![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীতে মানুষ সৃষ্টির পর থেকেই নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে অবাক বিষ্ময়ে ভাবছে কি সুন্দর রাতের নক্ষত্রপূজ্ঞ আর উজ্জ্বল সূর্য !উল্কা পিন্ডের
পতন দেখে পেয়েছে ভয় । তখনকার মানুষ প্রকৃতিকে বিভিন্ন রূপে কল্পনা করে আসছে। জানার স্পৃহা নিয়ে খুঁজে আসছে এদের আসল পরিচয়।
এক একটা ছায়াপথে আছে অসংখ্য কোটি নক্ষএের সমাহার আর এগুলি
অনবরত ছুটছে প্রচন্ড বেগে । তেমনি প্রতিটি গ্যালাক্সি ছুটে চলছে সেকেন্ডে প্রায় ১২ মাইল বেগে, আর একটি কুন্ডলির সংলগ্ন হয়ে ছায়াপথ গ্যালাক্সির চার পার্শে প্রতি সেকেন্ড ঘুরছে ১৩০ মাইল বেগে।
সূর্য তার পরিবার নিয়ে ছায়া পথ গ্যালক্সির সাথে চারিদিকে ঘুরে আসতে সময় নেয় বিশ কোটি বছর।
মানুষ জানতে পেরেছে কসমিক ডিমের কথা । মাধ্যাকর্ষণের দ্বারা বিশ্বের
বস্তু বা শক্তি সংকুচিত হয় এবং কসমিক ডিমের সৃষ্টি করে। আবার তার ফাটল থেকে মহাবিষ্ফারণের মাধ্যমে সৃষ্টির প্রাথমিক কাজের সূচনা হয়।
বর্তমান বিশ্বব্রমান্ডের সৃষ্টি এমনি এক বিস্ফোরণের মাধ্যমে হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা হিসেব করে দেখিয়েছেন যে বর্তমান নক্ষএ বিশ্বের উদ্ভব হয়েছে
আজ থেকে ১৫০০ কোটি বছর আগে।
বিজ্ঞানীরা সন্ধান পেয়েছেন নিউট্রন নক্ষএের। সূর্য অপেক্ষা ১.৪ গুণ ভর
সম্পন্ন একটি নক্ষএ বিস্ফোরিত হয়ে বেশীর ভাগ ভর হারিয়ে ফেলে।
এমতাবস্থায় ভরের চারি দিকে কঠিন চাপ বাড়তে থাকে এবং ইলেকট্রন ও
প্রোট্রন গলে গিয়ে নিউট্রনে পরিনত হয় এবং নিউট্রন ভরের আকার ধারণ করে । এ সব নিউট্রনের ভর এত সংকুচিতাবস্থায় থাকে যে কয়েকটি সূর্যের
ভর মাএ ১৬ কিলোমিটার ব্যাসের ভেতরে আবদ্ধ রাখা যায়। এই নিউট্রন ভরকে নিউট্রন নক্ষএ বলা হয়। এই নক্ষএ তাদের দেহে ১০ইনটু ১০ টুদি পওয়ার ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস উত্তাপ ধারন করতে সক্ষম ।
সূর্যের সৃষ্টি সম্মন্ধে বিজ্ঞানীদের মধ্যে মত বিরোধ আছে। যে হেতু এতকাল পরে প্রতক্ষ প্রমান হাজির করা যায়না সে হেতু তাদের মতামত গড়ে উঠছে পরোক্ষ প্রমানের সাহায্যে । পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা নিরীক্ষা থেকে
পাওয়া উপাত্তের উপরে বিভিন্ন বিজ্ঞানী যা কল্পনা করেছেন তারই উপর
