নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সন্যাসীর স্বপ্ন

শিক্ষা যেখানে অসম্পূর্ণ, জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

সন্যাসী

পরিবর্তন চাই- আপদমস্তক পরিবর্তন চাই। কুঠারাঘাত দিয়ে হলেও ভাঙতে চাই স্থবিরতার শৃঙ্খল।।

সন্যাসী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিন্ধু সভ্যতাঃ এক অপার বিস্ময়-১

২০ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:৩৬





হরপ্পা, মহেঞ্জোদারো, লোথাল, ধলাবাড়িয়া, গানেরিওয়ালাসহ ছোট বড় প্রায় হাজার খানেক নগর ও গ্রাম নিয়ে সিন্ধু সভ্যতা বিস্তৃত ছিল। সিন্ধু ও সরস্বতী (বর্তমানে বিলুপ্ত) নদী অববাহিকায় গড়ে ওঠা এ নগর সভ্যতাগুলোয় অনুসন্ধান করে পাওয়া গিয়েছে বিস্ময়কর সব তথ্য ও উপাদান। এযাবত পৃথিবীতে যতগুলো সভ্যতার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বিস্তৃত এ সভ্যতাটির বিস্ময়কর কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো।



এ যাবত আবিস্কৃত সভ্যতাগুলোর মধ্যে সিন্ধু সভ্যতা হল সবচেয়ে সাম্যবাদী সভ্যতা। এখানে কোন রাজগৃহ বা এ জাতীয় কিছু পাওয়া যায়নি। পাওয়া যায়নি কোন রাজকবরও। প্রতিটি সভ্যতায়ই রয়েছে দুর্গ। আর্কিওলজিস্টরা ধারণা করেন যদি কোন রাজা থেকেও থাকেন তারা বাস করতেন দুর্গগুলোয়। তবে অন্য সভ্যতাগুলোর মত সে রাজারা একনায়কতান্ত্রিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতেন না। শহরের বাড়িগুলো সবই প্রায় একই মাপের। সম্ভবত নগরের আবাসন ব্যবস্থা ছিল কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত ও পরিকল্পনামাফিক। মিশর ও মেসোপটেমিয় সভ্যতার রাজকবরগুলো দেখেই বোঝা যায় কতখানি অনৈতিক সুযোগসুবিধা ভোগ করত এই সভ্যতাগুলোর রাজারা। রাজাদের কবর দেয়ার সময়ে জীবিত দাস-দাসীদের রাজার সাথে কবর দেয়া হতো। বেঁচে থাকাকালীন যেসকল সুযোগসুবিধা রাজারা ভোগ করত মৃত্যুর পরে কবরেও সেসব সুযোগসুবিধা দিয়ে দেয়া হত তাদের জন্য। সিন্ধু সভ্যতায় এরকম একটি কবরও পাওয়া যায়নি।



সিন্ধু সভ্যতার নগরগুলো ছিল পরিকল্পনামাফিক গড়ে তোলা। নগরের বাড়িগুলো একই মাপের ছিল। রাস্তাগুলো ছিল সোজা এবং সাধারণত উত্তর-দক্ষিণ বরাবর। ছিল ভূ-গর্ভস্থ পয়নিস্কাষণ ব্যবস্থা। আমাদের দেশের বর্তমান নগরগুলির থেকেও উন্নত ছিল ড্রেনেজ সিস্টেম। বাড়িগুলো ছিল ইটের তৈরী দ্বিতল বাড়ি এবং সকল ইটের সাইজ একই, ১:২:৪। প্রত্যেকটি বাড়ির সাথেই প্রধান ড্রেইনের সংযোগ ছিল। প্রধান ড্রেইনটির আউটলেট ছিল নগরের বাইরে।



সিন্ধু সভ্যতায় কোন গণ-উপাসনালয় পাওয়া যায় নি। পাওয়া যায়নি কোন বড় মূর্তিও। ধারণা করা হয় এ সভ্যতায় নিরাকার ঈশ্বরের ধারণা বেশ জোরালো ছিল। তবে বেশ কিছু ছোট ছোট মূর্তি পাওয়া গিয়েছে। সম্ভবত এগুলো গৃহদেবতাদের মূর্তি। ঋগ্বেদে ইন্দ্রসহ অনেক দেবতার উল্লেখ থাকলেও ঋগ্বেদ সম্ভবত পরিণত হরপ্পান পর্যায়ের শেষের দিকে ধর্মসংস্কারের ফল। কিছু দেবতা আগেও ছিল তবে তাদের বিশেষ কোন মূর্তি ছিল না। সমুদ্র দেবতা বরুণ সম্ভবত শ্রেষ্ঠ দেবতা ছিল, পরবর্তীতে ধর্মসংস্কারের ফলে ইন্দ্র সর্বশ্রেষ্ঠ দেবতায় পরিণত হয়।



