![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিশোরী---- একে একে সব কথা পড়িতেছে মনে।
তোমারে চিনেছি আমি পূর্ণ জ্ঞানে মোর।
তুমি সেই নিষ্ঠুর পাষাণ বহু জন্মে যে আমারে
পোড়ায়েছে শুধু বিরহ অনলে।
কত জন্ম পরে পেয়েছি তোমারে ,
তবু মধুর পরশ হতে বঞ্চিত মোরা ,
মহাকালের ব্যবধানে রিক্ত আজি আমি ।
তোমারে বরিতে মোর আপন আলয়ে
কিছু নাহি মোর ।
চারিদিক হতে তুমি টানিছ আমারে
তবু সহস্র বন্ধন মাঝে থাকিব একাকি
মৃত্যু হবে তীব্র যন্ত্রায়,আমার প্রাণের ব্যথা
কেহ বুঝিবেনা।
সাধক----- চিনিয়াছ মোরে ? সব স্মৃতি জাগিয়াছে অন্তরে তোমার ?
চেয়ে দেখ, সেই আমি।কত জন্মপরে
আসিয়াছি তোমার সকাশে।এ জন্মে সর্বসুখ
ত্যায়াগী খুঁজিয়া মরিছি শুধু স্মৃতিরে তোমার ।
আজ যবে পেয়েছি তোমারে ,
তোমার পরশ ভিন্ন অনন্তের পথে যাইবনা আমি-
থাকি জাগিয়া আমি তোমার সকাশে ।
কিশোরী-----কালের এ মহা ব্যাবধানে এ জন্মে শুধু
বদনে রাখিয়া হাত জননীর মত পারি আমি
মুছে দিতে ক্লান্তি তোমার।
সাধক----- তাই কর, তাইকর, তাই কর তুমি
পূর্ব জন্মে ছিলে মোর বিরহনী রাধা ।
বাজায়ে বাঁশের বাঁশী হরেছি হৃদয়.
পূর্ব রাগ-অণুরাগ মান- অভিমানে
কাটিছে জীবন।কখনও ডাকিনি তোমা
অভিসারে মোর।
এ জন্মে ত্যায়গী প্রিয়া রূপ এসো তুমি
মাতৃ রূপে আমার আলয়ে।
ভিক্ষা যদি দিবে মাগো সন্তানে তোমার
মিনতী চরণে তব-
তোমার কোমল হাত রাখিয়া মস্তকে
স্নেহের পরশে একবার -
লইয়া তোমার কোলে,আচঁলে মুছায়ে দিয়ে বদন আমার
তৃপ্ত কর সন্তানের অতৃপ্ত বাসনা।
পূর্ব জন্মে অবহেলি কোরেছি যে পাপ
তোমার চরণ দুটি ধৌত করি অশ্রুজলে,
মুছে ফেলি সব গ্লানী, সব দু:খ লাজ।
যুগে যুগে বহু যুগে থাক মো সাথে।
র্স্ব সুখ নহে কাম্য মোর ত্যায়াগীয়া তোমারে।
কোশোরী---- রাখিনু হস্ত মোর মস্তকে তোমার
তৃপ্ত হও, তৃপ্ত হও সন্তান আমার।(মাথায় হাত রাখিল)
আর কিছু আছে কাম্য মোর কাছে তব ?
সাধক----- এখন জননী তুমি,পুত্র আমি তব
মাগি বর তোমার সকাশে-
বর মোরে দাও গো জননী।
কিশোরী----দিনু বর- জনমে জনমে তুমি বহুবারে
থাকিবে আমার সাথে,
লভিবে পরশ মোর।
সাধক---- তথাস্ত: মাত, ত্যাজিয়া তোমারে
ত্যায়াগিয়া আপনার রূপ বিধাতার স্বর্গসুখ চাহিনা আমার।
স্বর্গ থাক স্বর্গ ধামে যেতে নাহি চাই ,
তুমি যদি থাক মোর সাথে ধরণীর বুকে।
থাক তুমি মোর জন্ম জন্মান্তরে ,
বহূ রূপে মোর মাগো বহু বাসনায়।
(পূর্বের ন্যায় কীর্তণ গাহিতে গাহিতে চলে যেতে থাকবে।কিশোরী তার যাবার পথপানে চেয়ে থাকবে
এবং হস্ত প্রসারিত করে এমন ভাব দাড়ারে যেন মনে হয় তাকে যেতে দিতে মন চাহেনা)
সাধক----- কীর্তণ
বধুরে খুঁজিতে আসিনু হেথায়
পাইনু মায়েরে বুকে,
ভরিয়া গিয়াছে পরাণ আমার
কাঁদিবনা আন দুখে ।।।
স মা প্ত
২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৬
সরদার হারুন বলেছেন: না বুঝে মন্তব্য করেন কেন ?
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৭
মর্তুজা হাসান সৈকত বলেছেন: বলি রবীন্দ্র নজরুল বলয় থেকে বেরিয়ে আসুন নইলে টাইম মেশিনে চড়ে ১০০ বছর আগে ফিরে গিয়ে কাব্য সাধনা করুন । আপনার কাছে কবিতার সংজ্ঞা কি ? আপনি কবিতা বলতে কী বুঝেন জানাবেন ।
আপনাদের মত কিছু জ্ঞান পাপীদের জন্যই কবিতার এমন আকাল এ ব্যাপারে সেদিন নির্গুণ দাও বললেন ।