আমরা বিশ্বাস স্থাপন করে আসছি। সাধারণত নিম্নলিখিত তথ্যের উপরে ভি্ত্তি করে মতামত প্রকাশ করেছেন।
১। সূর্যকে প্রদক্ষিণকারী ঘুর্ণিয়মান গ্রহ গুলির পথ উপবৃত্তাকার ।
২। সবগুুলি গ্রহই ঘড়ির কাটার উলটা দিকের মত সূর্যকে প্রদক্ষিণরত।
৩। গ্রহ গুলির ঘোরার কক্ষ প্রায় সমতল ।
৪। একমাএ ইউরেনাস ব্যতিত অন্য গ্রহ গুলি নিজ নিজ মেরুদন্ডর
চার পার্শে ঘুরছে ।
এদের এ মিলের জন্য বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে গ্রহ গুলি প্রায় একই সময় সৃষ্টি হয়েছে। সূর্যকে প্রদক্ষিণরত গ্রহের কৌণিক ভর বেগের যোগফল
সূর্যের চেযে ৬০ গুণ বেশী। এ সব তথ্যের ভিত্তিতে ফরাসী বিজ্ঞানী পিয়ার লা প্লাস ১৭৭৬ সালে তারও পূর্বে ১৭৫৫ সালে জার্মান দার্শনিক কান্ট
বলেন যে সূর্য আদি বস্তু পুঞ্চের উষ্ণ নিহারিকা থেকে গৃহগুলির সৃষ্টি। তাঁদের মতবাদকে কান্টলাপ্লাস নহিারিকা মতবাদ বলা হয়।
এর পরে ১৯১৬ সালে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জেমস জীন দৈব ঘটনার মতবাদ
পৃকাশ করেন। তার মতবাদ এই উপমহাদেশের পাঠ্য পুস্তকে পাঠ্য করে
আমাদের মাথা ধোলাই করা হয়।" দি অরিজিন অব লাইফ অন আর্থ
প্রবন্দে তিনি বলেন যে,ঘুরতে ঘুরতে কোন এক বিশাল নক্ষএ র্সর্যের পাশ কাটিয়ে যাবার সময় সূর্যের গ্যাস পিন্ডের বুকে জোয়ার উঠে ছিটকে পরে।
ছিটকে পরা গ্যাসই ঠান্ডা হযে পরে গ্রহ উপগ্রহের সৃষ্টি হয়। তার মতে দুহাজার মিলিয়ন বছর পূর্বে এ ঘটনা ঘটে। তার মতবাদ এখন আর কেউ গ্রহন করেনা ।
১৯২৯ সালে এডুইন হ্যাবল একটি যুগ নির্দেশক পর্যবেক্ষণ করে বলেন যে ,
যেদিকে দৃষ্টি যায় সে দিকেই দেখবেন যে নিহারিকা গুলি আমাদের কাছ
থেকে দুরে সরে যাচ্ছে। অর্থাৎ মহাবিশ্ব প্রসরমান। এতে বুঝা যায় অতীতে বস্তুগুলি পরস্পর নিকটে ছিল। সে সময় মহাবিশ্বের ঘনত্ব ছ্রিল অসীম ।
এ ধারনা থেকে থেকে এসেছে "বিগব্যাংগ থিওরি" । এখন বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে মহা বিশ্ব অনন্ত কাল এমন ছিলনা। এটা সৃষ্টি করা হয়েছে।
১৫০০ বছর আগে পবিএ কোরঅানের সুরাঅম্বিয়ার (২১ নং সুরা) ৩০ নং আয়াতে বলা হয়েছে-
" যারা অবিশ্বাসী তারা কি দেখছেনা যে মহাকাশ ও পার্থিব জগৎ মিলিত
শক্তি ছিল ? তারপরে আমরা তাদের দুটিকে বিচ্ছিন্ন করিলাম। আর পানি থেকেসৃষ্টি করলাম প্রাণবন্ত সব কিছু তারা কি তবুই বিশ্বাস করবেনা ?"