সিন্ধু সভ্যতায় ছিল অতি উন্নত এক নদী-নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা। ছোট-বড় অনেক নদীতে বাঁধ দিয়ে এক উন্নত সেচ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছিল এখানে। ক্রমাগত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মেটাতে এই নদীনিয়ন্ত্রনব্যবস্থা গড়ে তুলতে হয়েছিল। সমুদ্রদেবতা বরুণের প্রধান দেবতা হওয়ার পিছনে কারণ ছিল সম্ভবত এই কৃষি-সেচব্যবস্থাই। পরবর্তীতে এই নদীনিয়ন্ত্রনব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্যই সম্ভবত ধর্মসংস্কারের প্রয়োজন হয়। ইন্দ্রকে প্রধান দেবতা হিসেবে উপস্থাপন করে ধর্মসংস্কার হয়। ঋগ্বেদে আমরা ইন্দ্র কর্তৃক বৃত্রাসুরকে বধ করার যে কয়েকশ ঋক দেখি তা আসলে ইন্দ্রের নামে বাঁধ ধ্বংস করারই নামান্তর। বৃত্র আসলে বাঁধ বৈ আর কিছু নয়। বৃত্রকে বধ করার পরে প্রচণ্ড বেগে জল নেমে আসার যে কয়েকশ মন্ত্র বা ঋক রয়েছে তাতে বৃত্রকে বাঁধ বৈ অন্যকিছু ভাবার কোন অবকাশই থাকে না। জড়বস্তুকে পার্সোনিফিকেশন করার ফলেই বাঁধ বৃত্র নামক অসুরের নামে রূপান্তরিত হয়। এখানে আরেকটি মজার ব্যাপার হল ঋগ্বেদের প্রথমদিককার ঋকগুলোয় অসুর বলতে শক্তিশালী বুঝানো হয়েছে। তাই ইন্দ্রকেও অসুর সম্বোধন করতে দেখা যায়। পরবর্তীতে পক্ষের শক্তিকে দেবতা ও বিপক্ষের শক্তিকে অসুর বলার রীতি চালু হয়। এ প্রসঙ্গে পারস্যগ্রন্থ আবেস্তার কথা বলতেই হয়। সম্ভবত সিন্ধু সভ্যতার পরাজিতরাই মাইগ্রেট করে ইরানে গিয়েছিল। আবেস্তা গ্রন্থে শুভ শক্তিকে অহুর এবং অশুভ শক্তিকে দয়েভ বলে পরিচিত করা হয়েছে।



পরিণত হরপ্পান পর্যায়ের শেষের দিকে নদীনিয়ন্ত্রণব্যবস্থা ধ্বংসের মধ্য দিয়েই মূলত সিন্ধু সভ্যতার ধ্বংস শুরু হয়। সিন্ধু সভ্যতার প্রধান অংশগুলোয় বর্তমানে মরুভূমি। সম্ভবত তখনও এখানে খুব কম বৃষ্টিপাত হত। সেচব্যবস্থা দিয়েই কৃষিকাজ চালানো হত। মরুকরণ শুরু হলে একসময়ের আর্শীবাদ নদীনিয়ন্ত্রনব্যবস্থা কিছু অংশের জন্য জন্য অভিশাপ হিসেবে দেখা দেয়। যার ফলে তাদের মধ্যে এক যুদ্ধের সূচনা হয়। বৃত্রবধ/বাঁধ ধ্বংসের মধ্য দিয়েই এই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। সেচব্যবস্থা ধ্বংস হওয়ার ফলে কৃষিকাজের ব্যাপক ক্ষতি হয় এবং এই সভ্যতার মানুষগুলো ক্রমাগত অন্যদিকে মাইগ্রেট করতে থাকে। প্রায় সব সভ্যতাগুলোয়ই বাঁধের অস্তিত্ব রয়েছে। পুরো সভ্যতাটির বাঁধব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য প্রেয়োজন ছিল ধর্মসংস্কার। ইন্দ্রকে প্রধান দেবতা হিসেবে সে ধর্মসংস্কারের কাজটি খুবই ভালই করেছিল তখনকার বৈদিক সমাজ। যার ফলে একে একে সকল বাঁধই ধ্বংস হয় এবং সভ্যতাটি ক্রমে বিলুপ্তির দিকে চলে যায়।





