![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রসূলুল্লাহ্ (দ.) এবং তাঁর সাহাবাগণ যা করেছেন তা হলো ইসলাম, রাজনীতি নয়। ইসলামে রাষ্ট্র ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, শিক্ষা, নাগরিক নিরাপত্তা, আনন্দ-বিনোদন, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিয়ে-শাদী, পরিবার-পরিজন, কৃষ্টি-কালচার সব কিছুই আছে। এগুলোকে কি আপনি রাজনীতি বলবেন না’কি ইসলাম বলবেন? রসূলুল্লাহ্ (দ.) এগুলো পালন করে কি ইসলাম চর্চা করেছেন না’কি রাজনীতি করেছেন? এখন যদি আপনি বলেন, আসলে রাজনীতি শব্দটা আমাদের একটা পরিভাষা। তাহলে আমি বলবো আমাদের এসব পরিভাষা পরিত্যাগ করা উচিৎ, যার কারণে আমাদের ইসলাম বুঝতে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।
ইসলামে রাজনীতি হারাম কথাটার অর্থ কি? ইসলামে রাজনীতি হারাম কথাটার অর্থ হলো যে, গণতন্ত্র . জাতীয়তাবাদ . ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের চর্চা হিসেবে মিছিল-মিটিং করতে গিয়ে গাড়ী ভাংচুর, হরতাল, অবরোধ, কারফিউ, ধর্মঘট, মানুষের জান-মালের ক্ষতি করা, একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বক্তব্যের মাধ্যমে মিথ্যাচার করা, মানুষের জান-মাল নিয়ে কূট-কৌশলের রাজনৈতিক খেলা করা, প্রতারণামূলক বক্তব্য দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো, বিভিন্ন ভাষকর্যে এবং ক্ববরে ফুল দেয়া, শিখা অনির্বাণ পালন করা, জন্মদিন পালন করা, শোক দিবস পালন করা, মুসলিমদের বিভিন্ন দলে বিভক্ত হওয়া ইত্যাদি ইসলামে বা কুরআন ও হাদিসে কোথায় আছে বলুনতো?
ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করতে ইসলামের নিজস্ব কর্মপদ্ধতি রয়েছে, এই যেমন-
(১) দাওয়াত তাবলীগ- স্বশরীরে মানুষের দ্বারে-দ্বারে গিয়ে বুঝানো, চিঠি-পত্র, ইন্টারনেট, খুৎবাহ, পেপার-পত্রিকা, টেলিভিশন, বিলবোর্ড, লিফলেট, পোষ্টার, সভা, সমাবেশ, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ইত্যাদি মাধ্যমে কাজ করা যায়।
(২) হিজরত করা- আল্লাহ্’র প্রতি ভালবাসায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সবকিছু অর্থাৎ েলে-মেয়ে, স্বামী-স্ত্রী, বাড়ী, গাড়ী, ব্যবসা-বাণিজ্য ত্যাগ করা বা কুরবানী করা।
(৩) ক্বিতাল ফি সাবিলিল্লাহ্- অর্থাৎ আল্লাহ্’র রাস্তায় সশস্ত্র লড়াইয়ে লিপ্ত হওয়া।
যেহেতু ইসলামের নিজস্ব কর্মপদ্ধতি রয়েছে তাই অন্যকোন পদ্ধতি গ্রহণ করা হারাম হবে।
©somewhere in net ltd.