নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাঈদ শিহাব

সাঈদ শিহাব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভয়ানক স্মৃতি

২৬ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:১০

'মাঝরাতের পর আপনি আর কিছু খেয়েছেন বা পান করেছেন, মিস জেরিন?'
'ভেবে দেখতে হবে। সকালের নাস্তার জন্য পরোটা আর ডিম খেয়েছি।' রুমু বলল। 'ও..... আর সাথে দুই কাপ কফি।'
নার্স অবিশ্বাসের সাথে তার দিকে তাকিয়ে রইলো।
'মজা করলাম। আমি নিয়মগুলো জানি। এটা আমার জন্য প্রথম অপারেশন না।'
ঝর্ণা রহমান চোখ বড় বড় করে বললেন, 'মা এরকম করিস না তো।'
'আম্মু তুমি তো জানোই আমার স্মৃতি শক্তি খুব ভাল। ডাক্তার যা যা বলেছিলেন আমার সব মনে আছে। তোমার কি আমার টনসিলের অপারেশনের কথা মনে আছে যখন আমার বয়স আট বছর ছিল? হাসপাতালের পাশের শপিং মল থেকে একটা পুতুল কিনে দেওয়ার জন্য আমি খুব কান্না করেছিলাম কিন্তু তোমরা আমাকে কিনে দাও নি।'
'আমার সেই ঘটনা মনে নেই মা। কিন্তু আমি তোর কথা বিশ্বাস করলাম।' মিসেস রহমান নার্সের দিকে ফিরললেন। 'আমার মেয়ের স্মৃতি কম্পিউটারের মত।'
'দেখি আমার বয়স অনুমান করতে পারো কিনা।' রুমু বললো।
নার্স তার হাতের চার্ট চেক করললো। ' এখানে তো চল্লিশ লেখা।'
'ঠিক। আর এই বয়সেও আমার ছোটবেলার সব কিছু মনে আছে।'
'এটা সত্যিই অবাক করার মতো।' নার্সটি কোন রকম আগ্রহ ছাড়া বলল। 'আপনাকে অবশ করার জন্য কিছুক্ষণের মধ্যেই ডাক্তার চলে আসবেন।' বলেই সে ঘুরে চলে গেল।
'অজ্ঞান করে রাখাটা আমি মোটেই পছন্দ করি না।' রুমু তার মাকে বললো।
'তোর শরীরে যখন ছুরি চালানো হবে তুই কি তখন জেগে থাকতে চাইবি? '
'আমার মনে হয় আমি সেটা সহ্য করতে পারবো।'
একজন তরুণী ভিতরে ঢুকলো। ' হ্যালো, মিস জেরিন। আমি ড.ফারিবা, অপারেশনের জন্য আপনাকে অবশ করার দায়িত্বে আছি আমি।'
'দু:খিত, ডাক্তার, মনে হচ্ছে আমার মেয়ের আপনার সাহায্যের প্রয়োজন হবে না।'
'মা।' রুমু কিছু বলার চেষ্টা করলো।
'মানে? আপনারা কি অপারেশন করাবেন না?' ডাক্তার জানতে চাইলো।
'তা না।' মিসেস রহমান বললেন। 'আমার মেয়ে অপারেশনের সময় জেগে থাকতে চাচ্ছে।'
বিস্ময়ে ডাক্তারের চোখ বড় বড় হয়ে গেল।
'না না, আমি মজা করছিলাম।' রুমু বললো। 'মা,আমি কি তোমার সাথে একটু ঠাট্টাও করতে পারি না?'
মিসেস রহমান ডাক্তারের দিকে তাকিয়ে হাসলেন। 'আমার মেয়ে খুব ভীতু।'
ডাক্তার রুমুর দিকে তাকিয়ে হাসলো। ' ভয় পাওয়ার কিছু নেই মিসেস জেরিন, আমি আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি যে এই অপারেশনটা খুবই সাধারণ।'
'না, অবশ্যই নেই।' রুমু নিজের মায়েরর দিকে ভেঙ্গচি কাটলো।
ড.ফারিবা রুমুকে আশ্বস্ত করলো যে অপারেশনটা সুষ্ঠভাবেই শেষ হবে। এরপর সে একটা সিরিঞ্জ বের করে রুমুর দিকে এগিয়ে এলো। 'এটা আপনাকে ঘুমাতে সাহায্য করবে।'
দুইজন আর্দালি এসে রুমুর বেডটা অপারেশন রুমের দিকে গড়িয়ে নিয়ে চললো।
'পরে দেখা হবে মা। আমি তোমাকে খুব ভালবাসি।'
'আমিও রুমু।'
*********************
'এখন কেমন লাগছে,রুমু?'
