না। সরকারী ট্রেইনিং প্রোগাম থাকলেও শিক্ষকদের মাঝে তা বাস্তবায়নের কোন চেষ্টা দেখা যায় না। তাই অন্তত আপনারা যারা স্বচ্ছল তারা আপনাদের শিশুদেরকে সহজেই পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারেন।
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রদের মধ্যেও বই পড়ুয়া ছাত্রের খুবই অভাব। সার্টিফিকেটধারী শিক্ষার হার বাড়লেও সুশিক্ষার হার হিসেব করতে হলে প্রথমেই একটা দশমিক দিয়ে শুরু করতে হবে। প্রমথ চৌধুরীর সেই বিখ্যাত লাইনটা মনে করিয়ে দিলাম আরেকবার-“সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।” বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন অত্যন্ত দুঃখের সাথে দেখেছি আমার অনেক বন্ধুরাই উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত তাদের সিলেবাসের বইয়ের বাইরে একটা গল্পও পড়েনি জীবনে। কখনও হতাশ হয়েছি, কখনও বন্ধুদের আক্রমনও করেছি। দু’একজনের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে পেরেছি কিন্তু বেশিরভাগ বন্ধুদের ক্ষেত্রেই তা ঘটেনি। তারা বই পড়ার চেয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে মেয়েদের যৌবন দেখতেই আগ্রহ বোধ করত বেশি। কর্মজীবনে প্রবেশ করে তারা এখন নতুন করে আর একটা বইও পড়ে না। শিশুবেলা থেকে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে এই অবস্থা হতো না, এটা নিশ্চিত করে বলা যায়।
আমাদের দেশের জন্য স্বশিক্ষিত লোকের খুবই দরকার। একুশ শতাব্দীর এই বিজ্ঞানের নব নব আবিষ্কারের যুগেও আমরা যেভাবে চোখ থেকেও অন্ধ আচরণ করছি তা থেকে মুক্তির জন্য পরবর্তী প্রজন্মের পাঠাভ্যাস গড়ে তোলা খুবই জরুরী। আপনার সন্তানের পাঠাভ্যাস গড়ে তুলুন, আমাদের উত্তর প্রজন্মকে বইমুখী করুন, তাদেরকে বিজ্ঞানমনষ্ক করুন।
=====================================
***পোস্টটি যদি আপনার ভাল লাগে, তাহলে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন। কারো উপকারে লাগলে আমার কষ্টকে সার্থক মনে করব। সবাই ভাল থাকুন। আমাদের শিশুরা ভাল থাকুক।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:১৩
সন্যাসী বলেছেন: ধন্যবাদ পরিবেশবাদী ঈগলপাখি। কারো কাজে লাগলে আমার খুব ভাল লাগবে।
২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:২১
অপরাজিত৯৯ বলেছেন: অসাধারণ তবে দেরি করে ফেলেছেন । পোস্টটা আব্বার পড়া হলনা । সুস্থ পরিবেশের ভুমিকা ও মনে হয় কম না ।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৩৩
সন্যাসী বলেছেন: হুমম, সুস্থ পরিবেশের দরকার আছে।
আবার পড়ে নিয়েন যেকোন সময়ে।
৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:২৯
শিমোন বলেছেন: অসাধারন হয়েছে।
ধন্যবাদ আপনােক।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৩৫
সন্যাসী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৩৬
দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: সময়পযোগী এবং সুন্দর পোষ্ট ভাইয়া! নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে লিখেছেন বলে সাবলীল হয়েছে
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৪১
সন্যাসী বলেছেন: প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ।
৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৪৫
রাজসোহান বলেছেন: ঠিক এভাবে না হলেও আমার বোনের পড়ার অভ্যাস হয়ে গেছে
এটা ট্রাই দিমু ১০ বছর পর নিজের পিচ্চি পাচ্চা হৈলে
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৫১
সন্যাসী বলেছেন: পড়ার অভ্যাস হওয়াটাই জরুরী তা এভাবে হোক আর অন্যভাবে হোক। আমি আসলে আমার ছেলেকে নিয়ে একটা এক্সপেরিমেন্টের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এখনও। তবে মাঝখানে কয়েকটা বছর আমার কাছে ছিল না, থাকলে আমার এক্সপেরিমেন্টটার পূর্ণতা পেত।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৫৪
সন্যাসী বলেছেন: এখনো দশ বছর পর!!
৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:০২
মিঠাপুর বলেছেন:
কাজের পুষ্ট আমার একটা পুচকি ভাইয়ের মেয়ে আছে................
কাজে দেয় কিনা দেখি
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:০৮
সন্যাসী বলেছেন: কাজে দিবে আশা রাখি। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল হয় যদি আপনার ভাই বা ভাবীকে লেখাটির বিষয়বস্তু ধরিয়ে দেন। আপনি তো সবসময় কাছে থাকবেন না, তারাই থাকবে। কাজে দিলে নিজেকে ধন্য মনে করব।
৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:০৪
বাদ দেন বলেছেন: আমার বাবা বেস্ট, সবসময় যে বই পড়তে চাইসি আইনা দিসে, সেইডা বাইবেলই হোক, টিনটিনই হোক আবার মুজতবা আলীর কালেকশনই হোক,
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:১১
সন্যাসী বলেছেন: আপনার বাবার মত বাবা কজন পায়? আপনার বাবার মত বাবা প্রয়োজন আমাদের জাতির জন্য।
তবে একেবারে শিশুদের জন্য পড়াটা একটু সিলেকটিভ হলে ভাল হয় বোধ হয়।
৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:১১
রাজসোহান বলেছেন: হ, আশার ভেলায় চৈড়া আছি
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:১৭
সন্যাসী বলেছেন: আশার ভেলায় এতদিন!! ভেলাটা কি স্টিলবডির? নইলে এতদিন তো টেকার কথা না।
৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:৪৯
অপরাজিত৯৯ বলেছেন: আমি আমার বাবার কথা বলতে চেয়েছিলাম । উনি গত হয়েছেন । টেক্সট ছাড়া অন্য বই পড়ায় তার নিষেধ ছিল । তাই মাধ্যমিক পেরুবার আগে টেক্সটের বাইরের জগত্ আমার অজানাই ছিল । পরবর্তিতে কলেজের মেয়েদের কাছে নিজেকে অতিশ দিপঙ্কর প্রমাণের জন্য বিভিন্ন বই পড়া । আর সেই অনিচ্ছাকৃত প্রবণতাই এক সময় রূপ নেয় অভ্যাসে ।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:০২
সন্যাসী বলেছেন: আসলে আমি বুঝতে পারিনি। ভেবেছিলাম আপনার টাইপে মিসটেক হয়ে গিয়েছিল। যাহোক, আপনার আব্বা হয়তো সেটাই ভাল মনে করতেন। আপনার আব্বা গত হয়েছেনে জেনে খারাপ লাগল।
মেয়েদের জন্য বই পড়া শুরু করেছেন জেনে খুবই ভাল লাগছে। আপনার বাবার করা ভুল আপনি করবেন না। আসলে আমরা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পরিবর্তিত হব, এটাই স্বাভাবিক। তবে পরিবর্তনটা পশ্চাৎমুখী না হয় যেন এটা সবসময়েই খেয়াল করা দরকার। আপনার জন্য শুভকামনা।
১০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:২৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: ভালো লিখেছেন যতবেশী পড়বে তত জ্ঞান বুদ্ধি পাবে।
যোগ করি আরো একটা কথা বাচ্চাদের সাথে বন্ধুর মতন আচরণ করুন বোঝার চেষ্টা করুন তাদের অনুভুতি একটি মানুষকে পূর্ণভাবে বিকাশের সুযোগ দিন।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:৩৬
সন্যাসী বলেছেন: ধন্যবাদ, রোকসানা লেইস। আমার প্রায় পুরো লেখায়ই বাচ্চাদের সাথে বন্ধুর মত আচরণকে উৎসাহী করা হয়েছে। শিশুদের সাথে কিছুতেই রাগ করা যাবে না। তাতে উল্টো ফল হয়।
১১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:৫২
রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: আল মুতির বিজ্ঞান বিষয়ক বই কিন্তু ছোটদের জন্যও আছে। চিকন সাইজের রংচংয়ে সুন্দর সুন্দর বই। আমি ছোটবেলায় এইগুলা পেয়েছিলাম। ইদানিং কি বাচ্চাদের জন্য এই জাতীয় বই বের হয়? রুশ থেকে বাংলায় অনুবাদ করা বইগুলিও অনেক পড়তাম একটু বড় হবার পর। তবে একটা ক্ষেত্রে আমার মনে হয় বাবা মায়েরা যদি আস্তে আস্তে পপুলার সায়েন্স থেকে নেশাটা মূল তাত্ত্বিক বিজ্ঞানের দিকে সরিয়ে দিতে পারে তাহলেই কেল্লাফতে। এই কাজটাই আমরা করতে পারি না। নতুবা গণিতবিদ বা পদার্থবিদ অনেক বেশী এবং উন্নতমানের পাওয়া যেত। আউট বই নামক বিদ্বেষটা কমে আসত। আউট বইয়ের সাথে পাঠ্যপুস্তকের বিরাট সংঘর্ষ আছে। আমি হাড়ে হাড়ে জানি।
আর "কী" বিষয়টা নিয়ে আপনার চিন্তা আর আমার চিন্তা একদম মিলে গেল। আমিও এই কথাটাই বলি সবসময়।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:৪১
সন্যাসী বলেছেন: ধন্যবাদ, বারামদী ভাই। পপুলার সাইন্স থেকে নেশাটা মূল তাত্ত্বিক বিজ্ঞানের দিকে সরিয়ে দিতে পারলে আমাদের বিজ্ঞান চর্চার অনেক উন্নতি হতো। আমাদের জন্য খুব বেশি দরকার। শিশুদের জন্য বই সিলেকশনে বাবা-মায়ের সুবিবেচক হওয়া উচিত।
১২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৭:৩১
কালীদাস বলেছেন: পড়াইতে পড়াইতে আমার জীবনটা শেষ কইরা ফালাইছে....এখন আমার পোলার দিকে নজর পড়ছে
কাজের পোস্ট
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:৪৫
সন্যাসী বলেছেন: পড়তে পড়তে জীবনটা শেষ হয়ে গেল জেনে খুব ভাল লাগছে জেনে।
আপনার ছেলে আছে নাকি? জানতাম না তো!
১৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:০৫
টক দঐ বলেছেন: ভালো। +
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:৪৬
সন্যাসী বলেছেন: ধন্যবাদ, টক দঐ।
১৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:৪৯
জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
খুব সুন্দর। আমার মত বুড়াগোও এটা লাগবে
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:৫৫
সন্যাসী বলেছেন: আপনি নিজেকে যত বুড়াই বলেননা কেন, আমার কাছে মনে হয় সামুর ব্লগারদের মধ্যে অন্যতম তরুণ আপনি। আপনার তারুণ্য আমাকে সত্যিই মুগ্ধ করে। ধন্যবাদ, জিসান ভাই।
১৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:৫০
কালীদাস বলেছেন: এহেম, এহেম, আমার ভবিষ্যত পোলার কথা বললাম আরকি, আমার বিয়ে করতে বহুৎ দেরি আছে এখনো :!> :!>
পোস্ট-টা কিন্তু আসলেই ভাল হয়েছে, সন্যাসী! থ্যাংকস
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:৫৭
সন্যাসী বলেছেন: তাই বলেন। যাই হোক, এখনি ভবিষ্যত পোলার চিন্তা করছেন দেখে ভাল লাগছে। ধন্যবাদ।
১৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:১৮
ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:
অনেক কষ্ট করে মুক্তো ঝড়িয়েছেন ,ধন্যবাদ দিচ্ছি অনেক অনেক ।
যদিও কোন্ বনে সে প্রশ্ন করছি না ।'লুজ সিট' নিলেন।আগে না নেয়াটা পুরোপুরি উসুল।'চ্যাটিং এ ব্যস্ত আছি পরে পড়ে নেব' এটি প্রায় জনপ্রিয় স্লোগান ।সাধারন পাঠক হিসেবে পড়েছি আমার মত করেই ,তাই দু লাইন
লেখার সাহস (দুঃসাহস) দেখাচ্ছি । কিছু মনে লিবেন না ।সচেতনরা
অবশ্যই লিখবেন (আপনার মত যারা) সচেতনতার জায়গা থেকে এমন আশাই করি।
'উন্নত বিশ্ব' এর উপর একটা লেখা দিন,কথা দিচ্ছি আগাম-একটু ক্যাচাল করব,বুড়োরাতো সব জায়গায় যেতে পারে না(ঘাড় ধাক্কার ভয় আছে না)
আবার কি ধন্যবাদ দেব ?
