![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মূলতঃ বিভক্তির সূত্রপাত হয় “ইখতিলাফের” মাধ্যমে আর সেটার প্রকাশ ঘটে সেই ইখতিলাফের “দলীয় নামকরণের মাধ্যমে।” কুরআনের ভাষ্য অনুযায়ী মু’মিনদের মাঝে ঝগড়া-ঝাটি হতে পারে এমকি রক্তক্ষয়ী লড়াইও হতে পারে। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ্ বলেন,
“মু’মিনদের দুই দল লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়লে তাদের মধ্যে মিমাংসা করে দাও...” -সূরা হুজুরাত, ৪৯/৯
এ আয়াতটিতে একটি বিষয় গভীরভাবে লক্ষ্যনীয় যে, যারা লড়াই করছে তাদেরকে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা মু’মিন বলে আখ্যায়িত করেছেন। আর তারা কিন্তু “ইখতিলাফ” করছে না তারা পারস্পরিক কোনো বিষয়ে ঝগড়া বা লড়াই করছে মাত্র। অর্থাৎ মু’মিনদের মাঝে রক্তক্ষয়ী লড়াইও হতে পারে কিন্তু শারীয়াহ্’র কোনো বিষয়ে “ইখতিলাফ” হতে পারবে না। কারণ আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা “ইখতিলাফ” পূর্ণ কোন কিছুই নাযিল করেননি। এসম্পর্কে আল্লাহ্ বলেন,
এরা কি লক্ষ্য করে না কুরআনের প্রতি? পক্ষান্তরে এটা যদি আল্লাহ্ ব্যতীত অপর কারও পক্ষ থেকে নাযিল হত, তবে এতে বহু “ইখতিলাফ” দেখতে পেত।” -সূরাহ নিসা, ৪/৮২
তাই মু’মিনদের মাঝে হয়তো ঝগড়া-ঝাটি থাকতে পারে কিন্তু কোন ধরণের “ইখতিলাফ” থাকতে পারবে না। “ইখতিলাফ” সম্পর্কে মহান আল্লাহ্ বলেন,
“আর তাদের মত হয়ো না, যারা বিভক্ত হয়ে গেছে এবং দালিল-প্রমাণ আসার পর “ইখতিলাফ” করতে শুরু করেছে-তাদের জন্যে রয়েছে ভয়ঙ্কর আযাব।” -সূরাহ্ আলি ইমরান, ৩/১০৫
আয়াতটি বলছে যে, সত্য প্রকাশ হওয়ার পর বা দালিল-প্রমাণ আসার পর আর “ইখতিলাফ” করতে পারবে না। আর যদি সত্য প্রকাশ হয়ে যায় বা দালিল-প্রমাণ আসার পরও “ইখতিলাফ” করে তাহলে তাদের জন্যে রয়েছে ভয়ঙ্কর আযাব। মানুষের মাঝে ভুল থাকতে পারে কিন্তু যখন সংশোধন করে দেয়া হবে তখন আর কেউ ভুলের উপর গোঁড়ামী করে থাকতে পারবে না। আর এই গোঁড়ামী মার্কা “ইখতিলাফ” সম্পর্কে মহান আল্লাহ্ বলেন,
“ইয়াহুদিরা বলে খৃষ্টানদের কোন ভিত্তি নেই আবার খৃষ্টানরা বলে ইয়াহুদিদের কোন ভিত্তি নেই। অথচ এরা উভয়েই আল্লাহ্’র কিতাব পাঠ করে। এমনিভাবে যারা মূর্খ তারাও এদের মতই কথাবার্তা বলে। অতএব, আল্লাহ্ ক্বিয়ামাতের দিন ফায়সালা করে দেবেন তারা যে বিষয়ে ইখতিলাফ করছিল।” -সূরাহ্ বাক্বারাহ্, ২/১১
...চলবে.......
©somewhere in net ltd.