![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
র্পূর্ণিমার রাত = ২
(........... কবে অসবে তার প্রিয়া তাহলে তাহার পথে হৃদয়ের সব ফুল বিছায়ে দিতো ।---এই পর্য়ন্ত ছিল)
আরম্ভ-
সে আজ অকাশের তারার মাঝে লুকিয়ে আছে । সারা রাত তাকে কেঁদে কেঁদে ডেকেছে কিন্তু সাড়া দেয়নি । রাতের ফোটা ফুল ডেকে ডেকে বলেছে তুমি তাকে পাবেনা । আজ সে একান্ত একা তবুও মনে হয়। সামনে দাড়িয়ে আছে।
স্মৃতি কখনও ম্লান হয়না । সে চির নবীন চির সবুজ । তার মনে জাগে ভৈরবী
সুর-
বলছে ডেকে দূরের থেকে সন্ধ্যা মালতী
জুঁই চাঁপা না গোলাপ বকুল অরো কেতকি।
আমি পাবনা তারে আমি খুঁজেছি যারে ,
তবে কে গো দাঁড়িয়ে আছে নিয়ে তার নয়ন ,
আমার হৃদয় ছেঁড়া ধন ।।
এমনি রাতে শ্মশানে কে যেন নীল শাড়ি পরে হাটছে । কখনো কাঁদছে আবার কখনও গাইছে ।দীঘির ঘাট ছেড়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে গেল
নীল শাড়ি পরা ছায়ার দিকে । ভূত -প্রেত কিছুই বিশ্বাস করেনা সে । যতই এগিয়ে যায় ছায়ামূর্তি ততই দূরে সরে যায় । আেরা কাছে আসতেই ছায়ামূর্তির দিকে এগিয়ে জিজ্ঞেস করলো- কে তুমি ?
ছায়া মূর্তি নীরব নীশ্চুপ । আরো কাছে এগিয়ে বললো - তুমি কি হাসি ?
তুমি কি বাণী ?
ছায়া মূর্তি কথার জবাব না দিয়ে শুধু কাঁদে । করুণ ভাবে কাঁদে । আরো কাছে এগিয়ে বললো - হাসি, তুমি প্রতি দিন কাঁদ কেন ? থামেনা কান্না ।
হটাৎ ছায়ামূর্তিকে ধরে ফেললো মমিন । ছায়া নয় ,মানুষ, রক্ত মাংসের
বাস্তব মানুষ । মমিন জিজ্ঞস করলো,কমলা, তুমি এখানে ?
এবার কথা বললো ছায়ামূর্তি । হ্যাঁ,আমি এখানে। শুনেছি তোমাদের হাসির
অতৃপ্ত আত্মা ঘুরে বেড়ায় । আমি তার সাথে দেখা করবো ।আমি তাকে বলবো ,আমি নাকি অবিকল তোমার মত ।আমি তোমার সাথে এখানে থাকতে চাই ।লোকে বলে আমি তোমার প্রতিচ্ছায়া । তপু নাকি নিশীত রাতে তোমার সাথে দেখা করতো, কথা বলতো । তপু যদি পারে তবে আমি তার প্রতিচ্ছবি হয়ে কেন পারবো না ?
বলতে বলতে মমিনকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললো ,কমলা ।
পৃথিবীর মানুষ যখন গভীর ঘুমে অচেতন, তখন একটি মৃত মানুষের
চিতার পাশে জ্বলছে দুটি জীবন্ত মানুষের অন্তর । চক্রবর্তীর আশ্রমে রাগ প্রধান গান শোনা যায় ,এখান থেকে -
চিতা পোড়ায় দেহখানি অনলে তায়
অরুণ করুণ আঁখি জলে ভরে,
দরশন কে দিল এসে আমারে ?
দেখিতে কি সুন্দর !
মমিনের বুকে মাথা রেখে নির্জন সমাধি ভূমে কমলা বললো - মমিন, তুমি কে ? কেন এখানে আস ? সত্যিকরে বল মমিন তুমি কি ছদ্মবেশী তপু ?