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:০৩
সন্যাসী বলেছেন: সত্যিই 'লুজ সিট' নিলাম। আরেকটু নিলে ভাল হত। অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে দেখে একটু ছেটে দিতে হল। ব্লগে এত বড় লেখা কেউ পড়তে চায় না, হোক না সে যতই প্রয়োজনীয়। ক্যাচাল বা ১৮+ পোস্ট হলে পাঠকের অভাব হয় না। আপনার মত ইনটেনসিভ পাঠকরা আছেন বলেই বড় লেখার ধৈর্য হয়। কিন্তু আপনার জন্যতো এ পোস্ট দরকার নেই, কারণ আপনি আমার চেয়ে অনেক বেশি পড়েন এবং জানেন যে শিশুদের কীভাবে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কারো উপকারে আসলেই আমার লেখার কষ্ট সার্থক হবে। সত্যি বলছি, আমি আপনার একটা মন্তব্য খুব আশা করছিলাম।
উন্নত বিশ্বের উপর আপনিই বরং একটা লেখেন। আপনার চিন্তাগুলোকে অবশ্যই শেয়ার করা উচিত।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
অ.ট: ওরিয়েন্টালিজম বইটা দিতে একটু দেরী হবে। অনেকদিন ধরেই আমার এক পরিচিত পাঠক/লেখক বইটা খুঁজছিল। বইটা আপনার কাছ থেকে আনতেই সে নিয়ে গিয়েছে। অবশ্য আমিও একটা কিনব ভাবছি।
১৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৩৮
তোমোদাচি বলেছেন: সুন্দর লেখা।
সময় হলে দেখবেন
Click This Link
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:১১
সন্যাসী বলেছেন: আপনার লেখাটা প্রথম যখন দিয়েছিলেন তখনই দেখেছিলাম। খুব ভাল লেগেছে। প্রতিটি বাবা-মারই উচিত সন্তানের সাইকোলোজি অনুযায়ী পাঠাভ্যাস গড়ে তোলা। ধন্যবাদ।
১৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:০৪
মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: আমার জন্য সময় উপযোগী একটি পোষ্ট।
আমার ছেলের বয়স ২ বছর কিভাবে তাকে দিয়ে শুরু করব তাই বুঝে উঠতে পারিছি না। সারাদিন দুষ্টামির মধ্যে আছে.......বই নিয়ে বসেলে ৫মিনিট মনোযোগ দিয়ে দেখে তারপর ই বলে আর পড়ব না।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:২২
সন্যাসী বলেছেন: এ সময়ে আপনার ছেলেকে বই এর সাথে বাইরের পরিবেশ এবং প্রকৃতির মিলটা দেখিয়ে দেয়াটা জরুরী। যদি শহরে থাকেন তাহলে দু'একবার গ্রামে বেড়িয়ে আসতে পারেন। ২-৩ বছরের শিশুদের মেধাবিকাশে শহরের চেয়ে গ্রামের পরিবেশ বেশি উপযুক্ত। এ বয়সটা কেবল ছবি দেখে শেখার বয়স। বইয়ের ছবি দেখিয়ে দেখিয়ে তা প্রকৃতির সাথে মিলিয়ে দেখান। শহরের পার্ক, শহীদ মিনার, বোটানিক্যাল গার্ডেন, চিড়িয়াখানায় ছুটির দিনগুলোয় বেড়িয়ে আসতে পারেন।
আপনার বাবুটির জন্য শুভকামনা।
১৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:১৬
দুরের পাখি বলেছেন: চমৎকার । বুড়া বয়সে নতুন একটা ভাষা শিখতে গিয়ে বুঝেছি, ঠিক এইভাবেই শিখতে হয় । শুধু শিশু না , এই পোস্ট দেখা যায় বুড়াদেরও কাজে লাগবে ।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:২৫
সন্যাসী বলেছেন: হা হা হা। ছেলে বুড়ো সকলের জন্য এই পোস্ট ফরজ ঘোষণা করা হোক
২০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:২৭
এক রাশ তরঙ্গ বলেছেন: জেনে রাখলাম। ভালো লিখেছেন।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:৩৮
সন্যাসী বলেছেন: ধন্যবাদ, একরাশ তরঙ্গ।
২১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:২৯
শায়মা বলেছেন: বাহ সন্যাসী ভাইয়া।
অনেক সুন্দর পোস্ট!