'মনে হচ্ছে ভাল।' রুমু পুরো রুমটার উপর চোখ বুলালো। 'অপারেশন করতে কতক্ষণ লেগেছে?'
'প্রায় ত্রিশ মিনিট। তবে জ্ঞান ফিরেছে আরো দুই ঘন্টা পর।'
'আমি তো টেরই পেলাম না। এখন কয়টা বাজে, মা?'
মিসেস রহমান মোবাইলের স্ক্রিনে তাকালেন। 'পাঁচটার চেয়ে কিছু বেশি।'
'ওহ, বিশ্বাসই হচ্ছে না আমি পুরোটা সময় ঘুমিয়ে ছিলাম।'
মিসেস রহমানকে হতভম্ব দেখালো। 'রুমু, তুই জেগে ছিলি। তোকে আরো এক ঘন্টা আগে এই রুমে আনা হয়।'
'আমার তো কিছুই মনে নাই। আমাকে যখন এখানে আনা হয় তখন কি আমি কিছু বলেছিলাম, মা?'
'তুই বলেছিলে তোর পিপাসা পেয়েছে। তাই আমি তোমাকে স্প্রাইট দিয়েছিলাম। আর সাথে খাওয়ার জন্য বিস্কিটও দিয়েছিলাম।'
'ও হ্যা। এখন মনে পড়েছে। আমি গলা এতই শুকিয়ে গিয়েছিল যে আমি চিবুতে আর গিলতে পারছিলাম না।'
'সেজন্যই স্প্রাইট দিয়েছিলাম।'
'হুমম। এখন সব মনে পড়ছে।' রুমু কতক্ষণ ভেবে বললো। 'অজ্ঞান করলে কিছুই মনে থাকে না দেখছি।'
'সেটাই ভাল। ছুরি দিয়ে নিজেকে কাটতে দেখলে তোর ভাল লাগতো না।'
'কিন্তু আমি অপারেশন রুমে ঢুকার কথাও মনে করতে পারছি না।'
'সত্যি?'
'হ্যা। আমার মনে আছে আমি তোমাকে বিদায় দিচ্ছিলাম আর তারপর...... সব ফাঁকা।'
'অবশ করার ওষুধটা দ্রুত কাজ করেছিল।'
'মা, টুটুল এর খবর কি?'
'ও বাসায় তোর আব্বার সাথে আছে।'
' তুমি এখনই বাসায় যাও। আমার ছেলেটা কিছু খেয়েছে কিনা কে জানে।'
'তোর আব্বা খাইয়ে দিয়েছে, ফোনে জানিয়েছে।'
'না, তুমি বাসায় যাও। টুটুলের দিকে খেয়াল রেখো। আমি ঠিক আছি। সকালে দেখতে এসো।'
'সত্যি? আমি রাতেও আসতে পারবো।'
'আমার সেটা ভালো লাগতো কিন্তু তখন আমি ঘুমিয়ে থাকবো। আশা করি তুমি আমার ঘুম নষ্ট করতে চাইবে না।'
'ঠিক আছে...... তোর যা ইচ্ছে।'
**************
এলিভেটর বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে রুমু প্রায় চল্লিশ মিনিট ঘুমিয়েছিল। দুই জন লোক, আর্দালি হবে হয়তো, কথা বলতে লাগল।
'এটা আজ রাতের ভিতরই করতে হবে। একবার এলার্ম বন্ধ করে দিতে পারলেই আমি ওকে সরিয়ে ফেলতে পারবো আর ও অজ্ঞান হয়ে যাবে। এরপর আমি আবার সব ঠিক করে এলার্ম চালু করে দিব। তুই শুধু খেয়াল রাখ যাতে কেউ না আসে।'
'ঠিক আছে।'
'মনে রাখিস পুরো বিপদটাই আমার ঘাড়ের উপর দিয়ে গেলেও তুই কিন্তু পুরো টাকার অর্ধেকই পাবি।'
'চিন্তা করিস না, আমি তোর সাথেই আছি।'
রুমু এক নজর দেখে নিল। সে দুইজনের একজনকে ডান হাতের অনামিকায় পরানো রুপার আংটিটা ঘুরাতে দেখলো। দ্রুত সে চোখ বুজে ফেলল।
এরা কিসের টাকার কথা বলছে? রুমু অবাক হলো। তার তো কিছুই নেই। স্বামীর সাথে অনেক আগেই ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। এখন নিজের ছেলেটাকে নিয়ে বাপের বাড়িতে থাকে। ওর বাবা অবশ্য অনেক ধনী।
সে এলিভেটরের দরজা খুলে যাওয়ার শব্দ শুনতে পেল। এরপর সে টের পেল তার বেডসহ তাকে গড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে। সে তার শরীরটাকে নিজের বেড থেকে অপারেশনের বেডে সরিয়ে নেওয়াটা অনুভব করতে পারলো।