(চলবে)



পর্ব-২

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মে, ২০১১ দুপুর ১:৩১

আগামি বলেছেন: চলুক ।

২০ শে মে, ২০১১ রাত ৯:৩৯

সন্যাসী বলেছেন: আরো দু-এক পর্ব চলবে আশা রাখি।

২| ২০ শে মে, ২০১১ দুপুর ১:৫৭

দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: আসিরিয়ার লোকেদেরও অসুর বলা হয়। ;)

২০ শে মে, ২০১১ রাত ৯:৪১

সন্যাসী বলেছেন: হুমম।

৩| ২০ শে মে, ২০১১ দুপুর ১:৫৮

সূর্য্য ব্যানার্জী বলেছেন: ভালো লাগলো পড়ে।

২০ শে মে, ২০১১ রাত ৯:৫০

সন্যাসী বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ২০ শে মে, ২০১১ দুপুর ২:২৬

একাকী বালক বলেছেন: চলুক। প্লাস।

২০ শে মে, ২০১১ রাত ৯:৫১

সন্যাসী বলেছেন: ধন্যবাদ একাকী বালক।

৫| ২০ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:২১

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ভালো লাগলো পড়ে।

২০ শে মে, ২০১১ রাত ৯:৫৩

সন্যাসী বলেছেন: ধন্যবাদ ত্রিনিত্রি।

৬| ২০ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৫

আকাশ_পাগলা বলেছেন: আমি ত বইয়ে পড়ছিলাম অন্যরকম !!! মানে ধ্বংসের ব্যাপারটা !!

২০ শে মে, ২০১১ রাত ১০:১৫

সন্যাসী বলেছেন: আসলে ধ্বংসের ব্যাপারে বিভিন্ন মতবাদই রয়েছে। সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাটি করেছেন পাকিস্তানের রফিক মুঘল। রফিক মুঘল অবশ্য অনেকদিন থেকেই এ ব্যাপারে গবেষণা করে আসছেন। নদী নিয়ন্ত্রনব্যবস্থা ধ্বংস সেচব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল যার ফলে কৃষি উৎপাদন হ্রাস পেয়েছিল। এর সাথে নদীগুলোর গতিপথ পরিবর্তন এ অঞ্চলগুলোয় মরুকরণ শুরু হয়েছিল। অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপে এবং খাদ্যঘাটতির জন্য এ সভ্যতাকে লোকজন নিজেরাই পরিত্যাগ করেছিল।

৭| ২০ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫২

নষ্ট কবি বলেছেন: জেনে ভাল লাগলো

২০ শে মে, ২০১১ রাত ১০:২০

সন্যাসী বলেছেন: ধন্যবাদ নষ্ট কবি।

৮| ২০ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৮

রাজসোহান বলেছেন: দুর্দান্ত!

২০ শে মে, ২০১১ রাত ১০:২২

সন্যাসী বলেছেন: ধন্যবাদ রাজসোহান।

৯| ২০ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩২

বাদ দেন বলেছেন: ইয়ে মানে আমিও অন্যরক্ম পড়েছিলুম, একটু রেফারেন্স দিলে উপকার হত

২০ শে মে, ২০১১ রাত ১০:২৭

সন্যাসী বলেছেন: 'আর্যজন ও সিন্ধু সভ্যতা' বইটি দেখতে পারেন। তাছাড়া রফিক মুঘলের রিসেন্ট গবেষণাগুলো এ সম্পর্কে ভাল তথ্যভাণ্ডার।

আসলে ধ্বংসের ব্যাপারে বিভিন্ন মতবাদই রয়েছে। সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাটি করেছেন পাকিস্তানের রফিক মুঘল। রফিক মুঘল অবশ্য অনেকদিন থেকেই এ ব্যাপারে গবেষণা করে আসছেন। নদী নিয়ন্ত্রনব্যবস্থা ধ্বংস সেচব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল যার ফলে কৃষি উৎপাদন হ্রাস পেয়েছিল। এর সাথে নদীগুলোর গতিপথ পরিবর্তন এ অঞ্চলগুলোয় মরুকরণ শুরু হয়েছিল। অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপে এবং খাদ্যঘাটতির জন্য এ সভ্যতাকে লোকজন নিজেরাই পরিত্যাগ করেছিল।