একটা কথা বলি,
বেড টাইম স্টোরী, বা স্লিপিং টাইম স্টোরী বলে একটা কথা আছে। এমন অনেক বইও আছে।
ঘুমুতে যাবার আগে বাচ্চাদেরকে গল্প শুনানোটা বা বই পড়তে শেখানোটা অনেক অনেক জরুরী। ঘুমানোর আগেই নাকি বাচ্চাদের ব্রেইন ভকাব্যুলারী ধরে রাখতে সবচেয়ে বেশী সাহায্য করে।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:৪২
সন্যাসী বলেছেন: বেড টাইম স্টোরী খুবই ফলদায়ক। আমার ছেলে ঘুমাতে গেলে গল্প বলতেই হতো। একটা গল্প শেষ না হওয়া পর্যন্ত সে ঘুমাত না। গল্প শেষ হলেই সে ঘুমিয়ে পড়ত। বাচ্চাদের ব্রেইন সবসময়েই শার্প। তবে মজার বিষয় হল একটানা অভ্যাসের উপর না থাকলে ভকাব্যুলারী ধরে রাখতে পারে না শিশুরা। এজন্য তারা দায়ী না, দায়ী মস্তিষ্কের মৃত কোষগুলো। এই কোষগুলোর কোনপ্রকার দায়বদ্ধতা নেই..হা হা হা।
ধন্যবাদ শায়মা।
২২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:৫১
খানসামা বলেছেন: পাঠ্য বইয়ের বাইরে বই না পড়ার সংখ্যাটা আশংকাজনক। আমরা যে কয়জন নিয়মিত বই পড়তাম, তা দেখে অন্যরা টিজ করত। তারপরেও চালিয়ে গেছি। বিশেষ করে আমার এই অভ্যাস গড়ে উঠার জন্য আম্মার একার কৃতিত্ব। ওনাকে ছোটবেলা থেকেই বই পড়তে দেখতাম। আমার এক ছোটবোন দুইটা গোল্ডেন জিপিও নিয়ে মেডিকেলে ভর্তি হয়েছে। কিন্তু প্রমথ, তারাশঙ্করের নাম যে শুনেনাই এটা সিওর। আমি গতবছর তাকো দৃষ্টিপ্রদীপ বইটা দিয়েছিলাম। কয়েকমাস পরে দেখেছি, তখনো প্যাকেটে মোড়ানো ছিল। এই হলো অধিকাংশ মেধাবীদের বই পড়ার ইতিহাস।
পোস্ট অত্যন্ত ভালো লেগেছে। প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম। আমার বোনের মেয়ে আমার দায়িত্বেই আছে। তার জন্য কাজে লাগবে।
আন্তরিক ধন্যবাদ।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:১৫
সন্যাসী বলেছেন: আমাদের দেশের মেধাবীদের বই পড়ার প্রতি অনাগ্রহ দেখে সত্যিই অবাক লাগে। আপনি যে চিত্রের কথা বললেন সেটা আমার জন্যও হয়েছে। সবখানেই একইরকম। সিলেবাসের বাইরে আমাদের ছেলে-মেয়েরা বেরুতে পারে না।
পোস্টটি আপনার কাজে লাগবে জেনে ভাল লাগছে। অনেক ধন্যবাদ।
২৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:৫৪
ইমন জ্যাস বলেছেন: একজন বাবার ঐতিহাসিক দায়বদ্বতা আপনি পুরণ করেছেন ।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:১৭
সন্যাসী বলেছেন: ধন্যবাদ, ইমন জ্যাস। প্রতিটি বাবা-মাই সন্তানের মঙ্গলের জন্য কাজ করে যান। আমার লেখাটি যদি তাদের সাহায্য করে তা আমার জন্য খুব আনন্দদায়ক হবে।
২৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:২৮
শিপু ভাই বলেছেন: পোস্টদাতারে পছন্দ না হইলেও পোস্ট প্রিয়তে নিলাম। আমার পুলা পর্তে চায় না।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:৫১
সন্যাসী বলেছেন: পোস্টদাতারে পছন্দ না হইলেও চলব, পোস্ট পছন্দ হইলেই চলবে। ভাইস্তার জন্য শুভকামনা।
২৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:০৩
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: প্রকৃত বাপ হওয়ার শিক্ষা দিলেন!