বেশ কিছু দূরে সে কথা বলতে শুনলো যার কিছুই সে বুঝলো না। এরপর সে শুনতে পেল, 'ঠিক আছে, শুরু করা যাক।'
রুমু গলার আওয়াজটা চিনতে পারলো। এটা ছিল তার ডাক্তারের গলা। সে তার পেটে তীক্ষ্ণ ব্যাথা অনুভব করলো।
না, দাঁড়াও- আমি জেগে আছি! কেউ শুনছো! আমাকে বাঁচাও! কিন্তু সে কথা বলতে পারলো না। চোখও খুলতে পারলো না। ব্যাথায় তার মুখ নীল না হওয়া পর্যন্ত সে মনে মনে চিৎকার করে গেল। এরপর ডাক্তার হঠাৎ অপারেশন বন্ধ করে দিল।
কেঁপে উঠে রুমু জেগে গেল।
কি ভয়ানক দু:স্বপ্ন! সে আলতো করে তার অপারেশনের জায়গাটা ধরলো। স্বপ্নেও সে ঠিক এই জায়গাটাই দেখেছিলো।
এরপর সে মাথা ঘুরাতেই দেখতে পেল তার পাশের বেডে নতুন রোগী এসেছে।
'হ্যালো, আমি রুমু। আপনার নাম? '
কোন উত্তর আসলো না।
'আপনি কি জন্য ভর্তি হয়েছেন?' কেমন যেন জেলে বন্দী কয়েদীর কথার মতো শোনাচ্ছে। দু:স্বপ্নটা দেখার পর থেকেই রুমুর নিজেকে কয়েদী মনে হচ্ছে।
এবারো কোন উত্তর এলো না। কারো সাথে কথা বলতে পারলে ভাল লাগতো। এমন সময় একজন নার্স আসলো।
'ওষুধটা খেয়ে নিন। এটা আপনাকে ঘুমাতে সাহায্য করবে, মিস জেরিন।'
'কিন্তু আমার এখন ঘুমাতে ইচ্ছে করছে না।'
'ঠিক আছে, কিন্তু ডাক্তার বলেছেন। তাই........'
নার্সের হাত থেকে দুটা ট্যাবলেট আর এককাপ পানি নিতে নিতে রুমু মনে মনে দোয়া করলো যেন স্বপ্নে দেখা লোকগুলো বাস্তব না হয়। যেখানে আশেপাশে খুনি ঘুরে বেড়ায় সেখানে কে আরামে ঘুমাতে চাইবে?
রুমু ট্যাবলেট দুটো মুখে দিল। এরপর অল্প একটু পানি গালে ঢালল।
'এবার একটু ঘুমানোর চেষ্টা করুন।' বলেই নার্স চলে গেল।
রুমু গালে আঙ্গুল ঢুকিয়ে জিহ্বার নিচ থেকে ট্যাবলেটগুলো বের করে আনলো আর সেগুলো বালিশের নিচে চালান করে দিল। সে বিশ্বাসই করতে পারছে না সে সিনেমার মত কাজটি করতে পেরেছে।
কিন্তু কিছুক্ষণ পরে তার এমনিতেই ঘুম পেয়ে গেল।
একটা দুর্গন্ধ তাকে জাগিয়ে তুলল। পেঁয়াজ আর রসুনের সাথে পচা তামাক। কিন্তু সে চোখ খুলল না।
এরপর সে মানুষটাকে তার বেডের পাশ থেকে চলে যেতে শুনলো। একদম ছোট করে এক চোখ খুলে সে একজন আর্দালিকে তার পাশের বেডের উপর ঝুঁকে থাকতে দেখলো।
এটা মোটেই স্বপ্ন ছিল না। রুমু ভাবলো। এটা এখন ঘটছে। তার পাশের বেডের মহিলাটিকে খুন করা হচ্ছে।
সে আস্তে করে তার বেডে যুক্ত থাকা সুইচটি চেপে দিল। আহ, এবার তোরা শেষ।
'আপনাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারি?' স্পিকার থেকে নার্সের গলা শোনা গেল।
'বাঁচাও। আমার পাশের....'
একটা শক্ত হাত তার মুখ চেপে ধরলো।
'ঠিক আছে, আলম।' আর্দালি বললো। 'আমি এটাকে দেখছি।'
'ধন্যবাদ।'
না,না! রুমু ভাবলো। লোকটা ওই মহিলাটিকে খুন করছে। আর এখন আমাকে খুন করবে!
আর্দালিটি তার হাতে একটি সিরিঞ্জ গেঁথে দিল। রুমুর চারপাশে আঁধার নেমে এলো।
***********
'রুমু? রুমু?'
রুমু আচমকা জেগে উঠলো। 'মা, তোমাকে দেখে কি যে ভালো লাগছে।' সে তার পাশের রোগী ঠিক আছে কিনা দেখার জন্য সেদিকে তাকালো। বেডটা খালি। ওই মহিলাটির কোন চিহ্নই নেই।
'কি হয়েছে?'
'ওই বেডটাতে কাল রাতে একজন মহিলা ছিল। তারপর একজন আর্দালি এসে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দিয়ে তাকে খুন করলো।'