১০| ২০ শে মে, ২০১১ রাত ৯:১৪

বাদ দেন বলেছেন: ইন্দ্র একটা উপাধি, আর্যদের নেতারে ইন্দ্র বলা হইত, পরে তাদের কাহিনি লিজেন্ডে পরিনত হয় এবং দেবতা হিসেবে জায়গা পায়া যায়,

২০ শে মে, ২০১১ রাত ১১:৩২

সন্যাসী বলেছেন: আর্য নেতাদের ইন্দ্র বলা হত। এটা বোধ হয় সঠিক নয়। ঋগ্বেদে বেশ কিছু দেবতা রয়েছে। ইন্দ্রও তাদের একজন। তবে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে ইন্দ্রকে।

১১| ২০ শে মে, ২০১১ রাত ৯:৪০

শায়েরী বলেছেন: Janlam onek kisu

২১ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৮

সন্যাসী বলেছেন: ধন্যবাদ শায়েরী।

১২| ২০ শে মে, ২০১১ রাত ১০:৩৪

অনিক আহসান বলেছেন: কয়েকটা জিনিস খটকা লাগলো... সিন্ধু সভ্যতা ছিল মুলত অনার্য সভ্যতা...
এখানে ইন্দ্র আর তার সহযোগীরা বহিরাগত আর্য আক্রমঙ্কারী...

২০ শে মে, ২০১১ রাত ১০:৫৬

সন্যাসী বলেছেন: ঋগ্বেদে ইন্দ্রকে কিন্তু আর্যই বলা হয়েছে। আর্য আক্রমন থিওরিটা কিন্তু এখন বেশ প্রশ্নসাপেক্ষ। ঋগ্বেদে আর্য বলতে আসলে উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন বলা হয়েছে। বহিরাগত আর্য আক্রমন যে অবশ্যই ঘটেছিল বর্তমান অনেক গবেষকই তা স্বীকার করেন না। সিন্ধু সভ্যতায় বহিরাগত আক্রমনের তেমন কোন এভিডেন্সও নেই। ইন্দ্র কোন বাস্তব চরিত্র নয়। ইন্দ্র বৈদিক সম্প্রদায়ের দেবতা। ঋগ্বেদের যুদ্ধটাকে বৈদিক সম্প্রদায় ও অবৈদিক সম্প্রদায়ের যুদ্ধ বলা যায়। সে যুদ্ধটাও খুব বৃহত কোন যুদ্ধ ছিল বলে মনে হয় না।

১৩| ২০ শে মে, ২০১১ রাত ১১:০৫

অনিক আহসান বলেছেন: আর্য আক্রমন থিওরিটা কিন্তু এখন বেশ প্রশ্নসাপেক্ষ। ঋগ্বেদে আর্য বলতে আসলে উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন বলা হয়েছে। বহিরাগত আর্য আক্রমন যে অবশ্যই ঘটেছিল বর্তমান অনেক গবেষকই তা স্বীকার করেন না।
---------------------------------------------আপনার এই ব্যাখ্যায় খানিকা বিস্মিত....

২১ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৬

সন্যাসী বলেছেন: আশা করি আপনার বিস্ময়ের ঘোর কাটবে ৪র্থ পর্ব থেকে।

১৪| ২১ শে মে, ২০১১ রাত ৮:০৭

বিপ্লব৯৮৪২ বলেছেন: চলুক।
ভালো লাগছে।

২১ শে মে, ২০১১ রাত ৮:১৪

সন্যাসী বলেছেন: ধন্যবাদ বিপ্লব।

১৫| ২২ শে মে, ২০১১ সকাল ৭:৫৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ++++++++

২২ শে মে, ২০১১ রাত ১১:৫০

সন্যাসী বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৬| ২২ শে মে, ২০১১ সকাল ৯:৩৭

ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:

শূন্য জ্ঞান নিয়ে শুরু করলাম,
দেখি কতদূর যেতে পারি ।

২২ শে মে, ২০১১ রাত ১১:৫৯

সন্যাসী বলেছেন: হাহাহা। আপনি যদি এ কথা বলেন তাহলে আমাদের কী বলতে হবে?