ভাল লেখা নিঃসন্দেহে।
এই ভাবনাগুলো খাপছাড়াভাবে মনে আমাদের সবার মাঝেই কম-বেশি বিদ্যমান। সবগুলোকে জোড়া দেবার কাজ দারুনভাবে করেছেন।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:১০
সন্যাসী বলেছেন: ধন্যবাদ তায়েফ ভাই। অনেকদিন ধরেই এ ব্যাপারে লিখব ভাবছিলাম। কাল লিখব, পরশু লিখব করে হচ্ছিল না। বেশ সময়ের দরকার ছিল তাই হচ্ছিল না।
২৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:০৮
হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লাগা রইলো সন্যাসী ভাই। বেশ প্রয়োজনীয় ও তাৎপর্যময় পোষ্ট।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৩০
সন্যাসী বলেছেন: ধন্যবাদ, রাশেদীন ভাই।
২৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:১১
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: সিলেবাস ভাল হইচে।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৩০
সন্যাসী বলেছেন: ধইন্যা শাক...
২৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:৫৪
অ নু বলেছেন: দরকারী কথা বলছেন তো!
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:২০
সন্যাসী বলেছেন: দরকারী মনে হলে নিয়ে যান। আপনাদের প্রয়োজনে লাগলেই আমার লেখা সার্থক হবে।
২৯| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:৪২
তূর্য হাসান বলেছেন: অ-----নে-------------ক ধন্যবাদ। খুব ভালো একটা পোস্ট। আমার ছেলের ওপর প্রয়োগ করে দেখবো। আশাকরি সফল হবো
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:২১
সন্যাসী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। আপনার ছেলের ওপর প্রয়োগ করলে কাজ করবে বলে আশা রাখি।
৩০| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:৪৪
তূর্য হাসান বলেছেন: এ বিষয়ে আরো লেখা চাই আপনার কাছে
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:৫০
সন্যাসী বলেছেন: পরবর্তীতে সময় করে দেয়ার ইচ্ছে আছে।
৩১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৩২
নাজনীন১ বলেছেন: সুন্দর একটা পোস্ট! ধন্যবাদ লেখককে।
তবে সারাদিনের কাজের শেষে রাতে ঘুমানোর আগে শিশুদের গল্প শোনানোর ক্ষেত্রে ধৈর্যও যেমন লাগে, সৃজনশীলতারও দরকার হয়। কারণ, তখন চোখ খোলা রেখে বই-এর গল্প পড়ে শোনাতে গেলে বাচ্চারাও চোখ মেলে তাকিয়ে থাকে। এর চেয়ে চোখ বন্ধ করে ধীরে ধীরে গল্প বা ছড়া শোনালে একসময়ে তারা ঘুমিয়ে পড়ে।
খুব বেশি দরকার যেটা সেটা হলো বাচ্চাদের পর্যাপ্ত সময় দেয়া, যেটা আজকালকার মা-বাবাদের বেলায় অনেক কঠিন।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:৫৯
সন্যাসী বলেছেন: ধৈর্য ও সৃজনশীলতা তো অবশ্যই দরকার। সময় দেয়া কঠিন তাও ঠিক, তবুও কিছু সময় দিতে তো হবেই।
৩২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:০৩
আলিম আল রাজি বলেছেন: কাজে লাগবে। বাট আরো অনেক পরে
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:২৭
সন্যাসী বলেছেন:
৩৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:২৩
তানভীর চৌধুরী পিয়েল বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। আমার ১১টা মেয়ের* উপর এক্সপেরিমেন্ট চালাব
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:০৩
সন্যাসী বলেছেন: কয় কী? এগারটা মেয়ে! তোমার যেন এগারটা মেয়ে হয়
৩৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৪৪
শূণ্য উপত্যকা বলেছেন: কাজে লাগবে। ধন্যবাদ।
০৫ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১১:৫৪
সন্যাসী বলেছেন: আপনার কাজে লাগবে জেনে খুশী হলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:০১
পরিবেশবাদী ঈগলপাখি বলেছেন: কাজের পোস্ট