'এসব তুই কি বলছিস, রুমু?'
'আমি এটা নিজ চোখে দেখেছি। এরপর আমি নার্সকে ডাকার জন্য এলার্ম সুইচটা টিপে দেই। কিন্তু সাথে সাথে লোকটা আমার মুখ চেপে ধরে আর ইঞ্জেকশন দিয়ে আমাকে অজ্ঞান করে দেয়।'
'রুমু, তুই কি বুঝতে পারছিস তুমি পাগলের মত কথা বলছো?'
'বিশ্বাস করো, আমি সত্যি বলছি।'
'ঠিক আছে। আমি গিয়ে নার্সের সাথে কথা বলছি।'
মিসেস রহমান পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ফিরে এলেন। 'এখানে কাল রাতে তোর সাথে কেউই ছিল না, মা। কিন্তু তুই সারা রাত চেঁচিয়েছিস। তাই ডাক্তার তোকে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ দিয়েছিল।'
রুমু জমে গেল। তার স্মৃতি এবার তার সাথে ছলনা করা শুরু করে দিয়েছে। সে আশা করলো এটা তার অপারেশনের কারণে দেওয়া ওষুধগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া আর কিছুই না।
'আমি বাসায় যেতে পারবো কখন?'
'ইচ্ছে করলে এখনই।'
'ঠিক আছে। আমাকে এখান থেকে নিয়ে চলো।'
**************
একজন আর্দালি আর একজন নার্স আড়াল থেকে রুমুর বেডটাকে এলিভেটরের ভিতর গড়িয়ে নিয়ে যেতে দেখলো। এরপর মিসেস রহমান সেখানে ঢুকলে দরজা বন্ধ হয়ে গেল।
'বৃদ্ধ মহিলাটি সারা রাত দু:স্বপ্ন দেখেছে।' আর্দালিটি বললো।
'কিন্তু আমার মনে হয় সে সত্যটা জানার অধিকার রাখে।'
'এরপর সে যদি মিডিয়াকে তার এই কাহিনীটা বলে দেয় তখন কি হবে? কল্পনা করে দেখ, একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক সারাদিন এখানে ঘুরে ঘুরে একজন আর্দালির রোগী খুন করা সম্পর্কে বাজে ধরণের প্রশ্ন করছে। এমনিতেই লোকজন আজকাল আমাদের বিশ্বাস করে না।'
'বুঝতে পারছি।'
'এটা শুধুই একটা পাগলাটে বুড়ির দু:স্বপ্ন। কিন্তু টিভি চ্যানেলগুলো রেটিং বাড়ানোর জন্য পারলে একটা কেলেংকারী বাঁধিয়ে ফেলবে।'
'ঠিক আছে। কিন্তু সে যদি খুঁজে বের করে ফেলে যে তার পাশের বেডে আসলেই একজন রোগী ছিল? তখন সে ভাববে আমরা খুনটা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মিথ্যা বলেছি।'
'ওহ, বাদ দাও তো। একটা খুন? আমাদের নাকের ডগা দিয়ে? এটা হাস্যকর।' আর্দালিটি তার হাতের অনামিকায় পরানো রুপালি রঙ্গের আঙটিটা ঘুরাতে ঘুরাতে বলল।

(Rober Burton Robinson এর Horrors of Memory অবলম্বনে)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:১২

সায়ানাইড সাকিব বলেছেন: মূল গল্প টা পড়তে হয়

২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:২২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: শেষ কি হল ?
মানে সত্যি ঘটেছিল ?

২৮ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:১২

সাঈদ শিহাব বলেছেন: সত্যি কি ঘটেছিল সেটা লেখক পাঠকের অনুমানের উপর ছেড়ে দিয়েছেন।

৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:২৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অসাধারণ| গা শিউরে শিউরে উঠছিল| সুন্দর লিখেছেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.