কেন তুমি রাতের বেলায় ভয়াল শ্মশান ঘাটে ? কনক চাঁপার নীচে ? কি চাও এখানে ? মমিন বললো-
আমিও দেখতে চাই সেই নীল শাড়িপড়া মেয়েটিকে যার আত্মা কেঁদে কেঁদে বেড়ায় এখানে । সেই মেয়েটি যার চিবুক ছিল পাকা কমলার মত, যার দেহাবরণ ছিল বসরাই গোলাপের মতন । যার চুলের বেণীতে তপু গুঁছে দিত রক্তজবা,যার সঙ্গীতের মূর্ছনায় প্লাবিত হতো আকাশ,বাতাস,যার হাসিতে ঝরতো মধু,কান্নায় মুক্তা, যে ভালবেসে প্রাণ দিয়েছিল এক পাষাণ দেবতাকে ।যাকে মনে হতো বেহেস্তের হুরী । যে ছিল তপুর আত্মা ,তপুর প্রাণ তপুর পৃথিবী,তপুর প্রেম ,তপুর ইহকাল তপুর পরকাল ।যার জন্যে
তপু আজ গৃহ হারা । যাকে বাংলার পথে প্রান্তে চারণ কবির মতো খুঁজে
বেড়াচ্ছে তপুর মন। বাণীর বীণা বাজে তার কানে । সে সুর জাগায় তপুর হৃদয় সমুদ্রে উত্তাল তরঙ্গের সফেন আন্দলোন।
মমিন আজ বড় বেশী আবেক প্রবণ হয়ে পরেছে মমিন ।এমনিটি আর কথনো দেখেনি কমলা ।
কমলা বললো, চলো আমরা চলে যাই এখান থেকে ।
যাকে দেখিনি কোন দিন সে আজ আমার সবচেয়ে বড় শত্রু, আমার আরধ্য, দেবী অামার জীবনের ধ্রুবতারা। আমার মাঝে মাঝে মনে হয় আমি যেন সেই হাসি আর তুমি তপু। আমরা হারিয়ে যাব। ইতিহাসের পাতায় শাহজাহান ,মমতাজ, সিরি-ফরহাদের নাম থাকবে । আমাদের নাম সে খানে থাকবেনা ।নাইবা থাকুক,তবুও এটা সত্য যে আমরা ভালবেসেছিলেম ।আমরা পৃথিবীর অসংখ্য নাম না জানা প্রেমিকের মধ্যে
একটি যুগল । চল এখানে আমার দমবন্ধ হয়ে আসছে । এ বাড়ি, এ গ্রাম,অভি অভিশপ্ত গ্রাম। যতক্ষণ এ খানে আছি ততোক্ষণ তোমাকে আমি নিবিড় করে পাব না । আমরা যে খানে যাব সে খানে থাকব কপোত কপতির মত । সে খানে তুমি কর্মক্লান্ত দেহ মন নিয়ে আসবে আমি তোমার ক্লান্তি দূর করার জন্যে ভালবাসার ডালী সাজিয়ে রাখবো । আদর করে তুমি আমায় ডাকবে "কমল" বলে আর আমি তোমাকে ডাকবো মমি বলে। সে খানের সবাই বলবে ,ঐ দেখ বাড়ি । ওখানে বাস করে কমল মমি । মমিন বললো -
কোথায় তোমার সে কল্পিত স্থান ?কমলা বললো ,জানিনা, শুধু জানি আমাদের যেতে হবে ।তুমি কাছে থাকলে পৃথিবীর যে কোন স্থানে যেতে পারি ।,
মমিন বললো ,যাব । তুমিতো জান আমি যেখানেই থাকি ফিরে আসি তোমার কাছে । আসবো চিরদিন,মৃত্যুর পরেও আমার লাশটা তোমার কাছেই ফিরে আসবে ।
(পূর্ণিমার রাতের অধ্যায় শেষ । নতুন অধ্যায় আরম্ভ হবে)
২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০৪
সরদার হারুন বলেছেন: চলবে ,আল্লাহর রহমতে। আপনাদের ভাললাগাই আামার প্রেরন ।
ধন্যবা ।
৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:৩৯
পিয়ালী দও বলেছেন: ভাল
৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২৮
সরদার হারুন বলেছেন: বোন, তোমাদের ভাললাগাই আমার লেখার অনু্প্রেরণা ।
আমি চাই যে আমার লেখার যেন একটা আালাদা ধরণ থাকে যাতে পড়লেই পাঠক
যেন বুঝতে পারে যে কার লখা তনি পড়ছেন।
তোমাকে ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১১
এহসান সাবির বলেছেন: চলুক।