( ডা:জহুরুল হক অনুদিত)
বিজ্ঞানীরা এ্ই মহাবিশ্বের পরিনাম বলতে পারেনি কিন্ত কোরআনে বলেছে,
"আমরা সে দিন আকাশকে গুটায়ে নিব যেমনটা গুটানো হয় লিখিত নথি পএ(বই) যেভাবে আমরা প্রথম সৃষ্টি করেছিলাম সে ভাবেই পূন: সৃষ্টি করবো ।.( সুরা ২১ আয়াত ১০৪) ।
বিজ্ঞানীদের আবিস্কারের আলোকে আমার ধারণা যে মহাকাশের কার্য প্রনালীর সাথে পৃথিবীর কার্য প্রনালার মিল আছে।পৃথিবীতে সৃষ্টি হচ্ছে
আবার ধবংস হচ্ছে। পৃথিবীর পরিবর্তন হয় মহাকাশের মত ধীর গতিতে
আবার হঠাৎ। মহাকাশেও তাই।
বস্তুকে শক্তিতে আবার শক্তিকে বস্তুতে পরিণত করা যায়।আইনস্টোইনের
আবিস্কৃত এ সত্য যেন ভারতিয় দর্শনের হাজার বছরের একটি ধারণাকে রূপ দান করছে।
ভারতিয় দর্শনে পরম আত্মার উল্লেখ আছে।পরম আত্মা প্রত্যেক বস্তু ও প্রণীতে বিদ্যমান। সব জীব আত্মাই পরম আত্মায় বিলীন হতে চায়।
বস্তুর পরমানুকে একএে রাখে ইলেকট্রন ও প্রোটনের আকর্ষণ । আর এ আকর্ষণ এক প্রকার বদ্যৈুতিক শক্তি। আবার এগুলি নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র
করে ঘুরে। পরম আত্মা সর্বভূতে বিরাজমান। জীব আত্মা পরম আত্মা থেকেই উৎপত্তি।
জীবণহীন পদার্থ থেকেই জীবনের সূএপাত।পৃথিবীর আদি জীবন ছিল
নিজস্ব উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন নিউক্লিক এসিড, যা নিজেদের
সাইটোপ্লাজম ও মেমব্রেন ঝিল্লী দ্বারা আস্তে আস্তে আবদ্ধ করতে সমর্থ
ছিল।এ সব নিউক্লিক এসিড তাদের নিউক্লিওটাইড পর্যায়ক্রমের সাথে
জোরাবন্দী করতে সক্ষম। এক পর্যায় জোরাবন্দীর অসংগঠিত নিউধ্যেক্লিয়াস বিশিষ্ট আদি কোষের জন্ম হয়।এই রূপে বিবর্তনের মধ্যেমে বর্তমান প্রাণীর সৃষ্টি।
তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, প্রাণেরসৃষ্টিও প্রাণহীন পদার্থ থেকে।
আমরা বর্তমান বিজ্ঞানের আবিস্কার এবং প্রাচীন দার্শনিকদের চিন্তার মিল
খুঁজে পাই।
তাই আমি বলতে চাই যে জীবন দুই প্রাকার । একটি শাশ্বত চিরন্তন যা
সমস্ত বস্তু ধবংস হলেও থাকবে। এ জীবণ মহা জীবন যার কোন শেষ নেই।
আমরা প্রচলিত জীবন বলি তা জীব আত্মা যা ক্ষণস্থাই ।
আমরা পবিএ কোরআনের(৫৫ নং) সুরা আর রহমানে দেখতে পাইযে সমস্ত কিছু ধবংস হলেও প্রভূর সত্তা থাকবে চির বিরাজমান।
এখন আমার ধারণা বস্তুর চুম্বক শক্তিই বস্তুর প্রাণ ।এ প্রাণ জড়ত্তের মধ্যে
থেকেও জীবন্ত। যে জন্য এক বস্তু অন্য বস্তুকে আকর্ষণ করে ।
এ আকর্ষণ সৃষ্টি হয়েছে মহাজাগতিক রশ্মি( কসমিক রেডিয়েশন)ও চুম্বকত্বই সবসময় কর্মক্ষম প্রাণ।
এতক্ষণ পদার্থের জীবন সম্মন্ধে আমার ধারণা বলিছি। আগামী পর্বে
বলব সূর্য়ের ঋতুচক্র সম্মন্ধে ।
চলবে...........
©somewhere in net ltd.