২৩ শে মে, ২০১১ রাত ১২:১২

সন্যাসী বলেছেন: হাহাহা। আপনি যদি এ কথা বলেন তাহলে আমাদের কী বলতে হবে?

১৭| ২২ শে মে, ২০১১ সকাল ১১:২৩

আকাশ_পাগলা বলেছেন: ৭ নম্বর কমেন্টেঃ

আমি বইয়ে যা পড়েছি ওখানে লেখা ছিল প্রচুর কংকাল পাওয়া গেছিল প্রথমে যা স্লটারড। গলা কাটা এসব শত শত লাশ দেখে ধারণা করা হয় যে অন্য কারও আক্রমণে এদের সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হয়।

কারা করে তা জানা যায় নি। তবে ঐ সময় পেছনের উত্তর পাহাড়ে আরিয়ান/আর্যরা তৎপরতা চালিয়েছে বলে দেখা যায়। কাজটা ওরাও করতে পারে।

১৮| ২২ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:০৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: সিলে পদ্মাসনে উপবিষ্ট পুরুষ মূর্তি পাওয়া গেছে, পশু প্রাণী ঘেরা, অনেকের মতে এটা শিব মূর্তির আদি রূপ। আবার কারো কারো মতে এখানে মাতৃকাদেবীর (বেশ কিছু পোড়ামাটির নারী মূর্তি পাওয়া গেছে) উপাসনা করা হতো। সিলে এমন এক নারী মূর্তির ছবিও পাওয়া গেছে!

আপনার একটা রিপ্লাইতে একটু খটকা লাগলো " লেখক বলেছেন: ঋগ্বেদে ইন্দ্রকে কিন্তু আর্যই বলা হয়েছে।"
ঋগবেদে ইন্দ্রকে একাধিকবার শেখর নামে অভিহিত করা হয়েছে! বৈদিক ৩৩ দেবতার মধ্যে ইন্দ্র ছিলেন প্রধান। ঋগবেদের পূর্বব্তী কিছু কিছু গ্রন্থ আদিত্য, বাসু, রুদ্র, ইন্দ্র আর প্রজাপতি এর নাম উল্লেখ করা আছে, এবং এদের সকলের প্রধান ইন্দ্র!

২৩ শে মে, ২০১১ রাত ১২:১৩

সন্যাসী বলেছেন: আপনার একটা রিপ্লাইতে একটু খটকা লাগলো " লেখক বলেছেন: ঋগ্বেদে ইন্দ্রকে কিন্তু আর্যই বলা হয়েছে।"

এটা আসলেই ভুল হয়ে গিয়েছে। ঋগ্বেদে লেখকরা নিজেদেরকে আর্য বলে দাবী করেছেন, ইন্দ্রকে নয়। তবে আর্য শব্দের অর্থ যে কেবল একটা জাতিগোষ্ঠী নয়, বরং উন্নত-সভ্য জাতীয় কিছু সে সম্পর্কে পরে লেখা হবে।

১৯| ২২ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:৫২

রেজোওয়ানা বলেছেন: @আকাশ পাগলা, স্যার মার্টিমার হুইলার তার মহেঞ্জোদারতে উৎখননে প্রাপ্ত ৩৭ টা কংকালের কথা উল্লেখ করেছিলেন যে গুলোতে আঘাতের চিন্হ রয়েছে, মুলত এর উপর ভিত্তি করেই মধ্য এশিয়া থেকে আগত ইন্দোইউরোপিয়ান ক্ষুদ্রজাতিস্বত্তা আর্যদের আক্রমনে সিন্ধু সভ্যতা ধ্বংসে হাইপোথিসিস টি গড়ে উঠেছিল। কিন্তু পরবর্তি কালে ডেটিং এর মাধ্যমে আবিস্কৃত হয় যে, এগুলোর সময়কাল সিন্ধু সভ্যতা ধ্বংসের পরবর্তি কালের। এবং সম্প্রতি ড: ক্যানেথ কেনেডি (১৯৯৪) পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে, কংকালের মাথার এই ক্ষত গুলো কোন আঘাতের কারণে না, নর্মাল প্রাকৃতিক ইরোশনের কারণে তৈরি!

বিস্তারিত এখানে আছে "Edwin Bryant: The Quest for the Origins of Vedic Culture"

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.