নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নবদিগন্ত

সাহিত্য লেখক

সরদার হারুন

সাহিত্য লেখক

সরদার হারুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাদের মৃত্যুর পরে কবর হয়না তাদের গোর আজাব হয় কি রূপে ? (আরজ অলী মাতুব্বর )

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০৫

উত্তর:- জনাব মাতুব্বর একটি অতি প্রাচীন প্রশ্ন তুলেছেন।এ ব্যাপারে অনেক চিন্তাবিদ বিভিন্ন মতামত দিয়েছেন।আমি আমার ব্যক্তিগত মতামত নিন্মে প্রদান করছি যদিও এগুলি ধর্মীয় সমাধান নয়, শুধুমাত্র আমার ব্যক্তি দর্শন।



তখন মক্কা মদীনায় যারা বসবাস করতেন তারা ছিলেন অধিকাংশ ইহুদী ও খ্রীষ্টান।মৃত দেহ তাঁরাও কবর দিতেন।তাই কবর সম্বন্ধে সবার সাধারণ ভীতি ছিল ।নানারূপ ধারণাও গড়ে উঠে। কবরে মনকির-নকিরের আগমন ,কথোপকথন এবং শাস্তি এক ধরনের সাহিত্যিক সত্য বলে আমার মনে হয়।পবিত্র কোরআনে আছে মানুষ পূনরুজ্জীবিত হলে তারা মনে করবে যে তারা ২/৪ দিন ঘুমিয়ে ছিল।আমার জানামতে কোরআনে গোর আজাব সম্বন্ধে কোন বর্ণনা নেই।শুধুমাত্র শেয় বিচারের পরে পুরস্কার বা শাস্তি হবে।এর মাঝে পৃখিবীর মত হাজত বাস থাকতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করিনা

তাতে আমাকে যে যাই ভাবুক না কেন।যুক্তি ছাড়া আমি এ বিষয় আমার বিশ্বাস ত্যাগ করতে পারিনা।

কবর বলতে আমি বুঝি একটি সময় কাল যা মৃত্যুর পর থেকে পূনর্থান পর্যন্ত সময় কাল- মাটির কবর নয়।এ সময় আত্মার কষ্ট হবে বলে যদি ধারণা করা হয় তাও মূল দর্শনের পরিপন্থী ।

মরহুম আল গাজ্জালী মনে করতেন যে, যে আত্মা পুথিবীর মায়া কাটাতে পারেনা সে আত্মার পৃখিবীর প্রতি মোহ বা আসক্তি থেকে যায়।সেই আসক্তির বিরহ বেদনাই গোর আজাব।

অন্যদিকে যে আত্মার অসক্তি থাকবেনা সে আত্মা ইল্লিন বা শান্তির স্থানে থাকবে।আর যে আত্মার

মোহ থাকে সে আত্মা থাকবে সিজ্জিন।মোট কথা গোর আজাব চরিত্র গঠনে সাহিত্যিক সত্য।



মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১২

শ।মসীর বলেছেন: তো আমাদের এখন কি করনীয় !!!

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪২

পারভেজ আলম বলেছেন: আপনের উত্তরএর সাথে আমি একমত না, কিন্তু উত্তর দেয়ার পদ্ধতি ভালো লেগেছে। ইবনে সিনা, ইবনে রুশদরা মৃত্যুর পরে যে কোন প্রকার দৈহিক পুনরুত্থানের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছিলেন, কবর আযাবও। গাজালি দার্শনিকদের এ ধরণের চিন্তার কঠোর সমালোচনা করলেও মৃত্যুর পরের শাস্তি বলতে আত্মার মোহনির্ভর আশক্তি বা বিরহ বেদনার ধারণাটাই গ্রহণ করেছিলেন যেটা মূলত মুসলিম দার্শনিকদের চিন্তা।

গোর আজাব চরিত্র গঠনে সাহিত্যিক সত্য। এই কথাটা পছন্দ হইছে। এই প্রথম কাউরে দেখলাম ইসলামী ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন চর্চার ভেতরের ডাইভার্সিটির জায়গা থেকে আরজ আলীর প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন। ভালো লাগলো।

৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪০

সরদার হারুন বলেছেন: মি. শ/মসির,
আপনি আপনার চিন্তামাফিক কাজ করবেন। আমি তো ধর্মীয় সমাধান দেইনি শুধু আমার মতামত দিয়েছি।

মি. পারভেজ আলম,
পৃথমেই আপিনাকে ধন্যাবাদ জানাই এ জন্য যে আপনার মধ্যে উনমুক্ত চিন্তা বিদ্ধমান।আমি আরজআলি সাহেবকে চিনতাম।ইতি পূর্বে আরও তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। পড়ে দেখবেন ।আরো লিখবো

৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬

চ।ন্দু বলেছেন: কোরআন অনুসারে গোর আযাব নেই। মৃত্যুর পরপরই আত্মা নিয়ে চলে যায় ফেরেস্তারা এবং তাকে ইল্লিনে বা সিজ্জিনে রাখে - এটা কোরআনের কথা। শরীরে আত্মা না থকেলে গোরআযাব আবার কি?

৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২১

সরদার হারুন বলেছেন: "গোর আজাব আবার কি ?" প্রশ্ন করলে বলবো জানিনা আর যদি ট্যাগ প্রশ্ন হয় বলব ,আল্লাহ জানেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.